BK Murli 4 April 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 4 April 2016 In Bengali

     ০৪-০৪-১৬ প্রাত: মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    " মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা - এখন এই কলিযুগ শেষ হতে চলেছে তাই
    তোমাদের নজর এই দুনিয়া থেকে সরিয়ে নিতে হবে আর নিজেদের মুখ বা নজর স্বর্গের দিকে রাখতে হবে l "

    প্রশ্ন :- 

    বাবা তাঁর নিজের বাচ্চাদের পূণ্য আত্মায় পরিণত করার জন্য কোন্ নিয়ম বলতে থাকেন ?

    উত্তর :- 

    বাচ্চারা পূণ্য আত্মা তৈরী হতে গেলে আগে নির্ভুল হও l রাবণ তোমাদের দিয়ে অনেক ভুল কাজ করিয়েছে, ভুল কাজ করতে করতে তোমরা পাপ আত্মায় পরিণত হয়েছো l ক্রোধ বা কাম বিকারের ভুল রাবণই করায় l বাবা এসেছেন তোমাদের এই বিকারের উপর বিজয়ী বানাতে l এখন তোমরা নির্ভুল হয়ে নির্বিকারী তৈরী হও l

    গীত :- 

    ছোড় ভী দে আকাশ সিংহাসন ........
    ছেড়ে দাও আকাশের সিংহাসন....

    ওম্ শান্তি l 

    কারা বাবাকে স্মরণ করেছে বা ডেকেছে ? বাচ্চারাই ডেকেছে, "বাবা " এখন এই যে মহানতার সিংহাসন, যেখানে আত্মারা এবং পরমাত্মা বাবা একসঙ্গে থাকেন l বাবা এবং বাচ্চারা সকলেই শান্তিধামের নিবাসী l তাই বাচ্চারা বাবাকেই ডাকে l ভগবানকেই "বাবা"বলা হয় l বাবা বাচ্চাদের বোঝান যে, ১০৮ দানার মালা তৈরী হয় l এটা কিসের মালা ? যারা পুজো করে তারা জানেই না l মালার উপরের ফুল হল নিরাকার শিববাবা l বাবার শরীর হয় না l তাঁকেই বাচ্চারা ডাকতে থাকে -- হে পতিত পাবন, ও গড ফাদার , জ্ঞানের সাগর , শান্তির সাগর ,.......এইভাবেই বাচ্চারা বাবার মহিমা করে এসেছে , কিন্তু বাবার সঠিক পরিচয় জানে না, এই সমস্ত ঘটনা নাটকে লিপিবদ্ধ আছে l এই জাগতে সুখ আর দুঃখের খেলা চলে l শান্তিধাম থেকে এখানে আত্মারা আসে অভিনয় করতে l বাস্তবে এই আত্মারা সকলেই শান্তিধামের নিবাসী, তারপরে অভিনয় করার জন্যে তাদের এই লৌকিক জগতে আসতে হয় l উঁচুর থেকে উঁচু সবার সদ্গতি দাতা , ভারতবাসীকে বিশ্বের মালিক কিণ্তু এক বাবাই বানান l লক্ষ্মী নারায়ণ তো এই বিশ্বের মালিক ছিলেন , তাই তো তাঁদের মন্দির বানিয়ে মানুষ পূজা করে l বিভিন্ন জায়গাতে তাঁদের মন্দির আছে l কিণ্তু কেউই জানে না যে লক্ষ্মী-নারায়ণ কেমন করে তাঁদের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করেছিলেন l সত্যযুগে এনারাই বিশ্বের মালিক ছিলেন , আর কোনো ধর্ম ছিল না l এই ধর্মকেই বলা হয় আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম l এই কথা বাবা বাচ্চাদের বোঝান l কথিত আছে যে রূপ বদলে আবার এসো l আর যে সকল আত্মারা অভিনয় করার জন্যে এই পৃথিবীতে আসেন তারা তো প্রথমে মায়ের গর্ভেই প্রবেশ করেন l প্রত্যেককেই নিজের নিজের পার্ট দেওয়া আছে l ব্রহ্মা , বিষ্ণু আর শঙ্করেরও নিজেদের সূক্ষ্ম শরীর আছে l তাঁদের ভগবান বলা যাবে না l বলা হয় ব্রহ্মা দেবতা নমঃ, বিষ্ণু দেবতা নমঃ, কিণ্তু শিব পরমাত্মা নমঃ l ভারতবাসীরা তো এই কথাও জানে না যে শিব নিরাকার আলাদা এবং শংকর আকারী দেবতা আলাদা l শংকরকে আকারী দেবতা অর্থাত্ শংকর দেবতা, আর শিবকে শিব পরমাত্মা বলা হয় l শিব এবং শংকর এক নয় ,এই বুদ্ধিও তাদের নেই l ইনি হলেন উঁচুর থেকে উঁচু আমাদের বাবা l ব্রহ্মা , বিষ্ণু এবং শংকর হলেন সূক্ষ্মবতনের রচনা l রচয়িতা বাবা হলেন সকলের সবথেকে প্রিয় বাবা l তুমি মাতা পিতা , আমরা তোমার সন্তান l এই মহিমাও তাঁর নামেই গাওয়া হয় l ডাকতে থাকে বাবা এসো কেননা মায়া আমাদের ঘিরে ধরেছে l রাবণের রাজ্য তাই না l তোমরা বাচ্চারা এখন জানো - নিরাকার শিব বাবা রূপ বদল করে এখন সাকার রূপে প্রবেশ করেছেন l বাবা যতক্ষণ না নিরাকার থেকে সাকারে আসছেন ততক্ষণ রাজযোগের জ্ঞান কেমন করে শেখাবেন, তাই বাবা বলেন -- আমি সাধারণ শরীরে কিছুদিনের জন্যে আসি l ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো হয় না ? বলে যে আমার স্ত্রীর শ্রাদ্ধ আছে , বা আমার বাবার শ্রাদ্ধ আছে অর্থাত্ তাদের আত্মাকে আহ্বান করা হয় l সেই আত্মাদের জন্যে সবকিছু তৈরী রাখে l মৃত্যুর পর শরীর তো শেষ হয়ে গেছে ,তাই তারা তো আসতে পারে না l কিণ্তু আত্মাদের আহ্বান করা হয় l আত্মাকে ডেকে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় , তুমি সুখী তো ? কোথায় থাকো তুমি? আগে এই ধরনের অনেক অনুষ্ঠান ছিল l সব কিছুই তো নাটকের নিয়ম অনুসারে হয় l এখন তো তমোপ্রধান দুনিয়ার কারণে এই ধরনের এখন আর চলে না l বাবা বোঝান যে , যখন এই আত্মারা ব্রাহ্মণদের শরীরে আসতো তখন আমি কেন আসতে পারবো না ? আমিও তো আত্মা l যদা যদা হি ........অর্থাত্ যখন ভারতবাসী নিজেদের ধর্ম এবং কর্মকে ভুলে ধর্মভ্রষ্ট আর কর্মভ্রষ্ট হয়ে পড়ে তখনই আমি আসি l দেবী দেবতারা সর্বগুণ সম্পন্ন , ১৬ কলা সম্পূর্ণ , সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিল, ওখানে যোগবল দ্বারা সন্তানের জন্ম হত l যেমন এখন তোমাদের যোগবল শেখানো হচ্ছে যার দ্বারা তোমরা নতুন বিশ্বের মালিক হতে পারবে l তোমরা এখানে এসেছো নর থেকে নারায়ণ হতে আর রাজযোগ শিখতে l দেবী দেবতার সাম্রাজ্য এখন স্থাপন হচ্ছে l সূর্যবংশী সাম্রাজ্য ছিল, তারপর পুনর্জন্ম নিতে নিতে চন্দ্রবংশীতে চলে এলো , এইভাবে বৃদ্ধি হতে থাকলো l তাই উঁচুর থেকে উঁচু হলেন পিতা পরমাত্মা l যেমন আত্মা বিন্দু তেমনই পরমাত্মাও বলেন - আমিও বিন্দু l আমি এসে সাধারণ দেহতে প্রবেশ করি l তোমাদের আবার দেবতা তৈরী করি l তোমরা বাস্তবে প্রথমে সূর্যবংশী ছিলে , তারপর চন্দ্রবংশী হয়েছো তারপর ধীরে ধীরে বৈশ্য এবং শূদ্রবংশীতে এসেছো l ৮৪ জন্মের বৃত্তান্ত কেউই জানত না l ৮৪ লাখ জন্ম তো কখনোই ছিল না তাহলে চক্রের আয়ু অনেক বড় হয়ে যেত l মানুষ বলে যে সত্যযুগের আয়ু লাখ বছরের l বাবা বলেন যে এই সব মিথ্যা জ্ঞানের কথা l শাস্ত্রে যে জ্ঞান রয়েছে সে সকলই ভক্তিমার্গের জ্ঞান , এই জ্ঞানের ফলে মানুষ উতরতি কলায় চলে যায় l জ্ঞানের সাগর তো এক বাবাই l শ্রীকৃষ্ণের মহিমা আলাদা , সর্ব গুণ সম্পন্ন , ১৬ কলা সম্পূর্ণ .....অহিংসা পরম দেবী দেবতা ধর্ম l সবার থেকে বড় হিংসা হলো কামের কাটারি চালানো , যা সত্য যুগে একদমই থাকে না l বাবা বলেন যে যদি তুমি কামের উপর বিজয় লাভ করতে পারো তাহলে তুমি পবিত্র হয়ে , পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে পারবে l
    অর্ধেক কল্পের সময় ধরে অনেক অপবিত্র কাজ করে অপবিত্র পাপ আত্মা হয়ে গেছো l ২১ জন্ম সত্য যুগ আর ত্রেতা যুগে অনেক সুখী ছিলে l এখন কলি যুগের শেষে তোমরা অনেক অপবিত্র হয়ে গেছো l আমি আসি এই সঙ্গমের সময় l যখন পতিত দুনিয়া থেকে পাবন দুনিয়াতে পৃথিবী পরিবর্তিত হয় l এই কলি যুগ হলো দুঃখধাম, অন্ধকার রাতের সমান l সত্য যুগ হল দিন, যেখানে লক্ষ্মী নারায়ণের রাজত্ব ছিল । সেই যুগ কেমনভাবে তৈরী হয়েছিল l সেই কথা একমাত্র বাবাই বোঝান l গীতা হল ভগবান শিবেরই শ্রীমত l শ্রীকৃষ্ণ বা লক্ষ্মী নারায়ণকে জ্ঞানের সাগর বলা যাবে না l এখনই তোমাদের জ্ঞান মিলছে , যার দ্বারা তোমরা মানুষ থেকে দেবতা তৈরী হচ্ছো l জ্ঞানের দ্বারাই তোমরা স্বর্গরাজ্যের মালিক হতে পারো l বাকি সবই হলো ভক্তিমার্গের কথা l ভারত প্রথমে সত্যখণ্ড ছিলো , তারপর দ্বাপর থেকে মিথ্যাখন্ডে পরিণত হয়েছে l প্রথম প্রথম তোমরা সবসময় স্মরণ করো যে তোমাদের সবথেকে প্রিয় হলেন শিববাবা - যিনি সর্ব আত্মার পিতা l লৌকিক বাবা তো সবার আছে , যার থেকে পার্থিব সম্পত্তি পাওয়া যায় l উঁনি হলেন হদের ব্রহ্মা , ওনাকে হদের সৃষ্টিকর্তা বলা হয় আর ইনি হলেন বেহদের সৃষ্টিকর্তা l বেহদের সম্পত্তির দাতা l ইনি এই ভারতেই আসেন l শিববাবা যখন এসেছেন তখন নিশ্চই অনেক কিছু উপহার নিয়ে এসেছেন l হাতে করে স্বর্গ রাজ্যের বাদশাহী নিয়ে এসেছেন l বাচ্চাদের তো বাবার সম্পত্তির প্রাপ্তি হয় l তোমরা এখন বলছো - আমাদের শিববাবা আছেন l শিববাবার থেকে স্বর্গের বাদশাহী লাভ করা যায় , যেই বাবা একজন সাধারণ শরীরের আশ্রয় করে আমাদের রাজযোগ শেখান l দেবতারা তো পতিত দুনিয়াতে পাও রাখেন না l তাহলে কৃষ্ণ এখানে কেমনভাবে আসবেন l এইসব ভুল ধারণা করতে করতে ভারত কতখানি কাঙ্গাল হয়ে পড়েছে l এখন বাবা এসে তোমাদের নির্ভুল তৈরী করেন , যাতে অর্ধেক কল্পে তোমাদের কোনো ভুল না হয় l নির্ভুল হওয়ার জন্য তোমরা পূণ্য আত্মায় পরিনত হও l আবার রাবণ রাজ্য এলে তোমরা ভুল করতে করতে পাপ আত্মা হয়ে যাও l কামের বশ হওয়া , ক্রোধ করা , এইসব ভুল রাবণই করায় l সত্যযুগে পাঁচ বিকারের নামমাত্র থাকে না l সেই দুনিয়া তো সম্পূর্ণ নির্বিকারী দুনিয়া l সাধারণ মানুষ তো বলে যে অসুর আর দেবতাদের মধ্যে লড়াই হয়েছিল l কিন্তু দেবতারা তো সত্য যুগের আর অসুর হলো কলিযুগীয় আত্মা - তাহলে দুজনের মধ্যে লড়াই কেমন করে সম্ভব l কৃষ্ণপুরীতে যাবার জন্যে মানুষ কৃষ্ণকে স্মরণ করে l কৃষ্ণপুরী হলো সত্যযুগ l আর এই কলিযুগ হলো আসুরী রাবণপুরী l আবার মূলবতন হলো ঈশ্বরীয় পুরী , যেখানে আত্মারা অবস্থান করে l শিববাবাও সেখানে থাকেন আত্মাদের সঙ্গে l তারপর অত্মারা এই পৃথিবীতে আসে অভিনয় করার জন্যে l শিববাবাকেও আসতে হয় সম্পূর্ণ অন্য দেশে , অন্য শরীরকে আশ্রয় করে l এইসময় এই দেশ হলো রাবণের পতিত দেশ অর্থাত্ চারিদিকে অনাচার অবিচারে পরিপূর্ণ l সমস্ত মানুষ ডাকতে থাকে - হে পতিত পাবন এসো , আমাদের উদ্ধার করো l সত্যযুগে দেবী - দেবতার রাজ্য ছিলো , যাকে ভগবান ভগবতীও বলা হয় l কৃষ্ণকে শ্যাম সুন্দর বলা হয় , এরও অর্থ আছে l সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর আর তারপরে কলিযুগে বার বার জন্ম নেওয়ার ফলে সিঁড়ি নামতে নামতে মানুষ কাম বিকারকে আশ্রয় করে গৌরবর্ণ সুন্দর চেহারা থেকে শ্যাম বর্ণ হয়ে গেছে l এখন আবার জ্ঞানের চিতায় বসে জ্ঞান অর্জন করতে পারলে সুন্দর রূপ ধারণ করবে l কৃষ্ণের ছবিতেও স্বর্গ আর নরক দুটোই দেখানো আছে l বাবা বলেন যে এখন কলিযুগের থেকে নজর সরিয়ে নিয়ে সত্যযুগের দিকে নজর বা মুখ রাখো l মনমনাভব অর্থাত্ মন আমাতে লাগাও l এখন একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো আর খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করে মন আর বুদ্ধির যোগ এক আমার সাথেই লাগাও l গৃহস্থ জীবনেই থাকো , কারণ তোমরা হলে কর্মযোগী l স্মরণ এক শিববাবাকেই করো অন্য আর কাউকে নয় l এই পুরনো দুনিয়া , পুরনো শরীর সব শেষ হয়ে যাবে তাই বাবা বলেন যে , দেহ সহিত দেহের সর্ব সম্বন্ধ ত্যাগ করে এক আমাকে স্মরণ করো l নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো l এই কথা আমাদের আত্মাদের বাবা পরমাত্মাই বোঝান l তোমরা ৮৪ জন্ম কেমন করে নাও l মানুষ , মনুষ্য জন্মই লাভ করে l গাধা ইত্যাদি অন্য কোনো পশুযোনিতে জন্ম নেয় না l গরুড় পুরাণে তো মুখরোচক গল্প কথা লিখে দিয়েছে l এই সময় হলো বিষয় বৈতরণী নদী l ভারত সত্যযুগে ক্ষীর সাগরের তুল্য ছিলো আর এখন বিষয় সাগর হয়ে গেছে l এই ভারতকে শিবালয়ও বলা হতো কারণ এখানে পবিত্র দেবতার রাজ্য ছিলো l কিন্তু এখন তো দেবতা ধর্ম লোপ পেয়ে গেছে , তাই নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দেয় l ক্রিশ্চানদেরই তো ক্রিশ্চান বলা হয় l এমন তো নয় যে ইউরোপে থাকে বলে তাদের ইউরোপিয়ান ধর্ম বলা হবে l হিন্দুস্থানে থাকার কারণে হিন্দু বলা হয় l আসলে হিন্দু ধর্ম তো হয় না l সবার প্রথমে তো ভারত খণ্ডই নাম ছিলো l পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবাই তো আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম রচনা করেছিলেন l এখন তোমরা ব্রাহ্মণ ধর্ম থেকে পরিবর্তিত হয়ে প্রথমে সূর্যবংশী তারপরে চন্দ্রবংশী রাজবংশে জন্ম নেবে l শিববাবা এসেই শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ জীবনে পরিবর্তিত করেন l তারপর ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করে তোমরা সূর্যবংশী , আর চন্দ্রবংশী রাজবংশের অধিকারী হও l বেহদের বাবা তোমাদের ২১জন্মের জন্য সম্পত্তির অধিকারী করেন l লৌকিক বাবার থেকে আমরা লৌকিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হই l ভারত তো সুখধাম ছিলো l কত ভাবে রামরাজ্যের মহিমার গায়ন আছে l সেখানে অধর্মের কথা কোথা থেকে আসবে , এইগুলোকে গল্প কথা বলা হয় , যা লোকের মুখে মুখে চর্চিত হয় , যেইগুলো পড়তে পড়তে আমরা নীচে নেমে এসেছি , সেইজন্য বাবাকে বলা হয় , তুমি এসে সবার সদ্গতি করো l সব ধর্মের মানুষই বলে উঁনি হলেন গড ফাদার উঁনি আসেনই সঙ্গমের সময় l কুম্ভের মেলা তো নদীর জলের উপর প্রচলিত l কারণ সবাই এই সময় আসে নদীর জলে স্নান করে পতিত শরীরকে পাবন বানাতে l লাখ মানুষ আসে এই কুম্ভের মেলায় l বলা হয় যে গঙ্গা পতিত - পাবনী কিন্তু পতিত পাবন তো এক বাবাই হয় l গঙ্গা কেমন করে পতিত পাবন হবে ? বাবা বলেন যে আমি সঙ্গমের সময়ই আসি l বাচ্চাদের বলি , এই মৃত্যুলোকে তোমাদের অন্তিম জন্ম চলছে l এখন যদি অমরলোকে যেতে চাও তাহলে পবিত্র হও l বাবাই বসে আমাদের নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য সত্যি সত্যি অমরকথা শোনান , অথবা তৃতীয় নয়ন দান করার জন্যে তিজরীর কথাও শোনান l আত্মার তৃতীয় নয়নের প্রাপ্তি হয় l দেবতাদের তৃতীয় নয়ন দেখানো হয় না ? কিন্তু দেবতাদের কোনো জ্ঞান থাকে না l তাঁরা জ্ঞানের দ্বারা প্রালব্ধ অর্থাত্ সদ্গতি প্রাপ্ত করেছে , স্বর্গরাজ্যে কোনো জ্ঞানের প্রয়োজন পরে না l সেখানে গুরুও থাকে না l এখন তোমরা দেখছো যে বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে l হোলী উপলক্ষে অনেকে শিব ,দূর্গা এইরকম বহুরূপীর সাজ সাজে , কিন্তু এগুলো করলেই মুসল বা মিসাইল এইধরনের কোনো অস্ত্র বার করা যায় না , বোম্ব তৈরী করতে গেলে বুদ্ধির প্রয়োজন হয় , তাই বুদ্ধি দিয়েই এই বোম্ব তৈরী করে , যার দ্বারা নিজেদেরই বিনাশ করবে l কৌরব আর পাণ্ডবদের কোনো লড়াই ঝগড়া হয় না l তোমরা হলে সত্যিকারের বৈষ্ণব l লড়াই হয়ই কৌরবদের সঙ্গে তাদের নিজস্ব কাম বিকারের , এই বিকারের লড়াইয়ের দ্বারাই রক্তের নদী বয়ে গিয়েছিলো l পাণ্ডবরা কখনোই হিংসার লড়াই করেনি l কারণ তারা ছিলো বিকাররহিত l এখন তো মাত্রাতিরিক্ত বিকারের জন্যই অনেক ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসবে l 

    আচ্ছা - মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকিলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ, ভালোবাসা আর সুপ্রভাত l রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের প্রতি নমস্কার l

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-

    ১ - সবার প্রিয় হলেন একমাত্র শিববাবা , এই কথা স্মৃতিতে রেখে তাঁকে ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করতে হবে l সত্যিকারের বৈষ্ণব সন্তান হতে হবে l কোনোরকমের ভুল করবে না l 

    2 - এই মৃত্যুলোকে তোমাদের এখন অন্তিম জন্ম চলছে l বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে তাই বাবার থেকে সম্পত্তির অধিকার সম্পূর্ণভাবে নিতে হবে l সম্পূর্ণ পবিত্র জীবন ধারণ করতে হবে l

    বরদান :- 

    নিজের উপর বাপদাদাকে সম্পূর্ণ নিবেদিত করবার জন্য ত্যাগের মুর্তি আর নিশ্চয়বুদ্ধি হও ( ভব ) l 

    বাবাকে পাওয়া মানেই সবকিছুর প্রাপ্তি " এই নেশার শক্তিতেই সমস্ত কিছু পার্থিব সম্পদকে ত্যাগ করার ক্ষমতাসম্পন্ন জ্ঞান স্বরূপ , নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চারা যখন বাবার দ্বারা খুশী ,শান্তি শক্তি বা সুখের অনুভূতি প্রাপ্ত করে , তখন তারা লোকলজ্জার ভয় না করে সর্বদা নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে l তাদের এই দুনিয়ার সমস্ত কিছু তুচ্ছ আর অসার মনে হয় l এইসব ত্যাগের মুর্তি , নিশ্চয়বুদ্ধি সম্পন্ন বাচ্চাদের উপর বাপদাদা নিজের সম্মতিক্রমে সমর্পিত হয়ে যায় l যেমন কোনো বাচ্চা যদি সংকল্প করে যে, বাবা আমি তোমার, তখন বাবাও বলেন যে, বাবার যা সম্পত্তি সেই সমস্ত কিছুতেই তোমারও সম্পূর্ণ অধিকার l

    স্লোগান :- 

    সহজযোগী সেই যে নিজের সমস্ত সংকল্প বা কর্মের দ্বারা বাবার স্নেহের অনুভূতি চারিদিকে ছড়াতে থাকে l


    ***OM SHANTI***