BK Murli 15 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 15 May 2016 In Bengali

     ১৫-০৫-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি “ অব্যক্ত- বাপদাদা ” রিভাইসঃ ১৩-০৪-৮১ মধুবন

    “ আত্মা-রূপী গোলাপের(রূহে গুলাব) বিশেষত্ব”

    আজ বাগবান(আত্মা-রুপী ফুলেদের বাগানের মালিক) তাঁর আত্মা-রুপী গোলাপদেরকে দেখছেন। চারিদিকের আত্মা-রূপী গোলাপ বাচ্চারা বাপদাদার সম্মুখে বসে রয়েছে। সাকারে, তা যেখানেই বসো না কেন, (আজকে বেশ কিছু ভাই-বোন নীচে ছোট হলে বসে মুরলী শুনছে) কিন্তু বাপদাদা তাদেরকেও তাঁর নয়নের সস্মমুখেই দেখতে পাচ্ছেন। এখনও বাপদাদা বাচ্চাদের সংকল্প গুলি শুনতে পাচ্ছেন। সকলেই সামনে বসে মুরলী শুনতে চায়, তবে নীচে বসে থাকলেও বাপদাদা বাচ্চাদেরকে সামনেই দেখছেন। প্রতিটি আত্মা-রুপী গোলাপের সুগন্ধ বাপদাদার কাছে আসছে। ফলে নম্বর অনুসারে হলেও এই সময় এক বাবা দ্বিতীয় আর কেউ নয়, এইরূপ আধ্যাত্মিক (রূহানী) সুগন্ধে প্রথম নম্বর স্থিতিতে রয়েছে। সেই জন্য আধ্যাত্মিক সৌরভ বতন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। আধ্যাত্মিক (রুহানী) সুগন্ধের বিশেষত্ব জানো তো ? কিসের ভিত্তিতে আধ্যাত্মিক সৌরভ চিরকাল একরস ভাবে এবং বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় অর্থাৎ প্রভাব বিস্তার করে ? এর মূল আধার হল আত্মিক বৃত্তি(রূহানী বৃত্তি)। সর্বদা বৃত্তিতে রয়েছে, নাকি আত্মা আত্মাকে দেখছে, আত্মার সাথেই কথা বলছে। আত্মাই আলাদা-আলাদা ভাবে নিজের পার্ট প্লে করে যাচ্ছে। আমি আত্মা(Spirit) সদা সুপ্রীম আত্মার(Spirit) ছত্রছায়ার নীচে চলছি। আমি আত্মা প্রতিটি সংকল্পেও সুপ্রীম আত্মার শ্রীমত ছাড়া চলতে পারে না। আমি হলাম আত্মা -- আার করাবনহার হলেন সুপ্রীম আত্মা। করাবনহারের আধারে আমি হলাম নিমিত্ত, যে সব কাজ করে যাচ্ছে। আমি হলাম করনহার, আর উনি হলেন করাবনহার। তিনি চালাচ্ছেন আর আমি চলছি। প্রতিটি নির্দেশ(Direction) অনুসারে আমি আত্মা, আমার সংকল্প, বোল এবং কর্ম হবে ‘হাজির-হুজুর’। সেই জন্য হুজুরের সামনে আমি আত্মা বলে ‘আজ্ঞে বাবা’। সদা রূহ এবং সুপ্রীম রূহ হল মিলিত(Combined) সুপ্রীম আত্মা এই আত্মাকে ছাড়া থাকতে পারেনা এবং আমিও সুপ্রীম আত্মাকে ছাড়া আলাদা হতেই পারিনা। এই রূপে প্রতিটি সেকেন্ড মালিকের উপস্থিতি অনুভবকারী সদা আত্মিক সৌরভে অবিনাশী এবং একরস থাকে। এটাই হল নম্বর ওয়ান সুরভিত আত্মা-রূপী গোলাপের বিশেষত্ব।
    এদের দৃষ্টিতেও সদা সুপ্রীম আত্মা মিশে থাকবে। সে বাবার দৃষ্টিতে মিশে থাকবে। এমন আত্মা-রূপী গোলাপেরা দেহ বা দেহের দুনিয়া অথবা পুরানো দুনিয়ার বস্তু বা ব্যক্তিদেরকে দেখেও যেন দেখতেই পাবে না। দেহ দ্বারা কথা বলে, কিন্তু দেখে আত্মাকেই। আত্মার সাথেই কথা বলে, কিন্তু তার নয়নের দুনিয়ায় সদা থাকে আধ্যাত্মিক (রূহানী) দুনিয়া, ফরিস্তাদের দুনিয়া, দেবতাদের দুনিয়া। সদাই সেবাতে রত থাকে। দিন-রাত তার কাছে একটি মাত্রই সেবা- তা হল আধ্যাত্মিক সেবা। এই রূপ আত্মা রূপী গোলাপদের সদা আত্মিক ভাবনা থাকে যে সকল আত্মাই আমার সমানই বাবার উত্তরাধিকারের অধিকারী হতে পারে। পরবশ আত্মাদেরকে বাবার দ্বারা প্রাপ্ত শক্তির সহযোগিতা দিয়ে তাদেরকেও অনুভব করাবে। কারো কোনো ভুল ত্রুটি (কমি-কমজোরি) দেখতে পায় না। নিজের ধারণ করা গুণের, শক্তির সহযোগিতা প্রদানকারী দাতা হবে তারা। ব্রাহ্মণ পরিবারের জন্য সহযোগী অন্য আত্মাদের জন্য মহাদানী। তারা কখনই ভাবে না যে এই ব্যক্তি তো এই রকমই। বরং তাদেরকেও বাপ সমান বানাতে হবে - এই শুভ ভাবনা রাখে। সাথে সাথে এই শ্রেষ্ঠ কামনাও রাখে যে এইসব কাঙাল, দুঃখী অশান্ত আত্মারা সদা কালের জন্য যেন শান্ত হয়ে যায় এবং সুখে ভরপুর হয়ে যায়। সদা স্মৃতিতে একটিই ধুন থাকবে যে বিশ্ব পরিবর্তন কত দ্রুত করা যায়। একেই বলা হয় আত্মা-রূপী গোলাপ (রূহে গুলাব)।
    আজ হল মহারাষ্ট্রের টার্ন। যারা মহারাষ্ট্রের তারা মহা শব্দটিকে যদি স্মরণে রাখে তো সব মহান অর্থাৎ প্রথম নম্বর পেয়ে যাবে। মহারাষ্টের যারা তাদের লক্ষ্য কি ? মহান হওয়া নিজেকেও মহান বানাতে হবে এবং বিশ্বকেও মহান বানাতে হবে। এই স্মৃতি সব সময় থাকে তো ?
    আর কর্ণাটকের যারা তারা সদা নাটকে হিরো পার্ট প্লে করবে। নিজেও হিরো হবে, অন্যদেরও হিরো বানাবে। অন্ধ্র অর্থাৎ অন্ধকার নির্মূলকারী। সকল প্রকারের অন্ধকার। অন্ধ্রে দারিদ্রের অন্ধকারও খুব বেশী। তো দারিদ্রকে নির্মূল করে সকলকে সম্পন্ন বানাতে হবে। তো অন্ধ্রবাসী বিশ্বকে চিরকালের জন্য বিত্তশালী বানাবে। না শরীরের দারিদ্রতা না মানসিক শক্তির দারিদ্রতা। তন- মন-ধন তিনেরই দারিদ্রতা নির্মূলকারী। এই অন্ধকারকে ঘুচিয়ে সদা আলোক প্রজ্জ্বলনকারী । তো অন্ধ্রনিবাসী হয়ে গেল মাষ্টার জ্ঞান-সূর্য। মাদ্রাজ অর্থাৎ সদা রাস-এ মগ্ন। সংস্কার মিলানেরও রাস আর খুশীরও রাস। আর স্থূলভাবেও । মদ(রস), মগ্নকেও বলা হয়ে থাকে। তো সদা এই রসে মগ্ন থাকে তারা। বুঝেছো - তোমোদের সকলের অক্যুপেশন কি ? তো এখন বাবা সকলের সাথে মিলিত হয়েছেন তো ? মিলিত হওয়া মানে নেওয়া। তো নিয়ে নিয়েছো তো ? শেষ পর্যন্ত তো এই মিটিং শুধুমাত্র চোখের দ্বারা দৃষ্টি বিনিময়ের স্টেজে গিয়েই পৌঁছাবে। বাপদাদার কাছে নীচে হোক বা উপরে, সকলেই হল ভি. আই. পি।
    বাপদাদার সাথে টিচার্সদের মিটিং-- 
    বাপদাদা সকল নিমিত্ত বাচ্চাদেরকে কোন্ রূপে দেখতে চান ? তা জানো কি ? বাপদাদা সকল সেবাধারীদেরকে সদা নিজ সমান, যেমন বাবা কর্তব্যের কারণে অবতরিত হন ঠিক তেমনি প্রত্যেক সেবাধারী সেবার কারণে অবতরিত হওয়া অবতার হয়ে গেছে দেখতে চান। একজন অবতার ড্রামানুসারে সৃষ্টিতে আসেন, তখন সৃষ্টির কত পরিবর্তন সাধন করেন। তাদের মধ্যে রয়েছে আত্মিক শক্তি, আর যদি এত পরমাত্ম শক্তি স্বরূপ চারিদিকে অবতরিত হয়ে যায়, তবে কি হতে পারে ! সহজেই পরিবর্তন হয়ে যাবে। বাবা যেমন লোন নেন, বন্ধনে আসেন না, যখন চান আসেন, যখন চাইলেই চলে গেলেন, নির্বন্ধন তিনি। ঠিক তেমনি সকল সেবাধারী শরীরের সংস্কার থেকে স্বভাবের বন্ধন থেকে মুক্ত। যখন যেমন ইচ্ছা তেমনই সংস্কার গ্রহণ করতে পারে। দেহকে যেমন চালাতে চান তেমনই চালাতে পারেন। যেমন স্বভাব বানাতে চান বানাতে পারেন। এমন নয় যে আমার স্বভাবই এমন -- কি করবো! আমার সংস্কার আমার বন্ধন এমন নয়। বরং এমন নির্বন্ধন যেমন বাবা নির্বন্ধন। কেউ কেউ মনে করেন আমরা তো জনম মরনের চক্রের কারণে শরীরের বন্ধনে রয়েছি, কিন্তু এই বন্ধনই বা কী ? এই শরীরও তো তোমার নয়। তাহলে তোমার বন্ধন কোথা থেকে এলো যখন মরজীবা হয়ে গেছো, তখন শরীরটা তবে কার ? তন-মন-ধন তিনটিই অর্পণ করে দিয়েছো নাকি কেবল দুটোকে অর্পণ করেছো, নাকি একটিকে বাদে। যখন তোমার শরীর তোমার নয়, তাহলে বন্ধন কি করে থাকতে পারে ? এটাই হল দুর্বলতার বোল-- কি করবো জন্ম জন্মান্তরের সংস্কার যে, শরীরের হিসাব নিকাশ যে । যখন কিনা পুরানো জন্মের পুরানো খাতা সঙ্গমযুগেই সমাপ্ত হয়ে গেছে। নতুন শুরু করছো। এখন ওদিককার পুরানো রেজিস্টার সমাপ্ত করছো। এখন ওদিককার পুরানো রেজিস্টার সমাপ্ত হয়ে গেছে নাকি এখনও যত্ন করে রেখে দিয়েছো ? সমাপ্ত করোনি নাকি ? তো বুঝতে পেরেছো বাপদাদা কি দেখতে চান ?
    এতসব অবতার যদি প্রকট হয়ে যায়, তবে সৃষ্টিতে উথাল পাতাল শুরু হয়ে যাবে। অবতার অর্থাৎ উপর থেকে আসা আত্মা। মূলবতনের স্থিতিতে স্থিত হয়ে উপর থেকে নীচে এসো। নীচ থেকে উপরে যেও না। তোমরা তো হলেই পরমধাম নিবাসী আত্মা, সতোপ্রধান আত্মা নিজের আদি অনাদি স্বরূপে থাকো অন্তিমের স্মৃতিতে থেকো না, অনদি আদি তাহলে কি হয়ে যাবে ? নিজেও নির্বন্ধন হবে আর যাদের সেবার নিমিত্ত হয়েছো, তারাও নির্বন্ধন হয়ে যাবে। নাহলে তারাও কোনো না কোনো বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাবে। নিজেকে নির্বন্ধন আত্মা মনে করে কর্ম করো, তাহলে অন্যরাও তোমাদেরকে ফলো করবে। সাকার বাবাকে যেমন দেখেছো কি মনে রেখেছো ? বাবার সাথে আমিও কর্মাতীত স্থিতিতে র‍য়েছি এবং শৈশব দেবতা রূপে। অনাদি আদি রূপ সদা স্মৃতিতে থাকলে, তবেই ফলো ফাদার। টিচারদেরকে জিজ্ঞাসা করবার আবশ্যকতাই নেই যে তারা সস্তুষ্ট কিনা। টিচারদেরকে জিজ্ঞাসা করা মানে হল তাঁদেরকে অপমান করা। সেইজন্য বাপদাদা অপমান তো করতে পারে না। তোমরা হলে বাপ সমান নিমিত্ত। নিমিত্তের অর্থই হল সদা করণ- করাবনহার-এর স্মৃতি স্বরূপ। এই স্মৃতিই হল সমর্থ স্মৃতি। আমি করণহার, কিন্তু করণ- করাবণহারের আধারে করণহার। আমি নিমিত্ত, কিন্তু যিনি আমাকে নিমিত্ত বানিয়েছেন, তিনি কখনই বিস্মৃত হন না । আমিত্ব ভাব নয়, সদা বাপদাদাই মুখে মনে, কর্মে যেন থাকে -- এই পাঠ পাক্কা আছে তো ?
    পাটিদের সাথে বাপদাদার মিটিং -
    ১) অমৃতবেলা থেকে রাত পর্যন্ত বাবা যে যে শ্রীমত দিয়েছেন, সেই শ্রীমত অনুসারে সমস্ত দিনচর্যা তাতে ব্যতীত হয় ? ঘুম থেকে উঠবে কীভাবে, হাটাচলা করবে কীভাবে, আহার গ্রহণ করবে কীভাবে, লোকজনের সাথে কার্য ব্যবহারে আসবে কীভাবে - এ সবেরই শ্রীমত তোমরা পেয়েছো। সেই শ্রেষ্ঠ মতের নিরিখে সকল কার্য করো তো ?
    প্রতিটি কর্ম করবার সময় নিজ স্থিতি যাতে শ্রেষ্ঠ থাকে তার জন্য কোন্ শব্দটিকে সদা স্মৃতিতে রেখে থাকো - ট্রাস্টি। যদি কাজ করবার সময় ট্রাস্টি ভাবের স্মৃতিতে থেকে কর্ম করো তবে স্থিতি শ্রেষ্ট হয়ে যাবে। কেননা ট্রাস্টি হয়ে চললে সমস্ত বোঝা-ই বাবার উপরে পড়ে যাবে। আর তুমি সদাই ডবল লাইট হয়ে যাবে। ডবল লাইট হয়ে গেলে হাই জাম্প দিতে পারবে আর যদি গৃহস্থী মনে করো তবে একটা লেজ জুড়ে যায়। সমস্ত বোঝা তখন নিজের উপরে এসে যায়। বোঝা সাথে থাকলে তো হাই জাম্প দেওয়া যায় না। বরং তাতে নিঃশ্বাস ভারী হয়ে যায়। ট্রাস্টি মনে করলে স্থিতি সদা উচুতে থাকবে। তো সদা ট্রাস্টি হয়ে থাকার শ্রেষ্ঠ মত স্মৃতিতে রাখো।


    ২) বাপদাদা দ্বারা সমস্ত বাচ্চাদের কোন্ নম্বর ওয়ান শ্রীমতটি প্রাপ্ত হয়েছো ? নম্বর ওয়ান শ্রীমতটি হল নিজেকে আত্মা ভাবা আর নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো তবে কেবল নিজেকে আত্মা ভাবলেই বাবার থেকে শক্তি পাবে না। স্মরণ স্থায়ী না হওয়ার কারণেই নিজেকে আত্মা মনে করে স্মরণ করতে পারো না। নিজেকে আত্মা মনে করার পরিবর্তে সাধারণ শরীরধারী ভেবে নিয়ে স্মরণ করো, সেইজন্য স্মরণ স্থায়ী হয় না। এমনিতেই যখন দুটো জিনিসকে জুড়ে দেওয়া হয় প্রথমে সমান বানানো হয়। তেমনি আত্মা মনে করে স্মরণ করলে সহজে স্মরণ করতে পারা যাবে। কারণ সমান হয়ে গেলে যে। এই প্রথম শ্রীমতটিই প্র্যাকটিক্যালে সব সময় নিয়ে আসতে হবে। এটাই হল মুখ্য ভিত(Foundation)। ভিত-ই যদি কাঁচা থেকে যায় তবে আরোহী কলা হবে না। এখন এখন আরোহী কলা, আবার সাথে সাথেই নীচে এসে যাবে। বাড়ির ভিতই যদি পাকা না হয় তাহলে বাড়িতে ভাঙন বা ফাটল ধরে গিয়ে ভেঙে পড়ে যায়। তেমনি এই ভিতও যদি মজবুত না হয় তবে মায়া নীচে ফেলে দেবে। সেই জন্য ভিতকে সর্বদা পাকা করো। এই সহজ বিষয়টির উপরেই বাবা বারংবার অ্যাটেনশান দিচ্ছেন। অ্যাটেনশান না দিলে সহজ বিষয়ও কঠিন হয়ে ওঠে।


    সর্বদা এই নেশা থাকে যে আমরাই হলাম কল্প পূর্বের অধিকারী আত্মা। আমরাই ছিলাম, আমরাই আছি, আমরাই কল্পে কল্পে থাকবো। কল্প পূর্বের দৃশ্য এইভাবেই স্পষ্ট স্মৃতিতে আসে ? আজ ব্রাহ্মণ কাল দেবতা হবো। আমরাই দেবতা ছিলাম - এই নেশা কি থাকে ? 'হাম সো সো হাম' (আমি যা ছিলাম, সেটাই আবার হবো) - এই মন্ত্র সব সময় স্মরণে থাকে তো ? এই একটি নেশায় যদি থাকো তো যেমন নেশা করলে মানুষ সব কিছু ভুলে যায়, এই পৃথিবীকেই ভুলে যায়, তেমনি এতে থাকলে এই পুরানো দুনিয়া সহজেই ভুলে যাবে। নিজের এমন অবস্থা অনুভব করো ? তো সদা চেক করো - আজ ব্রাহ্মণ কাল দেবতা-- কতটা সময় এই নেশা থাকে যেমন প্রসিডেন্টের ক্ষেত্রে - তিনি যে কাজই করুন, তিনি কি ভুলে যান যে তিনি প্রেসিডেন্ট ? তো তোমরাও সদা নিজের পজিশনকে স্মরণে রাখো। এতে সদা খুশীতে থাকবে। সদা এই নেশাতে থাকবে যে-- আমরাই দেবতা হবো। এখনও ব্রাহ্মণ চোটি অর্থাৎ সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে ব্রাহ্মণ তো দেবতাদের থেকেও উচ্চ স্থানে রয়েছে। এই নেশাকে মায়া যতই নাড়নোর চেষ্টা করুক না কেন কিছুতেই ভাঙতে পারবে না। মায়া তখনই আসে, যখন নিজেকে একলা করে নেয়। মায়া বাবার থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ডাকাতরাও যখন আঘাত করে সবার আগে সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেইজন্য কম্বাইন্ড থাকো, কখনোই একা হয়ে যেও না। আমি আর আমার বাবা এই স্মৃতিতে কম্বাইন্ড থাকো।


    ৪) সকলে নিজেকে মহান ভাগ্যশালী মনে করো তো ? দেখো কত বড় ভাগ্য যে বরদানভুমিতে বরদান ঝুলি ভরে নেওয়ার জন্য পৌঁছে গেছো-- এমন ভাগ্য বিশ্বে কতজন আত্মার রয়েছে ? কোটিতে কেউ কেউ আবার তার মধ্যেও কেউ। তো এই খুশী সর্বদা রাখো যে যা শুনতে, বর্ণন করতে, কোটির মধ্য কেউ, তার মধ্যেও কোনো কোনো আত্মা-- তারা হলাম আমরাই। এতটা খুশী থাকে ? সদা এই খুশীতে নাচতে থাকো - বাহ আমার ভাগ্য। এই গীত গাইতে থাকো আর এই গীতের সাথে আনন্দে নাচতে থাকো। এই গান গাওয়া আসে তো-- বাহ রে আমার ভাগ্য আর বাহ আমার বাবা ! বাহ ড্রামা বাহ, এই গীত গাইতে থাকো। অনেক ভাগ্যশালী তোমরা। বাবা তো সর্বদা প্রতিটি বাচ্চাকেই লাভলী বাচ্চাই বলে থাকেন। তো লাভলীও এবং লাকিয়েস্টও তোমরা। কখনোই নিজেকে সাধারণ ভেবো না, অনেক অনেক শ্রেষ্ঠ তোমরা। ভগবানই যখন তোমাদের হয়ে গেছে, তবে আর কি চাই ! যখন বীজকেই আপন করে নিয়েছো তো বৃক্ষ তো এসেই গেল না ! তো এই খুশীতে থাকো। তোমাদের আনন্দিত হতে দেখে অন্যরাও আনন্দে নাচতে থাকবে। আচ্ছা।

    বরদান -- 

    নিজ স্ব- স্বরূপ এবং স্বদেশের স্বমানে স্থিত থাকা মাস্টার লিবারেটর ( মুক্তিদাতা) ভব

    আজকালকার পরিবেশে প্রতিটি আত্মা কোনো না কোনো বিষয়ের বন্ধনে রয়েছে। কেউ শরীরের দুঃখের বশীভূত, কেউ সম্বন্ধের, কেউ ইচ্ছা( চাওয়া-পাওয়া), কেউ নিজস্ব দুঃখদায়ী স্বভাব-সংস্কারের, কেউ প্রভু প্রাপ্তি না হওয়ার কারণে কাতর স্বরে ডাকতে থাকে আর কাঁদতে থাকে....এইরূপ দুঃখী অশান্তির বশীভূত আত্মারা নিজেদেরকে লিবারেট(মুক্ত) করতে চায়, তাদেরকে দুঃখ অশান্তিময় জীবন থেকে লিবারেট করবার জন্য নিজের স্ব-স্বরূপ এবং স্বদেশের স্বমানে স্থিত থাকো, দয়াশীল হয়ে মাস্টার লিবারেটর হও

    শ্লোগান -- 

    সর্বদা অচল অডোল থাকতে হলে একরস স্থিতির আসনে বিরাজমান থাকো।

    ***OM SHANTI***