BK Murli 23 May 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 23 May 2016 Bengali

     ২৩-০৫-২০১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মীঠে বাচ্চে - এই সম্পূর্ণ দুনিয়া কব্রস্তান বা কবরখানায় পরিণত হবে তাই এই দুনিয়ায় মন না দিয়ে পরীস্তান (স্বর্গ) কে স্মরণ করো "

    প্রশ্ন :- 


    তোমাদের মতন গরীব বাচ্চাদের যা সৌভাগ্য সেসব এই দুনিয়ায় কারুর নেই , কেন ?

    উত্তর :- 

    কেননা তোমরা গরীব বাচ্চারাই সরাসরি সেই পিতার আপন হয়েছ যাঁহার কাছে সদ্গতির বর্সা প্রাপ্ত হয়। গরীব বাচ্চারাই পড়াশোনা করে । সাহুকার বা ধনীরা পড়লেও বাবার স্মৃতিতে মুশকিলে থাকবে । তোমায় তো অন্তিম সময়ে বাবা বিনে আর কিছুই মনে পড়বেনা তাই তো তুমি এত সৌভাগ্যশালী ।

    গান:- 

    হৃদয়ের ভরসা যেন ভেঙ্গে না যায়.... (দিল কা সাহারা টুট না যায়)

    ওমশান্তি ! 

    বাচ্চাদের প্রতি বাবা বোঝাচ্ছেন আর বাচ্চারা বুঝেছে যে বরাবর এই দুনিয়া এখন কবরখানায় পরিণত হবে । প্রথমে এই দুনিয়া পরিস্তান ছিল , এখন পুরনো হয়েছে সেইজন্য এই দুনিয়াকে কবরস্তান বলা হয়। সবাইকে কবর- দাখিল অর্থাৎ কবরে প্রবেশ করতে হবে। পুরনো জিনিস কবরে যায় অর্থাৎ মাটিতে মিশে যায়। এই কথাও শুধু তোমরা বাচ্চারাই জানো, সম্পূর্ণ দুনিয়া জানেনা । কিছু বিদেশীরাও জানে যে কবরে প্রবেশ হওয়ার সময় দেখা যাচ্ছে । তোমরা বাচ্চারা জানো যে পরিস্তান স্থাপন যিনি করেন আমাদের বাবা পুনরায় ধরাধামে এসেছেন । বাচ্চারা এই কথাও বুঝেছে যদি এই কবরখানায় মন দেওয়া হয় তাহলে ক্ষতি হয়ে যাবে। এখন তুমি বেহদের বাবার কাছে বেহদের সুখের বর্সা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করছ, তাও আবার কল্প পূর্বের সমান। এইসব তোমাদের বুদ্ধিতে প্রতি মুহুর্তে থাকা উচিত আর এই হল মনমনাভব । বাবার স্মরণে থাকলেই পরিস্তানী হতে পারবে । ভারত পরিস্তান ছিল আর অন্য কোনো স্থল পরিস্তানে পরিবর্তিত হয়না । এখন হল মায়া রাবণের রাজত্ব । এইসব অল্প সময় আরও চলবে । এইসব হল মিথ্যা শো। মিথ্যে মায়া , মিথ্যে কায়া বলা আছে কিনা । এইসব হল অন্ত সময়ের আড়ম্বর। এইসব দেখে ভাবে সবাই , স্বর্গ তো এখানেই , প্রথমে নরক ছিল । বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ করতেই থাকে । এইসব হল ১০০ বছরের শো । টেলিফোন , বিদ্যুত্ , এরোপ্লেন ইত্যাদি এই ১০০ বছরের মধ্যেই তৈরী হয়। কত আডম্বর তাই বর্তমান সময়কে স্বর্গ বলে ধরে নিয়েছে । পুরানো দিল্লিতে কি ছিল ? এখন নতুন দিল্লি কত সুন্দর হয়েছে । নামও রেখেছে নিউ দিল্লি । গান্ধীজিও চাইতেন নতুন দুনিয়া রামরাজ্য আসুক , পরিস্তান হোক। এখন তো সবকিছু টেম্পোরারি শো চলছে । কত বিশাল বাড়ি , ফাউন্টেন ইত্যাদি তৈরী হয় , ইহাকে বলাই হয় আর্টিফিশিয়াল স্বর্গ , অল্পকালের জন্যে । তুমি জানো এর নাম স্বর্গ নয়। এর নামই হল নরক । নরকেরও শো আছে । অল্পকালের হয় এই শো। শেষ হল কি হল। 
    এখন বাবা বাচ্চাদের বলছেন যে একমাত্র শান্তিধামকে স্মরণ করো। সব মানুষ মাত্রই শান্তি খুঁজছে , শান্তি কোথায় পাবে ? এবারে এই প্রশ্ন তো হল সম্পূর্ণ দুনিয়ার যে দুনিয়ায় শান্তি কিভাবে আসবে ? মানুষদের এই কথা তো জানা নেই যে আমরা সবাই বাস্তবে হলাম শান্তিধামের নিবাসী । আমরা আত্মারা শান্তিধামে শান্তিতে থাকি , পরে এখানে আসি পার্ট প্লে করতে । সে কথাও তোমাদের জানা আছে । এখন তুমি শান্তিধাম হয়ে সুখধামে যাওয়ার পুরুষার্থ করছো । প্রত্যেকের বুদ্ধিতে আছে আমরা আত্মারা এখন যাব নিজের বাসস্থান , শান্তিধাম । এখানেতো শান্তির কথা হতে পারেনা। এই স্থানকে বলাই হয় দুঃখধাম । সত্যযুগ হল পবিত্র দুনিয়া এবং কলিযুগ হল পতিত দুনিয়া। এইসব কথার বোধ এখন তোমাদের রয়েছে । দুনিয়ার লোকেরা কিছুই জানেনা । তোমার বুদ্ধিতে আছে বেহদের বাবা আমাদের সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছেন । তারপর কিভাবে ধর্মস্থাপক এসে ধর্মস্থাপন করেন। এখন সৃষ্টিতে কত অসংখ্য মানুষ রয়েছে । ভারতের জনসংখ্যাও হল অনেক , ভারত যখন স্বর্গ ছিল তখন অনেক ধনী ছিল আর অন্য কোনো ধর্ম ছিলনা । তোমাদের প্রতিদিন রিফ্রেস করা হয়। বাবা এবং বর্সাকে স্মরণ করো। ভক্তিমার্গেও এইরূপ বলা হয়। সর্বদা আঙুল দেখানো হয় পরমাত্মাকে স্মরণ করো । পরমাত্মা বা আল্লাহ ঐখানে আছেন । কিন্তু শুধু এমনভাবে স্মরণ করলে কিছু লাভ হয় নাকি । তাদের এই কথা জানা নেই যে স্মরণের দ্বারা লাভটা কি হবে। ওঁনার সঙ্গে আমাদের সম্বন্ধ হল কি? জানেই না। দুঃখে ডাকে হে রাম... আত্মা স্মরণ করে। কিন্তু এই কথা জানা নেই যে সুখ-শান্তি কাকে বলে ? তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমরা সবাই এক পিতার সন্তান তাহলে দুঃখ কেন হয়? বেহদের পিতার কাছে সদা সুখের বর্সা প্রাপ্ত হওয়া উচিত । এইসব চিত্রে ক্লিয়ার রয়েছে । ভগবান যিনি করেন স্বর্গের স্থাপনা , হেভেনলি গডফাদার । তিনি আসেনও ভারতেই । কিন্তু এই কথা কেউ জানেনা । দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা নিশ্চয়ই সঙ্গমেই হবে , সত্যযুগে কিভাবে হবে। কিন্তু এই কথা অন্য ধর্মের লোকেরা জানেনা । এই বাবা-ই হলেন নলেজফুল , তাই বোঝাচ্ছেন আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্ম কিভাবে স্থাপন হয়েছে । সত্যযুগের আয়ু লক্ষ বছর বলে সময়ান্তরাল বা সময়ের দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে তোমরা বাচ্চারা চিত্রের আধারেই বোঝাবে । ভারতে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিলো । তাঁরা কবে , কিভাবে এই রাজত্ব প্রাপ্ত করেছিলেন , সেসব জানা নেই । শুধু বলে দেয় এঁনারা সত্যযুগের মালিক ছিলেন । ওঁনাদের সম্মুখে ভিক্ষা চাইলে অল্পকালের জন্যে কিছু না কিছু প্রাপ্তি হয়। কেউ দান-পুন্য করলে অল্পকালের জন্যে ফল প্রাপ্তি হয়। গরীব পঞ্চায়েতের মুখিয়া বা মুখ্য ব্যক্তির খুশী যতটা হয়, ধনী মুখিয়ার ঠিক ততটাই হয়। গরীবরাও নিজেদের সুখী ভাবে । মুম্বাইয়ে দেখো গরীব জনতা কেমন স্থানে বাস করে। তোমরা বাচ্চারাও এখন বোঝো যে ভালাই কোটিপতি হোক না কেন তবুও কত দুঃখী তারা। তোমরা বলবে আমাদের মতন সৌভাগ্যশালী আর কেউ নেই । আমরা সরাসরি বাবার আপনজন হয়েছি, যার দ্বারা সদ্গতির বর্সা বা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয়। বড় বড় লোকের উচ্চ পদ প্রাপ্তি হয়না । যারা গরীব তারাই সাহুকার বা ধনবান রূপে পরিণত হয়। পড়াশোনা তো তোমরা করো , তারা তো অশিক্ষিত । একটু যদি বা পড়াশোনা করবে কিন্তু বাবার স্মরণে থাকতে পারবেনা । অন্তিম কালে তোমাদের বাবা বিনে অন্য কিছুই স্মরণে থাকবেনা । জানো যে এইসব কবরখানায় পরিণত হবে । বুদ্ধিতে থাকা উচিত এই যে আমরা ব্যবসা চাকরি ইত্যাদি করছি সেসব অল্পকালের জন্যে । ধনবান ব্যক্তি ধর্মশালা বা সরাইখানা নির্মাণ করে । তারা এইসব কোনো ব্যবসা সূত্রে করেনা । যেখানে তীর্থ সেখানে ধর্মশালা না থাকলে দর্শনার্থীরা থাকবে কোথায় , তাই সাহুকার ব্যক্তি ধর্মশালা নির্মাণ করে। এইজন্য নয় যে ব্যবসায়ীরা এসে ব্যবসা করবে। ধর্মশালা তীর্থ স্থানে নির্মাণ করা হয়। এখন তোমার সেন্টার হল শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ তীর্থ । তোমার সেন্টার যেখানে আছে সেই স্থান হল শ্রেষ্ঠ তীর্থ , যেখানে মানুষ সুখ শান্তির সন্ধান পায়। তোমাদের এই গীতা পাঠশালাও হল বিশাল । এই হল উপার্জনের স্রোত , এর দ্বারা তোমার অনেক আমদানি হয়। তোমাদের জন্যে এও একরকমের ধর্মশালা হল। এই হল শ্রেষ্ঠতম তীর্থ । তোমরা বেহদের বাবার কাছে বেহদের বর্সা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত করছ। এইরকম শ্রেষ্ঠ তীর্থ আর দুটি নেই । ঐ তীর্থ যাত্রীদের প্রাপ্তি কিছুই হয়না । এইসব কথা তোমরাই বুঝতে পারো। ভক্তরা ভক্তি সহকারে চরণামৃত গ্রহণ করে । ভাবে আমাদের হৃদয় পবিত্র হয়ে যাবে। কিন্তু সেতো হল জল। এখানে বাবা বলেন আমারে স্মরণ করো তাহলে বর্সা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে। এখন বেহদের বাবার কাছে তোমরা অবিনাশী জ্ঞান রত্নের খাজানা প্রাপ্ত করছ। প্রায়ই শঙ্করের সম্মুখে গিয়ে ভাবে অমরনাথ তিনি পার্বতীকে অমরকথা শুনিয়েছেন , ভিক্ষা চায় ভরে দে মোদের ঝুলি .... আর তুমি অবিনাশী জ্ঞান রত্নে ঝুলি ভরছো। বাকি অমরনাথ কোনো একজনকে বসিয়ে কথা শোনাবেন নাকি। নিশ্চয়ই অনেককে শোনাবেন এবং মৃত্যুলোকেই শোনাবেন । সুক্ষ্মবতনে তো কথা কাহিনী শোনাবার প্রয়োজন নেই । অনেক তীর্থের নির্মাণ করা হয়েছে । সাধু-সন্ত, মহাত্মা ইত্যাদি অনেকের আগমন হয়। অমরনাথ স্থলে লক্ষ লক্ষ মানুষ দর্শনে যায়। কুম্ভ মেলায় গঙ্গা স্নানে সবচেয়ে বেশী ভিড় হয়। ভাবে আমরা পবিত্র হব। বাস্তবে এইখানে হয় আসল কুম্ভমেলা । ঐ মেলা তো জন্ম-জন্মান্তর করেই এসেছে । বাবা বলেন এর দ্বারা নিজের ঘরে কেউ ফিরে যেতে পারেনা কেননা আত্মা পবিত্র হলে তো যেতে পারবে। অপবিত্রতার দরুণ সবার ডানা নষ্ট হয়েছে । আত্মার ডানা প্রাপ্ত হয় যোগের সাহায্যে আত্মা সবচেয়ে তীব্র গতিতে উড়তে পারে। কারুর কর্মের হিসাব লেখন লন্ডনে বা আমেরিকায় হলে সেকেন্ডে উড়ে যায় । সেখানে পৌঁছাতে সেকেন্ড সময় লাগে। কিন্তু মুক্তিধামে পৌঁছাবে তখন যখন কর্মাতীত অবস্থা হবে , ততক্ষণ এখানেই জন্ম-মরণে আসতেই থাকবে । যেমন ড্রামা টিক-টিক চলতেই থাকে। আত্মার যাত্রাও সেইরকম , টিক হলেই যেতে হবে । এইরূপ তীব্র আর কোনো কিছু হয় না । ঢের ঢের সব আত্মারা মূলবতনে যাবে। আত্মার কোনো স্থানে যেতে দেরী লাগেনা । মানুষেরা এই কথা বুঝতে পারেনা। তোমাদের বুদ্ধিতে এইসব কথা আছে যে নতুন দুনিয়ায় নিশ্চয়ই আত্মাদের সংখ্যা কম থাকবে আর সেখানে সকলেই সুখী থাকবে । সেই আত্মারাই এখন ৮৪ জন্ম ভোগ করে দুঃখী হয়েছে । তুমি সম্পূর্ণ চক্রের বিষয়ে জেনেছো । তোমাদের বুদ্ধি এইসব কথা বুঝতে পারে আর কোনো মানুষের বুদ্ধিতে এই কথা নেই । প্রজাপিতা ব্রহ্মারও গায়ন রয়েছে । কল্প পূর্বেও তোমরা এইরূপ ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারী হয়েছিলে। তোমরা জানো আমরা হলাম প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান । আমাদের দ্বারা বাবা স্বর্গের স্থাপনা করাচ্ছেন । যখন ক্রমানুযায়ী পুরুষার্থ অনুরূপ যোগ্যতা অর্জিত হবে পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। ত্রিমূর্তির গায়নও এখানেই হয়। ত্রিমূর্তির চিত্রও রাখা হয়। তাতে শিবকে দেখানো হয়না। বলাও হয় ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা , কে করাচ্ছেন ? শিববাবা। বিষ্ণু দ্বারা পালনা। তোমরা ব্রাহ্মণরা এখন দেবতা পদের যোগ্য হচ্ছো। এখন তুমি সেই পার্ট প্লে করছো। কল্প বাদে আবার প্লে করবে। তুমি পবিত্র রূপে পরিণত হচ্ছো। তোমরা বলছো বাবার আদেশ হল কামরূপী শত্রুকে হারাও, মামেকম স্মরণ করো। খুবই সহজ। ভক্তিমার্গে তোমরা বাচ্চারা অনেক দুঃখ ভোগ করেছ। যদিও বা সুখ আছে তাও অল্পকালের জন্যে । ভক্তিমার্গে সাক্ষাতকারও হয়। সেও অল্পকালের জন্যে তোমার আশা পূর্ণ হয়, এই সাক্ষাতকার হয় - তাও আমিই করাই। ড্রামায় পূর্ব রচিত রয়েছে । যা পাস্ট হয়েছে সেকেন্ড প্রতি সেকেন্ড , ড্রামা পরিকল্পিত রয়েছে । এমন বলা হয়না যে এখন শুট হচ্ছে । না, এইসব তো হল অনাদি কাল ধরে পূর্ব রচিত ড্রামা । যত অ্যাক্টররা রয়েছে সবার পার্ট হল অবিনাশী । মোক্ষ প্রাপ্তি কারুর হয়না । সন্ন্যাসীরা বলে আমরা লীন (মিলেমিশে এক) হয়ে যাই। বাবা বলেন তোমরা হলে অবিনাশী আত্মা । আত্মা হল এক বিন্দু , এই সুক্ষ্ম বিন্দুতে ৮৪ জন্মের পার্ট ভরা আছে । এই চক্র তো চলতেই থাকবে । যে প্রথমে পার্ট করতে আসবে সেই-ই ৮৪ জন্ম নেবে । সবাই তো নিতে পারেনা । তোমরা ছাড়া আর কারুর বুদ্ধিতে এই জ্ঞান নেই । জ্ঞানের সাগর হলেন একমাত্র বাবা। তুমি জানো আমরা বাবার কাছে বর্সা (স্বর্গের অধিকার ) প্রাপ্ত করছি । বাবা আমাদের পতিত থেকে পবিত্র করেন। সুখ শান্তির বর্সা দেন। সত্যযুগে দুঃখের নামগন্ধ থাকেনা । বাবা বলেন আয়ুষ্মান ভব, ধনবান ভব.... নিবৃত্তি মার্গের কেউ এমন আশীর্বাদ দিতে পারেনা । তোমরা বাচ্চারাই বাবার কাছে স্বর্গের বর্সা (স্বর্গের অধিকার ) প্রাপ্ত করো। সত্যযুগ ত্রেতা হল সুখধাম । তাহলে দুঃখ কিভাবে আসে , তা কেউ জানেনা । দেবতারা বাম-মার্গে কিভাবে যায়, সেসব প্রমাণিত চিহ্ন আছে । জগন্নাথ পুরীতে দেবতাদের চিত্র , মুকুট ইত্যাদি পরনে দেখানো হয়েছে আবার অশোভনীয় চিত্রও বানিয়েছে তাইজন্য তাঁদের মূর্তি শ্যাম বর্ণ রাখা হয়েছে , যার দ্বারা প্রমাণিত হয় দেবতারা বাম-মার্গে যায় ফলে অন্ত সময়ে সম্পূর্ণ শ্যামলা হয়ে যায়। এখন তুমি জানো ভারত কত সুন্দর ছিল পরবর্তী কালে যাহা তমোপ্রধান হয়ে যায় ড্রামা প্ল্যান অনুসারে । এখন সঙ্গমযুগে তোমার এই জ্ঞান আছে । বাবা হলেন নলেজফুল । তোমার একই পিতা , টিচার , গুরু হলেন তিনি । এই কথা সর্বদা যেন বুদ্ধিতে থাকে যে শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন । এই হল বেহদের (আত্মার) পড়াশোনা , যার দ্বারা তুমি নলেজফুল হয়েছো। তুমি সবকিছু জানো। তারা বলে তিনি হলেন সর্বব্যাপী , তোমরা বলো তিনি পতিত-পাবন । কতোটা রাত-দিনের তফাত । এখন তুমি মাস্টার নলেজফুল হয়েছ, নম্বরওয়ার বা ক্রমানুযায়ী । যা কিছু বাবার কাছে আছে সেসব তোমাকে শেখানো হয়। তুমিও সকলকেই এই কথাই বলো যে বাবাকে স্মরণ করো তাহলেই ২১ জন্মের জন্যে বর্সা অর্থাৎ স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হবে । আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি সিকীলাধে ( হারিয়ে ফিরে পাওয়া ) বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার ।

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার:- 

    ১. স্বয়ং রিফ্রেস থেকে আরও অন্যদের রিফ্রেস করার জন্যে বাবা এবং বর্সাকে (স্বর্গের অধিকার ) স্মরণ করতে হবে আর সবাইকে স্মরণ করাতে হবে। 

    ২. এই পুরনো দুনিয়ায় , এই কবরখানায় মন না দিয়ে শান্তিধাম , সুখধামকে স্মরণ করতে হবে। স্বয়ংকে দেবতা স্বরূপে পরিণত হওয়ার যোগ্য করতে হবে।

    বরদান :- 

    শ্রীমত দ্বারা সর্বদা খুশী এবং হাল্কা ভাব অনুভব করে এমন মনমত (নিজের মত) ও পরমত (অন্যের মত) থেকে মুক্ত ভব। 

    ব্যাখ্যা :- যে বাচ্চাদের প্রতিটি পদক্ষেপ শ্রীমত অনুযায়ী হয় তাদের মন সর্বদা সন্তুষ্ট হবে , মনে কোনো রকমের অস্থিরতা বা হলচল থাকবেনা , শ্রীমত অনুরূপ চললেই ন্যাচারাল খুশী অনুভব হবে , হাল্কা ভাবের অনুভূতি হবে সেইজন্য যখনই মন অস্থির হবে বা চঞ্চল হবে , খুশীর পার্সেন্ট একটুও কম অনুভব হবে তখনই চেক করবে - নিশ্চয়ই শ্রীমতের অবজ্ঞা হয়েছে তাই সুক্ষ্ম চেকিং অর্থাৎ অন্তরের চেকিং দ্বারা নিজেকে মনমত ও পরমত থেকে মুক্ত কোরো ।

    শ্লোগান :- 

    বুদ্ধি রূপী বিমানের সাহায্যে বতনে অর্থাৎ নিজ দেশে (পরমধামে) পৌঁছে জ্ঞান সূর্যের কিরণের অনুভূতি করাটাই হল শক্তিশালী যোগ।

    ***OM SHANTI***