BK Murli 8 August 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 8 August 2016 Bengali

     ০৮-০৮-১৬ প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা " মধুবন

    "মিষ্টি বাচ্চারা , মনসা -বাচা -কর্মনার দ্বারা কাউকে কখনও দুঃখ দিও না , কখনও কারও ওপর রাগ করোনা , ভালবাসা অতি মধুর এক জিনিস যা দিয়ে তুমি যে -কোনও কাউকে বশ করতে পারো l "

    প্রশ্নঃ - 

    বাবা বাচ্চাদের বিশ্বের দ্বিমুকুটধারী মালিক বা সর্বশ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য কোন উপায়ের কথা বলেছেন ?

    উত্তরঃ - 

    দৈবীগুণ ধারণ করে অতিশয় মধুর হও l পরস্পর পরস্পরকে ভ্রাতৃত্বের অথবা ভ্রাতা-ভগিনীর দৃষ্টিতে দেখ l নিজের পুরুষার্থ দ্বারা নিজেকে রাজটীকা লাগাও l ২) স্বয়ং ঈশ্বর , বাবা তোমাদের পড়াচ্ছেন সেইজন্য নিয়মিত পড়ার অভ্যাস করো , যত পড়বে , পড়াবে , নিজের সংস্কারও ততটাই শ্রেষ্ঠ হবে l

    ওম্ শান্তি l 

    মিষ্টি -মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা জেনেছে আমরা এখন নরকের শেষ প্রান্তকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে চলেছি , মাঝের এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ একেবারে আলাদা l মাঝ দরিয়ায় ভাসছে তোমাদের তরী l এখন না তোমরা সত্যযুগীয় আর না -ই তোমরা কলিযুগীয় l তোমরা হ'লে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগীয় সর্বোত্তম ব্রাহ্মণ l ব্রাহ্মণদের জন্যই এই সঙ্গমযুগ l ব্রাহ্মণ হলো উচ্চ শিখর l ব্রাহ্মণদের এই যুগ খুব ছোট l এ হ'লো এক জন্মের যুগ ; তোমাদের খুশি থাকার যুগ l কিন্তু এই খুশি কিসের জন্য ? ভগবান আমাদের পড়ান l তাই -তো এই পড়ুয়ারা কত খুশি থাকে l সারা চক্রের জ্ঞান এখন তোমাদের বুদ্ধিতে l তোমরা বুঝতে পারছ আমরা হলাম সেই ব্রাহ্মণ যারা পরে আবারও দেবতা হবে l প্রথমে নিজের ঘর , সুইট হোমে যাব এবং সেখান থেকে ঘুরে নতুন দুনিয়ায় আসব l আমরা ব্রাহ্মণরাই স্ব-দর্শন চক্রধারী l আমরা ডিগবাজির খেলা খেলি l এই বিরাট রূপ তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চারাই জেনেছ - বুদ্ধিতে সারাদিন এই বিষয়ের স্মরণই করতে হবে l এই হ'লো তোমাদের অতি আনন্দদায়ক পরিবার , তোমাদের প্রত্যেককে অতীব প্রীতিপূর্ণ হতে হবে l বাবা নিজে মধুময় ব'লে বাচ্চাদেরও সেরকমই মাধুর্যে পরিপূর্ণ করে তোলেন l কখনও কারোর ওপরে রাগ করা সমীচীন নয় l তোমাদের মনসা -বাচা -কর্মনায় কেউ যেন দুঃখ না পায় l বাবা কাউকে কখনও দুঃখ lদেন না , বাবাকে যত স্মরণ করবে নিজেরা ততই অতি সুন্দর হয়ে উঠতে পারবে l ব্যস্ ! শুধুমাত্র এই স্মরণেই হদের সীমানা পার হয়ে যাবে - এই হ'লো স্মরণের যাত্রা l স্মরণের পথে চলতে চলতে শান্তিধাম হয়ে সুখধামে যেতে হবে l বাবা এসেছেনই বাচ্চাদের সর্বদা সুখী হওয়ার চাবিকাঠি দিতে l ভূত দূর করার অর্থাত্ বিকার দূর করার উপায় বলতে এসেছেন বাবা - "আমাকে স্মরণ করলে এই বিকারের ভূত বেরিয়ে যাবে l কারও মধ্যে যদি বিকাররূপী ভূত থাকে , আমার কাছে ছেড়ে যাও l তোমরা তো বলেও আসছ 'বাবা আমাদের সকল অপগুণ বিনষ্ট করে পতিত থেকে পবিত্র বানাও' l" তবে ! বাবা কত সুন্দর সুগন্ধি ফুল তৈরী করছেন ! বাবা আর দাদা দু'জনে মিলে তোমাদের-বাচ্চাদের শৃঙ্গার করেন l লৌকিক বাবা হলো হদের আর ইঁনি হলেন বেহদের বাবা l সুতরাং বাচ্চাদের অতীব ভালবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে চলতে হবে আর চালাতে হবে l সমস্ত বিকার দান করে দিতে হবে l দে দান তো ছুটে গ্রহণ অর্থাত্ বিকারের মতো মস্ত অপগুণ বাবার কাছে অর্পণ করে দিলে দোষমুক্ত হতে পারবে l এর মধ্যে কোনরকম ছল নেই l ভালবাসা দিয়ে তোমরা যে কোনও কাউকে বশ করতে পার l প্রেমপূর্বক বোঝাতে হবে , প্রেম এক অতি সুন্দর আর পবিত্র বোধ , যা অন্যকে মুগ্ধ করে l বাঘ , হাতি প্রভৃতি জানোয়ারকে মানুষ ভালবাসা দিয়ে বশ করতে পারছে আর তারা আসুরিক হলেও তবু তো মানুষ , তোমরা তো এখন দেবতা হতে চলেছ l সুতরাং দৈবীগুণ ধারণ করে অতিশয় মধুরতায় নিজেদের ভরিয়ে তুলতে হবে l তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভ্রাতৃরূপে বা ভ্রাতা-ভগিনীরূপের দৃষ্টিতে দেখ l আত্মা , আত্মাকে দুঃখ দিতে পারেনা l বাবা বলেন - "মিষ্টি বাচ্চারা , আমি তোমাদের রাজ্যভাগ্য দিতে এসেছি l তোমাদের এখন যা চাই তা' আমার থেকে নিয়ে নাও l আমি তো তোমাদের বিশ্বের দ্বিমুকুটধারী মালিক বানাতে এসেছি , কিন্তু পরিশ্রম তোমাদের করতে হবে , আমি কারও মাথার ওপর মুকুট রাখব না , পুরুষার্থের দ্বারা তোমরা নিজেরা নিজেদের রাজতিলক এঁকে দেবে l" বাবা পুরুষার্থের উপায় বলে দেন যে এইভাবে -এইভাবে করলে নিজেকে বিশ্বের মালিক, দ্বিমুকুটধারী বানাতে পারবে l পাঠাভ্যাসে পুরোপুরি মনোযোগ দাও , কখনও এই পড়া ছেড়োনা l ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া তোমরা , বেহদের বাবা স্বয়ং ঈশ্বরের কাছে তোমরা পড়ছ l পড়ে পূজ্য দেবতা তৈরী হচ্ছ l সেইজন্য স্টুডেন্টকেও নিয়মাধীন হতে হবে , স্টুডেন্ট লাইফ ইস্ দি বেস্ট অর্থাত্ ছাত্রজীবন হলো সবচেয়ে ভালো l যত পড়বে , পড়াবে আর সংস্কার শোধন করবে ততই অতি উত্তম হতে পারবে l মিষ্টি বাচ্চারা , এবারে তোমাদের ফেরার সময় , যেমন সত্যযুগ থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে ত্রেতা , দ্বাপর , কলিযুগ পর্যন্ত নীচে নেমে এসেছ ঠিক তেমনই তোমাদের এখন লৌহযুগ (আয়রণ এজ) থেকে উপরে স্বর্ণযুগ (গোল্ডেন এজ) পর্যন্ত যেতে হবে l যখন সিলভার এজ পর্যন্ত পৌঁছবে তখন আবার এই কর্মেন্দ্রিয়ের চঞ্চলতা শেষ হয়ে যাবে সেইজন্য যত বাবাকে স্মরণ করবে ততই তোমাদের , আত্মাদের থেকে রজো, তমঃ-র জং পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং জং যত পরিষ্কার হবে ততই বাবা-চুম্বকের প্রতি আকর্ষণ বাড়তে থাকবে l আকর্ষণ না হলে বুঝতে হবে আত্মায় জং লেগে আছে ; জং একেবারে নির্মূল হয়ে তোমরা খাঁটি সোনায় পরিণত হবে , এবং তা' হবে তখন অন্তিম কর্মাতীত অবস্থা l মিষ্টি বাচ্চাদের সারবস্তু বাবা বুঝিয়ে দেন , বলেন - "দেহী-অভিমানী হও , দেহ সম্বন্ধীয় সকল সম্পর্ক ভুলে মামেকম্ ইয়াদ করো অর্থাত্ আমাকে স্মরণ করো , পবিত্র তো অবশ্যই হতে হবে l" কুমারী যখন পবিত্র থাকে সকলে তাকে বিবাহ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে , বিবাহ হলে সে পূজারীর মতো সকলের কাছে মাথা নত করে থাকে l কণ্যা যখন পিতার ঘরে থাকে তখন এত বেশী সম্বন্ধ মনে আসেনা l বিবাহের পরে দেহ-সম্বন্ধও বাড়তে থাকে আর স্বামী সন্তানের প্রতি মোহও বাড়তে থাকে l শ্বশুর-শাশুড়ী ইত্যাদি সব সম্পর্ক মনে আনাগোনা করে l প্রথমে শুধু মা -বাবার প্রতি মোহ থাকে l এখানে এসে আবার বাবার এবং স্বামীর ঘরের সেইসব সম্বন্ধ ভুলতে হয় , কেননা তোমাদের সত্যকার মাতা-পিতা তো আছেন l এই হলো ঈশ্বরীয় সম্বন্ধ l সর্বদাই তো গানের কলিতে সুর তুলছ ত্বমেব মাতা পিতা ত্বমেব - তুমিই মাতা, পিতা তুমিও ...এই মাতা-পিতা তো তোমাদের বিশ্বের মালিক বানিয়ে দেন এইজন্য বাবা বলেন , "আমি বেহদের বাবাকে নিরন্তর স্মরণ করো আর কোনও দেহধারীর সাথে মমত্ব রেখোনা l" বেহদের এই বাবা তোমাদের স্বর্গে নিয়ে যান , এই রকম মিষ্টি বাবাকে আন্তরিক ভালবাসায় স্মরণ করো আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে থাক l স্মরণের এই বল দ্বারাই তোমরা আত্মারা সোনা হয়ে অর্থাত্ পবিত্র হয়ে স্বর্গের মালিক হবে l স্বর্গের নাম শুনেই মন খুশিতে নেচে ওঠে l যারা নিরন্তর স্মরণ করে আর অন্যদেরও করায় সেই তারাই উচ্চ পদের অধিকারী হয় l এইরকম পুরুষার্থ করতে করতে অন্তিমে তোমাদের সেই অবস্থা স্থিত হবে l এই দুনিয়াও পুরনো , আর দেহও পুরনো ; দেহ সম্বন্ধীয় সব সম্বন্ধও পুরনো , এই সমস্ত কিছুর থেকে বুদ্ধিযোগ সরিয়ে এক বাবার সাথে জুড়তে হবে , যা অন্তিমসময়ে সেই এক বাবাই স্মরণ থাকে , অন্য কারও সম্বন্ধ স্মরণে থাকলে অন্তিমে পৌঁছে তখন সে -ই স্মরণে আসবে এবং পদভ্রষ্ট হয়ে যাবে l অন্তিমে যার বেহদের বাবার স্মরণ থাকবে সেই নর থেকে নারায়ণ হবে l বাবার স্মরণ করলে শিবালয়ের দূরত্ব কমে আসে l মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা বেহদের বাবার কাছে আসে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য কেননা বাচ্চারা জানে বেহদের বাবার থেকে অসীম বিশ্বের বাদশাহী পাওয়া যায় , এই কথা কখনও ভুলে গেলে চলবেনা l তিনি সর্বদা স্মরণে থাকলে বাচ্চাদের মনে অপার খুশি থাকে l এই ব্যাজ চলতে ফিরতে , মুহুর্মুহু দেখ , হৃদয়ের সাথে জুড়ে নাও l আহা ! ভগবানের শ্রীমতে আমরা এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে উঠছি l ব্যস্ ,শুধু ব্যাজ দেখে দেখে এঁদের ভালবাসতে শেখ l বাবা -বাবা করতে থাকলে তবে সর্বদা স্মৃতি উজ্জ্বল হয়ে থাকবে l আমরা বাবার দ্বারা লক্ষ্মী-নারায়ণ হই l মিষ্টি বাচ্চাদের বিশাল বুদ্ধি হওয়া চাই l সারাদিন সেবারই চিন্তা ভাবনা চলতে থাকে l বাবা সেইরকম বাচ্চাই পছন্দ করেন যারা সার্ভিস ছাড়া সময় কাটানোর কথা ভাবতেই পারেনা l তোমাদের বাচ্চাদের সারা বিশ্বে জ্ঞান-গঙ্গা বইয়ে দিতে হবে এবং পতিত দুনিয়াকে পবিত্র বানাতে হবে l সারা বিশ্বকে দুঃখধাম থেকে সুখধামে পরিণত করতে হবে l টিচারেরও পড়াতে কত আনন্দ হবে l তোমরা তো এখন অনেক উচ্চমানের টিচার হয়েছ l টিচার খুব ভালো হলে তিনি অন্যকেও নিজের সমান তৈরী করে নিতে চেষ্টা করেন l কখনও পরিশ্রান্ত হননা l ঈশ্বরীয় সেবায় খুব খুশি থাকে l বাবার সহায়তা পাওয়া যায় l এ হলো বেহদের বড়রকমের ব্যাপার , ব্যাপারী লোকেরাই ধনবান হয় l তারা এই জ্ঞানমার্গেও অতি আগ্রহী হয় l বাবা বেহদেরই তো ব্যাপারী ! সওদা অতি উচ্চমানের কিন্তু এতে অনেক সাহস ধারণ করতে হয় l নতুন -নতুন বাচ্চারা পুরনোদের থেকেও পুরুষার্থেএগিয়ে যেতে পারে l প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ভাগ্য যখন , তখন তো পুরুষার্থও ব্যক্তিগতভাবে আলাদা আলাদা করতে হবে , পূর্ণমাত্রায় নিজের চেকিং করতে হবে l এইভাবে চেকিং করায় সমর্থ আত্মারা রাতদিন পুরুষার্থ করতে নিজেদের ব্যস্ত রাখে , বলবে সময় কেন নষ্ট হতে দেব ! যতটা সম্ভব সময়কে নিরাপদ করে তুলতে হয় l নিজের কাছে কঠিন প্রতিজ্ঞা করে 
    আমরা বাবাকে কখনও ভুলব না , স্কলারশিপসহ পাশ করবই l এই ধরনের বাচ্চারা বাবার থেকে সাহায্যও পায় অর্থাত্ বাবার স্নেহ -সান্নিধ্যে থাকে l এই রকম নতুন নতুন পুরুষার্থী বাচ্চাদের তোমরা দেখবে , সাক্ষাত্কার হতে থাকবে l যেমন শুরুতে হয়েছিল তা'ই আবার পরেও দেখবে , ঘরে ফেরার সময় যত নিকটবর্তী হতে থাকবে খুশিতে ততই নাচতে থাকবে l পাশাপাশি ওদিকে খুনখারাপির বিধ্বংসী খেলাও চলতে থাকবে l তোমাদের বাচ্চাদের ঈশ্বরীয় প্রতিযোগিতা চলছে , যত সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া যাবে ততই নতুন দুনিয়ার দৃশ্য কাছে আসতে থাকবে , খুশি বাড়তে থাকবে , যার কাছে নতুন দুনিয়ার দৃশ্য সামনে আসবেনা তার খুশিও হবেনা l এখন তো কলিযুগিয় দুনিয়ার সাথে বৈরাগ্য আর সত্যযুগিয় নতুন দুনিয়ার সাথে প্রীতিপূর্ণ ভাব গড়ে ওঠা উচিত্ l শিববাবা স্মরণে থাকলে স্বর্গের রাজ্য অধিকারও স্মরণে থাকবে l আবার স্বর্গের অধিকার মনে থাকলে শিববাবাও স্মরণ থাকবে l তোমরা বাচ্চারা জেনেছ এখন আমরা স্বর্গের দিকে চলেছি , পা নরকের দিকে আর মাথা রয়েছে স্বর্গের দিকে l এখন ছোট বড় সকলের বাণপ্রস্থ অবস্থা l বাবার ( ব্রহ্মাবাবার) সবসময় এই নেশা থাকে ওহো ! আমরা স্বর্গে এইরকম বাল-কৃষ্ণ হব , যাঁকে সময়ের পূর্বেই উপহারও পাঠিয়ে দেন l যাদের সন্দেহাতীতভাবে নিশ্চয় থাকে সেই গোপিনীরা উপহার পাঠায় , তাদের অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব হয় l আমরাই অমরলোকে দেবতা হই l কল্প পূর্বেও আমরাই হয়েছিলাম , তারপর আবারও ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ করি l এই বাজোলি অর্থাত্ ডিগবাজির মতো আমরা যে চক্রাকারে আবর্তন করে চলেছি তা' স্মরণে থাকলে তা' আমাদের পরম সৌভাগ্য - সদা অপার খুশিতে থাকব l অনেক বড় লটারি পাওয়া যাচ্ছে l পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও আমরা রাজ্যভাগ্য পেয়েছিলাম আগামী সময়ে আবারও পাব , বিশ্ব-নাটকে লিপিবদ্ধ আছে l যেরকম কল্প পূর্বেও জন্ম নিয়েছিলাম সেইভাবেই নেব , ওখানে আমাদের মাতা -পিতা থাকবেন l যিনি কৃষ্ণের বাবা ছিলেন তিনিই আবারও কৃষ্ণের পিতা হবেন l এইভাবে যে সারাদিন বিচার মন্থন করবে সে খুব রমণীয় হবে , বিচার মন্থন না করলে সবই অসমাপ্ত থেকে যাবে l আচ্ছা ! 
    মিষ্টি -মিষ্টি হারানিধি /সিকিলধে বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা , বাপদাদার স্মরণ -স্নেহ আর সুপ্রভাত l রুহানি বাবার (পরমাত্মা পরমপিতা) রুহানি বাচ্চাদের ( আত্মাদের) নমস্কার l

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

    ১) ঈশ্বরীয় সেবা কাজ করতে কখনও শ্রান্ত হয়োনা , ভালো টিচার হয়ে নিজসমান তৈরী করার সেবা করতে হবে l

    ২) স্মরণের বল দ্বারা আত্মাকে খাঁটি সোনায় পরিবর্তিত করতে হবে , কোনও দেহধারীর প্রতি মমত্ববোধ রাখা ঠিক নয় l

    বরদান :- 

    কম কথায় জ্ঞানের সর্ব রহস্য ব্যক্ত করতে সমর্থ , যথার্থ আর শক্তিশালী ভব

    কোনও জিনিস যত অধিক শক্তিশালী হয় ততই তা'সংখ্যায় কম হয় l এইরকমই যখন তুমি নিজের নির্বাণ স্থিতিতে স্থিত হয়ে বাণী শোনাবে তখন শব্দের সংখ্যা কমে আসবে কিন্তু যথার্থ আর শক্তিশালী হবে l একটা শব্দের মধ্যেই হাজার হাজার শব্দের রহস্য সমাহিত হয়ে আছে , যার দ্বারা ব্যর্থ বাণী স্বয়ংক্রিয়ভাবে (অটোমেটিক্যালি) সমাপ্ত হয়ে যাবে l এক শব্দের দ্বারা জ্ঞানের সব রহস্য স্পষ্ট করলে , বিস্তার সমাপ্ত হয়ে যাবে l

    শ্লোগান :- 

    অন্তর থেকে বাবা বলা অর্থাত্ খুশি আর শক্তির প্রাপ্তি l

    ***OM SHANTI***