BK Murli 24 May 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 24 May 2016 Bengali

     ২৪-০৫-১৬ প্রাত: মুরলী ওম্ শান্তি" বাপদাদা " মধুবন

    " মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এই রুহানী নেশায় থাকো যে , আমরা সকলে এই ঈশ্বরীয় পরিবারের সদস্য , এবং আমরাই আমাদের এই গুপ্ত দৈবী রাজধানী স্থাপন করছি l"

    প্রশ্ন :- 

    বাচ্চাদের মধ্যে কোন্ অভ্যাস দৃঢ় হলে সারাদিন খুশীতে থাকতে পারবে ?

    উত্তর :- 

    যদি খুব সকাল সকাল উঠে বিচার সাগর মন্থন করার অভ্যাস তৈরী করতে পারো তাহলে সারাদিন খুশিতে থাকতে পারবে l বাবার শ্রীমত হল বাচ্চারা , অমৃতবেলায় উঠে বাবার সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি করে বাক্যালাপ কোরো l নিজেরা বিচার করো - এখন আমরা কোন্ পরিবারের সদস্য l আমাদের কর্তব্য কি , যদি তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা থাকে যে , এ হলো আমাদের ঈশ্বরীয় পরিবার , এখন আমরাই আমাদের নতুন রাজধানী স্থাপন করছি , তাহলে সারাদিন খুশীতে থাকতে পারবে l

    ওম্ শান্তি । 

    বাচ্চারা জানে যে এ হল আমাদের রুহানী বা আত্মিক পরিবার আর দুনিয়ার পরিবার হলো আমাদের লৌকিক বা জন্মসূত্রে পাওয়া পরিবার l এই পরিবার হলো আমাদের আত্মিক পরিবার l আমাদের পরিবার হলো আত্মার বাবা পরমপিতা পরমাত্মার পরিবার l যেমন লৌকিক ঘরে সকলেরই মা , বাবা , এমনকি বাচ্চারাও থাকে , এবং সে হলো লৌকিক দুনিয়া বা হদের পরিবার l কিন্তু এখন তোমরা এই বেহদের পরিবারে অংশ l বাচ্চারা তো এই গানই করে যে ," তুমি আমাদের মাতা - পিতা " ..........তাহলে তো পরিবারেরই হয়ে গেলো তাই না ? তোমরা তো সবাই এই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি l এই পৃথিবীর সকল বাচ্চা বাবার সৃষ্টি , কিন্তু এই কথা বাচ্চারা ঠিকমতো জানে না l তোমরা বাচ্চারা এখন জানো , অনন্তকাল এই পরিবার হলো বাবার পরিবার l এই ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয় l এর জন্যই গায়ন আছে , বিনাশকালে যারা প্রীতবুদ্ধিধারী হয় তারাই জয়লাভ করে । এইরকম পরিবারের কথা গীতাতে বলা নেই l তোমরা ঈশ্বরীয় পরিবারের সন্তানরা গুপ্তভাবে এই দৈবী রাজধানী স্থাপন করছো l এই খবর দুনিয়ার আন্যান্যরা জানতেই পারে না l তোমাদেরই এই নেশা রয়েছে কারণ যারা যারা বাবাকে স্মরণ করবে তাদেরই এই নেশা থাকবে l দেহঅভিমান থাকার জন্য আবার এই নেশা চলে যায় l এই পরিবার হলো ঈশ্বরীয় পরিবার l তোমাদের এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে ,তারপর আবার দৈবী রাজধানীতে ( সত্যযুগে ) আসবে l সত্যযুগে সকলেই হবে দৈবী পরিবারের l দুনিয়ায় এখন সকলে আসুরী পরিবারের , আর তোমরা হলে ঈশ্বরীয় পরিবারের l রুহানী বাপদাদার সকল বাচ্চারা ভাই বোনের সম্পর্কে আবদ্ধ l এই হলো রুহানী প্রবৃত্তিমার্গ l সত্যযুগে তোমাদের ঈশ্বরীয় পরিবারের বলা হবে না l ওখানে তোমরা হবে দৈবী পরিবারের l এই ঈশ্বরীয় পরিবার খুবই জোরদার l তোমরা জানো , এখন আমরা ঈশ্বরীয় পরিবারের লোকজন , দৈবী রাজ্য স্থাপন করছি l এইভাবে নিজেদের সঙ্গে কথা বলো , বিচার সাগর মন্থন করো l ভোরবেলা উঠে যদি তোমরা বাবার স্মরণে থাকো তাহলে তোমাদের বিচার সাগর মন্থন করার অভ্যাস তৈরী হয়ে যাবে l এই বিষয়ে উৎসাহ তৈরী হবে l যখন দুনিয়ার মানুষ নিদ্রায় থাকে ঠিক তখনই তোমরা জেগে ওঠো l এই ধরনের চিন্তা তোমাদের অমৃতবেলায় উঠে করতে হবে , তাহলেই দেখবে তোমরা কতো খুশীতে থাকো l বাবা যা শ্রীমত দেন সেই শ্রীমতেই তোমরা চলতে থাকো , তারপর দেখো তোমরা কতো খুশীতে থাকো এবং এই ঈশ্বরীয় পরিবারের কথা সবসময় তোমাদের স্মরণে থাকবে l আসুরী পরিবার থেকে মন সরে আসবে l যখন নতুন বাড়ি তৈরী হয় তখন পুরোনো বাড়ি থেকে আসক্তি অনায়াসেই চলে যায় l যতক্ষণ না নতুন বাড়ি তৈরী হয় , মানুষ পুরোনো বাড়িকেই মেরামত করে চালাতে থাকে l তারপর নতুন বাড়ি তৈরী হলে পুরোনোর উপর থেকে মায়া চলে যায় l এই পুরোনো দুনিয়াও ঠিক এমনই l এখন তোমরা জানো , এই পুরোনো দুনিয়া হলো পুরোনো ঘরের মতো , এখন আমরা নতুন দুনিয়া বা নতুন ঘরে যাবো l তখন নতুন শরীরও ধারণ করবো l এই দেহও এখন তোমাদের পুরোনো l এখন তোমরা বাবার কাছ থেকে ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য রাজ্য ভাগ্যের অধিকার নিচ্ছো l এখন তোমরা কিন্তু রাজত্ব করবে না l এখন শুধুমাত্র স্থাপনার কাজ চলছে l এই কথা কেবলমাত্র তোমরাই জানো l এ তো গীতারই কথা যেখানে রাজযোগ দেখানো হয়েছে l একেই সহজ রাজযোগ বলা হয় l অনেকবার তোমরা এই রাজযোগ অভ্যাস করে এই দৈবী রাজ্য স্থাপন করেছিলে l সত্যযুগে তোমাদের এই কথা স্মরণে থাকবে না l যদি সেখানে তোমাদের এই কথা স্মরণে আসে তাহলে প্রকৃত সুখে ভাসতে পারবে না l তোমাদের চিন্তা শুরু হয়ে যাবে l এখন তোমাদের গুপ্ত নেশা চলছে l উঁচুর থেকে উঁচু ( সর্বোচ্চ ) শিববাবার পরিবার হলো তোমরা l একে বলা হয় ঈশ্বরীয় গুপ্ত পরিবার l একে ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ঈশ্বরীয় যজ্ঞও বলা হয় l যেহেতু ঈশ্বরীয় পরিবার তাই তোমাদের খুবই মিষ্টি স্বভাব তৈরী করতে হবে l ভবিষ্যতে তোমরা আরো মিষ্টি স্বভাবের হয়ে যাবে l তোমরাই হলে রূপ - বসন্ত l আত্মা একাধারে রূপ আবার বসন্তও l এতো ছোটো আত্মাতে অবিনাশী পার্ট ভরা থাকে l এখন তোমরা রূপ বসন্ত তৈরী হয়েছো l শিববাবা হলেন জ্ঞানের সাগর l যখনই তিঁনি ব্রহ্মার এই শরীরকে আশ্রয় করেন তখনই তিঁনি এই দিব্য জ্ঞান দিতে পারেন l তোমরা জানো যে বাবা তোমাদের জ্ঞানের বর্ষা দেন l তোমরা এক একটি রত্ন লাখ টাকার তুল্য l এখন তোমরা আত্মারা বাবার পরিচয় পেয়েছো l বাবা তোমাদের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়েছেন l তোমাদের বুদ্ধিতেই এই কথা আছে যে এই ৮৪ জন্মের চক্র কেমন করে ঘুরতে থাকে , তাই তোমাদের নাম - স্বদর্শন চক্রধারী l বিষ্ণু বা লক্ষ্মী নারায়ণ কিন্তু স্বদর্শন চক্রধারী নন l তাঁদের মধ্যে এই জ্ঞান থাকে না l এখন তোমরা আত্মারাই এই জ্ঞান অর্জন করছো l সৃষ্টির চক্র কিভাবে ঘুরছে l যদিও ত্রিমূর্তি দেখানো হয় , কিন্তু সেখানে শিবকে দেখানো হয় না l ত্রিমূর্তির চিত্র তোমরা তো অনেক দেখেছো l সেখানে ব্রহ্মার অনেক দাঁড়ি , গোঁফ এবং বুড়ো মানুষ দেখানো হয় l কিন্তু সূক্ষ্মবতনে এমন থাকে না l বৃদ্ধ আবস্থা কেবল ব্রহ্মাকেই দেখানো হয় l প্রজাপিতা তো এখানেই হয় l সূক্ষ্মবতনে যিনি আছেন তিনি হলেন অনেক পুরোনো , গ্রেট গ্রেট গ্রান্ড ফাদার l এখানে ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মার খাঁচা l শিববাবাই ব্রহ্মার দ্বারা এই সৃষ্টির রচনা করেন l তাহলে তো একদিক দিয়ে ব্রহ্মা সবার থেকে বড়ই হলো l তাই তাঁকে বৃদ্ধ দেখানো হয় l এই ব্রহ্মাই ৮৪ জন্মের চক্র পার করেছেন l এখন তোমরা এই কথা বুঝে গেছো lএও তোমরা জানো এই পৃথিবীর সকলেই বাবার বাচ্চা l সমস্ত আত্মাদের তাদের বাবার পরিচয় দিতে হবে l এখন হলো ভারতের কল্যাণকারী যুগ l সমস্ত আত্মারা পবিত্র হয়ে মুক্তিধামে চলে যাবে l তোমরা হলে ভারতের সেবাধারী বাচ্চা l প্রথমত ভারতের তারপর সারা দুনিয়ার সেবা তোমরা করছো l এখন তোমরা খুবই অল্প আছো যারা এই কথাকে বুঝতে পারো তারপর সবাইকে সবাইকে ছোটো করেও বোঝানো হয় , বাচ্চারা , "মনমনাভব "l আলাদা করেও বোঝাতে হবে তোমাদের যা কিছু আছে এই দৈব রাজধানী স্থাপন করার কাজে লাগাও l গান্ধীজী কি করতেন l উনিও তো রামরাজ্য চাইতেন l কি আশ্চর্যজনক এই বিশ্বনাটকের খেলা l এখন তোমরা সাক্ষী হয়ে এই খেলা দেখতে থাকো l তোমাদের হাসি পাবে যে মানুষ কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে যায় l বাবা বলেন যে - নাটকের নিয়ম অনুসারে এই পৃথিবীর আবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছে , তাই এখন বাবা এসেই সকলের সদ্গতি করবেন l তোমাদের বাচ্চাদের এখন এই নেশা অনেক বেড়ে গেছে l ইনি হলেন সারা পৃথিবীর নিরাকার বাপু জী l এই ব্রহ্মা আবার কার বাচ্চা ? শিববাবার তো l আবার শিববাবা কার বাচ্চা ? তখন মায়েরা বলেন যে - শিববাবা আমাদের বাচ্চা l এই হলো শিববাবার বিশ্বনাটকের খেলা l বাকী ধ্যানের সময় তো মায়া প্রচুর বিঘ্ন ঘটায় l যেসব বাচ্চারা বলে যে আমাদের মধ্যে শিববাবা আসেন , এগুলো হলো ভূতের প্রবেশ l তোমাদের বাচ্চাদের খুব সাবধান থাকতে হবে l এই ভূতে ধরার রোগ এমনই যে জ্ঞান আর যোগ দুই দিকেই বিঘ্ন করতে পারে l এমন কথা কখনও ভাববে না যে আমরা সাক্ষাৎকার কার করবো l এই সমস্তই ভক্তিমার্গের ইচ্ছা l জ্ঞানমার্গকে খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে l মায়া বিভিন্ন দিক দিয়ে তোমাদের এই পথে বাঁধা দিতে থাকে l সাক্ষাত্কার করে বিশেষ কোনো লাভ হয় না l বাবা বলেন যে , এই ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের শিববাবার সঙ্গে সম্বন্ধ তৈরী হয় l বাবার আদেশ হলো তোমরা কোনো দেহধারীকেই স্মরণ করবে না l তোমরা নিজেদের আত্মা মনে করে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো l তোমাদের নিজেদের কল্যাণের জন্যই তোমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে l এই কথা তো বুদ্ধি দিয়ে বোঝার কথা l বাবাকে যে কোনো ধরনের সমস্যার কথা তোমরা লিখে জানাও l কোনো কোনো বাচ্চাদের তো এই জ্ঞানটুকুও থাকে না যে বেহদের বাবাকে চিঠি নিজেদের খুশীর খোঁজ খবর জানাই l লৌকিক বাবাকে চিঠি লেখার কথা তো সহজেই মনে থাকে l আর ইনি হলেন বেহদের বাবা l বাবা দেখেন যে এক মাস পার হয়ে গেল কোনো কোনো বাচ্চা বাবাকে চিঠি লিখলো না , তখন বাবা বোঝেন যে এদের মায়াতে ধরে ফেলেছে তাই এরা পারলৌকিক বাবাকে চিঠি লেখে না l এইটুকু তো অবশ্যই লেখা উচিত - বাবা আমরা সবসময় নারায়ণী নেশাতে মজে থাকি l বাবা তোমার দেওয়া যুক্তি বা শ্রীমতে চলতে আমরা সর্বদা তৎপর থাকি l তখন বাবা বুঝবেন যে , এরা খুবই খুশীতে আছে l চিঠি না লিখলে বাবা বুঝবেন যে তোমাদের বিকারের রোগ এখনো সারে নি l তোমরা বাবার স্মরণেই থাকো না l নাহলে তো তোমাদের বাবাকে এইভাবে লিখতে হবে যে - বাবা আমরা এই এই সেবা কাজ করছি ,বা এদেরকে জ্ঞানের কথা বুঝিয়েছি , ওর বুদ্ধিতে পুরোপুরি জ্ঞান প্রবেশ করে নি l তখন বাবা তোমাদের বলে দেবেন , বাচ্চারা , তোমরা এইভাবে বোঝাও l বাচ্চারা বাবার গান শুনেছে l কিন্তু যারা এই গান বানিয়েছে তারা এর অর্থ ঠিকমতো জানে না l তারা সকলেই ভক্তিমার্গের l যা কিছুই তারা বলে , কিন্তু অর্থ সঠিক বুঝতে পারে না l মূখ্য কথা হলো বাবাকেই সঠিক জানে না l বাবাকে জানতে পারলেই ভারতের সদ্গতি হতে পারে l বাবাকে না জানার কারণেই ভারতের এই দুর্গতি হয়েছে l এখন বাবা তোমাদের বলেন , আমি তোমাদের সদগতি প্রাপ্ত করাবো , আর বাদবাকী সবাইকে মুক্তিধামে নিয়ে যাব l ভারতেই জীবনমুক্তি বা স্বর্গরাজ্য হবে , তোমরা সকলেই সেখানে যাবে , আর বাকী সবাই মুক্তিধামে থাকবে l এই পরিবর্তন এক বাবা ছাড়া আর কেউই করতে পারে না l সবার সদ্গতিদাতা হলেন এক শিববাবাই l আর এই সবার সদ্গতি অবশ্যই কল্পে কল্পে এই সঙ্গম যুগেই হবে l তোমরা সকলেই জানো তোমাদের আত্মাদের সকলের আত্মিক বাবা একজনই হয় l সঙ্গমযুগে আবার তিনজন বাবা l প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো তোমাদের বাবাই হলেন , তাই না ? শিববাবাও তোমাদের বাবা l শিববাবা হলেন সর্ব আত্মার বাবা l তাঁর থেকেই তোমরা বর্ষা বা সম্পত্তির অধিকারী হও l তাঁকে স্মরণ করলেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে l ব্রহ্মাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে না l তাই তোমাদের শিববাবাকেই স্মরণ করতে হবে l রুহানী বাবা রুহানী বাচ্চাদের বলেন , তোমরা সম্পূর্ণ বাবার হয়েছো , এই কথা যদি তোমরা বুঝতে পারো তবে সেটাই হবে প্রকৃত জ্ঞান l দেহ অভিমানী পতিত মানুষ যে সকল কর্তব্য কর্ম করে , সে সকলই হলো পতিত কর্ম l দান , পুণ্য আদি যাই তারা করে সেসকলই তাদের পতিত বানিয়ে দেয় l কারণ সকলই তারা দেহ অভিমানে করে l এই রাবণ রাজ্যে এটাই হতে থাকে l এখন বাবা এসে তোমাদের নির্দেশ দেন l বাবা বলেন - বাচ্চারা সাবধান , তোমরা বিকারে যেও না l কাম বিকারের উপর বিজয় প্রাপ্ত করো l তোমাদের জীবনে এখন প্রচুর ঝড় আসবে l এতে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না l মায়ার এতো ঝড় তোমাদের জীবনে আসবে যা অজ্ঞান কালেও তোমাদের জীবনে আসে নি , এমনই পরিস্থিতি আসবে l তোমরা বলো যে ভক্তিমার্গে তো আমরা অনেক খুশীতে ছিলাম l এখন তোমাকে স্মরণ করতে চাইলেও ঠিকমতো স্মরণ করতে পারি না l বিন্দুরূপ শিববাবাকে ঠিকমতো স্মরণ করতে পারি না l যদি বড় কিছু হয় তবে স্মরণ করতে সুবিধা হয় l বাবা বলেন তোমরা শিববাবা বলে আমাকে স্মরণ করো l আর পুরোনো এই দুনিয়াকে ভুলে যাও l তোমরা শান্তিধামে গিয়ে আমাকে স্মরণ করো l কেবলমাত্র শান্তিধামকেই স্মরণ কোরো না l বাবাকে স্মরণ করলেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে l আত্মাদের তাদের মিষ্টি বাবার সঙ্গে প্রেম থাকা চাই l অর্ধকল্পের তোমাদের প্রেমিক হলেন শিববাবা l আত্মারা বলে আমরা অর্ধেক কল্প তোমাকে ভুলে গেছি l ব্রহ্মাকুমারীরা যাদের এখানে নিয়ে আসে , তাদেরও খুব সাবধানে নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চাদেরই এখানে নিয়ে আসা উচিত l যদি এখানে এসে তারা পরে চলে যায় বা জীবনে আবার পতিত হয়ে যায় , তাহলে দোষ বা দণ্ড ব্রাহ্মণীদের উপরই আসবে তাই এই ব্রাহ্মণীদের অনেক দ্বায়িত্ব থাকে l শিববাবা এই ব্রহ্মাবাবার শরীরকে রথ হিসাবে ব্যবহার করেছেন l তোমরা এই সমস্ত কথাই এখন অনুভব করছো l এখানে তো অন্য কোনো কথা থাকতেই পারে না l নিজেদের মধ্যে হাসি , গল্প , খেলাধুলা এতে কোনো মানা নেই l কিন্তু যদি কেউ অন্য কোনো আত্মার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী করে ফেলে তবেই সমস্যা বাড়তে থাকবে l তার কথাই স্মরণ হতে থাকবে তাই এর থেকেও সাবধান থাকতে হবে l এখন তোমরা তোমাদের ঘরে বসে আছো নাকি সত্যযুগে ? তোমাদের এই ঘরে বাবা তোমাদের বাচ্চাদের পড়ান l এই মধুবন হলো তোমাদের সকলের ঘর l যখন তোমরা এখান থেকে বাইরে যাবে তখন এই ধরনের নেশা থাকে না l কিন্তু এখানে তোমাদের নেশার পারা চড়ে থাকে l দেহের অভিমান তোমাদের ছাড়তে হবে l দেহী অভিমানী হলে তোমাদের জাত পাতের বিভেদ মিটে যাবে l এই পুরোনো দুনিয়া হলো তমোপ্রধান , তাই এখানে এই বিভেদ আরো বাড়তে থাকছে l আগে ব্রিটিশ সরকারের সময় ভাষার এতো জটিলতা ছিলো না , এখন দিন প্রতিদিন এই সমস্যা বাড়তে থাকছে l সত্যযুগে কিন্তু একই ভাষা থাকবে l সেখানে কোনো বিভেদ থাকবে না l আচ্ছা l

    মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি (সিকিলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা বাপদাদার স্মরণ , ভালোবাসা আর সুপ্রভাত l রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার l

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :- 

    1) যাতে কোনো দেহধারী স্মরণে না আসে তাই কারোর সাথেই ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী কোরো না l এই পরীক্ষায়ও তোমাদের পার হতে হবে l তাই খুব সাবধান থাকতে হবে l মায়ার ঝড়ের সামনে ঘাবড়ে যেও না l মায়ার উপর তোমাদের বিজয় প্রাপ্ত করতে হবে l

    2 ) ধ্যানের সময় মায়ার প্রচুর বিঘ্ন আসবে , এই মায়ারূপী ভূতের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হবে l বাবাকে তোমাদের প্রতিদিনের খোঁজখবর জানাতে হবে l

    বরদান :- 

    বাবার স্মরণ আর সেবা এই ডবল তালার দ্বারা সদা বিপদমুক্ত, সবসময় খুশী আর সদা সন্তুষ্ট হও ( ভব ) l 

    সারাদিন তোমাদের প্রত্যেকটি সংকল্প , বচন এবং কর্ম যেন বাবার স্মরণ আর সেবাতে লেগে থাকে l প্রত্যেকটি সংকল্পে বাবাকে স্মরণ করো , বচনের দ্বারা বাবার দেওয়া সম্পত্তি অন্যকে দান করো , আর বাবার চরিত্র নিজেদের প্রতিটি কর্মে এনে তাকে সিদ্ধ করো l যদি এমন স্মরণ আর সেবাকাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারো , তবে ডবল তালা লেগে যাবে আর মায়ার প্রভাব কখনোই পড়বে না l যারা বাবার স্মৃতিতে ডবল তালা লাগাতে পারে তারা সর্বদা সুরক্ষিত , সবসময় খুশী আর সদা সন্তুষ্ট থাকতে পারে l

    স্লোগান :- 

    " বাবা " এই শব্দরূপী হীরের চাবি যদি তোমাদের হাতে থাকে তবে সমস্ত সম্পদের অনুভব তোমরা করতে পারবে l

    ***OM SHANTI***