BK Murli 9 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 9 May 2016 In Bengali

     ০৯-০৫-২০১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মীঠে বাচ্চে - বাবা এসেছেন , তোমাদের অর্থাৎ সকল বাচ্চাদের নিজ সম মহিমা মন্ডিত করতে , বাবার যা মহিমা সেসব এখন তোমরাও ধারণ করছো"
    প্রশ্ন :- 

    ভক্তিমার্গে পরমাত্মা প্রিয়তমকে সম্পূর্ণ না জেনেও কোন্ শব্দ খুব ভালোবাসা সাথে বলে আর স্মরণ করে ? 

    উত্তর :- 

    খুব ভাব-ভালোবাসা সহ বলে আর স্মরণ করে হে প্রিয়তম তুমি যখন আসবে তখন আমরা কেবল তোমাকেই স্মরণ করব অন্য সমস্ত বিষয় থেকে বুদ্ধিযোগ মিটিয়ে তোমার সঙ্গে যুক্ত হব। এখন বাবা বলেন - বাচ্চারা , আমি এসেছি তাই দেহি-অভিমানী ( আত্মা অভিমানী ) হও। তোমার প্রথম কর্তব্য হল - ভালবেসে বাবাকে স্মরণ করা।


    ওমশান্তি ! 

    মিষ্টি মিষ্টি জীব-আত্মাদের , পরমপিতা পরমাত্মা ( যিনি এখন দেহ লোন নিয়েছেন ) বসে বোঝাচ্ছেন যে আমি সাধারণ বৃদ্ধ দেহে প্রবেশ করি। এসে অনেক বাচ্চাদের পড়াই। ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরই শিক্ষা দিই। নিশ্চয়ই মুখ দিয়ে বলে বোঝাবে আর কিভাবে কাকেই বা বোঝাবে । বলেন - বাচ্চারা , তোমরা আমাকে ভক্তিমার্গে আহ্বান করেছ - হে পতিত-পাবন , বিশেষভাবে ভারত আর সাধারণভাবে সম্পূর্ণ দুনিয়া এই আহ্বান করেছে । ভারতই পবিত্র ছিলো, বাকি সবাই শান্তিধামে ছিলো । বাচ্চাদের এই কথা স্মৃতিতে থাকা উচিত যে সময়ের কোন ভাগকে সত্যযুগ ত্রেতা বলা হয়, কোন ভাগকে দ্বাপর কলিযুগ বলা হয়। সেইসময় কাদের রাজত্ব ছিল , তোমার বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে । যেমন বাবার রচনা সম্পর্কে আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে তেমনই তোমার বুদ্ধিতেও আছে । বাবা যে জ্ঞান দেন সেসব বাচ্চাদের মধ্যেও থাকা উচিত । বাবা এসে বাচ্চাদের নিজসম করেন। যত বাবার মহিমা ততই বাচ্চাদেরও মহিমা রয়েছে । বাবা বাচ্চাদের একটু বেশী মহিমা সম্পন্ন করেছেন । সর্বদা এই কথা মনে রাখো শিববাবা এঁনার (ব্রহ্মাদ্বারা) দ্বারা আমাদের শিক্ষা দিচ্ছেন । আত্মা-ই একে অপরের সঙ্গে কথা বলে । কিন্তু মানুষ দেহ-অভিমানী হওয়ার কারণে মনে করে অমুক পড়াচ্ছেন । বাস্তবে সবকিছু করে কিন্তু আত্মা । আত্মা-ই পার্ট প্লে করে। দেহি-অভিমানী হতে হবে । প্রতি মূহুর্তে নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে । যতক্ষণ নিজেকে আত্মা ভাববে না ততক্ষণ বাবাকে স্মরণ করতে পারবেনা । ভুলে যাবে। তোমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় - তুমি কার সন্তান ? তো তোমরা বলো আমরা হলাম শিববাবার সন্তান । ভিজিটর বইয়েও লেখা হয় তোমার পিতা কে? তো ঝট করে দৈহিক পিতার নাম বলবে । আচ্ছা - এবারে দেহীর(আত্মার) পিতার নাম বল। তো কেউ কৃষ্ণের কেউ হনুমানের নাম লিখবে অথবা লিখবে আমরা জানি না । আরে, তুমি লৌকিক পিতাকে জানো আর পারলৌকিক পিতা যাঁকে তুমি সর্বদা দুঃখে স্মরণ করো , তাঁকেই জাননা। বলেও সবাই হে ভগবান দয়া করো । হে ভগবান সন্তান দাও। প্রার্থনা করো কিনা । এখন বাবা খুবই সহজ কথা বলছেন । তুমি দেহ-অভিমানে বেশী থাকো সেইজন্য বাবার বর্সার( স্বর্গ প্রাপ্তির ) নেশা স্থায়ী থাকেনা । তোমার তো অনেক নেশায় থাকা উচিত । ভক্তি করেই সবাই ভগবানের সঙ্গে মিলনের খাতিরে । যজ্ঞ , তপ, দান, পুণ্য ইত্যাদি করা সবই হল ভক্তি । সবাই ভগবানকেই স্মরণ করে । বাবা বলেন আমি হলাম তোমাদের স্বামীর স্বামী , পিতার পিতা । সবাই পিতা ঈশ্বরকে স্মরণ করে । আত্মারাই স্মরণ করে । তারা না বুঝে বলেও থাকে ভ্রূকুটির মধ্যিখানে জ্বলজ্বল করে আশ্চর্যজনক এক তারা। রহস্য জানা নেই । তুমি আত্মাকেই জাননা তো আত্মার পিতাকে কিভাবে জানবে । দর্শন হয় ভক্তিমার্গে। ভক্তিমার্গে বিশাল লিঙ্গ রেখে দেয় কারণ যদি বিন্দু রূপ দেখানো হয় তবে তো কেউ বুঝতেই পারবেনা । এই হল সূক্ষ্ম কথা । পরমাত্মাকে অখন্ড জ্যোতি স্বরূপ বলা হয় , মানুষেরা বলে তাঁর বিশাল রূপ । ব্রহ্মসমাজীরা জ্যোতিকে পরমাত্মা বলে। দুনিয়ায় কেউ জানে না পরমপিতা পরমাত্মা হলেন বিন্দু সমান , তাই কনফিউজ হয়েছে । বাচ্চারাও বলে বাবা কাকে স্মরণ করব। আমরা শুনেছিলাম বড় মাপের লিঙ্গ তাকেই স্মরণ করা হয়। এবারে বিন্দুকে স্মরণ করা হবে কিভাবে ? আরে তোমরা আত্মারাও হলে বিন্দু , বাবাও হলেন বিন্দু । আত্মাকে আহ্বান করা হয় , নিশ্চয়ই এখানে এসেই বসবে । ভক্তিমার্গে যে সাক্ষাৎকার কার ইত্যাদি হয় সেসব হল ভক্তি । ভক্তিও একজনের করেনা , অনেককে ভগবান বানিয়ে দিয়েছে । ভক্ত যারা ভক্তি করতেই থাকে তাদের ভগবান কিভাবে বলা যাবে। যদি পরমাত্মা সর্বব্যাপী বলা হয় তবে ভক্তি কার উদ্দেশ্যে করা হয়। তাও আবার বিভিন্ন ধরনের ভক্তি করে।
    বাবা বোঝাচ্ছেন বাচ্চারা এমন ভেবো না আমাদের অনেক বছর বাঁচতে হবে। এখন সময় খুব কাছে এসে গেছে । নিশ্চয় রাখতে হবে বাবাকে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করাতেই হবে। বাবা নিজেই বলেন আমি এঁনার দ্বারা (ব্রহ্মা দ্বারা) তোমাকে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য জানাচ্ছি। গায়নও আছে ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা । এই কথা জানেনা যে নতুন দুনিয়াকে বিষ্ণুপুরী বলা হয় অর্থাৎ বিষ্ণুর দুই রূপ রাজত্ব করতো। কেউ জানেনা যে বিষ্ণু হলেন কে। তুমি জানো এই ব্রহ্মা-সরস্বতী পুনরায় বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে পালনা করেন। ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা অর্থাৎ স্বর্গের পালনা করবেন । তোমার বুদ্ধিতে থাকা উচিত বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর । মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ হলেন তিনি । তিনি এই ড্রামার আদি-মধ্য-অন্ত জানেন । তিনি হলেন পতিত-পাবন , যে কাজ বা পেশা বাবার , সেই পেশা হল তোমাদের । তুমিও পতিত থেকে পবিত্রে পরিণত করো। দুনিয়ায় এক পিতার ৩-৪টে সন্তান হয়, কেউ উঁচু মানের হয় কেউ আবার একটু নীচু । এখানে তোমাদের বাবা একটিই পেশা শেখাচ্ছেন যে তুমি পতিতদের পবিত্র করো। সবাইকে এই লক্ষ্যই দাও যে শিববাবা বলেন আমারে স্মরণ করো। গীতায় কৃষ্ণ ভগবানুবাচ ভুল লিখে দিয়েছে । তোমাকে বোঝাতে হবে ভগবান তো হলেন নিরাকার পুনর্জন্ম রহিত । শুধু এই ভুল হয়েছে । এখন তোমরা কৃষ্ণপুরীর মালিক হতে চলেছো । কেউ রাজধানীতে আসবে কেউ প্রজাতে । কৃষ্ণপুরী বলা হয় কারণ কৃষ্ণ সবার খুব প্রিয় কিনা । বাচ্চা তো সবার প্রিয় । বাচ্চাদেরও মা-বাবার সঙ্গে স্নেহ থাকে । এই স্নেহ বিস্তৃত হয়ে যায়। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন তুমি নিজেকে দেহ ভেবোনা । প্রতি মূহুর্তে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। আত্ম-অভিমানী হও। বাবা হলেন নিরাকার । এখানেও দেহের আধার নিতে হয় বোঝানোর জন্যে । দেহ বিনা বোঝানো যাবে না । তোমাদের তো নিজের দেহ রয়েছে , বাবাকে তো লোন বা ধারে নিতে হয়। কোনো প্রেরণা বা ইনস্পিরেশন ইত্যাদির কথা নেই । বাবা নিজেই বলেন আমি এই দেহ ধারণ করে বাচ্চাদের পড়াই কেননা তোমার আত্মা যে তমোপ্রধান হয়েছে তাকেই সতোপ্রধান রূপে পরিণত করতে হবে । গায়নও আছে পতিত-পাবন এসো, কিন্তু অর্থ বোঝেনা । এখন তুমি বোঝো বাবা এসে কিভাবে পবিত্র করেন। এইসব তুমি জানো। সত্যযুগে শুধু আমাদের ছোটো বৃক্ষ থাকবে , তুমি স্বর্গে যাবে। বাকি সব যত স্থল খন্ড আছে তাদের নাম-গন্ধ থাকবেনা । ভারত খন্ড - ই স্বর্গ হবে। পরমপিতা পরমাত্মা এসে হেভেনের স্থাপনা করেন | এখন হল হেল বা নরক। প্রাচীন ভারতখন্ডই ছিল যেখানে দেবতাদের রাজত্ব ছিল, এখন সেসব নেই । ওঁনাদের এখানে মন্দির আছে , চিত্র আছে। তাই ভারতের কথাই হল কিনা । এই কথা কোনো ভারতবাসীর বুদ্ধিতে নেই যে ভারত স্বর্গ ছিলো , এই লক্ষ্মী-নারায়ণ মালিক ছিল আর কোনো খন্ড ছিলনা । এখন তো অনেক ধর্ম এসে গেছে । ভারতবাসী ধর্ম ভ্রষ্ট , কর্ম ভ্রষ্ট হয়েছে । কৃষ্ণকে শ্যাম-সুন্দর বলে কিন্তু অর্থ বোঝেনা । বরাবর সে শ্যামলা ছিল । কথায় আছে কৃষ্ণকে সাঁপে কেটে ছিলো তাই শ্যাম বর্ণ হয়েছিল । এবারে সে ছিলো সত্যযুগের প্রিন্স , কালো বা শ্যামল হল কিভাবে । এখন তুমি এইসব কথা বুঝতে পেরেছো । কৃষ্ণের মা-বাবা এখন পড়াশোনা করছে । মা-বাবার চেয়েও উত্তম শ্রীকৃষ্ণের গায়ন আছে । মা-বাবার কোনো নামই নেই । নাহলে যে মা-বাবার এমন সন্তান হয় তারাও প্রিয় হওয়া উচিত । কিন্তু এমনটি নয় , মহিমা সমস্ত-টা হল রাধেকৃষ্ণের । মা-বাবার কিছু মহিমা নেই । তোমার বুদ্ধিতে এখন জ্ঞান আছে । জ্ঞান হল দিন , ভক্তি হল রাত। অন্ধকার রাতে হোঁচট খেতেই থাকে ।
    এখন বাচ্চাদের বোঝান হয়েছে - ঘরে থেকে এই সেবা বা সার্ভিস করতে থাকো। কাউকেও বোঝাও তুমি হলে অর্ধকল্পের প্রেমিক , সেই এক প্রিয়ার বা মাশুকের । ভক্তিমার্গে সবাই ওঁনাকে স্মরণ করে তাহলে সবাই প্রেমিক হল কিনা । কিন্তু মাশুককে পুরো জানে না । খুব ভালবেসে স্মরণ করে , হে প্রিয় তুমি এলে শুধু তোমাকেই স্মরণ করব অন্য সবকিছু থেকে বুদ্ধি যোগ মিটিয়ে তোমার সাথেই জুড়ব। এমনই তো গাইতে তাই না , কিন্তু বাবার কাছে আমরা বর্সা কি পাই , সেসব জানা নেই। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন তুমি দেহি-অভিমানী হও। বাবাকে স্মরণ করা হল তোমাদের প্রথম কর্তব্য । পুত্র সর্বদা পিতাকে এবং কন্যা মাতাকে স্মরণ করে । সম- জিন্সের(একই বংশ বা গোত্র) কারণে । পুত্রের বিশ্বাস থাকে পিতার সম্পত্তির অধিকারী হব। কন্যা চিন্তা করে আমাকে পিতৃগৃহ ত্যাগ করে শ্বশুর গৃহে যেতে হবে। এখন তোমাদের নিরাকার এবং সাকার পিতৃগৃহ রয়েছে । আহ্বান করে হে পরমপিতা পরমাত্মা দয়া করো। দুঃখ দূর করে সুখ প্রদান করো, আমাদের উদ্ধার করো , আমাদের পথ নির্দেশিত করো। কিন্তু এইসবের অর্থ বড় বড় বিদ্বান আচার্যরাও জানেনা । বাবা হলেন সর্বের উদ্ধারকর্তা , তিনি হলেনই সর্ব কল্যাণকারী । বাকি তারা নিজেদের কল্যাণ করতে পারেনা অন্যের কিভাবে করবে। এখানে বাবা বলেন আমি গুপ্ত রূপে আসি , খোদা দোস্তের কাহিনী শুনেছ কিনা । এই হল সেতু কলিযুগ আর সত্যযুগের মধ্যিখানে , ঐ পারে যেতে হবে। এই খোদা হলেন পিতাও , বন্ধুও। মাতা পিতা শিক্ষকের পার্টও প্লে করেন। এখানে তোমাদের সাক্ষাৎকার কার হয় আর জাদু বলে দেয়। সাক্ষাতকার তো নওধা ভক্তিতেও হয় খুব তীক্ষ্ণ হয় সেই ভক্তবৃন্দ । দর্শন দাও প্রভু নয়তো আমার মস্তক গ্রহণ করো, তবে গিয়ে সাক্ষাকার হয়, তাকেই নওধা ভক্তি বলা হয়। এখানে নওধা ভক্তির ( শ্রেষ্ঠ না প্রকারের ভক্তি প্রক্রিয়া ) কথা নেই । ঘরে বসে অনেকের সাক্ষাৎকার কার হয়। দিব্য দৃষ্টির চাবি আমার কাছেই আছে । অর্জুনকে যেরকম আমি দিব্য দৃষ্টি দিয়েছিলাম । এই বিনাশ দেখ, নিজের রাজ্যকে দেখ। এখন মামেকম স্মরণ করো তবেই এই স্বরূপে পরিণত হবে । এখন তুমি বুঝেছো যে বিষ্ণু হলেন কে? মন্দির নির্মাতারা নিজেরাই জানেনা । বিষ্ণু দ্বারা পালনার কার্য সম্পন্ন হয়, ৪(চার) ভূজারূপী বিষ্ণুর অর্থই হল - দুই ভূজা পুরুষ রূপের , দুই ভূজা নারী রূপের । বিষ্ণুর দুই রূপ হল লক্ষ্মী-নারায়ণ । কিন্তু কিছুই বোঝেনা । কারুর বিষয়েই জ্ঞান নেই । না-ই শিববাবার বিষয়ে , না-ই বিষ্ণুর । প্রথম প্রথম বাবার আকর্ষণ ছিলো , অনেকে আসতো । প্রথম প্রথম পুরো বারান্দা ভরা থাকতো । জজ্, ম্যাজিস্ট্রেট সবাই আসতো। তারপরেই বিকার নিয়ে মতভেদ আরম্ভ হয় , কথা ওঠে যে শিশু জন্ম না হলে সৃষ্টি চলবে কিভাবে । এটাইতো সৃষ্টি চলার নিয়ম। গীতার কথা ভুলে যায় যে ভগবানুওয়াচ - কাম হল মহাশত্রু , তাকেই তো জিততে হবে। তারা বলতো - স্ত্রী - পুরুষ একত্রে এলেই তাদের জ্ঞান দাও। একজনকে দিওনা। এবারে যুগল অর্থাৎ একত্রে এলে তো দেওয়া হবে। এরকমও হয়েছে দুজনকে একসাথে জ্ঞান দেওয়া সত্বেও কেউ নিয়েছে কেউ নেয়নি। ভাগ্যে যদি না থাকে তবে কি করা যাবে। একজন রাজহাঁস আর অন্যজন বক পাখি স্বরূপ যুগল থাকে। এখানে তোমরা ব্রাহ্মণরা হলে দেবতাদের চেয়েও উত্তম । কারণ জানো যে আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান , শিববাবার সন্তান । সেখানে স্বর্গে তোমাদের এই জ্ঞান থাকবেনা আর নিরাকারী দুনিয়ায় মুক্তিধামেও এই জ্ঞান থাকবেনা । এই জ্ঞান শরীরের সাথেই শেষ হয়। এখন তোমার এই জ্ঞান আছে , এক বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন । এখন এই খেলা এবার সম্পূর্ণ হচ্ছে , সব অ্যাক্টররা হাজির রয়েছে । বাবাও এসে গেছেন । বাকি আত্মারাও এসে পড়েছে। যখন সবাই এসে পড়বে বিনাশ ঘটবে তখন বাবা সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন । সবাইকে যেতে হবে , এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ তো হবেই। আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি সিকীলাধে ( হারিয়ে ফিরে পাওয়া ) বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর গুডমর্ণিংগ । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার:-

    ১. পতিত থেকে পবিত্র করার যে পেশা একমাত্র বাবার , সেই পেশায় মগ্ন হতে হবে । সবাইকে লক্ষ্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে এই দিশানির্দেশ দিতে হবে যে স্মরণ করো আর পবিত্র রূপে পরিণত হও।

    ২. এই ব্রাহ্মণ জীবন হল দেবতা জীবনের চেয়েও উত্তম জীবন , এই নেশাতেই থাকতে হবে। বুদ্ধি যোগ অন্য সবকিছু থেকে মিটিয়ে কেবলমাত্র এক প্রিয়তমকে স্মরণ করতে হবে ।

    বরদান :- 

    কম্পানী আর কম্প্যানিয়ানকে ( সঙ্গ এবং সঙ্গী ) যথার্থ ভাবে বুঝে সহজসঙ্গী হয়ে থাকতে পারে এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান ভব( হও)।

    ব্যাখ্যা :-

    ড্রামাতে সৌভাগ্য ক্রমে তোমরা কিছু অল্প এরকম আত্মারা আছো যাদের সর্ব প্রাপ্তি করায় এমন শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণদের সঙ্গ প্রাপ্ত হয়েছে । সত্য ব্রাহ্মণের সঙ্গ চড়তি কলা ( ঊর্ধ্বগামী) স্বরূপ হয়, তারা কখনোই এমন সঙ্গ পছন্দ করবেনা যা তাদের নিম্নগামী করবে বা গতি অবরুদ্ধ করবে । যে আত্মা সর্বদা শ্রেষ্ঠ কম্পানী বা সঙ্গ চয়ন করে এবং একমাত্র বাবাকেই নিজের সঙ্গী বানিয়ে ভালবাসার সকল কর্তব্য পালন করে সেই আত্মাই হল শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা ।

    শ্লোগান :- 

    মন এবং বুদ্ধিকে একই পাওয়ারফুল বা শক্তিশালী স্থিতিতে স্থির করাটাই হল একান্তবাসী হওয়া ।


    ***OM SHANTI***