BK Murli 17 May 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 17 May 2016 Bengali

    ১৭-০৫-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা " মধুবন

    " মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা - এই বিশ্ব নাটকের ভিতর বিনাশের বীজ নিহিত আছে , সুতরাং এই বিনাশের আগেই তোমাদের কর্মাতীত অবস্থায় পৌঁছাতে হবে l "

    প্রশ্ন - 

    তোমাদের সামনে বাবার কোন্ শব্দের গুরুত্ব সবথেকে বেশী ?

    উত্তর - 

    বাবা যখন তোমাদের বলেন - তোমরা আমার বাচ্চা , এই শব্দের গুরুত্ব তোমাদের কাছে সবথেকে বেশী l সামনে বসে এই কথা শুনলে তোমাদের খুব ভালো লাগে l মধুবন তোমাদের বাচ্চাদের খুবই আকর্ষণ করে কারণ এখানে তোমাদের সকলের একই পরিবার , ঈশ্বরীয় পরিবার l এখানে সকল ব্রাহ্মণদের সংগঠন l তাই ব্রাহ্মণরা সকলে নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের আদান প্রদান করে l

    গীত -

     হামারে তীর্থ ন্যারে হ্যায় ........
    আমাদের তীর্থস্থান সবার থেকে আলাদা......

    ওম্ শান্তি l 

    বাচ্চারা সকলেই জানে যে আমরা সবাই অবিনাশী যাত্রা অথবা রুহানী যাত্রাপথের উদ্দেশ্যে চলেছি , যেই যাত্রায় গেলে আমরা আর এই মৃত্যুলোকে ফিরে আসবো না l সাধারণ মানুষ তো জানেই না যে এই ধরনের কোনো যাত্রা হয় , যেখান থেকে ফিরে আসার প্রয়োজন হয় না l তোমরা সবাই হলে ভাগ্যবান নক্ষত্র , তাই তোমরা এখন এই কথা জানতে পেরেছো l এটা খুব ভালোভাবে মনে রাখবে যে তোমরা আত্মারা বিশ্ব রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করতে এসেছো l কিন্তু লৌকিক দুনিয়ার নাট্যশালায় এই কথা কোনো অভিনেতাই বলবে না যে , আমরা আত্মারা এই বস্ত্র পরে অভিনয় করছি , এবার আমদের ঘরে যেতে হবে l তারা তো নিজেদের শরীর বলে ভাবে l এই জ্ঞান শুধু তোমাদেরই আছে - আমরা আত্মা , এই শরীররূপী বস্ত্র ত্যাগ করে একদিন আমাদের অন্য বস্ত্র ধারণ করতে হবে l এই শরীর হলো ৮৪ জন্মের পুরোনো বস্ত্র , একদিন এই বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন দুনিয়ায় আমরা নতুন শরীররূপী বস্ত্র ধারণ করবো l এই লক্ষ্মী - নারায়ণ তো নতুন দুনিয়ায় নতুন শরীররূপী বস্ত্র ধারণ করেছিলো l তোমাদের রাজধানীরই এঁরা রাজা রাণী l তোমরাও সেই রাজধানীতে গিয়ে নতুন দৈব শরীর ধারণ করবে । এখানে তো ভক্তিমার্গে সবাই বলে , আমরা নির্গুণ , আমাদের মধ্যে কোনো গুণ নেই l বাবা এসেই আবার তোমাদের গুণবান বানান l বাবা বলেন যে - আমারও এই নাটকে পার্ট আছে , আমি এসেই তোমাদের বিকার বিহীন দুনিয়ায় নিয়ে যাই l এই কলিযুগী দুনিয়া হলো জীবনবন্ধ ধাম বা রাবণ রাজ্য l তোমারই একমাত্র জানো , কিভাবে তোমরা পতিত থেকে পাবন আর পাবন থেকে পাতিতে পরিণত হও l তোমরা বাচ্চারা সকলেই জানো , এই কলিযুগ হলো অন্ধকারের রাজ্য l এখন রাবণ রাজ্য শেষ হয়ে আসছে আর রামরাজ্য এখন শুরুর পথে l এখন হলো সঙ্গম যুগ l নাটকের নিয়ম অনুসারে কল্পের এই সঙ্গম যুগে বাবাকে অবশ্যই এখানে আসতে হয় l দুনিয়ার লোকও এখন এই কথা বুঝতে পারছে যে এখন বিনাশের সময় উপস্থিত , এবং স্থাপনার সময় ভগবান গুপ্ত রূপে বিরাজ করছেন l এখন তো তোমরা আত্মারা গুপ্ত বেশেই রয়েছো l কারণ তোমরা জানো যে তোমরা আত্মা আলাদা আর তোমাদের শরীরও আলাদা l এই মানুষের শরীর হলো একটা গুপ্ত বেশ l বাবাকেও এই ধরনের শরীরকে আশ্রয় করে আসতে হয় l তোমাদের শরীরের তো নাম হয় আর বাবার তো কোনো শরীরই নেই l তোমরাও আত্মা আর বাবাও হলেন আত্মা l এখন আত্মার সঙ্গে আত্মাদের মোহের বন্ধন তৈরী হয়েছে l তোমরা এই গানও গেয়েছো - সবার সঙ্গ ছেড়ে এক তোমারই সঙ্গ করবো l যেমন বাবা তুমি মোহজিত তেমনই আমরাও মোহজিত তৈরী হবো l বাবা হলেন সম্পূর্ণ মোহজিত l এখন প্রায় সমস্ত বাচ্চারাই কাম চিতায় বসে কালো হয়ে গেছে l পরমপিতা পরমাত্মা আসেনই এই পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ করতে , তাহলে এই দুনিয়ায় তোমাদের এতো মোহ কেন ? যখন এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ হয়ে যাবে তখনই তো শান্তির রাজ্য স্থাপন হবে l এখন তো কোথাও সুখের লেশমাত্র নেই l সবাই তমোপ্রধান এবং দুঃখী l এই দুনিয়া হলো পতিতের দুনিয়া l শিববাবাই এসে এই স্বর্গরাজ্য স্থাপন করেন , যাকে শিবালয়ও বলা হয় l শিববাবাই দেবতাদের রাজধানী স্থাপন করেছিলেন l সেই হলো আসল চৈতন্ন শিবালয় , আর যে শিবালয় তোমরা দেখো যেখানে শিবের ছবি দেওয়া থাকে সে তো জড়বস্তু সামিল l এখন তোমরা সবাই বুঝে গেছো যে লক্ষ্মী - নারায়ণই ছিলেন বরাবর এই স্বর্গরাজ্যের মালিক l তাঁরা পূজ্য ছিলেন এখন আবার নতুন করে পূজ্য তৈরী হচ্ছেন l এখন তোমাদের এই জ্ঞান হয়ে গেছে l তোমরা আর লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দিরে গিয়ে তাঁদের সামনে মাথা নত করবে না l তোমরাই তো তাঁদের রাজধানীতে চৈতন্য অবস্থায় যাবে l তোমরা এখন জেনেছো যে তোমরাই দেবতা ছিলে , এখন আর তোমাদের সেই দৈব গুণ নেই l যা অতীতে ঘটে গেছে , সেই ঘটনারই সব ছবি তৈরী হয় l লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দির কোনো বিশেষ বড় মানুষই বানান l তাদেরও তোমরা কিছু সেবা করো l তোমরা তাদের বলো , এই যে তোমরা লক্ষ্মী নারায়ণের মন্দির বানিয়েছো এনাদের ৮৪ জন্মের কাহিনী আমরা তোমাদের শোনাবো l যুক্তির দ্বারা তোমরা তাদের এই কথা বোঝাও l বাবা তো তোমাদের সেবা করার অনেকধরনের বুদ্ধিই বলে দেন l মায়েরা গিয়ে বলো , তোমরা তো এনাদের মন্দির তৈরী করছো , কিন্তু এনাদের জীবন কাহিনী তোমরা জানো না l আমরা জানি এবং আমরা তোমাদের বোঝাতেও পারি l যারা বোঝাবে তাদের মধ্যে দক্ষতা থাকা দরকার l বাবাও তোমাদের এই কথা বোঝান , তাই না l বাবা তোমাদের বলেন যে তোমরা যদি বাড়ির থেকে বেড় হতে না পারো , তাহলে ঘরে বসেই তোমরা বাবাকে স্মরণ করো l তোমরা তো জানোই যে তোমরা শিববাবার সন্তান l মুরলী তো তোমরা আজকাল ঘরে বসেই পেতে পারো l এমন নয় যে এখানে এলেই বাবাকে স্মরণের যাত্রা খুব ভালো হবে , বাড়িতে এই স্মরণ ভালোভাবে হবে না l বৃষ্টি আসে মানুষকে তরতাজা করার জন্য l তোমরাও এখানে আসো তরতাজা হবার জন্য l তোমরা ভাবো যে সেন্টারে এলে তোমরা বাবার সামনে বসে শুনতে পারবে l সামনে বসে শুনলে তোমাদের ভালো লাগবে l এখানে তোমরা দেখো , শিববাবা কেমন করে বাচ্চাদের বোঝান l বাবা বলেন ......" বাচ্চারা তোমরা হলে আমার সন্তান ", তোমরাই ৮৪ জন্ম এই অভিনয় করে আসছো l তোমরাই জন্ম মরণ চক্রে আসো ,আমি কিন্তু আসি না , আমি পুনর্জন্মও গ্রহণ করি না l আমি পুরোপুরি আজন্মাও নই l আমি আসি এবং একজন অনুভবী বৃদ্ধের শরীরে প্রবেশ করি l তোমরা আত্মারা ছোটো বাচ্চারূপে জন্মগ্রহণ করো , আর আমি সরাসরি পরমধাম থেকে নিচে আসি আমার ভূমিকা পালন করতে l আমি কোনো বিকারী শরীরে জন্ম নিই না l আমাকেই তোমরা বলো " ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব ........." সুতরাং আমার কোনো মা বাবা হয় না l আমি শুধু একজন বৃদ্ধের শরীরকে আশ্রয় করে আমার ভূমিকা পালন করি l তোমরাই আমাকে ডাকো যাতে আমি তোমাদের দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করতে পারি l এখন আমি তোমাদের সামনে এসে তোমাদের আত্মাদের সঙ্গে কথা বলছি l এখানে তো তোমরা সবাই ব্রাহ্মণ আত্মা l তোমরা যখন বাইরের দুনিয়ায় যাও তোমরা তখন হাঁস আর বকের মতো হয়ে যাও l কিন্তু এখানে মধুবনে থাকলে তোমরা সবসময় ব্রাহ্মণদের সঙ্গই করতে পারো l নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের আদান প্রদান করতে পারবে l এখন তোমরা তোমাদের রাজধানী স্থাপন করছো l সেই কারণে বাবা এসেছেন আর তোমাদের এই যুক্তির কথাই বলছেন...... আমাকে স্মরণ করো l ভোজোনের সময়ও তোমরা একে অপরকে বাবাকে স্মরণ করার কথা বলো l এই সংগঠন অনেক বড় l অনেক বিকারীও এখানে থাকতে পারে , তাদেরকে সঠিক পথে নেওয়ার চেষ্টা করো l এখানে তো আবার কারোর চেষ্টা থাকে না l যোদ্ধারা যোদ্ধাদের সঙ্গেই থাকে l তোমাদের সমস্ত আত্মীয়স্বজন এখানেই আছে l তোমরা বুদ্ধিতে এই কথা সর্বদা রাখো যে , যাকেই পাও , তাকে বাবার পরিচয় দিয়ে বাবাকে স্মরণ করতে বলো l সবার তো দুজন বাবা হয় l লৌকিক বাবা থাকা স্বত্বেও মানুষ ভগবানকে স্মরণ করে l তোমাদের জন্মদাতা বাবা হলেন তোমাদের লৌকিক বাবা l লৌকিক ফাদারকে কেউ গড ফাদার বলে না l শিববাবা হলেন তোমাদের পারলৌকিক বাবা l তাঁর থেকেই তোমরা সম্পত্তি প্রাপ্ত করো l এমনভাবেই নিত্য সমস্ত কথাকে মন্থন করো l তোমরা তো সকলেই ব্রাহ্মণ l সন্ন্যাসীরাও তো সবসময় ঈশ্বরীয় চিন্তায় মগ্ন থাকেন l এই দুনিয়ার সুখ হলো কাক বিষ্ঠার সমান , অতি সামান্য , দুঃখ এখানে অতি l সন্ন্যাসীরা হলেন হঠ যোগী তারা নিবৃত্তি মার্গের l তাদের ধর্মই হল আলাদা l তোমরা জানো যে সত্যযুগে তোমরা কত খুশী এবং পবিত্র ছিলে l তখন ভারত প্রবৃত্তি মার্গের ছিলো l সেখানে দেবী দেবতার রাজ্য ছিলো l যারা পবিত্র ছিলো তারাই এখন পতিত হয়ে গেছে l মানুষ ভগবানকে ডাকতে থাকে ........হে পতিত পাবন এসো , আবার বলে যে ভগবান সর্বব্যাপী l তারা আরো বলে আমরা জ্যোতিরা সব জ্যোতিতেই মিলিয়ে যাবো l পুনর্জন্মকেও অনেকে মানতে চায় না l আসলে ভিন্ন ভিন্ন মতের প্রচলন আছে l দিন প্রতিদিন এই মানুষের ঝাড় বৃদ্ধি হতে থাকে l এও তোমরা সবাইকে বুঝিয়ে বলবে যে সন্ন্যাসীদের কেমন করে বৃদ্ধি হয় l নাগা সন্ন্যাসীদের বৃদ্ধিও হতে থাকে l যারা যেই ধর্মের , সেই ধর্মেই যদি তারা থাকে তাহলে অন্তকালে তাদের যে মতি হয় তারা সেই গতিই প্রাপ্ত হয় l যারা যেই জিনিসের যতো বেশী অভ্যাস করবে যেমন , যারা শাস্ত্র আদি পড়াশোনা করেন , নিয়মিত তার চর্চা করেন , তাহলে অন্তকালে তারা সেই গতিই প্রাপ্ত হয় অর্থাত্ অন্য জন্মে ছোটো অবস্থাতেই তারা শাস্ত্র কণ্ঠস্থ করতে পারে l এখন বাবা তোমাদের বলেন ........আমরা অমুক , আমরা এতো বড় , এইধরনের দেহ অভিমানের কথা এখন ত্যাগ করো l নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করো আর সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে স্মরণ করো l এই শরীরকে দেখলেও না দেখার অভ্যাস তৈরী করো l দেহের সঙ্গে সঙ্গে দেহের যাবতীয় সম্বন্ধকে ত্যাগ করো l নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো আর সবসময় পরমাত্মা বাবাকে স্মরণ করো l এই অভ্যাসে অনেক সময় লাগে l মায়া তোমাদের এই কথা স্মরণেই রাখতে দেয় না l নাহলে তো বাণপ্রস্থতে যারা থাকে তাদের পক্ষে মনে রাখা অনেক সোজা l বাবা এখন নিজেই তোমাদের বলেন যে , তোমাদের ছোটো , বড় সকলেরই বাণপ্রস্থ অবস্থা চলছে l একদিকে যেমন বিনাশ হতে থাকবে অন্যদিকে তেমনি তোমরা জন্মও নিতে থাকবে l পুনর্জন্ম নিয়ে তোমরা আবার আসতে থাকবে l নতুন করে বাচ্চাও জন্মাতে থাকবে l একই সঙ্গে বিনাশ আর স্থাপনার কাজ হতে থাকবে l এ তো তোমরা জানো যে কেউ কেউ গর্ভেই থাকবে , আবার কেউ কেউ বিভিন্ন জায়গায় থাকবে কারণ এই বিনাশের ফলে সবই শেষ হয়ে যাবে l সবাই নিজেদের হিসাব কিতাব মিটিয়ে ঘরে ফিরে যাবে l হিসাব কিতাব থাকলে তোমাদের অনেক সাজাও খেতে হবে l তারপর তাও হালকা হয়ে যাবে l তোমরা যোগেও রয়েছো আবার পাপও করছো , এমন কাজ তোমরা যেন করো না l কোনো কোনো বাচ্চা বাবাকে রোজ চার্ট লিখে জানায় , আবার পরে বলে আমরা মায়ার বশ হয়ে মুখ কালো করে ফেলেছি l মায়া যদি তোমাদের হারিয়ে দেয় তাহলে তো তোমরা কাঁচাই থেকে গেলে l তাই বাবা তোমাদের খুব ভালোভাবে বোঝান যে , তোমরা মনে মনে ভাবো যে তোমরা আর অল্প কিছুদিন এইখানে থাকবে তারপর সবাই ঘরে ফিরে যাবে l এই দুনিয়ার বিনাশের সময় উপস্থিত হয়েছে l বাবা বলেন যে , একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো তাহলেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে l রোজ নিজেদের চার্ট দেখতে থাকো যে...... আমরা কতজনকে এই পথ দেখিয়েছি আর পুরুষার্থ করিয়েছি l তোমরা তন , মন ,ধন দিয়ে এই রুহানী সেবায় সাহায্যকারী হও l বলা হয় যে মনকে কখনো অশান্ত কোরো না l আত্মা তো এমনিতেই শান্ত স্বরূপ l তোমরা আত্মারা সকলেই পরমধামে বাবার কাছে চলে যাবে l সেখানে এই দুনিয়ার কোনো সংকল্পই থাকে না l যোগ কিন্তু এমন নয় যে চোখ বন্ধ করে অচেতন হয়ে গেলে l অনেকে এমনভাবেই শিখতে থাকে l১০-১৫ দিন পর্যন্ত তারা অচেতন থাকতে পারে l তারা মনে করে যে আমরা এতো সময় পরে আবার জেগে যাবো l যেমন টাইম বোমে সময় বেঁধে দেওয়া থাকে যে এই বোমা এতো সময় ফাটবে l তোমরা বাচ্চারা এখন জানো যে ........তোমরা যোগের অভ্যাস করছো l যখন তমোপ্রধান ( দুর্গুণ ) সমস্ত বেরিয়ে যাবে তখন তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে এবং সতোপ্রধান হলেই তোমরা এই শরীর ত্যাগ করবে l তোমরা সকলে এখন যোগের যাত্রায় রয়েছো l তোমাদের সময় দেওয়া হয়েছে , তখন তোমরা শরীর ত্যাগ করবে আর সেই সময় এই সবই শেষ হয়ে যাবে l সময়ে সবই লিপিবদ্ধ আছে , সেটা পরে সবাই দেখতে পাবে যে কেমন করে সবাই মশার মতো শরীর ত্যাগ করে l তোমরা যখন কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে তখনই বিনাশ কার্য শুরু হবে l বিনাশের ছবি খুবই ভারী অর্থাত্ ভয়ের হবে l তোমাদের একরস স্থিতি তৈরী হবে l তোমরা কিন্তু সবাই খুশীতে নাচতে থাকবে l এই কলিযুগী দুনিয়ার অবসান তো হতেই হবে l তোমরা সকলেই জানো , কল্পে কল্পে এই সঙ্গম যুগের সময়ই বিনাশ হয় l আর এই কাজে কেবলমাত্র বম্বই নয় প্রকৃতিক বিপর্যয়ও সাহায্য করবে l তাই তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা থাকা উচিত যে এখন আমাদের ঘরে যাবার সময় হয়েছে l যত বাবাকে স্মরণ করবে ততোই বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা উঁচু পদও পাবে l সেবা প্রথমে বাড়ির থেকেই শুরু করা উচিত l চেষ্টা তো তোমাদের করতেই হবে l মেয়েরাই একমাত্র কিন্তু নিজের স্বামীর ঘর বা শ্বশুরঘরকে উদ্ধার করতে পারে l তাহলে সেবা কাজ তো ঘর থেকেই শুরু হলো তাই না ? সবসময় সেবাতে লেগে থাকো , সবাইকে বলো শিববাবা বলেছে ........আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা আমার থেকে সম্পত্তি পাবে l এটা খুবই সোজা কথা l আমি অল্ফ ( ভগবানকে ) স্মরণ করবে তাহলেই স্বর্গের বাদশাহী তোমার l তোমারই এই বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে l তাই এই সম্পত্তি পেতে চাও তো আমাকে স্মরণ করো l তোমাদের বাচ্চাদেরই কর্তব্য এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে দেওয়া l আগের কল্পেও তোমরা এই কাজই করেছিলে l সবাইকে বলো বিনাশ সামনে হাজির l এই কলিযুগের পরে আবার সত্যযুগ আসবে l বাবাই এসে এই সত্যযুগের বর্ষা দেন l আর রাবণ কিন্তু তোমাদের নরকবাসী বানায় l আর বাবা এসে আবার তোমাদের স্বর্গবাসী বানান l এই কাহিনী একমাত্র ভারতেরই l ভারতবাসীদেরই অনেক উপরে উঠতে হবে l প্রথমে শিবের মন্দিরে গিয়ে এই কথা তোমাদের বোঝাতে হবে l তোমরা বলবে .....এই শিববাবাই নতুন সৃষ্টির রচনা করছেন l শিববাবাই বলছেন আমাকে স্মরণ করো তো তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে l এই নিরাকার শিববাবা এখন এই ধরায় এসেছেন l তিনিই ব্রহ্মার দ্বারা স্বর্গের স্থাপনা করছেন l তাই এখন বাবা আর বাবার বর্ষাকে ( সম্পত্তি ) তোমরা স্মরণ করো l তোমাদের ৮৪ জন্ম এখন পূর্ণ হয়েছে l তোমরা এই কথা সকলকে বলো এরপরে মানা না মানা তাদের মর্জি l এই কথা তো খুবই ভালো কথা , মঙ্গলের কথা l শিববাবাই হলেন দুঃখহর্তা আর সুখকর্তা l অল্প করেও সকলকে বোঝাও , এই হলো এখন তোমাদের কাজ l এতে তো কোনো পরিশ্রম নেই l খালি মুখেই তোমরা সকলকে বলো ........বাবা বলেন যে একমাত্র আমাকেই স্মরণ করো l তোমরা দেহী অভিমানী হও l শিবের পূজারীদের কাছে এবং লক্ষ্মীনারায়ণের পূজারীদের কাছেও তোমরা যাও l তাদেরও তাদের জীবন কাহিনী শোনাও l আচ্ছা l

    মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি ( সিকিলধে ) বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার l

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

    1) তন , মন এবং ধনের সাহায্যে রুহানী সেবাতে সাহায্যকারী হতে হবে l সবাইকে অল্ফ ( ভগবানের ) পরিচয় দিয়ে তাঁর সম্পত্তির অধিকারী বানাতে হবে l বিনাশের আগে কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করার জন্য সবসময় বাবার স্মরণে থাকতে হবে l

    2) বাবার মতো মোহজিত হতে হবে l আত্মার আত্মাদের সঙ্গে যে মোহের সম্পর্ক তৈরী হয়ে গেছে তার থেকে মুক্ত হয়ে এক বাবার সঙ্গেই মনের সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে l

    বরদান :- 

    প্রত্যেকটি সংকল্পকে বাবার কাছে অর্পণ করে নিজের দুর্বলতাকে দূর করে সদা স্বতন্ত্র হও ( ভব ) l

    নিজের দুর্বলতাকে দূর করার একমাত্র উপায় হল.....যে কোনো সংকল্পই মনে আসুক না কেন তা বাবার কাছে অর্পণ করে দাও l সমস্ত দায়িত্ব যদি বাবাকে দিয়ে দাও তাহলে নিজে স্বতন্ত্র হতে পারবে l একটাই দৃঢ় সংকল্প জীবনে রাখো ..........আমি বাবার আর বাবা আমার l যখন এই অধিকারী স্বরূপে স্থিত হতে পারবে তখন অনায়াসেই পরাধীনতা থেকে মুক্ত হতে পারবে l প্রতি মুহূর্তে নিজেকে চেক করো ......আমি বাবার মতো সর্বশক্তির অধিকারী মাস্টার সর্বশক্তিমান আত্মা l

    স্লোগান :- 

    বাবার শ্রীমতে থেকে প্রতি সেকেন্ডে শরীর থেকে পৃথক আর বাবার প্রিয় হওয়াই হলো তপস্বী আত্মার লক্ষণ l


    ***OM SHANTI***