BK Murli 7 June 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 7 June 2016 Bengali

     ০৭-০৬-১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মীঠে বাচ্চে - তুমি হলে মহান সৌভাগ্যশালী কেননা তোমাকে স্বয়ং ভগবান সেই পাঠ পড়াচ্ছেন যে পাঠ কোনো ঋষিমুনি আজ পর্যন্ত পড়েনি"

    প্রশ্ন :- 

    ড্রামায় খচিত কোন্ ভবিতব্যের কথা তোমরা বাচ্চারা জানো , দুনিয়ার মানুষ জানেনা ?

    উত্তর :- 

    তুমি জানো এই রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়। এখন সম্পূর্ণ পুরনো দুনিয়া এই অগ্নি জ্বালায় ভস্ম হবে। এই ভবিতব্যকে কেউ এড়াতে পারবেনা । এই হল এইরূপ অশ্বমেধ অবিনাশী রূদ্র যজ্ঞ যাতে সমস্ত সামগ্রী ভস্ম হবে তখন আমরা আর এই পতিত দুনিয়ায় ফিরবো না। ইহাকে ঈশ্বরীয় ভবিতব্য নয় , ড্রামায় খচিত ভবিতব্য বলা হবে।

    গান:- 

    মুখটা দেখে নে মানব নিজ দর্পণে....

    ওমশান্তি ! 

    তোমরা বাচ্চারাও হলে মানুষ । এইটা তো হলই মনুষ্য সৃষ্টি । এইসময় তোমরা হলে ব্রাহ্মণ ধর্মের মানুষ । বাবা শিক্ষা দেন আত্মাদের । আত্মা এখন নিজের স্বধর্মকে জানে যে আমরা হলাম এই শরীরটাকে চালানোর শক্তি । আত্মার এই হল রথ। যেমন বাবা এই রথে বিরাজিত , তোমার আত্মাও তোমার শরীর রূপী রথে বিরাজিত । শুধু আত্মা এই জ্ঞান ভুলেছে যে আমরা হলাম শান্ত স্বরূপ আত্মা । আমাদের নিবাস স্থান হল মুলবতনে অর্থাৎ পরমধামে । এই শরীর আমরা এইখানে প্রাপ্ত করি। নিজের সঙ্গে এমন এমন কথ্য বলা উচিত । বাবা বলেন তোমরা আত্মারা হলে শান্ত স্বরূপ । যদি তুমি শান্তিতে বসতে চাও তাহলে নিজেকে আত্মা মনে করে পরমধামের নিবাসী ভাবো । একটু সময় শান্তিতে বসতে পারো। মানুষতো শান্তিই কামনা করে । মনের শান্তি চাই এই কথা তো আত্মা-ই বলে , কিন্তু মানুষ জানেনা যে সে নিজেই হল আত্মা । সেকথা ভুলে গেছে । একটি কাহিনী আছে না - রানীর গলায় হার রয়েছে তবুও সে বাইরে খুঁজছে । তাই বাবাও বোঝাচ্ছেন শান্তি তো হল তোমার স্বধর্ম । বাচ্চারা বুঝেছে আমরা আত্মারা হলাম শান্ত স্বরূপ । এখানে আসি পার্ট প্লে করতে । এই অরগান অর্থাৎ শরীরের ইন্দ্রিয় গুলি থেকে ডিট্যাচ হলেই তো আত্মা হয় শান্ত স্বরূপ । আত্মা নিজের শান্ত স্বরূপে যতক্ষণ চায় বসতে পারে। যখন চায় এই শরীর দ্বারা কর্ম না করি , তখন শান্ত হয়ে বসে যায়। এই হল সত্যিকারের শান্তি , যা তুমি আর খোঁজো না। তোমার স্ব-ধর্ম হল শান্তি । এখন এখানে পার্ট প্লে করছ। বাবা দ্বারা জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে , আমরা ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করেছি। এই ৮৪ জন্মের চক্রের কথা কারুর জানা নেই । শুধুমাত্র তোমরা বাচ্চারাই জানো। প্রথমে আমরা সূর্য্যবংশী রাজা বা প্রজা ছিলাম , আমরাই হই চন্দ্রবংশী সেই হই বৈশ্যবংশী , শেষে হই শুদ্রবংশী। এখন আবার আমাদের সূর্য্যবংশী রূপে পরিণত হতে হবে ।

    তোমরা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের কথা জেনেছো । তোমরা হলে কত সৌভাগ্যশালী । বাবাতো যথার্থ কথাই বলেন। এই হলই সদ্গতির পথ। এই কথা বোঝাতে হবে যে সর্বের সদ্গতি দাতা হলেন এক। এখন জেনেছো বাবা এসে আমাদের ২১ জন্মের জন্যে সদ্গতি দিচ্ছেন । বাইরের মানুষ এইসব কথা জানেনা । তোমরা ব্রহ্মাকুমার- ব্রহ্মাকুমারীরা জানো। কেউ জিজ্ঞাসা করলে তোমরা বী.কে.রা কি জানো? পরীক্ষা তো হওয়াই উচিত যে আদৌ ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী কিনা। যদি তোমরা ব্রহ্মার সন্তান তাহলে সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের কথা নিশ্চয়ই জানবে । বাবা যিনি হলেন রচয়িতা ওঁনাকে কি জানো ? ঋষিমুনি রচয়িতা এবং রচনার বিষয়ে কিছুই জানেননা। স্কুলে সর্বপ্রথম অশিক্ষিতরাই আসে। পরে বলবে স্কুলে এইসব পড়েছি । এখন তুমি ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করছো। পরমপিতা পরমাত্মা তোমাদের পড়াচ্ছেন । এইসব কথা বুদ্ধিতে থাকা উচিত । রচয়িতা তো হলেন একমাত্র শিববাবা। রূদ্রের দ্বারা জ্ঞান যজ্ঞের রচনা হয়েছে এই কথাতো শাস্ত্রেও আছে । এবারে রূদ্র এবং শিব পরমাত্মার মধ্যে কোনো তফাত তো নেই । এই কথাও রয়েছে যে রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা অর্থাৎ অগ্নি পুঞ্জ উৎপন্ন হয়েছে । শুধু রূদ্র শিবের স্থানে কৃষ্ণের নাম দিয়েছে। সেই গীতাই হল। বলেছে এই জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা প্রজ্বলিত হয়। তাহলে স্ব-রাজ্য প্রাপ্তির জন্যে এই হল জ্ঞান যজ্ঞ। এতে পুরনো দুনিয়ার সমাপ্তি হবে। যজ্ঞে সবকিছু আহুতি দেওয়া হয়। সবকিছু অর্পণ করা হয়। এই রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞে পুরনো দুনিয়ার সমাপ্তি হবে। তোমরা এখন রাজযোগ শিখছো । এই পতিত দুনিয়ায় আর ফিরতে হবেনা । এই দুনিয়া শেষ হবে। তুমি জানো নেচরল ক্যালামিটিজ ইত্যাদি সব হবে। এই সমস্ত কিছু তোমার বুদ্ধিতে থাকা চাই। শিববাবা বলেন আমার বুদ্ধিতে সমস্ত জ্ঞান রয়েছে । বাবা হলেন সত্য , চৈতন্য , জ্ঞানের সাগর । সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানেন। ঋষিমুনি বলেন আমরা রচয়িতা এবার রচনার আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানিনা । তোমাদের জিজ্ঞাসা করবে তোমরা কি প্রাপ্ত করো? বলো যে বিষয়ে বড় বড় ঋষিমুনিরা বলেছেন আমরা রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তের কথা জানিনা , সেই কথা আমরা জানি। রচয়িতা বাবা ছাড়া রচনার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য কেউ বোঝাতে পারেনা। রচয়িতা স্বয়ং বোঝাবেন । তোমরা জানো মক্ষীরানী হয়। রানীর সাথে পিছনে পিছনে সব মক্ষীরা গমন করে। রানী অর্থাৎ মা - তার সঙ্গে তাদের কত সম্বন্ধ থাকে । বেহদের বাবাও এসে সব বাচ্চাদের সঙ্গে করে নিয়ে যান। তুমি জানো বাবা এসে গেছেন , আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন - শান্তিধামে । পুনরায় সত্যযুগের পার্ট আরম্ভ হবে। যে পার্ট প্লে করার জন্যে তুমি এই দেবী-দেবতা পদ প্রাপ্ত করছ। এখানে তুমি এসেই থাকো দেবতা হতে । সব গুণ এখানেই ধারণ করতে হবে। এই লক্ষ্মীনারায়ণ রূপ ধারণ করতে হবে। এঁনাদের দিব্য দৃষ্টি ছাড়া কেউ দেখতে পারবেনা । এখন তুমি জানো আমরা সূর্য্যবংশী দেবতা রূপে পরিণত হব। তোমার বুদ্ধিতে রয়েছে স্বর্গের রাজধানী কিভাবে স্থাপন হচ্ছে । সত্যযুগে ছিলই দেবতাদের রাজ্য কিন্তু দেবতাদের রাজ্যে আবার রাক্ষস ইত্যাদি দেখানো হয়েছে । এই কথা কেউ জানেনা । ভারত কত পবিত্র ছিল , মহিমা গায়নও আছে সর্বগুন সম্পন্ন । তাঁদের সম্মুখে মাথাও নোয়ায় । মন্দির অনেক আছে । কিন্তু এই কথা জানেনা যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম সত্যযুগের কবে কিভাবে স্থাপন হয়েছে ? ভারত যে এত উঁচুতে ছিল এতো নীচে কিভাবে নামল? এইসব কথা কারুর জানা নেই । বলা হয় এইসব হল ভবিতব্য। ককিসের ভবিতব্য? সে কথাও বোঝেনা । ড্রামায় এইরূপ রচিত সে কথা বুঝলে তবেতো । ড্রামার রচয়িতা ক্রিয়েটার কে? শুধু বলে ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুরূপ সবই ভবিতব্য। ড্রামা বললে ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের কথাও জানতে হবে। শুধু বই পড়লে ড্রামার কথা জানবেনা। যতক্ষণ না এই ড্রামা কেউ চোখে দেখছে । যেমন খবরের কাগজে পড়েছে - কৃষ্ণ চরিত্রের একটি ড্রামা আছে কিন্তু না দেখলে বুঝবেনা। দেখলে তবে বুঝবে ড্রামায় এইসব হওয়ার কথা । তোমরাও ড্রামাকে এখনই বুঝেছো । মানুষ বলে - দুনিয়ার ইতিহাস ভূগোলের এই চক্র ঘুরতেই থাকে । কিন্তু কিভাবে ঘুরছে সে কথা জানেনা । নামও লেখা আছে - সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ তারপর সঙ্গমযুগ। কিন্তু মানুষ ভাবে যুগে-যুগে আসেন। সত্যযুগ ত্রেতারও সঙ্গম হয়। কিন্তু সেই সঙ্গমের কোনো গুরুত্ব নেই । সেখানে তো কিছু হয়না । এইসব কথা তুমি জানো যে সত্যযুগী সূর্য্যবংশীরা চন্দ্রবংশীদের কিভাবে রাজত্ব দিয়েছে । এমন তো নয় চন্দ্রবংশীরা সূর্য্যবংশীদের হারিয়ে রাজত্ব নিয়েছে । না, যে চন্দ্রবংশী রাজা হয় তাকে সূর্য্যবংশী রাজা- রানী তাকে রাজ্য ভাগ্যের তিলক দিয়ে সিংহাসনে বিরাজিত করে। রাজা রাম, রানী সীতার টাইটেল প্রাপ্ত করে। কারা দিয়েছে ? বলবে সূর্য্যবংশীরা ট্রান্সফার করেছে , এবারে তুমি রাজত্ব করো। যেসব সীন তোমরা সাক্ষাতকারে দেখো। বাকি কোনো রকম লড়াই ইত্যাদি হয়না । যেমন করে রাজত্ব প্রদান করা হয় তেমন ভাবেই কার্য সম্পন্ন হয়। তাদের চরণ প্রক্ষালণ অর্থাৎ পা ধুয়ে রাজ্য তিলক করানো হয়। সেখানে কোনো গুরু গোঁসাই তো থাকেনা । এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমরা দৈবী স্বভাবে পরিণত হচ্ছি । সূর্য্যবংশী চন্দ্রবংশী রাজ্যে আমরা কত সুখে বাস করব। বাবা আমাদের দুঃখ থেকে মুক্ত করে সুখের দুনিয়ায় নিয়ে যাচ্ছেন আর কেউ সুখী করতে পারবেনা । সাধুসন্ন্যাসীরা এইটাই তো চেয়ে থাকেন যে আমরা যেন শান্তিধাম যাই। বাবা বলেন আমি এই সাধু সন্ন্যাসীদেরও উদ্ধার করে সবাইকে শান্তিধাম নিয়ে যাই। সন্ন্যাসীরা আসেনই দ্বাপর যুগে । স্বর্গে তো কেবল আমরা দেবতারাই বাস করি। সেখানেও সব আলাদা আলাদা সেক্শান রয়েছে । সূর্য্যবংশীদের আলাদা , চন্দ্রবংশীদের আলাদা , তারপর ইস্লামী বৌদ্ধী সন্ন্যাসী ইত্যাদি যারা আসেন সকলের সেক্শান আলাদা আলাদা রয়েছে । যখন আমাদের রাজত্ব ছিল তখন অন্য কেউ ছিলনা । মুলবতনে এমন মালা ক্রমানুযায়ী রচিত । আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্মের আত্মাদের প্রথম বংশাবলী । তারপর আরও অনেক বংশের উৎপত্তি হয়। এই বংশাবলী হল উচ্চ থেকে উচ্চ আর অন্য ধর্ম স্থাপকের উৎপত্তি এখান থেকেই হয়। তোমরা বলবে ইস্লামীদের বংশাবলী দ্বিতীয় নম্বরে আসে। বৌদ্ধীদের তৃতীয় নম্বর । আমরা হলাম ফার্স্ট , বাকি সব হদের ছোট ছোট তো লক্ষ লক্ষ হবে। এখানে তো হল চারটি মুখ্য বংশাবলী । সর্বপ্রথম আমরা আসি তারপর ইস্লামী বৌদ্ধী ক্রিশ্চিয়ানরা আসে । এখন আমাদের পতন ঘটেছে । আমাদেরকেই ৮৪ জন্ম নিয়ে পার্ট প্লে করতে হবে। যারা এখন লাস্টে রয়েছে তারা-ই আবার ফার্স্টে যাবে। দেবী-দেবতারা এখন পতিত হওয়ার দরুন নিজেদের দেবী-দেবতা সম্বোধন করতে পারবেনা । দেবতাদেরই পূজো হয় এর থেকে এই প্রমাণ হয় এই হল তাদের বংশাবলী । সিখ ধর্মের লোকেরা গুরুনানকের স্মরণ করে, তাঁর বংশাবলী । সত্যযুগে প্রথম বংশাবলী হল আমাদের । এর চেয়ে উত্তম বংশাবলী অন্য আর একটিও নেই । আমরা উচ্চ থেকে উচ্চ বংশাবলীর সদস্য । আমরাই সবচেয়ে বেশী সুখ ভোগ করি , তারপরে তারাই আবার কাঙাল হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশী দুঃখ ভোগ করে। ঋণ ইত্যাদি নিয়ে থাকে । কত ধনী ছিলো এখন কত দরিদ্র হয়েছে । সবকিছু হারিয়েছে । এই হল দুঃখধাম । এখন বাবা আবার তোমাদের সুখধামের মালিক করছেন । বাকিরা সবাই যাবে শান্তিধাম । অর্ধকল্প তোমরা সুখ ভোগ করো, বাকিরা শান্তিতে বাস করে। তারা মুক্তিতে যেতে চায়। সুখকে কাক বিষ্ঠা ভেবে নেয়। সুখধামের কোনো অনুভবই নেই । তোমার অনুভব আছে । মহিমাও গাইতেই থাকে কিন্তু পতিত হওয়ার জন্যে ভুলে গিয়েছে। এখন বাবা মনে করিয়ে দিচ্ছেন - হে ভারতবাসী তুমি হলে দেবী-দেবতা ধর্মের । দ্বাপর যুগ থেকে নাম পরিবর্তন হয়েছে । দেবতা ধর্মীয় জনেরাই পতিত স্বরূপে পরিণত হয়েছে । গাইতেও থাকে হে পতিত-পাবন এসো। বাবা বলেছেন তুমি কত জন্ম পবিত্র দুনিয়ায় ছিলে। কত জন্ম পতিত দুনিয়ায় রয়েছ। এখন আবার পবিত্র দুনিয়ায় যেতে হবে। এই হল সব পাঠশালার এক পাঠশালা , সর্ব যজ্ঞের এক যজ্ঞ । সমস্ত পুরনো দুনিয়া এতেই শেষ হবে । হোলিকা দহন হয় ( রঙ খেলার পূর্ব রাত্রে হোলী অর্থাৎ কাঠ জ্বালানো হয় , মান্যতা হল প্রভু স্মরণে রইলে এই অগ্নি কিছুই করতে পারবেনা আর প্রভু প্রেমের রঙে নিজেকে রাঙাও ) সব উৎসব পর্ব বর্তমান সময়েরই প্রতীক চিহ্ন । আত্মা চলে যাবে , শরীর শেষ হবে। এই নলেজ কোনো সন্ন্যাসী ইত্যাদি দিতে পারবেনা । গীতায় কিছু লেখা রয়েছে কিন্তু আটায় লবণের মাত্রা সমান জ্ঞান লুপ্ত হয়ে যায়। শিববাবা বলেন - আমি এই যজ্ঞের রচয়িতা , এতেই তন-মন-ধন সব স্বাহা করো, মৃত সম জীবন কাটাও ( আত্মা মানেই হল মৃত) । এই জ্ঞান তুমি এখন প্রাপ্ত করছ। আচ্ছা !

    মীঠে মীঠে সিকীলাধে ( হারিয়ে ফিরে পাওয়া ) বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার ।

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার:-

    ১. সুখধামে যাওয়ার জন্যে নিজের দৈবী স্বভাব রাখতে হবে। ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্যকে বুদ্ধিতে রেখে প্রফুল্লিত থাকতে হবে। সবাইকে এই রহস্য বোঝাতে হবে।

    ২. স্ব-রাজ্য নিতে হলে এই বেহদের যজ্ঞে জীবিত থেকে নিজের তন-মন-ধন স্বাহা করতে হবে। সব কিছু নতুন দুনিয়ার জন্যে ট্রান্সফার করতে হবে।

    বরদান :- 

    নিজস্ব স্বরূপ দ্বারা ভক্তদের লাইটের ক্রাউন অর্থাৎ আলোর মুকুটের সাক্ষাৎকার করায় এমন ইষ্ট দেবতা ভব। 

    ব্যাখ্যা :- যখন থেকে তোমরা বাবার আপন হয়েছ , পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করেছ তখনই রিটার্নে আলোর মুকুট প্রাপ্ত করেছ। এই আলোর মুকুটের সম্মুখে রত্ন জড়িত অর্থাৎ জড়োয়া মুকুটের অস্তিত্ব কিছুই নয়। সঙ্কল্প , বাণী এবং কর্মে যত পবিত্রতা ধারণ করবে ততটাই এই আলোর মুকুট স্পষ্ট হতে থাকবে আর ইষ্ট দেবতা রূপে ভক্তদের সম্মুখে প্রত্যক্ষ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে ।

    শ্লোগান :- 

    সর্বদা বাপদাদার ছত্রছায়ার নীচে থাকলে বিঘ্ন-বিনাশক রূপে পরিণত হবে।


    ***OM SHANTI***