BK Murli 10 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 10 May 2016 In Bengali

     ১০-০৫-১৬ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মিষ্টি বাচ্চারা --: কালের কাল মহাকাল বাবা এসেছেন , তোমাদের কালের ওপরে জীত প্রাপ্ত করাতে অর্থাৎ বিজয়ী বানাতে, মনমনাভবের মন্ত্রেই তুমি কালের ওপরে বিজয় প্রাপ্ত করবে"

    প্রশ্ন --: 

    রূহানী বাবা তোমাদের রূহানী যাত্রিদের (আত্মা) কোন্ বিশেষ শিক্ষা দিচ্ছেন ?

    উত্তর --: 

    হে রূহানী যাত্রিরা (আত্মারা) -- তোমরা দেহ অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী (আত্মা) হও | অর্দ্ধ-কল্প ধরে রাবণ তোমাদের দেহ অভিমানীতে পরিণত করেছে , এবার আত্ম-অভিমানী হও | এই রূহানী বা আত্মিক জ্ঞান সুপ্রীম রূহ (সর্বোচ্চ আত্মা) ছাড়া তোমাদের আর কেউই দিতে পারেন না |

    গীত -: 

    ওম নমো শিবায়ঃ …

    ওম শান্তি | 

    বাচ্চারা নিজের বাবার মহিমা শুনলো | গায়নও আছে উচ্চ থেকে উচ্চ ভগবান | তিনি হলেন সব বাচ্চাদের পিতা | বাকী যারাও আছে , তারাও সবাই একে অপরের ভাই (ব্রাদার্স) হয় , আর বাবাও সকলের এক হয় | তিনি হলেন শিববাবা | বাবাও বুঝিয়েছেন হে বাচ্চারা , ভক্তিমার্গে তোমাদের হয় দুজন বাবা -- লৌকিক বাবা আর পারলৌকিক বাবা | রচয়িতা দ্বারা রচনারা বর্সা প্রাপ্ত করে থাকে | সেইসব হলো হদের বর্সা , আর এইসব হলো বেহদের (অলৌকিক) বর্সা | বেহদের বাবা তো একজনই হন , যাঁর দ্বারা বেহদের বর্সা বা অধিকার প্রাপ্ত হয় | তিনি হলেন নিরাকার , ওঁনার নাম হলো পরমপিতা পরমাত্মা শিব | বলাও হয় শিব পরমাত্মায় নমঃ , তিনি হলেন উচ্চ থেকে উচ্চ | তোমার বুদ্ধিও চলে যায় নিরাকার বাবার দিকে , যিনি থাকেন পরমধামে , আর যেখান থেকে তোমরা আত্মারা এসে থাকো | বাবাও সেখানেই থাকেন আর সকলের সদ্গতি করেন , তারপর ভারতই হলো পরমপিতা পরমাত্মার জন্মভূমি | শিবজয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয় | ঐ রূহানী বাবাকেই জ্ঞানের সাগর , পতিতপাবন , লিবরেটর (মুক্তিদাতা) , গাইড বলা হয় | তিনি হলেন দুঃখহর্তা , সুখকর্তা | ভারতবাসীরা এইসব জানে | এখন হলো দুঃখধাম , পূর্বে ভারতেই সুখধাম ছিল | বাবা বাচ্চাদের বসে বোঝাচ্ছেন -- হে ভারতবাসী , তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে , যখন তোমাদের আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্ম ছিল | দেবীদেবতা ধর্ম , কর্ম সবকিছু শ্রেষ্ঠ ছিল | এখন সেই ধর্ম , কর্ম সবকিছু ভ্রষ্ট পরিণত হয়েছে , নিজেদের পবিত্ৰ দেবতাও বলতে পারে না | কলিযুগ অন্ত পর্য্যন্ত ভক্তিমার্গ চলতে থাকে | ভক্তিমার্গে এইসব জ্ঞান হয় না | জ্ঞানের দ্বারাই সদ্গতি হয়ে থাকে | বাবা না আসা পর্য্যন্ত কারোরই সদ্গতি হয় না | বাবা বলেন আমি কল্পের সঙ্গমযুগে এসে থাকি | এই সময়ে সকলে হলো পতিত , একজনও পবিত্ৰ নয় | যদিও সন্ন্যাসীরা পবিত্ৰ হয় , কিন্তু তারপরও তাদের পুনর্জন্ম গ্রহণ এখানেই করতে হয় | বিষ দ্বারা জন্ম গ্রহণ করা হয় | ফেরত কেউই যেতে পারে না | যখন চক্র পুরো হয় , তখনই বাবা এসে নিয়ে যান | এইসবই হলো রূহানী জ্ঞান | সুপ্রীম আত্মা আত্মিক জ্ঞান দিয়ে থাকেন | সুপ্রীম আত্মাই হলেন জ্ঞানের সাগর , পতিতপাবন | বাকী শাস্ত্রের জ্ঞান তো হলো ভক্তিমার্গের , বাবা বলেন যজ্ঞ , তপ , তীর্থ ইত্যাদি করে যারা , তারা আরওই নীচে নামতে থাকে | তুমি প্রথমে সতোপ্রধান ছিলে , ভারতে পবিত্ৰতা , শান্তি , সমৃদ্ধিও ছিল | হেল্থ , ওয়েল্থ দুটোই ছিল | আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বের কথা , যখন এই ভারত স্বর্গ ছিল , তখন আর ঐ সময়ে অন্য কোনো ধর্ম ছিল না | শুধু একই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিল , যাহাকে পরমপিতা পরমাত্মা স্থাপন করেছিলেন | স্বর্গের স্থাপনা তো তিনিই করেন | মানুষরা তো করতে পারে না | এরকম তো বলবে না যে কৃষ্ণ রচয়িতা | না , রচয়িতা হন একজনই , নিরাকার শিব , আর বাকী হলো ওঁনার রচনা | রচয়িতার দ্বারাই রচনারা বর্সা প্রাপ্ত করে থাকে |

    বাবা বোঝান -- আমি হলাম তোমাদের বেহদ বা অলৌকিক পিতা | তোমাদের একুশ জন্মের জন্য বেহদের বর্সা (অধিকার) দিয়ে থাকি | সূৰ্য্যবংশী , চন্দ্ৰবংশী পবিত্ৰ ধর্ম স্থাপন করে থাকি | ব্রাহ্মণ ধর্ম হল শিখরে | সবচেয়ে উচ্চ হলেন রূহানী বাবা , যিনি রূহ বা আত্মাদের নিজ সমান বানান | বাবা তো হন জ্ঞানের সাগর , সুখের সাগর , তাই তোমাকেও পরিণত করেন | ভারতই ছিলো সুখধাম | এখন তো হলো দুঃখধাম | বাবা কখন কিভাবে আসেন , এইসব কেউই জানে না | আদি সত্যযুগ থেকে কলিযুগ অন্ত পর্য্যন্ত এইসব পুরো হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী ভারতেরই হয় | এই লক্ষ্মী-নারায়ণ কত হেল্দী -ওয়েল্দী (নিরোগ, সম্পন্নতায় ভরপুর) ছিল | কখনো অসুস্থ হতো না | এখন তারা (লক্ষ্মীনারায়ণ) কালের ওপর বিজয়ী পরিণত হওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করছে | যাঁকে কালের কাল মহাকাল বলা হয় , তিনি তোমাদের কালের ওপরে বিজয়ী পরিণত হওয়ার পদ্ধতি শেখান | নামও শুনেছো শিবায় নমঃ | তুমি এরকম তো বলবে না , যে পরমাত্মা হলেনসর্বব্যাপী, কুকুর-বিড়ালেও তিনি আছেন, এইসবকে বলা হয় ধর্মের গ্লানি আর বাবার গ্লানি করা | এখন সময় হলো কল্পের সঙ্গম সময় | এই সময়কালকে বিণাশকালে বিপরীত বুদ্ধি বলা হয় | বিনাশ তো এখন সামনে দাড়িয়ে রয়েছে | গীতায়ও লিখিত আছে -- যাদব , কৌরব , পান্ডব কি করতো ভয় , সর্বশাস্ত্রময়ী শিরোমনি শ্রীমত ভগবত গীতা আছে , তার থেকেই আবার আরও শাস্ত্র বেরোনো শুরু করে | তুমি জানো গীতা হলো ডীটী ধর্মের শাস্ত্র | বাবা বলেন আমি আসি তোমায় শুদ্র থেকে ব্রাক্ষণে পরিণত করতে , তারপর আবার দেবীদেবতা পরিণত করি | আবার তুমি ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শুদ্র পরিণত হও | বাবা বোঝাচ্ছেন -- যে তুমি চুরাশী জন্ম কিভাবে গ্রহণ করে থাকো | সবচেয়ে বেশী জন্ম অবশ্যই তারা গ্রহণ করে থাকে , যারা প্রথম প্রথম সত্যযুগে আসে | অধিক থেকে অধিকতম চুরাশী জন্ম গ্রহণ করেছো তোমরা ভারতবাসীরা আর ন্যুনতম এক জন্ম | এইসবও বাবাই বসে বোঝাচ্ছেন | বাবা ব্যতীত আর কাউকেই জ্ঞানের সাগর বলা যায় না | পতিত পাবন , জ্ঞানের সাগর বললেই বুদ্ধি ওপরের দিকে যায় | বাবাই সকলকে লিবরেট অর্থাত মুক্ত করে ফেরত নিয়ে যান | সকলের সদ্গতিদাতা এক বাবাই হয়ে থাকেন | তাহলে আবার সকলের দূর্গতি কিভাবে হয় ? কে করে ? সদ্গতি সত্যযুগকে ,আর দুর্গতি কলিযুগকে বলা হয় | বাবা বলেন আমি কল্পে কল্পে এসে তোমাদের বাচ্চাদের সদ্গতি করে থাকে | এখন তোমরা বাচ্চারা পুরো জগতের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী জেনেছো | স্কুলে তো অর্দ্ধেক হিস্ট্রী জিওগ্রাফী শেখানো হয় | সত্যযুগে , ত্রেতায় কারা রাজত্ব করেন , এইসব কেউই জানে না | চিত্র তো একদম ঠিক আছে -- এই লক্ষ্মীনারায়ণই রাজত্ব করতো | কত সময় অব্দি সেই রাজধানী চলেছে , এইসব এখন তুমি বলতে পারো | ক্রিশ্চিয়ণ ডিনায়স্টী দুই হাজার বছর ধরে চলেছে , বৌদ্ধ ডিনায়স্টীও এতো সময় ধরে চলেছে | ইস্লামী …… তাদের পূর্বে আবার চন্দ্ৰবংশী ছিল , যারা বারো শত পঞ্চাশ (১২৫০) বছর ধরে চলেছে | সত্যযুগ ত্রেতায় সূৰ্য্যবংশী -চন্দ্ৰবংশীই ছিল আর কোনো ধর্ম ছিল না | তুমিই সূৰ্য্যবংশী চন্দ্ৰবংশী পরিণত হয়ে থাকো | এখন পরিণত হয়েছো ব্রাক্ষণ বংশী | এই পুরো নাটকখানি ভারতকে নিয়েই তৈরী হয়েছে | ভারতই নরক আর স্বর্গ পরিণত হয় | আর অন্য ধর্মীয়দের সম্বন্ধে বলা হবে না , কারণ তারা তো স্বর্গে হয়ই না | কারোর মৃত্যু হলে বলে স্বর্গবাসী হয়েছে , কিন্তু বোঝে কিছুই না | নরকবাসীদের তো নরকেই জন্ম গ্রহণ করতে হয় | স্বর্গবাসীরা স্বর্গেই পুনর্জন্ম গ্রহণ করবে | তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো , এই লক্ষ্মীনারায়ণ স্বর্গবাসী ছিল | তারা এই রাজধানী কিভাবে প্রাপ্ত করেছিল | লক্ষ বর্ষের কথা তো কারোরও স্মরণে থাকে না | সত্যযুগে এইসব শাস্ত্র ইত্যাদি হয় না | এইসব হলো ভক্তিমার্গের সামগ্ৰী , সীড়ি নীচে নামতেই হবে | সতোপ্রধান থেকে সতো , রজো , তমোতে , এই সীড়ি নামতেই পাঁচ হাজার বছর লাগে | সত্যযুগে ষোলো কলা সম্পূৰ্ণ আবার ত্রেতায় দুই কলা কম , আত্মায় রৌপ্রের খাদ পড়ে | তাম্রযুগ আসলো তো তাম্রের খাদ পড়ে , আর এই সময় তো একদমই হলো তমোপ্রধান | আত্মাতেই খাদ পড়ে | তুমিই পুরো চুরাশী জন্ম গ্রহণ করেছো | এই রূহানী বাবা শিববাবা এসে রূহানী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন | তোমাকে এবার আত্ম-অভিমানী পরিণত হতে হবে | রাবণের প্রবেশতা হওয়ার দরুন সকলে দেহঅভিমানী পরিণত হয়েছে | এবার নিজেকে আত্মা বুঝতে হবে | আমরা (আত্মারা) চুরাশী জন্ম গ্রহণ করে ভিন্ন ভিন্ন পার্ট প্লে করে এসেছি | এবার চুরাশীর চক্র পুরো হলো | এখন তো শরীরেরও জড়জড়ীভুত অবস্থা হয়েছে | দ্বাপর থেকে রাবণ রাজত্ব শুরু হয় | সত্যযুগে হয় রামরাজত্ব | সত্যযুগে তুমি ছিলে আত্ম-অভিমানী | দ্বাপর কলিযুগে তুমি দেহ অভিমানী পরিণত হয়েছো | তখন না আত্মাকে , আর না পরমাত্মাকে জানতে | বাবা বোঝাচ্ছেন -- আত্মা হল এক স্টার বা তারা স্বরূপ মাত্র | ভ্রুকুটির মাঝে এক উজ্জ্বল চমকিত তারা , তাকে দিব্য দৃষ্টি ছাড়া দেখা যায় না | একদমই সূক্ষ্ম হয় | আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করে | আমরা আত্মারা চুরাশী জন্ম গ্রহণ করেছি | পরমপিত্ পরমাত্মাও বিন্দু হন , ওঁনাকেই জ্ঞানের সাগর , পতিতপাবন , নলেজফুল বলা হয় | পরমপিতা পরমাত্মার নিকটে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে | বীজরূপ হওয়ার দরুন ওঁনাকে সত্ চিত্ত আনন্দ স্বরূপ বলা হয় | বাবার নিকটে যা জ্ঞান আছে , সেইসব অবশ্যই শুনতে হয় | এইসব হলো স্প্রীচুয়েল বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান | সকল আত্মাদের পিতা এসে আত্মাদের পড়ান | তোমাকে আত্ম-অভিমানী পরিণত হতে হবে | শিববাবা আমাদের পড়ান , তিনিই হলেন নলেজফুল | বাবাই এসে স্বর্গের রচনা করেন | তোমাকে স্বর্গের যোগ্য পরিণত করেন | এই সৃষ্টিচক্রের রহস্য কোনো মানুষরাই জানে না | বাবাকে না জানার কারণে ভারতের এই রকম অবস্থা হয়েছে | পূর্বে ভারতে পবিত্ৰতা ছিল , তো শান্তি সম্পন্নতাও ছিল | এখন তো হলোই নরক , তাহলে কেউ কি করে স্বর্গে যেতে পারবে ? একদমই পাথর বুদ্ধিধারী হয়ে গেছে | বাবা বলেন -- আমি বাচ্চাদের জন্য কিছু তো উপহার নিয়ে আসবো | তোমাকে স্বর্গের মালিক পরিণত করি | যারা কল্প পূর্বে বর্সা বা অধিকার প্রাপ্ত করেছে , তারাই আবার প্রাপ্ত করবে | মনুষ্য থেকে দেবতা পরিণত হবে | বাস্তবে প্রজাপিতা ব্ৰহ্মার তো সকলেই হয় সন্তান | এবার ব্ৰহ্মা দ্বারা শিববাবা রচনা করছেন | ব্ৰহ্মকুমার কুমারী পরিণত হতে থাকে | শিববাবার নিকট থেকে বর্সা বা অধিকার গ্রহণ করার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে , তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান পরিণত হতে হবে | বাবা বলছেন -- আমায় স্মরণ করলেই তোমাদের সকল বিকর্ম বিনাশ হবে | এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান শিববাবা ছাড়া আর কেউই দিতে পারেন না | রূহানী বাবাই রূহদের (আত্মাদের) নলেজ বা জ্ঞান দিয়ে থাকেন | তুমি রূহানী যাত্রা করছো , এবার দেহ অভিমান ত্যাগ করে দেহীঅভিমানী পরিণত হতে হবে | আত্মা হলো অবিনাশী | আত্মার মধ্যেই পার্ট লিপিবদ্ধ করা আছে | আত্মা কিভাবে চুরাশী জন্মের পার্ট প্লে করে , এইসব তোমরা জেনেছো | আমরা ছিলাম সূৰ্যবংশী, তারপর চন্দ্ৰবংশী হয়েছি | এবার তোমায় আবার সূৰ্যবংশী হতে হবে | এখন বাবা সতোপ্রধান হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছেন , মামেকম্ স্মরণ করো | ভগবানুবাচ -- গীতার ভগবান হলেন শিববাবা , নাকি শ্রীকৃষ্ণ ! কৃষ্ণের আত্মাও তোমাদের মতন জ্ঞান প্রাপ্ত করছে | আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকীলধে) বাচ্চাদের মাতাপিতা বাপদাদা স্মরণ করছেন আর জানাচ্ছেন স্নেহ , সুমন আর সুপ্রভাত | আত্মাদের পিতা (রূহানী) আত্মারূপী বাচ্চাদের জানায় নমস্কার |

    ধারণার জন্য মুখ্য সার -:

    ১) রূহানী যাত্রা করতে আর করাতে হবে | স্বয়ংকে সতোপ্রধানে পরিণত করার জন্য এক বাবাকে স্মরণ করতে হবে | আত্ম-অভিমানী হওয়ার জন্য ভালো রকম পুরোপুরি ভাবে পুরুষার্থ করতে হবে |

    ২) কালের ওপরে বিজয় প্রাপ্ত করার জন্য বাবার শিক্ষায় চলতে হবে | নিজেকে আত্মা বুঝে আত্মাদের জ্ঞান দান করতে হবে |

    বরদান --: 

    সেকেন্ডে সঙ্কল্পকে স্টপ করে বা বিরাম দিয়ে নিজের ভিতকে (ফাউন্ডেশন) মজবুত করার জন্য পাস উইথ অঁনার (ভব) হও !

    কোনো পেপার পরিপক্ক করতে , ফাউন্ডেশন বা ভিতকে মজবুত করার জন্য এসে থাকে , সেইজন্য ঘাবড়িয়ো না | বাইরের আলোড়নকে (হলচল) এক সেকেন্ডে বিরাম দেওয়ার অভ্যাস করো | কতো বিস্তারই হোক্ , এক সেকেন্ডে সমায়িত করো | ক্ষুধা , তৃষ্ণা , শীত গ্রীষ্ম সবকিছু হলেও সংস্কার যেন প্রকট না হয় | সমায়িত করার শক্তি দ্বারা স্টপ করো বা বিন্দু লাগাও | অনেক সময়ের এই অভ্যাসটাই পাস উইথ অঁনার করবে |

    স্লোগন --: 

    নিজের সুখ-শান্তির প্রকম্পন দ্বারা লোকেদেরকে সুখশান্তির অনুভূতি করানোই হল সত্যিকারের সেবা |


    ***OM SHANTI***