BK Murli 12 June 2016 Bengali
১২-০৬-১৬ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি “অব্যক্ত-বাপদাদা” মধুবন রিভাইসঃ ০৮-১০-৮১
ব্রহ্মা বাবার একটি শুভ আশা
আজ বাপদাদা বিজয়ী রত্নদেরকে দেখছেন। আজ ভক্তরা বিজয়া দশমী পালন করছে। ভক্তদের হল জ্বালানো আর তোমাদের বাচ্চাদের হল মিলন উদযাপন করা। জ্বালানোর পরেই তো মিলন উৎসব পালন করা হয়। ভক্তি মার্গেও রাবণকে জ্বালানোর(পোড়ানো) পরেই অর্থাৎ বিজয় প্রাপ্ত করার পরেই কোন্ মিলন দেখনো হয় ? ভক্তির বিষয় গুলিকে তো খুব ভালোই জানো। রাবণ নিধনের পরে কোন্ স্টেজটি আসে ? তার চিহ্ণ কি ? “ভরত মিলাপ”( ভ্রাতা রাম যখন ভাই ভরতের কাছ থেকে রাজ্যভার গ্রহণ করেন)। এটি হল ব্রাদারহুডের স্থিতি। ভাই-ভাই-এর দৃষ্টির নিদর্শন- সেবা এবং স্নেহ। স্নেহের নিদর্শন ভরত মিলাপে দেখানো হয়েছে এবং সেবার নিদর্শন দীপমালা রূপে দেখানো হয়েছে। সেবার সফলতার ভিত্তি হিসাবে দীপমালাকে দেখিয়েছে। সেবার সফলতার ভিত্তি ব্রাদারহুড দেখিয়েছে। এটা না হলে দীপমালা পালন করতে পারবে না। দীপমালা ছাড়া রাজ্য তিলক করতে পারবে না। তো আজকের স্মরণিকা ‘বিজয়া দশমী’ পালন করেছে। এর ভিত্তি হল অষ্টমী, যা আগে পালন করা হয়। অষ্টমী(আট রাত্রি) না হলে বিজয় হয় না। তো কত অব্দি পৌঁছেছো ? অষ্টমী পালন করেছো ? সকলে নব দুর্গা হয়ে গেছো তো ? অষ্ট শক্তি আর এক হলেন সর্ব শক্তিবান বাবা। সর্ব শক্তিবান বাবার সাথে অষ্ট শক্তি স্বরূপ- এমন নব দুর্গা হয়েছো ? দুর্গা অর্থাৎ দূর্গুণ সমাপ্ত করে সর্ব গুণ সম্পন্ন। তখনই দশহরা(বিজয়া দশমী) পালন করতে পারবে। তো বাপদাদা দেখতে এসেছেন যে বাচ্চারা কি দশহরা পালন করেছে ? প্রত্যেকে নিজেকে ভালো করেই জান আর এটাও মানো যে আমি দশহরা পালন করেছি নাকি অষ্টমী! অবিনাশী দিয়াশলাই জ্বালিয়েছি নাকি অল্প ক্ষণের ? রাবণকে জ্বালিয়েছো নাকি তার বংশকেও জ্বালিয়ে দিয়েছো ? রাবণকে সমাপ্ত করেছো নাকি রাবণ রাজ্যকে সমাপ্ত করেছো ?
আজ বতনে শিববাবা আর ব্রহ্মাবাবার আত্মিক বার্তালাপ(রুহ-রুহান) চলছিল- কোন্ সময় ক্লাসের সময়ও বাপদাদা বাচ্চাদের রুহ-রুহান শোনেন। সকল মেজরিটি বাচ্চাকেই, এই প্রশ্নটি যখন করা হয় যে দশহরা পালন করেছো ? না,না না তে হাত তোলে,না হ্যাঁ হ্যাঁ তে হাত তোলে। বাবাকে লেখার সময়ও খুব চতুরতার সাথে উত্তর দেয়। মিথ্যেও বলেনা কিন্তু স্পষ্ট করেও লেখেনা। তিন চারটি বাধা ধরা জবাবের মধ্যে দুই একটিকে বেছে নিয়ে জবাব দেয়। তো ব্রহ্মা বাবা আর শিব বাবার আত্মিক বার্তালাপ চলছিল। ব্রহ্মা বাবা তো গৃহের উদঘাটন করবার জন্য আহ্বান করছেন। কিন্তু সকলের আজকের প্রশ্নের উত্তর কাগজে নয়, মনের সংকল্পের দ্বারা তো বাবার সামনে স্পষ্ট হয়েই গেছে। ক্লাসের সময় বাচ্চি(জানকী দাদী) প্রশ্ন করছিলেন আর বাপদাদা সকলের উত্তর দেখছিলেন(শুনছিলেন)। উত্তরের সার তো শুনিয়েই দিয়েছি শোনাবারও প্রয়োজন নেই, তোমরা বেশী ভালো জান। তোমাদের উত্তর দেখার পরে ব্রহ্মা বাবা কি করলেন ? বড় সুন্দর জিনিস করলেন। ব্রহ্মা বাবার বিশিষ্টতা সম্পন্ন সংস্কারকে তো তোমরা জানই। তিনি তাঁর বিশিষ্টতা সম্পন্ন সংস্কারেরই ভূমিকা পালন করলেন। সেটা কি হতে পারে ? সেই বিষয়টির সম্বন্ধ যখন আদিকালে শিববাবা ব্রহ্মা বাবার শরীরে প্রবিষ্ট হন। রেজাল্ট দেখার পরে তো এক সেকেন্ডের জন্য ব্রহ্মা বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েন, বলেন- আজ আমার একটা কথা আপনাকে পূর্ণ করতেই হবে। কি সেটি ? ব্রহ্মা বাবা বলেন, “আজ আমাকে চাবিটা দিয়ে দিন”। কোন্ চাবি ? সকলের বুদ্ধি পরিবর্তনের, সম্পন্ন বানানোর। প্রথমেও যেমন চাবির নেশা ছিল- খাজানা রয়েছে, চাবি রয়েছে, কেবল খুলতে হবে। তেমনি আজ ব্রহ্মা বাবাও সম্পন্ন বানানোর চাবি বাবার কাছে চাইলেন। সেই সময়ের দৃশ্যটিকে সাকারে অনুভবকারীরাই জানবেন যে ব্রহ্মা বাবা আর বাবার আত্মিক বাতালাপ(রুহ-রুহান) কেমন চলছিল। এখন কি ব্রহ্মা বাবাকে চাবি দেওয়া যায় ? আর ব্রহ্মাকে কি বাবা না করতে পারেন ? তোমরা বাচ্চারা না তো না বলছো, না হ্যাঁ।
কিন্তু এটা ঠিকই যে ব্রহ্মা বাবার প্রবল ইচ্ছা যে বাচ্চাদের সদা সম্পন্ন দেখেন। হতে হবে নয়, এখনই যাতে সম্পন্ন হয়ে যায়। যখনই বাচ্চাদের কথা ওঠে ব্রহ্মার চেহারা দীপমালার মতো হয়ে যায়, এমন প্রবল উৎসাহ আর মাষ্টার সাগরের সমান উচ্চ ঢেউ উৎপন্ন হয়ে যায় যা সেই উৎসাহের উচু ঢেউতে সকলকে সম্পন্ন বানিয়ে প্রজ্জ্বলিত করে দেয়। ব্রহ্মা বাবার সাকারী চরিত্রেও এটা অনুভূত হয়েছে যে ব্রহ্মা বাবার একটি কথা জন্ম থেকেই পছন্দ হতো না, কি সেটি ? নিজের কাজের ক্ষেত্রেও সেটা পছন্দ হতো না আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রও। “করে ফেলবো এক সময় (কখনো )”। এই কথাটা পছন্দ ছিল না। সব কথাতেই এখনই করলাম, এখনই করালাম। সেবার প্ল্যানে দেখো, স্ব পরিবর্তনের বিষয়ে দেখো, এখনই যাও, এখনই করো। এখনো ট্রেনের সময় আছে, তাও যাও, ট্রেন লেট হয়ে যাবে । তো তাঁর কেমন সংস্কার দেখা গেল ? ‘এখনই’, হয়ে যাবে, না। বরং এখনই। তো যেমন বিশেষ ভাষা ‘এখনই’-র বতনে শোনা গেল, এখনই হতে হবে, এই ভাষা শোনা যাচ্ছিল। আর একটি মজার কথা শোনাই, সেটা কি হতে পারে ? ব্রহ্মা বাবা নিজে সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় এটা দেখতে পাচ্ছিলেন না যে বাচ্চারা- কখনো না কখনো তৈরী হয়ে যাবই(কব কব) কেন বলে ? সেইজন্য বাবাকে বারে বারে বলেন, এখনও বাচ্চারা বদলাচ্ছেনা কেন, এরা এরকম করে কেন ? এখনও ওরা এক সময় হয়ে যাবে বলছে কেন ? ব্রহ্মা বাবার আশ্চর্য মনে হয়। ড্রামার বিষয়টি আলাদা, এ রমণীয় মজার ব্যাপার। এমন নয় যে ড্রামাকে জানেন না, কিন্তু বাচ্চাদের এসব দেখে তাদের প্রতি স্নেহের কারণে বাবার সামনে হাসেন। ব্রহ্মা বাবা শিব বাবার সামনে হাসতে পারেন তো ? বাবাও হাসেন। তো এখন ব্রহ্মা বাবা কি চান, এটা জেনে গেছ তো ? এখন মুক্ত হয়ে, মুক্তিধামের গেট খুলবার কাজে বাবার সাথী হও। এ হল ব্রহ্মা বাবার বাচ্চাদের প্রতি শুভ আশা। আগে এই দীপাবলী পালন করো, বাবার শুভ আশার দীপক জাগাও। এই একটি দীপক থেকে দীপমালা স্বতঃতই জেগে উঠবে। বুঝেছো ? আচ্ছা- পরে ভরত মিলাপের রহস্য শোনাবো। আচ্ছা-
এইরূপ বাপদাদার শ্রেষ্ঠ সংকল্পকে সাকারে যারা নিয়ে আসে, অবিনাশী দৃঢ় সংকল্পের দিয়া শলাকা লাগিয়ে অবিনাশী বিজয়ী যারা হবে, সাকার বাবার সমান সদা “এখনই” -র ভাষাকে কর্মে আনয়নকারী, কখনোকে সমাপ্ত করে সকলকে সাকার বাবার মূর্তিকে, নিজ চেহারার মাধ্যমে যারা তুলে ধরে, এমন বিজয়ী রত্নদেরকে বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা এবং নমস্কার।
কুমারীদের প্রতি - কুমারীরা তো হলই উড়ন্ত বিহঙ্গ, কেননা কুমারী অর্থাৎ সদা হাল্কা। কুমারী যাদের কোনো বোঝা নেই। হাল্কা জিনিস তো উপরেই যাবে তাই না ! সদা উপরে যাওয়া মানেই হল উঁচু স্টেজে যাওয়া। তা তোমরা এমন হয়েছো তো ? কত দূর পৌঁছেছো ? যা বাবার শ্রীমত রয়েছে সেই অনুযায়ী, সেই রেখার মধ্যে সদা উপরে উড়তে থাকে। তো রেখা বা গন্ডির মধ্যে যে থাকে তাহলে সে কে হল ? সত্যিকারের সীতা। তো তোমরা সকলেই সত্যিকারের সীতা তো ? পাক্কা ? রেখার বাইরে পা রাখলে তো রাবণ এসে যাবে। রাবণ অপেক্ষা করে থাকে যেই রেখার বাইরে পা রাখবে আর আমি নিয়ে পালাবো ! তো কুমারী অর্থাৎ সত্যিকারের সীতা। এখান থেকে বাইরে গিয়ে বদলে যেওনা। কেননা মধুবনে বায়ুমন্ডলের বরদানের প্রভাব থাকে, এখানে এক্স্ট্রা লিফট পাওয়া যায়,ওখানে পরিশ্রমের দ্বারা চলতে হয়। কুমারীদেরকে দেখে বাপদাদার হাজার গুন আনন্দ হয়, কেননা কসাইদের থেকে বেঁচে গেছে। তো বাবা খুশী হবেন না ! আচ্ছা- এখন পাক্কা প্রতিজ্ঞা করে যেও।
পান্ডবদের প্রতি - সকল পান্ডব সর্ব শক্তি স্বরূপ তো ? সর্বশক্তিবানের সামনে শক্তি হয়ে যাও আর নিজের ভুমিকা পালন করবার সময় পান্ডব হয়ে যাও। সর্বশক্তিবানকে শক্তি হয়ে স্মরণ না করলে মজা আসবে না। আত্মা হল সীতা আর তিনি হলেন রাম। তো এই ভূমিকাতেও আনেক মজা রয়েছে। সবচেয়ে ওয়ান্ডারফুল হল সঙ্গমের এই পার্ট যেখানে পান্ডব শক্তি হয়ে যায় আর শক্তিরা ভাই হয়ে যায়। এতে সিদ্ধ(প্রমাণিত) হয়ে যায় যে দেহভান ভুলে গেছে। আত্মার মধ্যে উভয় সংস্কারই রয়েছে, কখনও মেল-এর, কখনও ফিমেলের ভূমিকায় অভিনয় করেছে না ! সঙ্গম যুগে তোমাদের মজা হল প্রিয়া হয়ে প্রিয়তমকে স্মরণ করা। শক্তি হয়ে সর্বশক্তিমানকে স্মরণ করা। সীতা হয়ে সর্বশক্তিমানকে স্মরণ করা।
মাতাদের প্রতি - শক্তিসেনা সদা শস্ত্রধারী তো ? শক্তির শৃঙ্গারই হল শস্ত্র। যে সদা শস্ত্রধারী হয়, সে-ই মহাদানী বরদানী হয়। সর্বদা শস্ত্রগুলি সাথে থাকে তো ? কখনো কখনো না, সদা। শক্তিদের তপস্যাই সর্বশক্তিবানকে এনেছে। এখন শক্তিদেরকেই সর্বশক্তিবানকে প্রত্যক্ষ করাতে হবে। প্রতিটি কদমে বরদান দিয়ে যাও, শুভ ভাবনার সাথে সকলকে বরদান দিতে হবে।
সুখদাতার বাচ্চারা সদা সুখ স্বরূপ হয়েছো তো ? সদা মিলন মেলার খুশিতে ঝুলতে থাকো তো ? খেতে, বসতে, চলতে ফিরতে অশোক, অর্থাৎ সংকল্প মাত্রতেও দঃখের ঢেউ যেন না থাকে। সদা সুখ স্বরূপ। যারা দুঃখকে তালাক দিয়ে দেয়, কেননা দুঃখের দুনিয়াতে আধা কল্প থাকলে, এখন হল সুখের পালা। সুখের সাগর মিলে গেছে যখন তখন দুঃখ কিসের। সদা খুশী- এই বরদান বাবার থেকে চিরকালের জন্য পাওয়া হয়ে গেছে। আচ্ছা।
প্রশ্নঃ- স্থূল সাধন(উপকরণ) যখন সমাপ্ত হয়ে যাবে সেই সময় সেবা করবার জন্য এখন থেকে কোন বিষয়টির উপরে নজর দিতে হবে ?
উত্তরঃ- নিজের সংকল্পকে শক্তিশালী বানানোর উপরে নজর দেওয়া প্রয়োজন যাতে তার প্রভাব অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। সংকল্পে এতটাই শক্তি এসে যায় যে আপনি এখানে সংকল্প করলেন আর ওখানে তার ফল পাওয়া গেল। যেমন বাবা ভক্তির ফল দিয়ে থাকেন তেমনি তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা পরিবারে সহযোগের ফল দাও আর সেই ফলের ভিন্ন ভিন্ন অনুভব করো। এখন এই সেবা আরম্ভ করো।
প্রশ্নঃ- বাপদাদার দ্বারা কোন্ কোন্ অবিনাশী খাজানা প্রাপ্ত হয়েছে ? সেই খাজানার থেকে কি কি প্রাপ্তি হয়েছে ?
উত্তরঃ- ১ - প্রথম সবচেয়ে বড় খাজানা হল জ্ঞান ধন, যার দ্বার পুরানো দেহ এবং দুনিয়া থেকে মুক্ত, জীবনমুক্ত স্থিতির প্রাপ্তি হয় এবং আত্মা মুক্তি ধামে যায়। ২ - যোগের খাজানার দ্বারা সর্ব শক্তির প্রাপ্তি হয়। ৩ - ধারণা করবার খাজানার দ্বারা সর্ব গুণের প্রাপ্তি হয়। ৪ - সেবার খাজানার দ্বারা আশীর্বাদের(দুয়া) খাজানা, খুশীর খাজানা প্রাপ্ত হয়। ৫ - সঙ্গম যুগে সময়ের খাজানা হল সবথেকে অমূল্য খাজানা, যার দ্বারা সকল খাজানাকে জমা করতে পারো।
প্রশ্নঃ- সঙ্গমের সময় অমূল্য কেন ?
উত্তরঃ- কেননা সঙ্গমেই পরমাত্ম পিতা আর পরমাত্ম বাচ্চাদের মধুর মিলন হয়, যা আর কোনো যুগেই হয় না। ২ - সঙ্গম সময়েই বাপদাদার দ্বারা সর্ব খাজানার প্রাপ্তি হয়, আর কোনো যুগেই জমার খাতা, জমা করবার ব্যাঙ্কই হয় না। ৩ - সঙ্গমের সময়, এই একটি জন্মেই অনেক জন্মের জন্য খাজানা জমা করতে পারো।
প্রশ্নঃ- খাজানা প্রদানকারী হলেন এক, সকলকে তিনি একই রকম এবং একই সময় দিয়ে থাকেন, কিন্তু সেই খাজানা ধারণ নম্বর অনুযায়ী হয়ে থাকে, কেন ?
উত্তরঃ- কেননা ধারণ করবার ক্ষেত্রে পুরুষার্থ হল আলাদা আলাদা। কেউ নিজের পুরুষার্থের দ্বারা প্রারব্ধ বানাতে পারে, কেউ সদা স্বয়ং সন্তুষ্ট থাকা এবং সকলকে সন্তুষ্ট করা, সন্তুষ্টতার বিশেষত্বের দ্বারা খাজানা জমা করতে পারে এবং কেউ সেবার থেকে খুশীর খাজানা প্রাপ্ত করতে পারে।
প্রশ্নঃ- সম্বন্ধ- সম্পর্কে আসার সময় কোন্ বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখলে সেবায় পুণ্যের এবং আশীর্বাদের খাতা খুব সহজেই জমা করা যায় ?
উত্তরঃ- সদা নিমিত্ত ভাব, নির্মাণ ভাব, প্রত্যেক আত্মার প্রতি শুভ ভাবনা এবং শুভ কামনা থাকলে সেবায় বা সম্বন্ধ- সম্পর্কে আসার সময় পুণ্যের খাতা এবং আশীর্বাদের খাতা খুব সহজেই জমা করা যায়। আচ্ছা।
বরদান -
এক বাবার মধ্যেই সমগ্র সংসারকে অনুভবকারী অনন্তের(বেহদের) বৈরাগী ভব
বেহদের বৈরাগী সে-ই হতে পারে যে বাবাকেই নিজের সংসার মনে করে। যার কাছে বাবাই হল সংসার। সে সংসারেই থাকে কিন্তু অন্য কারো দিকে যাবেই না, আপনা আপনি অন্যদের কাছ থেকে স্বতন্ত্র হয়ে যায়। সংসারে ব্যক্তি এবং বৈভব সব এসে যায়। কাউকে দেখেও দেখতে পায় না । সে দেখতেই পায় না ।
শ্লোগান -
পাওয়ারফুল স্থিতির অনুভবের জন্য একান্ত এবং রমীয়তার সামঞ্জস্য(Balance) রাখো।