BK Murli 7 August 2016 Bengali
০৭-০৮-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "অব্যক্ত-বাপদাদা" রিভাইস : ০১-১১-৮১ মধুবন
"সেবায় সফলতার চাবিকাঠি"
আজ বাপদাদা সর্ব বাচ্চাদের কোনরূপে দেখছেন ? আজ বিশ্ব সেবাধারী বাবা নিজের সেবাধারী বাচ্চাদের দেখছেন অর্থাৎ নিজের পরমাত্ম সেবায় নিমিত্ত সেবাধারীদের দেখছেন । যারা হল সত্যিকারের পরমাত্ম সেবাধারী তাদের পরমাত্মা এবং সেবা দুইয়েরই স্মৃতি সহজ এবং নিরন্তর থাকে। এমনিতেও আজকালকার দুনিয়াতে কেউ কারুর কাজ করেনা বা সহযোগী হয়না তখন একে অপরকে বলে যে ভগবানের নামে এই কাজ করো বা খোদার নামে এই কাজ করো কারণ এই কথা ভেবে নেয় যে ভগবানের নামে সহযোগ এবং সফলতার প্রাপ্তি রয়েছে । কেউ অসম্ভব কাজ বা হোপলেস বিষয়ে বলাও হয় " ভগবানের নাম নাও তাহলেই কাজ হয়ে যাবে" । এর দ্বারা কি প্রমাণিত হয় ? অসম্ভবকে সম্ভব স্বরূপ প্রদান , হতাশ কার্যে আশার সঞ্চার ইত্যাদি বাবা-ই এসে করেন তাইতো এখনো এইরূপ কথা আজও বলা হচ্ছে । কিন্তু তোমরা সকলেই হলে খোদাই খিদমতগার অর্থাৎ পরমাত্ম সেবাধারী । শুধুমাত্র ভগবানের নাম নেওয়া নয় ভগবানের সাথী হয়ে শ্রেষ্ঠ কর্ম করো তোমরা। তাই খোদাই খিদমতগার বাচ্চাদের সকল কর্ম সফল হয়েই রয়েছে । খোদাই খিদমতগার বাচ্চাদের জন্যে কোনো কর্ম অসম্ভব নয়। সবকিছুই সম্ভব এবং সহজ। খোদাই খিদমতগার বাচ্চাদের বিশ্ব পরিবর্তনের কাজ মুশকিল মনে হয় কি? সম্পন্ন হয়েই রয়েছে । এমন অনুভব হয় তো ? সর্বদা এই অনুভব হয় তো যে এই সেবা অনেক বার করা হয়েছে । কোনো নতুন কথা অনুভূতি হয়না। হবে কি হবেনা , কিভাবে হবে , এইরকম প্রশ্নের স্থান নেই কারণ বাবার সঙ্গে রয়েছ তোমরা । যখন কেবলমাত্র বাবার নামেই সকল কার্য সম্পন্ন হয় তখন সাথে সেবারত বাচ্চাদের প্রতিটি কার্যে সফলতা নিশ্চিত, তাই বাপদাদা বাচ্চাদের সফলতামূর্ত বলেন । সফলতার নক্ষত্রবিশেষ নিজের সফলতার সাহায্যে বিশ্বকে আলোকিত করতে পারে। তাহলে সর্বদা নিজেকে এমনই সফলতামূর্ত অনুভব করো কি ? যদি চলতে ফিরতে কখনও অসফলতা বা মুশকিল অনুভব হয় তার কারণ শুধুমাত্র সেবাধারী হয়েছ। পরমাত্ম সেবাধারী নয়। পরমাত্মাকে সেবা থেকে আলাদা করলেই একাকী অনুভব করো তাই সফল কার্য মুশকিল হয়ে যায় আর সফলতার লক্ষ্য দূরে প্রতীত হয়। কিন্তু নামই হল পরমাত্ম সেবাধারী । তো কম্বাইন্ড স্বরূপকে আলাদা কোরোনা। কিন্তু আলাদা করে দাও কিনা ! সর্বদা এই নাম স্মৃতিতে থাকলে সেবায় স্বত:তই পরমাত্ম জাদু ভরা থাকবে । সেবার ক্ষেত্রে যে ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের স্বয়ং প্রতি বা সেবার প্রতি বিঘ্নের আগমন হয় , তার কারণ হল এই যে স্বয়ংকে শুধুমাত্র সেবাধারী ভেবে চলো। কিন্তু ঈশ্বরীয় সেবাধারী , কেবলমাত্র সার্ভিস নয় বরং গডলী সার্ভিস - এই স্মৃতিতে রইলে স্মরণ এবং সেবা স্বত:তই কম্বাইন্ড হয়ে যায়। স্মরণ এবং সেবার সদা ব্যালেন্স বজায় থাকে। যেখানে ব্যালেন্স আছে সেখানে স্বয়ং সর্বদা ব্লিসফুল অর্থাৎ আনন্দ স্বরূপ এবং অন্যের প্রতি সর্বদা ব্লেসিং অর্থাৎ কৃপা-দৃষ্টি সহজেই প্রত্যক্ষ হয়। কারুর প্রতি কৃপা করি এই কথা ভাববার প্রয়োজন পড়েনা । তোমরা হলেই কৃপালু । কাজই হল সর্বদা কৃপা করা। এমন অনাদি সংস্কার স্বরূপ হয়েছ কি ? যেইরূপ বিশেষ সংস্কার হয় সেইরূপ স্বত:তই কাজ সম্পন্ন হয়। ভেবে চিন্তে করতে হয়না কিন্তু স্বত:তই কার্যে পরিণত হয়। বার-বার এই বলো যে এমনই আমার সংস্কার , তাই এই কাজ হয়েছে । আমার মনের ভাব , আমার উদ্দেশ্য ছিলনা কিন্তু এইরকম হয়ে গেল। কেন ? সংস্কার হল এইরকম । বলো কিনা ? অনেকে বলে আমি ক্রোধ করিনা আমার বলার সংস্কার হল এইরকম । এর দ্বারা কি প্রমাণিত হয় ? অল্পকালের সংস্কারও স্বত:তই এইরূপ কথা এবং কর্ম করাতেই থাকে। তাহলে ভাবো - অনাদি অরিজিনাল সংস্কার তোমাদের মতন শ্রেষ্ঠ আত্মাদের মধ্যে কোনগুলি আছে ? সদা সম্পন্ন আর সফলতামূর্ত । সদা বরদানী এবং মহাদানী - তাহলে এই সংস্কার স্মৃতিতে থাকলে স্বত:তই সর্বের প্রতি কৃপা-দৃষ্টি সহজ থাকবেই ।
অল্পকালের সংস্কারকে অনাদি সংস্কারে পরিবর্তন করো। তো ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের বিঘ্ন , অনাদি সংস্কার ইমার্জ হলে সহজেই সমাপ্ত হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত স্ব-পরিবর্তন বা বিশ্ব পরিবর্তনের সেবায় পরিশ্রম দেখে বাপদাদার সহ্য হয়না । পরমাত্ম সেবাধারী এবং পরিশ্রম । যখন নাম দিয়েই কাজ করিয়ে নাও , তবেতো তোমরা হলে অধিকারী স্বরূপ । তোমাদের পরিশ্রম হবে কিভাবে ? তারপর আবার ছোট ছোট ভুল করো , সেই ভুলটা হল কি জানো ? খুব ভাল জানো তবুও করো কেন ? বাধ্য হয়ে যাও। একটি ছোটো ভুল - " আমার সংস্কার , আমার স্বভাব " । অনাদি কালের সংস্কারের বদলে মধ্যকালের সংস্কারকে নিজের ভেবে নাও। মধ্যকালের সংস্কারকে , স্বভাবকে আমার সংস্কার , আমার স্বভাব ভেবে নেওয়াই তোমাদের ভুল । এই সংস্কার স্বভাব তো হল রাবণের সংস্কার স্বভাব । পরের জিনিসকে নিজের ভেবে নেওয়াতেই ভুল হয়ে যায়। আমার বললেই আমার ভাবলেই আমার শব্দে সহজেই মন পড়ে যায় তাই ত্যাগ করতে পারোনা । বুঝলে - ভুলটা হল কি ?
তাই সর্বদা স্মরণে রাখো - আমরা হলাম পরমাত্ম সেবাধারী । "আমি করেছি" এইরূপ নয় , খোদা আমার দ্বারা করিয়েছেন । এই একটি মাত্র স্মৃতি দ্বারা সহজেই সর্ব বিঘ্নের বীজকে সদাকালের জন্যে সমাপ্ত করো। সর্বপ্রকারের বিঘ্নের বীজ দুটি শব্দে রয়েছে । সেই শব্দ দুটি হল কোনটি , যে শব্দ দুটি থেকে বিঘ্নের রূপ উৎপন্ন হয়? বিঘ্ন আগমন হওয়ার দ্বার কোনটি জানো কি ? তো নামীগ্রামী সেই দুটি শব্দ গুলি কোনটি ? বিস্তৃত রূপ অনেক কিন্তু দুটি শব্দে সার নিহিত রয় । ১. অভিমান ২. অপমান । সেবাক্ষেত্রে বিশেষ বিঘ্ন এই দুটি পথ দিয়েই প্রবেশ করে। "আমি করেছি " এই হল অভিমান বা আমায় কেন বলা হয়নি অথবা আমায় করতে বলা হয়েছে কেন , এইরূপ আমার অপমান করা হয়েছে । এই অভিমান এবং অপমানের ভাবনা ভিন্ন ভিন্ন বিঘ্নের রূপে এসে পড়ে। যখন হলেই খোদাই খিদমতগার বা পরমাত্ম সেবাধারী , করন-করাবনহার বাবা আছেন তো অভিমান আসবে কোথা থেকে ? আর অপমান কিভাবে হল ? তাহলে ছোট্ট ভুল হয়েছে কিনা ? সেইজন্য বলা হয়েছে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখোনা। সেবায় সর্বদা কম্বাইন্ড রূপ স্মরণে রাখো। খোদা এবং খিদমত । পরমাত্মা এবং সেবা। তো এই সেবা করতে পারো কি ? খুবই সহজ। পরিশ্রম হবেনা । বুঝলে কি করবে ? আচ্ছা !
এমন সর্বদা অনাদি সংস্কারের স্মৃতি স্বরূপ , সর্বদা স্বয়ংকে নিমিত্ত মাত্র আর বাবাকে করন-করাবনহার অনুভব করে, সর্বদা স্বয়ং অনাদি স্বরূপ অর্থাৎ ব্লিসফুল , যে কোনো প্রকারের বিঘ্নের বীজ সমাপ্ত করতে পারে এমন সমর্থ আত্মারা , এমন সর্বদা বাবার সাথী , ঈশ্বরীয় সেবাধারীদের বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা এবং নমস্তে ।
অধর কুমারদের সঙ্গে কথোপকথন :
সকলেই নিজেকে বাবার স্নেহী এবং সহযোগী শ্রেষ্ঠ আত্মা ভাবো তো ? সর্বদা এই নেশা থাকে তো যে আমরা হলাম শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ আত্মা কারণ বাবার সঙ্গে পার্ট প্লে করি। সমস্ত চক্রে এইসময় বাবার সঙ্গে পার্ট প্লে করার নিমিত্ত হয়েছ। উঁচু থেকে উঁচু ভগবানের সঙ্গে পার্ট প্লে করার নিমিত্ত আত্মারা কত উঁচু হয়েছে । লৌকিক জগতেও কোনো শ্রেষ্ঠ পদধারীর সঙ্গে কাজ করার কত নেশা থাকে। প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্রেটারীর কত নেশা থাকে । তাহলে আপনারা কার সঙ্গে রয়েছ ? উঁচু থেকে উঁচু বাবার সঙ্গে আর তার চেয়ে বিশেষ ব্যাপার হল এই যে একটি কল্পের জন্যে নয় , অনেক কল্প এই পার্ট প্লে করছি এবং সর্বদা প্লে করতেই থাকব। পরিবর্তন হবেনা । এমন নেশায় রইলে সর্বদা নির্বিঘ্ন থাকবে । কোনো বিঘ্ন আসে না তো ? বায়ুমন্ডলের , ভাইব্রেশনের , সঙ্গ - এর কোনো বিঘ্ন নেই তো ? কমল পুষ্পের সমান অর্থাৎ পদ্ম ফুলের ন্যায় রয়েছ তো ? পদ্ম ফুলের মতন নেয়ারা ও পেয়ারা ( ডিট্যাচ এবং লাভলী ) । বাবার কত প্রিয় হয়েছি , এর হিসেব ডিট্যাচ থাকার প্রতিশত কত , তার উপরে নির্ভর করছে। একটু মাত্রায় ডিট্যাচ , বাকি টুকু বন্ধনে অর্থাৎ প্রিয় হওয়ার মাত্রাও ততটাই । যে সদা বাবার প্রিয় তার চিহ্ন হল - সহজ স্মৃতি । প্রিয় বস্তু সহজ এবং স্বত:ই স্মরণে থাকে। বাবা তো কল্প কল্পের প্রিয় বস্তু হলেন তাইনা । একবার বাবার আপন হওনি , কল্প কল্প হয়েছ। তাহলে এমন প্রিয় বস্তুকে কেউ কিভাবে ভুলে যাবে? ভুলে যাওয়ার কথা তখনই আসে যখন বাবার চেয়েও বেশী কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে প্রিয় ভেবে নাও। যদি সর্বদা বাবাকে প্রিয় ভাববে তাহলে ভুলতে পারবেনা । এই কথা ভাববার প্রয়োজন হবেনা যে স্মরণ করব কিভাবে , বরং ভুলব কিভাবে - এই আশ্চর্য হবে। তো নাম হল অধরকুমার কিন্তু তোমরাও হলে ব্রহ্মাকুমার । ব্রহ্মাকুমার মানেই বিজয়ী তাইনা ? অধরকুমার অর্থাৎ অনুভবী কুমার । সব অনুভব করা হয়েছে। অনুভবী কখনও মিথ্যের জালে জড়ায়না। অতীত এবং বর্তমান - দুইয়ের সমান অনুভবী । প্রত্যেক অধরকুমার নিজ অনুভবের সাহায্যে অনেকের কল্যাণের নিমিত্ত হতে পারে। এই হল বিশ্ব কল্যাণকারী গ্রুপ । আচ্ছা !
মাতাদের সঙ্গে কথোপকথন :
প্রবৃত্তিতে থেকে একমাত্র বাবা আর কেউ নয় , এই স্মৃতিতে থাকো , এর চেকিং করো কি ? কেননা প্রবৃত্তির বায়ুমন্ডলে থেকে , সেই বায়ুমন্ডলের প্রভাব না থাকুক , সর্বদা বাবার নিকটের প্রিয়জন হয়ে থাকার চেকিং চাই। প্রবৃত্তি হল নিমিত্ত মাত্র কিন্তু বাবার স্মরণে থাকাই হল মুখ্য কথা। পরিবারের সেবার পার্ট যতই প্লে করতে হোক কিন্তু ট্রাস্টী হয়ে । ট্রাস্টী হলে নষ্টোমোহা হয়ে যাবে। গৃহস্থে পরিণত হলে মোহ আসবে। বাবা স্মরণে নেই মানেই মোহ রয়েছে । বাবার স্মৃতির সাহায্যে প্রবৃত্তির প্রতিটি কর্ম সহজ হয়ে যাবে কেননা স্মরণের দ্বারা শক্তি প্রাপ্ত হয়। তো বাবার স্মরণের ছত্রছায়ার তলে থাকো তো ? ছত্রছায়ার তলে যারা থাকে সর্বদা নির্বিঘ্ন থাকে। মাতা তো বাপদাদার প্রিয়জন কারণ মাতারা অনেক সহ্য করেছে। তাই বাবা এমন বাচ্চাদের সহ্য করার ফল সহযোগ এবং স্নেহ রূপে দিচ্ছেন । সর্বদা সৌভাগ্যবতী হয়ে থেকো। এই জীবনে কত শ্রেষ্ঠ সৌভাগ্য প্রাপ্ত করেছ। যেখানে সৌভাগ্য সেখানে ভাগ্য তো আছেই , তাই সর্বদা সৌভাগ্যবতী ভব !
উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট জোন বাপদাদার সম্মুখে বিরাজিত , বাপদাদা তাদের বিশেষত্ব শোনাচ্ছেন :
সর্ব স্থানের নিজস্ব বিশেষত্ব রয়েছে । উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট কেউ কম নয়। দিল্লির পরে উত্তরপ্রদেশকে স্থান দেওয়া হয়েছে । যারা আদি সময়ে স্থাপনার কার্যে নিমিত্ত স্বরূপ তাদেরই ড্রামায় বিশেষ পার্ট রয়েছে । তবুও আদি সময়ের বিশেষ আত্মারা ডবল লটারিতো নিয়েছে তাইনা । সাকার এবং নিরাকার - ডবল লটারি প্রাপ্ত হয়েছে। এইটিও কিছু কম তো নয়! কল্পে-কল্পের চরিত্রে সদা সঙ্গে থাকার স্মৃতিচিন্হ তো রয়েছেই । এই হল বিশেষ ভাগ্যের পরিচয় ।
এখনও বাপদাদা অব্যক্ত রূপে সব পার্টই প্লে করছেন তবুও সাকার তো সাকারই হয়। সাকারে পার্টধারীদের আলাদা বিশেষত্ব আছে এবং এদের নিজস্ব ভিন্ন বিশেষত্ব রয়েছে । এরা অব্যক্ত রূপের মাধ্যমে সাকারী স্বরূপের স্নেহ প্রাপ্ত করে নেয় । অনেকে এমনও আছে যারা সাকারে সাথে থাকা বাচ্চাদের চেয়েও বেশী স্নেহ অনুভব করে । তাহলে সবাই একে অপরের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে । আচ্ছা !
আজ হল উত্তরপ্রদেশের চান্স । নদীর ধারে উত্তরপ্রদেশের বসতি হল বেশী । যমুনার ধারে রাজধানী এবং রাস দেখানো হয় কিন্তু উত্তরপ্রদেশের পতিত-পাবনী হল বিখ্যাত , অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশকে সেবাস্থল রূপে দেখানো হয়েছে । তাই এমন কেউ উত্তরপ্রদেশের মাটি থেকে বেরিয়ে আসবে যে অনেকের সেবার নিমিত্ত হবে। এমন কেউ তৈরী হয়ে যাবে। যেমন আমেরিকায় একের দ্বারা অনেকের সেবা হচ্ছে তেমনই উত্তরপ্রদেশ থেকেও কেউ এমন বেরিয়ে আসবে যার দ্বারা একের সাহায্যে অনেকের সেবা হয়ে যাবে। আওয়াজ তো ছড়াবেই তাইনা ! যখন বিদেশ থেকে আওয়াজ আসবে তখন সবার চোখ খুলবে । এখনও কেউ বড় ভিআইপি বেরোয়নি । এখনও যে ভিআইপিরা বেরিয়েছে তাদের চেয়ে নামীগ্রামী ভিআইপিরা হল বিদেশের কিনা ! যারা প্র্যাক্টিকালে অনেককে সংবাদ দেওয়ার নিমিত্ত রূপে পরিণত হচ্ছে । ভারতও আগে যেতে পারে কিন্তু সেতো বর্তমানের কথা। শেষ সময়ে জয়-জয়কার তো ভারতেই হবে তাইনা ! বিদেশীদের জয়-জয়কারের সমূহ ধ্বনি শোনা যাবে বিদেশ থেকে কিন্তু তারা এসে পৌঁছাবে তো ভারতেই তাইনা ! তাদের মুখেও এই কথাই শোনা যাবে - আমাদের ভারত। ভারতে বাবা এসেছেন , এমন বলা হবেনা যে ইউনাইটেড নেশনে বাবা এসেছেন । বিদেশ এখন রেসে এগিয়ে রয়েছে । এখন উত্তরপ্রদেশের কোনো বিশেষ ভিআইপিকে আনো। পতিত-পাবনী কাউকে পাবন বা পবিত্র করে ছু- মন্ত্র করো। গুজরাট নম্বরওয়ান বৃদ্ধি করেছে। ভিআইপিরাও স্টেজে এসে পড়বে । এমন ভিআইপিরা আসুক যারা বেহদের সেবা করবে। গুজরাটের সেবা গুজরাটী করবে , তাহলেতো মাইক হয়ে গেল ছোট্ট । চতুর্দিকের সেবা করলে তাকে বড় মাইক বলা হবে। আচ্ছা !
বরদান :- নিজের চঞ্চল বৃত্তিকে পরিবর্তন করে সতোপ্রধান বায়ুমন্ডল নির্মাণের কাজে দায়িত্বশীল শ্রেষ্ঠ আত্মা ভব ।
ব্যাখ্যা :
যে বাচ্চারা নিজের চঞ্চল বৃত্তিকে পরিবর্তন করে নেয় সেই বাচ্চারাই সতোপ্রধান বায়ুমন্ডল নির্মাণ করতে পারে কারণ বৃত্তি দ্বারা বায়ুমন্ডল নির্মিত হয়। বৃত্তি চঞ্চল তখনই হয় যখন বৃত্তিতে এই বিশাল কার্যের স্মৃতি থাকেনা । যদি কোনো অতি চঞ্চল বাচ্চা বিজী হওয়া সত্ত্বেও চঞ্চল বৃত্তিকে ত্যাগ করতে পারেনা তখন তাকে বাঁধনে রাখতে হয়। তেমনই যদি জ্ঞান-যোগে বিজী হওয়া সত্ত্বেও বৃত্তি চঞ্চল রয় তবে একমাত্র বাবার সঙ্গে সর্ব সম্বন্ধের বন্ধনে বৃত্তিকে বেঁধে দাও তাহলেই চঞ্চলতা সহজে সমাপ্ত হয়ে যাবে।
শ্লোগান :-
অমনোযোগিতার (আলবেলাপন) ঢেউ সমাপ্ত করার সাধন হল বেহদের বৈরাগ্য ।