BK Murli 5 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 5 May 2016 In Bengali

     ০৫-০৫-২০১৬ প্রাত :মুরলি ওম্ শান্তি " বাপদাদা " মধুবন

    " মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা ব্রহ্মামুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ , বাবার দ্বারা তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নয়ন পেয়েছ , তোমরা এখন ঈশ্বরীয় কোলে রয়েছ "

    প্রশ্ন :- 

    অদ্বৈত রাজ্য , যেখানে দ্বিতীয় কোন ধর্ম নেই , সেই রাজ্যের স্থাপনার আধার কী ?

    উত্তর :- 

    যোগবল ,বাহুবলের দ্বারা কখনও অদ্বৈত রাজ্যের স্থাপনা হওয়া সম্ভব নয় l এমনিতে ক্রিশ্চিয়ানদের এত শক্তি আছে যে , এরা যদি নিজেরা মিলে যায় তবে সমস্ত বিশ্বের ওপর রাজত্ব কায়েম করতে পারে , কিন্তু আইন তা বলে না l বিশ্বে একরাজ্যের স্থাপনা করা বাবারই কাজ l

    গীত :- 

    আকাশ -সিংহাসন ছেড়ে নেমে এসো……………………. (ছোড় ভী দো আকাশ সিংহাসন ...)

    ওম্ শান্তি !

     বাচ্চাদের ওম্ শান্তির অর্থ তো অনেকবারই বুঝিয়েছি l ওম্ অর্থাত্ আমি কে ? আমি আত্মা l এই শরীর আমাদের কার্য-সাধনের যন্ত্র l আমি আত্মা পরমধাম নিবাসী l ভারতবাসী আহ্বান করে , হে দূর দেশের অধিবাসী ! এসো , কারণ ভারত এখন অনেক ধর্ম -গ্লানি আর দুঃখ-দুর্দশায় ভরে গেছে l তুমি এসে আবার গীতার উপদেশ শুনাও l গীতার জন্যই বলা হয় - শিববাবা এসো , কারণ উঁনিই সকলের বাবা l বলা হয় , ভারতবাসীদের উপর পরছায়া পড়েছে , মায়ারূপী রাবণের , এইজন্য সবাই দুঃখী আর পতিত l আহ্বান করে - রূপ বদল করে এস অর্থাত্ মানুষের রূপে এসো l তাই মানুষের রূপে আসি l আমার আসা দিব্য অলৌকিক l আমি কোনো গর্ভে আসিনা , আমি আসি সাধারণ বৃদ্ধ তনে L তোমরা বাচ্চারা জানো - আমি কল্পে কল্পে নিজের নিরাকারী রূপ বদল করে আসি l পরমপিতা পরমাত্মাই তো জ্ঞানের সাগর l কৃষ্ণকে কখনও বলা হবেনা l বাবা বলেন , আমি এই সাধারণ তনে এসে আবার নতুন করে সহজ রাজযোগ শেখাচ্ছি l যখন দুনিয়া পতিত হয়ে যায় তখন আমাকে আসতেই হয় l কলিযুগকে সত্যযুগে পরিবর্তন করতেই আমি আসি l ব্রহ্মা , বিষ্ণু , শংকরের ছবিও আছে l ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা , শংকর দ্বারা বিনাশ আর বিষ্ণুর দ্বারা পালন করা হয় l এই লক্ষ্মী -নারায়ণ , বিষ্ণুর দুই রূপ l এটা তোমরা বাচ্চারা জানো l বাবা আবার রূপ বদল করে এসেছেন l উঁনি আমাদের পরমপিতাও হন , পরম শিক্ষকও হন আবার পরম গুরুও হন l কিন্তু গুরুদের পরম বলা যাবে না l ইনি তো বাবা , টিচার , গুরু তিনজনই হন l লৌকিক বাবাতো বাচ্চাকে পালন করে স্কুলে পাঠিয়ে দেয় l খুব কমই হবে ,বাবা যে সেই টিচার l এটা কেউ বলতে পারেনা l সব আত্মারা আমাকেই ডাকে , গড -ফাদর বলে যখন , তাহলে তো আত্মাদের বাবা হয়ে গেলাম l এই গীতও ভক্তিমার্গের l সত্যযুগে তো মায়া হয়না , যে ডাকতে হবে l ওখানে সুখই সুখ l তোমরা জানো , ৫ হাজার বছরের চক্র -রহস্য l অর্ধ -কল্প ধরে সত্যযুগ আর ত্রেতা যুগ - দিন , আর অর্ধকল্প , দ্বাপর -কলিযুগ - রাত l তোমরা ব্রহ্মামুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ l ব্রহ্মার অথবা তোমাদের -ব্রাহ্মণদের রাত অর্থাত্ অন্ধকার দশা এবং দিন আলোর অবস্থার কথাই বলা হয়ে থাকে l দিন আর রাতের জ্ঞানও তোমরা বাচ্চারা জানো l লক্ষ্মী -নারায়ণের এই জ্ঞান নেই l এখন তোমরা সঙ্গমে আছ , জানো যে ভক্তি -মার্গের পথ সম্পূর্ণ হয়ে দিনের সূচনা হয়েছে l এই জ্ঞান এখন তোমরা বাবার দ্বারা পাচ্ছো l কলিযুগে বা সত্যযুগে এই জ্ঞান কারও হয় না l এইজন্য গাওয়া হয়ে থাকে - ব্রহ্মার দিন , ব্রহ্মার রাত l তোমরা এখন সূর্য্যবংশী - চন্দ্রবংশী রাজ্য পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো আবার অর্ধকল্পের জন্য এই রাজ্য খুইয়ে দাও l এই জ্ঞান তোমাদের -ব্রাহ্মণদের ছাড়া আর কারও নেই l তোমরা দেবতা হয়ে গেলে তখন আর এই জ্ঞানও থাকবে না l এখন ঘোর অন্ধকার রাত্রি , শিবরাত্রিও উৎযাপন হয় l আবার কৃষ্ণ রাত্রিও বলে , কিন্তু এর অর্থ কেউ বোঝেনা l শিব জয়ন্তী অর্থাত্ শিবের পুনঃঅবতরণ হয় l এই রকম বাবার দিবস কম করেও একমাস ধরে উত্সব পালন করা উচিত্ - যিনি সমস্ত সৃষ্টিকে পতিত থেকে পবিত্র করে তোলেন , কোনও ছুটির দিনও পালন হয়না l বাবা বলেন আমি সবার মুক্তিদাতা , পথ -প্রদর্শক হয়ে সবাইকে নিয়ে যাই l
    এখন তোমরা পুরুষার্থ করছ - রাজযোগ শেখার l বাবা তোমাদের তৃতীয় নয়ন প্রদান করছেন l আত্মার রূপ কেমন এটাও কারও জানা নেই l বাবা বলেন , তুমি -আত্মা না বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের মতো , না অখণ্ড জ্যোতির মতো l তুমি হলে তারা , বিন্দুর মতো l আমি আত্মাও বিন্দুই , কিন্তু আমি পুনর্জন্মে আসিনা l আমার মহিমা আলাদা , আমি সুপ্রিম হওয়ার কারণে জন্ম -মৃত্যুর চক্রে আসিনা l তোমরা আত্মারা শরীরের দ্বারা এই চক্রে এসে ৮৪ জন্ম নাও , আমি এই শরীরে (ব্রহ্মাবাবার শরীরে ) প্রবেশ করি l এই শরীর ধার করা হয়েছে l বাবা বোঝান - তুমিও আত্মাই l কিন্তু তুমি নিজেকে বুঝতে পারনা যে আমিই আত্মা , আত্মাই বাবাকে স্মরণ করে l দুঃখে সবসময় স্মরণ করে - হে ভগবান , হে দয়াময় বাবা দয়া করো l দয়া চাইছ কারণ বাবাই সর্বজ্ঞানী , সুখময় , পরম পবিত্র হন l বাবা জ্ঞানের সাগর l মানুষকে এই মহিমা দিতে পারিনা l এই সমস্ত দুনিয়ায় পরম সুখ বিলিয়ে দেওয়া বাবার কাজ l উঁনি হলেন রচয়িতা , আর বাকি সব রচনা l জগৎস্রষ্টা তাঁর সৃষ্টিকে সৃজন (তৈরী ) করেন l লৌকিক প্রথানুযায়ী লোকে যেমন প্রথমে স্ত্রীকে গ্রহণ করেন , তারপর ওনার দ্বারা সৃষ্টির নির্মাণ করেন , তারপর পালন ও করেন , কিন্তু বিনাশ করেননা l তেমনই শিববাবাও ব্রহ্মাতনে প্রবেশ করে তাঁর মাধ্যমে আমাদের ব্রাহ্মণ বানিয়ে সত্যযুগে রাজধানী স্থাপন করেন l বেহদের বাবা এসে স্থাপনা -পালনা এবং বিনাশ করান l আদি সনাতন দেবী -দেবতা ধর্মের পালন করান l সত্যযুগ আরম্ভ হওয়ার মূহুর্ত মধ্যে রাজধানী স্থাপন হয়ে যায় l আর ধর্ম স্থাপকেরা তো শুধু নিজের নিজের ধর্ম স্থাপন করে , যখন প্রায় লাখে কোটিতে বিভিন্ন ধর্মের বৃদ্ধি হয় তখন ধর্মের রাজত্ব শুরু হয় l এখন তোমরা রাজধানী স্থাপন করছ l যোগবলের দ্বারা তোমরা সারা বিশ্বের মালিক হও, বাহুবলের দ্বারা কখনও কেউ সারা বিশ্বের ওপর রাজত্ব করতে পারেনা l বাবা বুঝিয়েছেন, ক্রিশ্চিয়ানদের এত শক্তি আছে যে এরা যদি নিজেরা একত্র হয়ে যায় তবে সারা বিশ্বের ওপরে রাজ্য কায়েম করতে পারে l কিন্তু বাহুবলের দ্বারা বিশ্বের রাজত্ব পাবে, এরকম আইনে বলা নেই l ড্রামাতে এরকম অধিকারের কথা বলা নেই যে বাহুবলীরা বিশ্বের মালিক হবে L বাবা বোঝাতে থাকেন - বিশ্বের রাজত্ব যোগবলে আমার দ্বারাই পাওয়া যেতে পারে l ওখানে কোন ভাগাভাগি নেই l ধরণী , আকাশ সব তোমাদের হবে l তোমাদের কেউ স্পর্শও করতে পারবে নাা l ওটাকেই বলা হয় অদ্বৈত রাজ্য l এখানে অনেক রাজ্য l বাবা বোঝান - ৫ হাজার বছর বাদে তোমাদের-বাচ্চাদের এই রাজযোগ শেখাই l কৃষ্ণের আত্মা এখন শিখছে l কৃষ্ণই ছিল প্রথম রাজকুমার l সে-ই এই সময় ৮৪ জন্মের অন্তিমে এসে ব্রহ্মা হয়েছে l এসব বাচ্চাদের বুঝিয়েছি , সৃষ্টির চক্র কিভাবে ঘোরে l বাবা আবার স্বর্গের স্থাপনা করছেন l অনেক ধর্মের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী (অবশ্যই হবে ) l এক- ধর্মের স্থাপনা হয়েই যাবে l ভারতই শতকরা ১০০ ভাগ পবিত্রতার তরলে দ্রবীভূত হয়ে শুদ্ধ হয়েছে (পবিত্রতা ধারণ করে শুদ্ধ হয়েছে ) , ধর্মও শ্রেষ্ঠ ছিল l দেবতাদের কর্মও শ্রেষ্ঠ ছিল l ওঁদেরই মহিমা গাওয়া হয়েছে - সর্বগুণসম্পন্ন . . . প্রথম-প্রথম পবিত্র ছিল , এখন পতিত হয়েছে , আবার বাবা এসে স্ত্রী -পুরুষ উভয়কেই পবিত্র বানান l
    রক্ষাবন্ধনের উত্সব এত ধুমধামের সাথে কেন পালন হয় - এটা কেউ জানেনা l বাবাই এসে প্রতিজ্ঞা করিয়েছিলেন অন্তিম জন্মে তোমরা দুজনে পবিত্র থাকবে l সন্ন্যাসীদের ধর্মই আলাদা l জ্ঞান , ভক্তি আর বৈরাগ্য - এই সব তোমাদের জন্য l তোমরা দেখে থাকবে পাদ্রীরা হেঁটে গেলে তাঁদের দৃষ্টি একদিকে থাকে অন্য কোন দিকে দৃষ্টি যায়না l বর্তমান মূহুর্তে অবস্থান করে তাই -না ! এখন তো ওরা খৃষ্টকে স্মরণ করে l বলে যীশু ভগবানের বাচ্চা ছিল l
    তোমার সাদা কাপড় ইত্যাদির সাথে কোনও যোগ নেই , তুমি তো হচ্ছই আত্মা l এক্ ভিন্ন অন্য কেউ নয় , একমাত্র একেশ্বর বাবাকেই স্মরণ করতে হবে l তুমিই তো সত্য , যে , ক্ষণকালে বিরাজ করছে (যে এই মূহুর্তকে সামনে রেখে এগিয়ে চলে ), তুমি বাবার থেকে রাজ্যাধিকার পাও l ওঁনাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে l এইজন্য বাবার নির্দেশ আছে - মামেকম্ ইয়াদ করো (আমাকে স্মরণ কর ) l
    আত্মাকে বুদ্ধির দ্বারা নিশ্চয় না করার জন্য , যারা শুধু বর্তমান মূহুর্তটুকু সত্যজ্ঞান করে তারাও বাবাকে স্মরণ না করে ক্রাইস্টকে স্মরণ করে l ভগবান কে এটা কেউ জানেনা l ভারতবাসী যারা সৃষ্টির প্রথমদিকে আসে , তারাও জানেনা l লক্ষ্মী -নারায়ণের সৃষ্টির এই জ্ঞান থাকেনা , না তারা ত্রিকালদর্শী হয় l ত্রিকালদর্শী তো তোমরা ব্রাহ্মণরা হও l তোমাদের কড়ি থেকে বাবা হীরেতুল্য বানান l এখন তোমরা ঈশ্বরীয় কোলে আছ l তোমাদের এই অন্তিম জন্ম অতি মূল্যবান l ভারতের বিখ্যাত দুনিয়ার সাধারণ তোমরা রুহানি সেবা করছ l বাকি সবাই দেহধারী সামাজিক কর্মী , তোমরাই রুহানি l তোমাদের শিক্ষক পরম রুহ্ পরম রুহ্ (আত্মা ) হলেন তোমাদের শিক্ষক l প্রত্যেক আত্মাকে বলো - বাবাকে স্মরণ করো l বাবার জন্যই পতিত -পাবন গাওয়া হয় l তোমাদের অধঃপতন হতে ৮৪ জন্ম লেগে যায় l কিন্ত ওপরে উঠতে এক সেকেন্ড সময় লাগে l এটা তোমাদের এই মৃত্যুলোকে অন্তিম জন্ম , মৃত্যুলোকের বিনাশ , অমরলোকের জয় l একে অমর কথা বলা যায় l অমর বাবা এসে তুমি-অমর আত্মাকে অমর যুগে নিয়ে যাওয়ার জন্য অমর কথা শোনাচ্ছেন l বাবা বলেন - আচ্ছা , অন্য কথা ভুলে গেলেও নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে আমি এক্-বাবাকে স্মরণ করো l বুদ্ধির যোগ আমার সাথে লাগাও তবে তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে তোমরা পুণ্য আত্মায় পরিণত হয়ে যাবে l তোমরা মনুষ্য থেকে দেবতা হচ্ছ , এটা নতুন কোন কথা নয় l ৫ হাজার বছর বাদে বাবা এসে তোমাদের রাজ্যাধিকার দেন , পরে আবার রাবন অভিশাপ দেয় - এই হ'লো সৃষ্টির খেলা l এসব ভারতেরই কাহিনী l এই কথা বাবাই বুঝিয়ে দেন , কোনও বেদ -শাস্ত্র ইত্যাদিতে নেই , এইজন্য গড ফাদার(God Father) -কেই দয়াময় , শান্তিময়, আনন্দময় বলা হয়ে থাকে l তোমাদেরও নিজের সমান বানান l তুমিও পূজ্য ছিলে, নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী l এসব ভগবানের জন্য নয় l তোমাদের ভারতবাসীদের কথা, তুমি প্রথমে শুধু এক শিবের ভক্তি করতে , নিয়ম-নিষ্ঠার ভক্তি পরে দেবতাদের ভক্তি শুরু করেছ তারপরেই নীচে নামতে নামতে নেমেই গেছ l
    এখন আবার তোমরা দেবী -দেবতা হওয়ার জন্য তৈরী হচ্ছে, যারা কম পড়ে তারা প্রজা পদে চলে যায় l যারা রীতি অনুযায়ী ভালো পড়ে আর পড়ায় , তারা রাজ্য অধিকারী হয় । আগের কল্পের মতই তোমরা পুরুষার্থ করছো l পুরুষার্থ করার অভ্যাস দ্বারা বোঝা যায় মালাতে কে কে আসবে l প্রজাতেও কেউ গরীব আবার কেউ কেউ সাহুকার পদ পায় l ভক্তিমার্গে ঈশ্বরকে অর্থ দান করে l কেন ঈশ্বরের কাছে কি নেই ? অথবা বলে, কৃষ্ণ অর্পণম্ l কিন্তু বাস্তবে হয় ঈশ্বর অর্পণম্ । মনুষ্য যা কিছু করে তার ফল পরের জন্মে পায় l এক জন্মের জন্যই পেয়ে থাকে l এখন বাবা বলছেন - আমি এসেছি ২১ জন্মের রাজ্যাধিকার দিতে l শ্রীমৎ অনুসারে মনসা -বাচা -কর্মনা দ্বারা পুরুষার্থ করলে ২১ জন্মের জন্য আমার অর্থ তোমাদের প্রাপ্তি হয় l যারা কম পুরুষার্থ করে তাদের এক জন্মের জন্য অল্প সময়ের সুখ হয় l বাবা বোঝান এখানে তোমাদের সবকিছুই মাটিতে মিশে যায় , এইজন্য সঙ্গমের এক জন্ম সফল করে নাও l তোমরা এখানে রুহানি বিশ্ববিদ্যালয়ে রুহানি হাসপাতালের বিধি-ব্যবস্থা করো যেখান থেকে সব চিরস্বাস্থ্যবান , চিরসম্পদশালী তৈরী হবে l এর থেকে অনেক উপার্জন হয়, যোগের দ্বারা স্বাস্থ্য আর চক্রের রহস্য জানলে সম্পদ প্রাপ্তি হয় l তাই ঘরে ঘরে এরকম বিশ্ববিদ্যালয় আর হাসপাতালের ব্যবস্থা করো l ধনে -মানে -ঐশ্বর্যে বড় কোনও মানুষ বড় খুলুক যেখানে অনেকে আসতে পারে l বোর্ডে লিখে দাও l যেরকম পরিবেশবিদরা লেখে l বাবা সারা দুনিয়ার প্রকৃতির পরিবর্তন ঘটিয়েই পবিত্র করে দেন l এইসময় সকলে অপবিত্র l সমস্ত দুনিয়াকে চিরস্বাস্থ্যবান , চির সম্পদশালী বানানোর কারিগর বাবা , যিনি এখন তোমাদের -বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন l তোমরা হচ্ছো সবচেয়ে মিষ্টি বাচ্চা l আচ্ছা !

    মিষ্টি - মিষ্টি (সিকিলধে) হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা , বাপদাদার স্মরণ -স্নেহ আর সুপ্রভাত l রুহানি (পরমাত্মা ) বাবার রুহানি (আত্মা ) বাচ্চাদের নমস্কার l

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

    ১) নিজের এই অমূল্য জীবনকে রুহানি সেবায় লাগাতে হবে l বিশেষতঃ ভারত ,বাকি সব দুনিয়াকে সেবা করতে হবে l

    ২) নিজের সবকিছু সফল করার জন্য সরাসরি ঈশ্বরার্থে অর্পণ করতে হবে l রুহানি হসপিটাল আর ইউনিভার্সিটি খুলতে হবে l

    বরদান :- 

    সদা নিজের রাজবংশের স্মৃতি দ্বারা উচ্চ স্থিতিতে থাকা রুহানি বাচ্চারা গুণমূরত ভব (হও )

    যারা রাজবংশের হয় তারা কখনও ধরণীর মাটিতে পা রাখেনা l এখানে দেহ -অভিমান হল মাটি, এর বশে এসোনা না , এই মাটি থেকে সবসময় দূরে থাকো l সর্বদা স্মৃতিতে থাকবে উচ্চ থেকেও উচ্চ , বাবার রাজপরিবারের , উচ্চ স্থিতিতে থাকা বাচ্চাদের তো নীচের দিকে নজর যায় না l সদাই নিজেকে গুণমূরত দেখতে দেখতে উচ্চ স্থিতিতে স্থির থাকো l দুর্বলতা (কমজোরি) দেখ আর বিনাশ করো l দুর্বলতা (কমজোরি) নিয়ে ভাবলে সেই খামতি থেকেই যাবে । 

    স্লোগান :- 

    রাজকীয় ভাব তারই থাকে যে হাসিমুখে জ্ঞানগঙ্গা প্রবাহিত করে পবিত্রতার রাজকীয় সুখের অনুভব করায় |

    ***OM SHANTI***