BK Murli 9 April 2016 In Bengali
০৯-০৪-২০১৬ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি 'বাপদাদা' মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -- তোমরা দেহ অভিমানের দ্বার বন্ধ করে দিলে মায়ার তুফান আসাও বন্ধ হয়ে যাবে "
প্রশ্ন : --
যে সকল বাচ্চারা বিশাল বুদ্ধির অধিকারী হয়, তাদের লক্ষণগুলি বলো !
উত্তর : --
১ -- তাদের সারাদিন সার্ভিসেরই চিন্তা থাকবে।
২ -- তারা সার্ভিস ছাড়া থাকতে পারবে না।
৩ -- তাদের বুদ্ধিতে থাকবে যে কীভাবে সমগ্র বিশ্বের চারিদিকে ছড়িয়ে গিয়ে সকলকে পতিত থেকে পাবন বানানো যায় । তারা বিশ্বকে দুঃখধাম থেকে সুখধাম বানানোর সেবা করবে।
৪ -- তারা অনেককে নিজ সমান বানাতে থাকবেন।
ওম্ শান্তি ।
রূহানী বাবা মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদেরকে বসে বোঝাচ্ছেন -- বাচ্চারা নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের সকল দুঃখ চিরকালেরজন্য দূর হয়ে যাবে। নিজেকে আত্মা মনে করে সকলকে ভাই-ভাই-এর দৃষ্টিতে দেখলে দেহের দৃষ্টি বৃত্তি বদলে যাবে।বাবাও হলেন অশরীরী, তোমরা আত্মারাও অশরীরী । বাবা আত্মাদেরকেই দেখেন, সকলে হল অকাল তখ্তে বিরাজমান আত্মা । তোমরাও আত্মা ভাই- ভাই-- এই দৃষ্টিতে দেখো, তাতে বড়ই মেহনত রয়েছে । দেহের ভানে এলেই মায়ার তুফান চলে আসে। এই দেহ- অভিমানের দ্বার বন্ধ করে দিলে মায়ার তুফান আসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই দেহ- অভিমানী হওয়ার শিক্ষা সমগ্র কল্পে এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে বাবা-ই বাচ্চাদেরকে দেন।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকিলধে) বাচ্চারা জানো যে এখন আমরা নরকের পারকে ত্যাগ করে এগিয়ে চলেছি, এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ একেবারেই আলাদা, মধ্যবর্তী স্থান । দরিয়ার মাঝখানে (সমুদ্রে) তোমাদের বোট ( নৌকা) এখন রয়েছে । এখন না তোমরা সত্যযুগী, না কলিযুগী। তোমরা হলে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগী সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ । সঙ্গমযুগ তো হলই ব্রাহ্মণদের। ব্রাহ্মণ হল শিখর। এটা হল ব্রাহ্মণদের ছোট একটি যুগ। একটিই জন্মের যুগ এটি। এ হল তোমাদের আনন্দের যুগ। কোন্ বিষয়ের আনন্দ ? ভগবান আমাদের পড়ান। এমনিতেই স্টুডেন্টরা কত আনন্দে থাকে ! সমস্ত চক্রের জ্ঞান এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে । এখন আমরাই ব্রাহ্মণ আবার আমরাই দেবতা হবো। প্রথমে আমাদের আসল নিবাস স্থল সুইট হোমে যাবো তারপর নতুন দুনিয়ায় যাবো। আমরা ব্রাহ্মণরাই হলাম স্বদর্শণ চক্রধারী। আমরাই ডিগবাজি দিয়ে থাকি (বাজোলী খেলা)। এই বিরাট রূপকেও তোমরা ব্রাহ্মণারাই জানো, বুদ্ধিতে সারাদিন এই কথাটাই বার বার চলতে থাকা চাই।
মিষ্টি বাচ্চারা এটা হল তোমাদের খুবই লাভলি পরিবার, তো তোমাদের প্রত্যেককে অনেক অনেক লবলীন হতে হবে। বাবাও হলেন মীঠা তো বাচ্চাদেরকেও এমন মিষ্টি বানান। বাবাকে যত বেশী স্মরণ করবে ততই মিষ্টি হতে থাকবে।ব্যস এই স্মরণ করতে করতেই বেড়া পার হয়ে যাবে। এটাই হল স্মরণের যাত্রা। স্মরণ করতে করতে শান্তিধাম হয়ে সুখধামে যেতে হবে। বাবা এসেছেনই বাচ্চাদেরকে সদা সুখী বানানোর জন্য । ভূতেদের তাড়ানোর যুক্তি বাবা বলেছেন -- আমাকে স্মরণ করো তাহলেই এই ভূত বেরিয়ে যেতে থাকবে। কোনো ভূতকেই সাথে করে নিয়ে যেও না। কারো কাছে ভূত থাকলে এখানে আমার কাছে ছেড়ে যাও। তোমরা তো বলে থাকো যে বাবা এলে আমাদের ভূত গুলিকে তাড়িয়ে আমাদের পবিত্র বানাও। তো বাবা কত সুন্দর ফুল বানান। বাবা আর দাদা উভয়ে মিলে তোমাদের বাচ্চাদের শৃঙ্গার করেন। মাতা পিতাই তো বাচ্চাদের শৃঙ্গার (সাজিয়ে দেন) করেন, তাই না ! উনি হল হদের পিতা, আর ইনি হলেন বেহদের পিতা। তো বাচ্চাদের খুব মিষ্টি ভাবে চলতে এবং চালেতে হবে। সমস্ত বিকারগুলির দান দিয়ে দিতে হবে -- দাও দান, তো ছুটে গ্রহন । এতে বাহানা ইত্যাদির ব্যাপারই নেই। ভালোবাসা দিয়েই তেমরা যে কাউকেই বশ করতে পারো। ভালোবেসে বোঝাও, ভালোবাসা খুবই মিষ্টি জিনিস -- বাঘ, হাতী,জন্তু জানোয়ারকেও মানুষ ভালোবাসা দিয়ে বশ করে নিতে পারে। তাও তো তারা হল আসুরী মানুষ । তোমরা তো এখন দেবতা হচ্ছো। তো দৈবী গুণ ধারণ করে অনেক অনেক মধুর হতে হবে। একে অপরকে ভাই ভা-এর দৃষ্টিতে দেখো। আত্মা আত্মাকে কখনো দুঃখ দিতে পারে না । বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা আমি তোমাদেরকে স্বর্গের রাজ্য ভাগ্য দিতে এসেছি। এখন তোমাদের যা চাই তা আমার থেকে নিয়ে নাও। আমি তো বিশ্বের মালিক ডবল রাজমুকুটধারী তোমাকেই বানাতে এসেছি। কিন্তু মেহনত তোমাকেই করতে হবে। আমি কারো মাথার ওপরেই রাজমুকুট রাখবো না। তোমাদেরকেই নিজ নিজ পুরুষার্থের দ্বারা নিজেকে রাজতিলক দিতে হবে। বাবা পুরুষার্থের যুক্তি বলে দেন যে এই - এইভাবে বিশ্বের ডবল রাজমুকুটধারী নিজেকে বানাতে পারো। পড়াশোনার উপরে সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে। পড়া কখনোই ছেড়ো না । কোনো কারণে মন খারাপ করে পড়া যদি ছেড়ে দাও, তবে নিজেই প্রচুর ক্ষতি হয়এ যাবে। লাভ আর ক্ষতি -- বুঝে নাও। তোমরা হলে ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট, ঈশ্বর পিতার কাছে পড়ছো, পড়ে পূজ্য দেবতা হতে চলেছো। তো স্টুডেন্টকেও তেমনি রেগুলার হতে হবে। স্টুডেন্ট লাইফ ইস দ্য বেস্ট । যত পড়বে, পড়াবে আর ম্যানার্স (আচার ব্যবহার) সুন্দর বানাবে ততই দ্য বেস্ট হয়ে উঠবে। মিষ্টি বাচ্চারা এখন হল তোমাদের রিটার্ন জার্নি, যেমন সত্যযুগ থেকে ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ পর্যন্ত নীচে নেমে এসেছো, তেমনি এখন তোমাদের আইরন এজ(যুগ) থেকে উপরে গোল্ডেন এজ পর্যন্ত যেতে হবে। সিলভার এজ পর্যন্ত যখন পৌঁছাবে, তো আবার এই কর্মেন্দ্রীয় গুলির চঞ্চলতা সমাপ্ত হয়এ যাবে। সেই জন্য বাবাকে যত স্মরণ করবে ততই তোমাদের আত্মাদের মধ্যে থেকে তমো-র জং বেরিয়ে যাবে। আর জং যত বেরিয়ে যেতে থাকবে ততই বাবা চুম্বকের দিকে আকর্ষণ বাড়তেই থাকবে। আকর্ষণ হয় না মানেই হল নিশ্চয়ই জং লেগে আছে -- জং একেবারে বেরিয়ে পিওর সোনা হয়ে গেলে সেটাই হবে অন্তিম কর্মাতীত অবস্থা ।
তোমাদেরকে গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে, প্রবৃত্তিতে থেকেও কমল পুষ্পের মত হতে হবে। বাবা বলেন হে আমার মিষ্টি বাচ্চারা, ঘর গৃহস্থালিকেও সামলাও, শরীর নির্বাহের জন্য কাজকর্মও করো। তার সাথে সাথে পড়াও পড়তে থাকো। কথিত আছে "হাত দিয়ে কাজ করো, মন দিয়ে বাবাকে স্মরণ করো ("হাত কার ডে দিল ইয়ার দে)। কাজকর্ম করতে করতে এক মাশুক (প্রিয়তমকে) স্মরণ করতে হবে। তোমরা হলে আধা কল্পের আশিক ( প্রেমিকা)। শুদ্ধা ভক্তিতেও দেখো কৃষ্ণ প্রমুখকে কত প্রেমভরে স্স্মরণ করে। সেটা হল শুদ্ধা ভক্তিহ অটল ভক্তি । কৃষ্ণকে অটল ভাবে স্মরণ করে, কিন্তু তাতে কারো মুক্তি লাভ হয় না, এটা হল নিরন্তর ভাবে স্মরণ করবার জ্ঞান । বাবা বলেন এই পতিত পাবন বাবাকে (আমাকে) স্মরণ করো তাহলেই তোমাদের পাপ নাশ হয়ে যাবে, কিন্তু মায়া হল বড় পালোয়ান । কাউকেই ছাড়ে না। মায়ার কাছে বারে বারে হেরে গেলে তো মাথা নিচু করে অনুতাপ করা উচিত । বাবা মিষ্টি বাচ্চাদেরকে শ্রেষ্ঠ মত তো দেনই -- এখন যদি না করো তবে সাজাও অনেক খেতে হবে এবং কল্প-কল্প পাই -পয়সার পদ পেতে থাকবে।
মূল কথাটিই বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান যে দেহী- অভিমানী হও। দেহ সহিত দেহের সমস্ত সম্পর্কে ভুলে মামেকম্ স্মরণ করো, পবিত্রও নিশ্চয়ই করতে হবে। কুমরী তখন পবিত্র থাকে তখন সকলে তার সামনে প্রণত হয় । বিবাহ করবার ফলে আবার পূজারী হয়ে পড়ে । সকলের সামনে মাথা নত করতে হবে। কন্যা প্রথমে পিতার ঘরে থাকে তো এত বেশী সম্বন্ধের কথা মনে আসে না । বিবাহের পরে দেহের সম্বন্ধও বৃদ্ধি পেতে থাকে, তারপরে পতি, বাচ্চাদের মোহ বাড়তে থাকে। শাশুড়ি- শ্বশুর ইত্যাদি সবার কথা মনে আসতে থাকে । প্রথমে তো কেবল মা-বাবা-র প্রতিই মোহ থাকে । এখানে তো সেই সম্বন্ধকে ভুলতে হবে, কেননা এই একই তোমাদের সত্যিকারের মাতা-পিতা। এটা হল ঈশ্বরীয় সম্বন্ধ। গাওয়াও হয় ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব... এই মাতা পিতা তো তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক বানান, সেইজন্য বাবা বলেন আমাকে বেহদের বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করো এবং কোনো দেহধারীর প্রতি মমত্ব রেখো না । স্ত্রী-র কলিযুগী পতির কথা কত স্মরণে থাকে, তারা তো নর্দমায় গিয়ে পড়ে।এই বেহদের বাবা তোমাদেরকে স্বর্গে নিয়ে যান। এমন মিষ্টি বাবাকে অনেক অনেক ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে থাকো আর স্বদর্শনচক্র ঘোরাতে থাকো। এই স্মরণের বলের দ্বারাই তোমাদের আত্মা কাঞ্চন কায়া হয়ে স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে । স্বর্গের নাম শুনলেই মন খুশিতে ভরে যায় । যে নিরন্তর স্মরণ করে আর অন্যদেরকেও স্মরণ করাতে থাকবে সে-ই উঁচু পদ পাবে। এই পুরুষার্থ করতে করতে অন্তিম সময়ে তোমাদের সেই অবস্থা জমে যাবে। এই দুনিয়াটাও তো পুরানো, দেহও পুরানো, দেহ সহিত দেহের সব সম্বন্ধও পুরানো । সেই সব কিছুর থেকে বুদ্ধি যোগ সরিয়ে নিয়ে এক বাবার সাথেই জুড়তে হবে, যে অন্তিম সময়েও এক বাবারই স্মরণে থাকে আর কোনো সম্বন্ধের কথা স্মরণ হবে তো অন্তিম সময়ে তার কথাই মনে আসবে আর পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। অন্তিম কালে যে বেহদের বাবার স্মরণে থাকবে সে-ই নর থেকে নারায়ণ হতে পারবে। বাবার কথা স্মরণে থাকলে শিবালয় বেশি দৃরে নয় ।
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি ( সিকীলধে) বাচ্চারা বেহদের বাবার কাছে তো আসেই রিফ্রেশ হওয়ার জন্য, কেননা বাচ্চারা জানে যে বেহদের বাবার কাছ থেকে বেহদের বাদশাহী পাওয়া যায় ।এটা কখনো ভোলা উচিত নয় । সেটা সর্বদা স্মরণে থাকলেও বাচ্চাদের অপার খুশী থাকবে। এই ব্যাচ চলতে ফিরতে দেখতে থাকো -- একদম হৃদয়ের সাথে লাগিয়ে রাখো। অহো ! ভগবানের শ্রীমতে চলে আমরা এই রকম হতে চলেছি। ব্যস ব্যাচকে দখো আর তাদের ভালোবাসো। বাবা বাবা করতে থাকো তো সব সময়ই এই স্মৃতি থাকবে। আমরা বাবার দ্বারাই এরূপ হতে চেছি। তাহলে বাবার শ্রীমতেই চলা উচিত তাই না ! মিষ্টি বাচ্চাদের অনেক বিশাল বুদ্ধি চাই। সারাদিন যে সার্ভিসের কথাই মাথায় ঘোরে। বাবার তো সে বাচ্চাই চাই যে সার্ভিস ছাড়া থাকতে পারে না । বাচ্চারা তোমাদের সমস্ত বিশ্বে জ্ঞানকে ছড়িয়ে দিতে হবে অর্থাৎ পতিত দুনিয়াকে পবিত্র বানাতে হবে। সমগ্র বিশ্বকে দুখধাম থেকে সুখধাম বানাতে হবে। টিচারেরও পড়াতে ভালো লাগে তাই না ! তোমরা তো এখন অনেক উঁচু মাপের টিচার হয়েছো। যত ভালো টিচার হবেন, তিনি অনেককেষনিজ সমান বানাবে, কখনো ক্লান্ত হবে না । ঈশ্বরীয় সার্ভিসে অনেক আনন্দ রয়েছে। বাবার সাহায্য প্রাপ্ত হয় । এ হল অনেক বড় বেহদের ব্যাপার(কারবার), ব্যাপারীরা ধনবান হয়ে যায় । তারা এই জ্ঞান মার্গেও বেশি উৎসাহী হয় । বাবাও তো বেহদের ব্যাপারী না! সৌদা একেবারে ফার্স্টক্লাস। কিন্তু এতে খুব সাহস ধারণের প্রয়োজন । নতুন নতুন বাচ্চারা পুরানোদের থেকেও অনেক এগিয়ে যেতে পারে । প্রত্যেকের আলাদা আলাদা (ইন্ডিভিজ্যুয়াল) ভাগ্য, তো পুরুষার্থও প্রত্যেককে আলাদা আলাদা (ইন্ডিভিজ্যুয়াল) ভাবেই করতে হবে। নিজের সম্পূর্ণ চেকিং করা উচিত । এমন চেকিং যারা করে তারা একদম দিনরাত পুরুষার্থে লেগে থাকবে, তারা বলবে যে সময় কেন নষ্ট করবো। যতটা সম্ভব সময় সফল করি। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে -- আমি বাবাকে কখনোই ভুলবো না । স্কলারশিপ নিয়েই ছাড়বো। এমন বাচ্চাদের তারপর সাহায্যও প্রাপ্ত হয় । এমনও নতুন নতুন পুরুষার্থী বাচ্চাও দেখতে পাবে। সাক্ষাৎকার করতে থাকবে। শুরুর সময়ে যেমন হতো তেমন শেষের সময়ও দেখবে। যত অগ্রসর হতে থাকবে ততই খুশীতে নাচতে থাকবে। আর অন্যদিকে ভয়াবহ রক্তের খেলাও চলতে থাকবে।
তোমাদের বাচ্চাদের রেস চলছে, দৌড়ে যত এগিয়ে থাকবে ততই নতুন দুনিয়া সামনে আসতে থাকবে, খুশী বাড়তে থাকবে। নতুন দুনিয়ার ছবি যত নিকটে দেখা দেবে খুশী ততই বাড়তে থাকবে। নতুন দুনিয়ার দৃশ্য যাদের নজরে আসেনা তাদের খুশীও হবে না । এখন তো কলিযুগী দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য এবং সত্যযুগী দুনিয়ার প্রতি অনেক অনেক প্রেম থাকা দরকার । শিববাবা যদি স্মরণে থাকে তবে স্বর্গের উত্তরাধিকারও স্মরণে থাকবে। স্বর্গের উত্তরাধিকার স্মরণে থাকলে শিববাবাও স্মরণে থাকবেন। তোমরা বাচ্চারা জানো যে এখন আমরা স্বর্গের অভিমুখে যাচ্ছি, পা রয়েছে নরকের দিকে আর মাথা হল স্বর্গের দিকে । এখন তো ছোট বড় সকলেরই বাণপ্রস্থ অবস্থা । বাবার (ব্রহ্মা) তো সব সময়ই এই নেশা থাকে যে অহো! আমিই তো এই বাল কৃষ্ণ হবো, যার জন্য ইনঅ্যাডভান্স সওগাতও পাঠাতে থাকেন। যাদের সম্পূর্ণ নিশ্চয় রয়েছে সেই সব গোপিকারাই সওগাত পাঠায়, তাদের অতিন্দ্রীয় সুখের আভাস আসে। আমরাও অমরলোকের দেবতা হবো। কল্প পূর্বে আমরাই হয়েছিলাম আবার আমরা ৮৪ পুনর্জন্ম নিয়েছি। এই বাজোলি স্মরণে যদি থাকে তাহলেও অহো সৌভাগ্য -- সদাই অগাধ খুশীতে থাকো, অনেক বড় লটারি পেতে চলেছো। ৫০০০ বছর আগেও আমরা রাজ্য ভাগ্য পেয়েছিলাম, আগামীতে আবারও পাবো। ড্রামাতে তা নথিভুক্ত রয়েছে । এইভাবে যদি সারাদিন বিচার করতে থাকো তবে খুবই রমণীয়তার অনুভবে থাকবে। বিচার সাগর মন্থন না করলে তো পুরোটাই আনহেল্দি হবে। গাই ভোজন করবার পরে সারাদিন জাবর কাটতে থাকে, মুখ চলতেই থাকে । মুখ না চললে বুঝতে হবে অসুস্থ, এ-ও তেমনি।
বেহদের পিতা এবং দাদা দু'জনেরই মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা রয়েছে, কত ভালোবেসে পড়ান। কালো থেকে গৌরবর্ণ বানান। তো বাচ্চাদেরও খুশীর পারা চড়া উচিত । পারা চড়বে স্মরণের যাত্রাতেই। বাবা কল্প-কল্প ধরে অনেক ভালোবাসার সাথে লাভলি সার্ভিস করেন। ৫ তত্ত্ব সহিত সবাইকেই পবিত্র বানান। কত বড় বেহদের সেবা। বাবা অনেক অনেক ভালোবাসার সাথে বাচ্চাদের শিক্ষাও দিতে থাকেন, কেননা বাচ্চাদের সংশোধন করা বাবা বা টিচারেরই কাজ। বাবার-ই শ্রীমত, যার দ্বারাই শ্রেষ্ঠ হবে । যত বেশী ভালোবেসে স্মরণ করবে ততই শ্রেষ্ঠ হবে । এটাও চার্টে লেখা উচিত আমি শ্রীমত অনুসারে চলি বা নিজের মত অনুসারে চলি ? শ্রীমতে চললেই তুমি যথাযথ (অ্যাক্যুরেট) হতে পারবে। আচ্ছা --
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদেরকে মাতা-পিতা বাপদাদা স্মরণ করছেন জানাচ্ছেন স্নেহ-সুমন আর গুডমর্নিং। আত্মাদের পিতা (রূহানী) আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার : --
১) নিজের কাছে নিজের প্রতিজ্ঞা করা উচিত যে আমরা আমাদের সময় (টাইম ওয়েস্ট) করবো না । সঙ্গমের প্রতিটি মুহূর্ত সফল করবো। আমরা বাবাকে কখনোই ভুলবো না । স্কলারশিপ নিয়েই ছাড়বো।
২) সর্বদা যেন স্মৃতিতে থাকে যে এখন আমাদের বাণপ্রস্থ অবস্থা ।পা রয়েছে নরকের দিকে, মাথা স্বর্গের দিকে । বাজোলিকে স্মরণ করেঅগাধ খুশীতে থাকতে হবে। দেহ-অভিমানী হওয়ার পরিশ্রম করতে হবে।
বরদান : --
প্রতিটি কদম বাবার আদেশের (ফরমান) ওপরে চলে মায়াকে কুর্বান করিয়ে সহজযোগী ভব
যে সব বাচ্চারা প্রতিটি কদম বাবার আজ্ঞার (ফরমান) মেনে চলে তাদের সামনে সমস্ত বিশ্ব কুর্বান যায়, সাথে সাথে মায়াও নিজ বংশ সহিত কুর্বান হয়ে যায় । আগে তোমরা বাবার ওপরে কুর্বান হয়ে যাও তো মায়া তোমাদের উপরে কুর্বান হয়ে যাবে এবং নিজ শ্রেষ্ঠ স্বমানে থেকে প্রতিটি ফরমান মেনে চলতে থাকো তাহলে জন্ম-জন্মান্তরের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। এখন সহজযোগী এবং ভবিষ্যতে সহজ জীবন হবে। তো এমন সহজ জীবন বানাও।
শ্লোগান : --
নিজের পরিবর্তনের মাধ্যমে অন্য আত্মাদের পরিবর্তন করাই হল জীবন দান দেওয়া ।