BK Murli 14 July 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 14 July 2016 Bengali

     ১৪-০৭-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মিষ্টি বাচ্চারা -- বৃক্ষপতি বাবা তোমাদের বাচ্চাদের ওপরে বৃহস্পতির দশা বসিয়েছেন , এখন তুমি অবিনাশী সুখের দুনিয়ায় যাচ্ছো "

    প্রশ্ন -- 

    অবিনাশী বৃহস্পতির দশা কোন্ বাচ্চাদের ওপরে বসেছে , তাদের চিহ্ন কি হবে ?

    উত্তর -- 

    জীবিত হয়েও যে বাচ্চারা দেহের সব সম্বন্ধকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে , এরকম নিশ্চয় আত্মিক বুদ্ধিধারী বাচ্চাদের ওপরেই বৃহস্পতির দশা বসে । তাদেরই সুখের গায়ন আছে যে , অতীন্দ্রিয় সুখ কাকে বলে , গোপ গোপীদের জিজ্ঞাসা করো । তাদের খুশী কখনোও লুপ্ত হয় না ।

    গীত --: 

    ওঁম নমো শিবায়ঃ ---

    ওম শান্তি । 

    বাচ্চারা বাবার মহিমা শুনলো । আজকের দিনকে বলা হয় বৃক্ষপতি ডে (দিন) । একে গুরুবারও বলা হয় । না শুধু গুরুবার (বৃহস্পতিবার ) আবার সদগুরুবার । বাংলায় এই দিনটিকে সকলেই অনেক মান্যতা দেয় । গায়ন আছে , মনুষ্য হয় সৃষ্টির বীজ রূপ , এই কারণে বৃক্ষপতি বলা হয় । যেহেতু বীজ , সেই কারণে তিনি স্বামীও (পতি) হলেন । বৃক্ষের বীজকে বাবাই বলবো তাই না ! ওঁনার দ্বারাই বৃক্ষ উৎপন্ন হয় । এই হলো মনুষ্যের সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ । এনার বীজ ওপরে আছে । তুমি জানো আমরা বাচ্চারা এখন অবিনাশী বৃক্ষপতির দশায় আছি , কারণ অবিনাশী স্বরাজ্য প্রাপ্ত করছি । সত্যযুগকে বলাই হয় অবিনাশী সুখধাম আর কলিযুগকে বলা হয় বিনাশী দুঃখধাম । এখন দুঃখধামের বিনাশ হওয়ার আছে । সুখধাম হয় অবিনাশী , অর্দ্ধকল্প চলে , যেটি অবিনাশী বৃক্ষপতি স্থাপন করছেন । বাচ্চাদের সার্ভিসের জন্য পয়েন্টস নোট করা দরকার । প্রদর্শনীতে এই এই মুখ্য পয়েন্টস বোঝাবার জন্য, কারণ মানুষ তো কিছুই জানে না । এইসব হলো আসল জ্ঞান । বাবা এই জ্ঞান দেন নতুন আর পুরোনো দুনিয়ার মাঝে , সেই জ্ঞানই প্রায় লোপ পেয়ে যায় । দেবতাদের এই জ্ঞান হয় না । যদি এই চক্রের জ্ঞান হতো , তাহলে তো রাজত্ব প্রাপ্ত করতে মজাই আসতো না । এখন এইসব তোমারও খেয়ালে আসে , তাই না । রাজত্ব প্রাপ্ত করে কি আবার আমাদের এইরকম অবস্থা হবে ? কিন্তু এই ড্রামা তো হল পূর্ব রচিত ড্রামা । সেই কারনেই চক্র তো ঘুরবেই । বিশ্বের হিস্ট্রী জিওগ্রাফী পুনরাবৃত্তি হচ্ছে । কিভাবে পুনরাবৃত্তি হচ্ছে , এইসব তোমরা বাচ্চারাই জানো । এই হলো মনুষ্য সৃষ্টি । তোমার বুদ্ধিতে মূলবতনের বৃক্ষও আছে । সেক্শন সবার আলাদা আলাদা হয় । এইসব কথা কারোর বুদ্ধিতে কখনো হবে না কারণ শাস্ত্র ইত্যাদিতে লেখা নেই । আমরা আত্মারা হলাম আসলে শান্তিধামের নিবাসী , আর অবিনাশী । আমাদের বিনাশ হয় না ! তারা বোঝে জলের ওপরে যে বুদবুদ থাকে ( bubble) সেই জল থেকে বেরিয়ে আবার তার মধ্যেই সমায়িত হয় । তোমার বুদ্ধিতে আছে সমস্ত রহস্য । আত্মা হলো অবিনাশী , যার মধ্যে সমস্ত পার্ট লিপিবদ্ধ আছে । এইসব চক্রের জ্ঞান কোনো শাস্ত্রে থাকে না । যদিও কোথাও কোথাও স্বস্তিকও দেখানো হয় । চক্রের শুধু এমন এমন লাইন টানা হয়েছে যে , যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে অনেক ধর্ম ছিল । বাবা বুঝিয়েছেন মুখ্য ধর্ম আর শাস্ত্র হলো চার , সত্যযুগ ত্রেতায় তো কোনো ধর্মের স্থাপন হয় না আর না কোনো ধর্ম শাস্ত্র সেখানে থাকে । এই সবকিছু দ্বাপরযুগ থেকে শুরু হয়েছে । তারপর দেখো কত বৃদ্ধি হয়েছে । আচ্ছা -- গীতা কবে শোনানো হয়েছে ? বাবা বলেন যে আমি কল্পের সঙ্গমযূগেই আসি । তারা আবার কল্প শব্দটিকে বাদ দিয়ে শুধূ সঙ্গমযুগের যুগে শব্দটিকে লিখেছে । বাস্তবে সঙ্গমযুগে আর কোনো ধর্ম স্থাপন হয় না । এমন নয় যে ত্রেতার অন্তিম সময়ে আর দ্বাপরের প্রারম্ভিক সময়ের সঙ্গমে ইসলামী ধর্ম স্থাপন হয়েছে । না , বলবে দ্বাপরযুগে স্থাপন হয়েছে । এই সময় হলো সঙ্গমের সবচেয়ে সুন্দর সময় , যাকে কুম্ভ বলা হয় । কুম্ভ সঙ্গমকেই বলা হয় । এই হলো আত্মাদের আর পরমাত্মার মিলনের সঙ্গম । এই রূহানী মেলা সঙ্গমেই হয়ে থাকে । তারা জলের গঙ্গার নাম উঁচুতে তুলে ধরেছে। জ্ঞানসাগর পতিত পাবনকে জানেই না । তিনি কি ভাবে পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করেছেন , এইসব কোনো শাস্ত্রে লেখা নেই । এবার বাবা তোমাদের বাচ্চাদের বলেন যে মামেকম্ স্মরণ করো । দেহের সব ধর্মকে ত্যাগ করো । কাদের বলছেন ? আত্মাদের । একে বলা হয় জীবিত হয়েও শরীর থেকে আলাদা (detach) হওয়া । মনুষ যখন শরীর ত্যাগ করে তখন দেহের সব সম্বন্ধ শেষ হয়ে যায় ।
    বাবা বলেন দেহের সম্পর্কে যারাই আছে , তাদের সকলকে ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো অর্থাৎ শুধূ নিজেকে আত্মা রূপে চিন্তন করো । আত্মিক বুদ্ধিকে নিশ্চয় করো । যত অধিক স্মরণ করবে তত বৃহস্পতির দশা হবে । যাচাই করো আমরা শিববাবাকে কতক্ষণ স্মরন করি ! স্মরণের দ্বারাই মরচে উঠবে আর তুমি খুশী থাকবে । তুমি অনুভব করতে পারো যে আমাদের আত্মাদের শিববাবাকে কতক্ষন স্মরণ করা দরকার । স্মরণ কম করলে তবে মরচে ধীরে ধীরে উঠবে । খুশীও কম হবে । পদও কম প্রাপ্ত হবে । আত্মাই সতো রজো তমোতে পরিনত হয় । গোপ-গোপীকাদের অতীন্দ্রিয় সুখেরও গায়ন আছে । যদি বাবা ব্যতীত আর কিছুই স্মরণে না আসে , তখনই খুশী ডবল হবে । আমাদের ওপরে বৃহস্পতির দশা অথবা সদগুরুর দশা আছে । আবার কখনো সেই খুশী হারিয়ে গেলে তখন বলা হয় বৃহস্পতির দশা পরিবর্তন হয়ে রাহুর দশা লেগেছে । কেঊ অনেক বিত্তশালী হয় , কেউ আবার জুয়া খেলে তো দেউলিয়া বেরিয়ে যায় । ভারতে যখন গ্রহন লাগে তখন বলা হয় দান করো তাহলে গ্রহন থেকে মুক্ত লাভ করো । তোমাদের দেবীদেবতা ধর্মও ষোলো কলা সম্পূর্ণ ছিল , তাদেরও গ্রহন লেগেছে । রাহুর দশা যখন জীবনে আসে তখন দেবতাদের সামনে গিয়ে বলে আপনি হলেন সর্বগুণসম্পন্ন আর আমরা হলাম পাপী তাপী । এবার তুমি বুঝেছো যে রাহুর গ্রহন লেগে সবকিছু কালো হয়ে গেছে । পূর্ণিমার চাঁদ কমে কমে একটি মাত্র রেখা রূপে পরিণত হয় । বাবাও বোঝাচ্ছেন যে তোমাদের দেবী দেবতাদেরও চিত্র আছে । গীতাই হলো আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের শাস্ত্র । কিন্তু এই ধর্ম যে আপন , সেটাই কেউ জানে না । ধর্মসভা (কনফারেন্স) ডাকা হয়ে থাকে । তুমি সেখানেও বোঝাতে পারো যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী নন। তিনি তো হলেন বেহদের বাবা । বাচ্চাদের বর্সা দিয়ে থাকেন । সাধু সন্ত ইত্যাদিরা তো বর্সা প্রাপ্ত করে না , তাই তারা মান্য কি করে করবে ! তোমরা বাচ্চারাই অধিকার (বর্সা) প্রাপ্ত করো । মুখ্য কথা হলোই এটা প্রমানিত করার যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী হন না । শিব জয়ন্তী তো হয় । শিব জয়ন্তী বলো অথবা রূদ্র জয়ন্তী বলো -- রূদ্র এই জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেন । হলেনই তো শিব । গীতা জ্ঞান যজ্ঞ সেটি , যার দ্বারা বিনাশের জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে । প্র্যাক্টিকলে তুমি দেখো যে কেমন করে নিরাকার বাবা রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করছেন । সাকারে তো কিছু করা যায় না । বেহদের যজ্ঞ হলো এটি , যার মধ্যে পুরোনো দুনিয়াকে আহুতি (স্বাহা) দেওয়া হবে । বাকী তো হলো শারীরিক যজ্ঞ । রাতদিনের তফাত থাকে । বাবা বলেন যে এই হলো রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞ , আর বিনাশও হওয়ার আছে । যখন তুমি পাস হয়ে যাবে , পুরো যোগী আর জ্ঞানীতে পরিণত হবে , তখন তোমার জন্য নতূন দুনিয়া অথবা স্বর্গ দরকার হবে । সেই কারণে নরকের বিনাশ অবশ্যই দরকার । রাজস্ব অশ্বমেধ শব্দটিও সঠিক শব্দ । সেখানে ঘোড়াকে আহুতি দেওয়া হয় । বাস্তবে এই রথ হল তোমাদের । এক দক্ষ প্রজাপতিও যজ্ঞ রচনা করেছিলেন , ওনারও গল্প আছে ।
    এবার তোমাদের বাচ্চাদের কত খুশী হওয়া দরকার -- আমাদের বৃক্ষপতি বাবা পড়াচ্ছেন । আমাদের ওপরে এখন বৃহস্পতির দশা বিদ্যমান । আমাদের অবস্থা অনেকই ভালো । তারপরও চলতে চলতে লেখা হয় যে কনফিউজড হয়ে গেছি । প্রথমে আমরা অনেক খুশীতে ছিলাম , এবার বোঝা যাচ্ছে না যে কি হয়েছে । এখানে এসে বাবার হওয়ার যাত্রাটি খুবই বড় । সেখানে তীর্থ যাত্রায় যাওয়া হতো তো কত পয়সা খরচা হতো । এখন তো এখানে দান করারও ব্যাপার নেই । এখানে কোনোও পয়সা খরচা করতে হয় না । সেটি হলো শারীরিক যাত্রা , তোমাদের হলো রূহানী যাত্রা । শারীরিক যাত্রা দ্বারা লাভ কিছুই হয় না । গান আছে না যে , চারিদিকে ঘুরলাম তারপরও জন্মজন্মান্তর ধরে দূরে আছি । এখন তুমি বোঝো যে কত ঢের যাত্রা হয়েছে হবে , কোথায় কোথায় মানুষ যায় । হরিদ্বারে গঙ্গায় যায় , গঙ্গাকে পতিত পাবনী বোঝে , তাই না । এবার বাস্তবে তোমরা হলে সত্যিকারের জ্ঞান গঙ্গা । তোমাদের নিকটও অনেকে এসে জ্ঞান স্নান করে । বাবা বুঝিয়েছেন যে , সদগুরু হলেন একজনই । সকলের সদ্গতি দাতা এক সদগুরু ছাড়া আর কেউই হয় না । বাবা বলেন আমি তোমাকে কল্পে কল্পে সঙ্গমযুগে এসে সদ্গতি করে পূজারী থেকে পুজ্যে পরিণত করি । আবার তুমি পূজারীতে পরিণত হয়ে দুঃখী হও । এইসবও তোমরা এখন জানতে পারছো যে আমাদের অর্দ্ধ কল্প রাজত্ব হবে আবার দ্বাপরযুগ থেকে আমরা দেবীদেবতারা বাম মার্গে চলে যাব । যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন থেকেই বাম মার্গ শুরু হয় । তাদেরও স্মৃতিচিহ্ন আছে । জগন্নাথের মন্দিরে যাও তো ভিতরে কালো মুর্তি আছে আর বাইরে দেবতাদের অশোভন চিত্র রয়েছে । সেই সময় নিজে থোড়াই বুঝেছো যে এসব কি ! বিকারী মনুষ বিকারী দৃষ্টি দ্বারা দেখবে । সেই কারণে বোঝে তারা যে দেবতারাও বিকারী ছিল । এইসব লেখা আছে যে দেবতারা বাম মার্গে যায় । পোষাকও দেবতাদের দেওয়া হয়েছে । এখানেও দিলবাড়া মন্দিরে যাও তো ওপরে স্বর্গ দেওয়া আছে আর নীচে সকলে তপস্যায় বসে আছে । এইসব রহস্য কেউই জানে না । বাবার তো অনুভবী রথ আছে , তাই না ।
    তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝেছো যে আত্মারা আর পরমাত্মা আলাদা ছিল বহুকাল , তুমি যে প্রথম আলাদা হয়েছো আবার তুমিই এসে প্রথমে দেখা করেছো । সত্যযুগের প্রথম রাজকুমার হল শ্রীকৃষ্ণ । কৃষ্ণের তো বাবাও থাকবে তাই না ! কৃষ্ণের মাতা পিতার সম্বন্ধে কিছু দেখানো হয় না । শুধু দেখানো হয় মাথায় রেখে নদী পার করা । রাজত্ব ইত্যাদি কিছুই দেখানো হয়নি । তাঁর বাবার মহিমা কেন হয়নি ! এখন তুমি জানো এই সময়ে কৃষ্ণের আত্মা ভালো ভাবে পড়া করছে আর সেই কারনে মাতাপিতার থেকে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করেছে । তুমি বুঝেছো যে আমরা শ্রীকৃষ্ণের রাজধানীতে ছিলাম , স্বর্গে তো ছিলে , তাই না ! তারপর আবার আমরা চন্দ্রবংশী পরিনত হয়েছি । এবার আবার সূর্যবংশীতে পরিনত হওয়ার জন্য শ্রীমতে চলে পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবো । এবার প্রত্যেকেই নিজের অবস্থা দেখতে পারো । যদি আমরা এই সময়ে শরীর ত্যাগ করি তাহলে কিরকম গতি প্রাপ্ত করবো ! প্রত্যেকে বুঝতে পারবে । যত বাবাকে স্মরণ করবে তত বিকর্ম বিনাশ হবে । মানুষের ওপরে যখন কোনো বিপদ আপদ বা দুঃখ আসে অথবা দেউলিয়া হয় তো সাধু সন্তদের সঙ্গে সঙ্গ করে , তখন তারা বোঝে যে তারা তো ভক্ত মানুষ থোড়াই ঠকাবে । এমনি এমনিও দুই চার বছরে তারা অনেক ধনবান হয়ে যায় । তাদের অনেক লুকোনো পয়সা থাকে । এইসব প্রত্যেকেই নিজের বুদ্ধি দ্বারা বুঝতে পারো । তোমাদের মধ্যেও অনেকে আছে যারা অনেক কম স্মরণ করে এই কারণে বাবা বলেন নিজ কল্যাণ চাইছো তো নিজের কাছে নোটবুক রাখো । চার্ট নোট করা দরকার । আমরা সারাদিনে কতটা সময় স্মরণে থাকি । মানুষ তো সারা জীবনেরই হিস্ট্রী লেখে । তোমায় তো শুধু স্মরণের চার্ট লিখতে হবে । নিজেরই উন্নতি করতে হবে । বাবাকে স্মরণ না করলে তো উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে না । বিকর্ম বিনাশ না হলে উচ্চ পদ কি করে প্রাপ্ত করবে ! তারপর আবার শাস্তি পেতে হবে । শাস্তি না পেলেই উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে । শাস্তি পেয়ে কিছু অল্প পদ প্রাপ্ত হলে সেটা কোন্ কাজের হবে ! ধর্মরাজের শাস্তি না পাওয়া , বেইজ্জত না হওয়ার জন্য পুরুসার্থ করতে হবে । তুমি জানো শিববাবা সম্মুখে বসে আছেন আর সঙ্গে ধর্মরাজও আছেন । তোমাকে সবকিছুর সাক্ষাৎকার করানো হয় । তুমি এই এই করেছিলে , স্মরণ আছে ? এবার প্রাপ্ত করো শাস্তি । এবার সেই সময়ের শাস্তিও ততই প্রাপ্ত হয় , যত জন্ম জন্মান্তর প্রাপ্ত হয়ে থাকে । পেছনে অল্প রুটির টুকরো প্রাপ্ত হওয়া তাতে কি লাভ আছে । শাস্তি লাভ করা উচিত নয় । নিজের অবস্থাকে যাচাই করতে হবে । যেমন চার্ট বার করা হয় । কেউ ছয় মাসের , কেউ বারো মাসের , কেউ আবার রোজকার বার করে । বাবা বলেন তুমি হলে ব্যবসায়ী । অনেক বিরল ব্যবসায়ীই বেহদের বাবার সাথে ব্যবসা করে । ধন নেই তো কি , তন আর মন তো আছে , তাই না ! তুমি তন মন ধন দাও তাই রিটার্নে একুশ জন্মের জন্য কত বর্সা প্রাপ্ত করো । বাবা আমরা আপনার । এমন যুক্তি করো যে আমাদের আত্মা আর শরীর এই লক্ষ্মীনারায়ণের মতন হয় । বাবা বলেন আমি তোমায় কত ফর্সায় পরিনত করি । একদম রূপই পরিবর্তন করে দি । দ্বিতীয় জন্মে তুমি ফার্স্টক্লাস শরীর প্রাপ্ত করবে । বৈকুন্ঠেও তোমায় দেখা যায় । তুমি জানো এই মাম্মা বাবা আবার লক্ষ্মীনারায়ণ হবে । মূল লক্ষ্য (এম অবজেক্টও) দেখানো হয় । এবার যে যত পুরুষার্থ করবে । যদি পুরুষার্থ পুরো না হয় তো শোরগোল (ধমচক্র) হবে , তাহলে তো নিজের পদই ভ্রষ্ট করবে । আচ্ছা --

    মিষ্টি মিষ্টি সিকীলধে (হারানিধি) বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্নেহ , সুমন আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

    ধারনার জন্য মুখ্য সার --:

    ১.আপন অবস্থার স্বয়ংকেই যাচাই করতে হবে । নিজ কল্যাণের জন্য রোজকার ডায়েরী রাখতে হবে , যার মধ্যে স্মরণের চার্ট নোট করতে হবে ।

    ২. বেহদের বাবার সাথে সত্যিকারের ব্যবসা করতে হবে । নিজের তন মন ধন সবকিছু বাবার কাছে দিয়ে একুশ জন্মের জন্য রিটার্ণ প্রাপ্ত করতে হবে । নিশ্চ্য়বুদ্ধি হয়ে নিজ কল্যাণ করতে হবে ।

    বরদান --: 

    সহযোগের শক্তি দ্বারা অসহযোগীকে সহযোগীতে পরিনত করার জন্য বাবা সমান পরোপকারী ভব (হও) ! 

    সহযোগীদের সাথে সহযোগী হওয়া , এটি কোনো মহাবীরতা নয় , কিন্তু যেমন বাবা অপকারীদের ওপরে উপকার করেন, সেইরকম তোমরা বাচ্চারাও বাবার সমান হও । কেউ কতও অসহযোগিতা সৃষ্টি করুক , তোমরা নিজেদের সহযোগের শক্তি দ্বারা অসহযোগীকে সহযোগী বানিয়ে দাও । এমন চিন্তা কোরো না যে এই কারণের জন্য আগে গেলো না । দুর্বলকে দুর্বল চিন্তা করে ছেড়ে দিও না , অপিতু তাকে প্রকম্পন অথবা বল (vibration) দিয়ে বলবান করো । এইসব কথার ওপরে অ্যাটেনশান দেবে তো সার্ভিসের প্ল্যানরূপী গহনাতে হীরের উজ্জ্বলতা আসবে অর্থাৎ সহজেই প্রত্যক্ষতা দেখা যাবে ।

    স্লোগন --: 

    ক্রোধের কারণ হল স্বার্থ অথবা ঈর্ষা , এটি হলো বিরক্তির শিকড় , তাই প্রথমে তাকেই সমাপ্ত করো ।

    ***OM SHANTI***