BK Murli 1 September 2016 In Bengali
০১-০৯-১৬ প্রাত: মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
" মিষ্টি বাচ্চারা - তত্বের(পাঁচ তত্ত্ব) সাথে সাথে সমস্ত মানুষকে পরিবর্তন করার ইউনিভার্সিটি কেবলমাত্র একটাই, এখান থেকেই সবার সদ্গতি হয় l "
প্রশ্ন :-
বাবার প্রতি নিশ্চয়তা আসতেই কোন্ রায় তৎক্ষণাত্ মেনে চলা উচিত ?
উত্তর :-
১) যখন তোমরা নিশ্চিত হয়েছো যে বাবা এসেছে, তখন বাবার প্রথম রায়ই হল, এই চোখে যা কিছু দেখছো সব ভুলে যাও l এক বাবার মতেই চলো l এই রায়কে এখুনি মেনে চলতে হবে l ২) যখন তোমরা বেহদের বাবার হয়েছ , তখন পতিত মানুষদের সাথে তোমাদের কোনোরকম দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক হওয়া উচিত নয় l নিশ্চয়বুদ্ধি বাচ্চাদের কখনোই কোনো বিষয়ে সংশয় আসে না l
ওম্ শান্তি l
এ হলো তোমাদের ঘরও আবার বিশ্ববিদ্যালয়ও l একেই গড ফাদারলী ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি বলা হয় কারণ এখানে সারা দুনিয়ার মানুষের সদ্গতি হয় l আসল ওর্য়াল্ড ইউনিভার্সিটি হল এটাই l এ হল ঘরও যেখানে মা বাবার সামনে সন্তানরা বসে থাকে, আবার ইউনিভার্সিটিও l তোমাদের আধ্যাত্মিক পিতাও এখানেই বসে আছেন l এ হল আত্মার জ্ঞান যা তোমরা আত্মারা বাবার থেকেই প্রাপ্ত করো l এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান আধ্যাত্মিক পিতা ছাড়া কোনো মানুষ দিতে পারে না l তাঁকেই জ্ঞানের সাগর বলা হয় আর এই জ্ঞানের দ্বারাই সবার সদ্গতি হয় তাই জ্ঞানের সাগর, সবার সদ্গতিদাতা একমাত্র শিববাবাই l বাবার দ্বারাই শুধুমাত্র সারা পৃথিবীর মানুষরাই নয়, তার সঙ্গে ৫ তত্বও সতোপ্রধান হয়ে যায় l সবারই সদ্গতি হয় l এই কথা খুবই বোঝার মতো কথা l এখন সবার সদ্গতি হবে l এই পুরোনো দুনিয়া আর এই দুনিয়াতে থাকা সমস্ত কিছুই পরিবর্তন হয়ে যাবে l যা কিছু এই দুনিয়াতে দেখছো, সবই পরিবর্তন হয়ে নতুন হয়ে যাবে l এই গানও আছে যে .....এখানে মিথ্যে মায়া, মিথ্যে শরীর .....এ সমস্ত মিথ্যে ভূখণ্ড হয়ে যাবে l ভারত সত্যখণ্ড ছিলো, এখন তা মিথ্যা খণ্ড হয়েছে l রচয়িতা আর রচনার সমন্ধে মানুষ যা বলে সবই মিথ্যা l এখন তোমরা বাবার দ্বারাই জেনেছো .....ভগবানুবাচঃ l ভগবান হলেন একমাত্র শিববাবাই l তিনি হলেন নিরাকার, আসলে সমস্ত আত্মারাই নিরাকার, এই পৃথিবীতে এসে সাকার রূপ গ্রহণ করে l মূলবতনে কোনো আকার থাকে না l আত্মারা মূলবতন বা ব্রহ্মমহাতত্বে নিবাস করে l সেটাই হলো আমাদের আত্মাদের ঘর, ব্রহ্মমহাতত্ব l আর এই হল আকাশতত্ব, এখানে সাকারী পার্ট চলতে থাকে l এই পৃথিবীর ইতিহাস , ভৌগলিক পরিবেশ বারে বারে আবর্তিত হয় l এর অর্থও কেউ বোঝে না, বলতে থাকে রিপিট হয় l স্বর্ণ যুগ , রৌপ্য যুগ ......তারপর কি ? অবশ্যই স্বর্ণ যুগ আবার আসবে l আবার সঙ্গমযুগ একটাই হয় l সত্যযুগ, ত্রেতা বা ত্রেতা বা দ্বাপরের মাঝের সময়কে সঙ্গম বলা হয় না, এ সবই ভুল কথা l বাবা বলেন যে ......আমি কল্প - কল্প অর্থাত্ প্রতি কল্পের সঙ্গম যুগে আসি l যখন সমস্ত মানুষ পতিত হয়ে যায় তখনই তো তারা আমাকে ডাকতে থাকে l মানুষ বলে যে, তুমি পবিত্র বানাতে এসো l সত্য যুগেই মানুষ পবিত্র হয় l এখন হলো সঙ্গম যুগ, একে কল্যাণকারী সঙ্গমযুগ বলা হয় l আত্মা আর পরমাত্মার মিলনের যে সঙ্গম তাকে কুম্ভও বলা হয় l দুনিয়াতে কুম্ভকে নদীর মেলা হিসাবে দেখানো হয় l দুটো নদী তো থাকেই, তৃতীয় নদীকে গুপ্ত হিসাবে দেখানো হয়, এও সব মিথ্যা l গুপ্ত নদী কখনো হতে পারে ? বিজ্ঞানীরাও মানবেন না যে কোনো গুপ্ত নদী থাকতে পারে l তীর মারা হল আর গঙ্গা বেরিয়ে এল, এ সমস্ত কথাই মিথ্যা l বলা হয় যে জ্ঞান, ভক্তি আর বৈরাগ্য l এই শব্দগুলিই মানুষ জানে কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না l প্রথম হল জ্ঞান অর্থাত্ দিন যা সুখদায়ী , তারপর ভক্তি অর্থাত্ রাত যা হল দুঃখদায়ী l ব্রহ্মার দিন আর ব্রহ্মার রাত l এ তো একের হবে না, অনেকেরই হবে l অর্ধেক কল্পের জন্য ব্রহ্মার দিন থাকে আর অর্ধেক কল্পের জন্য ব্রহ্মার রাত হয় l তারপর সমস্ত পুরোনো দুনিয়ার প্রতি বৈরাগ্য আসে l
বাবা বলেন যে .....দেহের সঙ্গে সঙ্গে যা কিছু তোমরা এই চোখের দ্বারা দেখছো সেই সমস্তকিছু জ্ঞানের দ্বারা ভুলতে হবে l কাজ কারবার সমস্ত কিছুই করতে হবে l সন্তানেরও দেখাশোনা করতে হবে l কিন্তু বুদ্ধির যোগ এক বাবার সাথেই লাগিয়ে রাখতে হবে l অর্ধেক কল্প তোমরা রাবণের মতে চলে এসেছো l এখন যখন বাবার হয়েছো, তখন যা কিছুই করো বাবার মতেই করো l এতদিন তোমাদের লেনদেন পতিত মানুষদের সঙ্গে হয়ে এসেছে , তার ফল তোমরা কি পেয়েছো ? দিন দিন তোমরা পতিতই হয়ে এসেছো কারণ ভক্তিমার্গ হলো উতরতি কলার মার্গ l সতোপ্রধান থেকে সতো, রজ এবং তমোতে আসতে হবে l এইভাবে অবশ্যই নামতে হবে l এর থেকে কেউই মুক্তি পেতে পারে না l লক্ষ্মী - নারায়ণেরই ৮৪ জন্মের কথা বলা হয় l ইংরেজি অক্ষর খুবই সুন্দর l বলা হয় গোল্ডেন এজ .......তারপর খাদ পড়তে পড়তে এখন আয়রন এজে এসে দাঁড়িয়েছে l গোল্ডেন এজ বা স্বর্ণযুগে নতুন দুনিয়া ছিলো বা নতুন ভারত ছিলো l তখন এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো l এ যেন কালকের কথা l কিন্তু শাস্ত্রতে লিখে দিয়েছে লাখ বছরের হিসেব l এখন বাবা বলেন যে শাস্ত্র ঠিক না আমি ঠিক ? বাবাকেই বলা হয় .....পৃথিবীর সর্বময় কর্তা l যারা বেদ - শাস্ত্র অনেক পাঠ করে তাঁদের সর্বজ্ঞানী বলা হয় l বাবা বলেন যে .......এ সবই ভক্তিমার্গের সর্বজ্ঞান l জ্ঞানের জন্য তো আমার নাম করো .....বাবা তুমি জ্ঞানের সাগর , আমরা নই l মানুষ সবাই ভক্তির সাগরে ডুবে আছে l সত্যযুগে কেউই বিকারে যায় না l কলিযুগের মানুষ আদি - মধ্য - অন্ত দুঃখীই থাকে l আগের কল্পেও বাবা তোমাদের এইভাবে বুঝিয়েছিলেন, এখন আবার তিনি বোঝাচ্ছেন l বাচ্চারা বোঝে যে আগের কল্পেও বেহদেরবাবার থেকে আমরা এই বর্ষা বা সম্পত্তির অধিকার নিয়েছিলাম এখন আবার সেই জ্ঞান অর্জন করে সেই অধিকার লাভ করছি l খুবই অল্প সময় বাকি আছে l এ সমস্ত কিছুই বিনাশ হয়ে যাবে, তাই বেহদের বাবার থেকে তোমাদের সম্পূর্ণ বর্ষা নেওয়া উচিত l শিববাবা হলেন একাধারে বাবা , শিক্ষক এবং গুরুও l আবার বাবাই হলেন সুপ্রীম ফাদার আর সুপ্রীম শিক্ষকও l সারা পৃথিবীর ইতিহাস এবং ভৌগলিক অবস্থান কেমনভাবে আবর্তিত হয় বাবাই সেই জ্ঞান তোমাদের দেন l অন্য কেউই এইসব কথা তোমাদের বোঝাতে পারবে না l এখন বাচ্চারা বোঝে যে ৫০০০ বছর আগের মতো বাবাই হলেন গীতার ভগবান , শ্রীকৃষ্ণ কিন্তু নন l মানুষকে কখনোই ভগবান বলা যাবে না l ভগবান হলেন পুনর্জন্ম রহিত l তাঁর জন্মকে দিব্য জন্ম বলা হয় l নাহলে আমি কেমন করে নিজেকে নিরাকার বলবো ? আমাকেই এসে সকলকে পবিত্র বানাতে হবে তাই এই পবিত্র বানাবার যুক্তি আমাকেই দিতে হবে l তোমরা জানো যে তোমরা আত্মারা সকলেই অমর l এই রাবণ রাজ্যে তোমরা সকলেই দেহ - অভিমানী হয়ে পড়েছ l সত্যযুগে আবার সবাই দেহী - অভিমানী থাকে l বাকি পরমাত্মা রচয়িতাকে আর তাঁর রচনাকে সেখানেও কেউই জানে না l সত্যযুগে যদি সবাই জানতে পারে যে আমাদের আবার নীচে নামতে হবে, তাহলে এই রাজত্বের খুশী কেউই উপভোগ করতে পারবে না, তাই বাবা বলেন যে এই জ্ঞান প্রায় লোপ হয়ে যাবে, কারণ তোমাদের সদ্গতি হয়ে গেলে এই জ্ঞানের আর প্রয়োজন পড়বে না l দুর্গতি হলেই এই জ্ঞানের প্রয়োজন পরে l এই সময় সবাই দুর্গতিতে আছে , সকলেই কামচিতায় বসে বিনা জলে তেষ্টায় মরছে l বাবা বলেন যে .....তোমরা আমার বাচ্চারা, অর্থাত্ আত্মারা, তোমরা শরীরের দ্বারা অভিনয় করো, আবার তোমরাই কামচিতায় বসে তমোপ্রধান হয়ে গেছো l তোমরা বাবাকে ডাকতে থাকো ...বাবা , আমরা পতিত হয়ে গেছি l কাম - চিতায় বসেই তোমরা পতিত হয়ে যাও l ক্রোধ বা লোভের জন্য কিন্তু পতিত হও না l সাধু - সন্তরা সকলেই পবিত্র, দেবতারাও পবিত্র তাই পতিত মানুষ তাঁদের সামনে গিয়ে মাথা নত করে l গানও করে যে তুমি নির্বিকারী আর আমরা সবাই বিকারী l জ্ঞানের দুনিয়া আর অজ্ঞানের দুনিয়া , এই কথার গায়ন আছে l ভারতই জ্ঞানের পৃথিবী ছিলো l এখন আবার অজ্ঞানী হয়ে গেছে l ভারতের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পৃথিবীই এখন অজ্ঞানী l জ্ঞানের দুনিয়ায় আজ থেকে ৫০০০ বছর আগে একই ধর্ম ছিলো, পবিত্রতা ছিলো তাই শান্তি আর সমৃদ্ধিও ছিলো l পবিত্রতা হলো সর্বপ্রথম l এখন সেই পবিত্রতা নেই তাই শান্তি আর সমৃদ্ধিও নেই l
বাবাই হলেন জ্ঞানের সাগর , সুখের সাগর এবং প্রেমের সাগর l তোমাদেরও বাবা এমনই প্রিয় করে তোলেন l এই লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজধানীতে সকলেই খুব প্রিয় হয় l মানুষ , জন্তু - জানোয়ার সকলেই খুব প্রিয় হয় l বাঘ এবং ছাগল একইসঙ্গে জলপান করে l এটা একটা দৃষ্টান্ত l সেখানে পরিবেশ অপরিষ্কার করার মতো কোনো জিনিসই থাকে না l এখানে তো রোগভোগ, মশা অনেককিছুই আছে l কিন্তু সেখানে এই ধরনের জিনিস থাকে না l সাহুকার মানুষদের কাছে খুব সুন্দর আসবাবপত্র থাকে l আবার গরীবদের খুব সাধারণ আসবাবপত্র থাকে l ভারত এখন গরীব , এখন এখানে কত আবর্জনাপূর্ণ হয়ে গেছে l সত্যযুগ কত পরিষ্কারপরিছন্ন থাকে l সেখানে সোনার মহল ইত্যাদি কত সুন্দর থাকে l বৈকুন্ঠের গাইকে কত সুন্দর দেখানো হয় l কৃষ্ণের কাছেও কত সুন্দর গাইদের দেখানো হয় l কৃষ্ণপুরীতে গাইরাতো থাকবেই l সেখানকার জিনিস সবই খুব সুন্দর l সে তো স্বর্গ রাজ্য l এই পুরোনো ছি ছি দুনিয়া হলো আবর্জনাপূর্ণ l এই সমস্তকিছুই এই জ্ঞানযজ্ঞে স্বাহা হয়ে যাবে l দেখো , কতো ধরনের বোম্ব বানানো হয় l বোম্ব ফেলা হলেই আগুন ছড়িয়ে পড়বে l আজকাল তো এমন জীবাণু প্রয়োগ করে এমন বিনাশ করে যে এই বেহদই শেষ হয়ে যাবে l হাসপাতাল ইত্যাদি তো কিছুই থাকবে না, যাতে ওষুধপত্র দেওয়া যায় l বাবা বলেন যে বাচ্চাদের যেন কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় তাই গায়ন আছে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মুষলধারে বৃষ্টি l বাচ্চারা এই বিনাশের সাক্ষাত্কারও করেছে l কেউ কেউ বলে বিনাশের সাক্ষাত্কার হলে তবেই মানবো, ঠিক আছে মেন না , তোমাদের মর্জি l কেউ কেউ আবার বলে আমরা আত্মার সাক্ষাত্কার করবো তবেই মানবো l আচ্ছা , আত্মা তো বিন্দি , তাকে দেখলেই বা কি হবে ? এরজন্য কি কোনো সদ্গতি হবে ? বলা হয় ....পরমাত্মা হলো অখণ্ড জ্যোতিস্বরূপ, হাজার সূর্য্যের থেকেও তেজময় l কিন্তু এমন কিছু নয় l গীতাতে বলা আছে যে অর্জুন বলেছিলো এবার তোমার রূপ শান্ত করো, আমি সহ্য করতে পারছি না l কিন্তু এমন কথা নয় l বাবাকে বাচ্চারা দেখবে আর বলবে আমরা সহ্য করতে পারছি না, এমন তো হতেই পারে না l যেমন আত্মা, ঠিক তেমনই পরমপিতা পরমাত্মা শিববাবা l বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর l তোমাদের মধ্যেও জ্ঞান আছে l বাবাই এসে পড়ান, আর কোনো কথাই থাকে না, যারা যারা যেই ভাবনাতে বাবাকে স্মরণ করে, সেই ভাবনা বাবা পূরণ করে দেন l এও নাটকে লিপিবদ্ধ আছে l বাকি কেউই ভগবানকে পেতে পারে না l মীরা সাক্ষাত্কার করে কতো খুশী হয়েছিলো l দ্বিতীয় জন্মেও ভক্তিমতি হয়েছিলো l কিন্তু বৈকুন্ঠে তো যেতে পারে নি l এখন তোমরা বাচ্চারা বৈকুন্ঠে যাবার জন্য তৈরী হচ্ছো l তোমরা জানো যে তোমরা বৈকুন্ঠ বা কৃষ্ণপুরীর মালিক হতে যাচ্ছো l এখানে তো সবাই নরকের মালিক l ইতিহাস আর ভৌগলিক অবস্থান সবই আবর্তিত হবে তাই না ? বাচ্চারা জানে, আমরা আবার নতুন করে রাজ্য ভাগ্যের অধিকার লাভ করছি l এ হলো রাজযোগের শক্তি l বাহুবলের লড়াইতো অনেকবার অনেক জন্ম ধরে চলে এসেছে l যোগবলের দ্বারাই তোমাদের চড়তি কলা হয় l তোমরা জানো যে বরাবর এই স্বর্গের রাজধানী স্থাপন হয় l যারা আগের কল্পে পুরুষার্থ করেছিলো তারাই আবার করবে l তোমাদের হার্টফেল করলে চলবে না l যারা সম্পূর্ণ নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন , তাদের কখনোই কোনো সংশয় আসে না l সংশয়বুদ্ধি মানুষও অবশ্যই থাকে l বাবা বলেন যে আশ্চর্যবত্ সুনন্তি , কথন্তি , ভাগন্তি.......মায়া তুমি এদের উপর জয়লাভ করো l মায়া খুবই শক্তিশালী l খুব ভালো সেবাধারী , বা সেন্টার চালান যারা তাদেরও মায়ার থাপ্পড় লেগে যায় l তারা বাবাকে লেখে ...বাবা বিয়ে করে মুখ কালো করে ফেলেছি l কাম কাটারির সামনে আমরা হার মেনেছি l এখন তো বাবা তোমার সামনে আসার মুখ আর নেই l আবার লেখে , বাবা তোমার সামনে আবার আসি ? বাবা লেখেন যে কালো মুখ করেছো এখন এখানে আর আসতে পারবে না l এখানে এসে আর কি করবে ? তবুও ওখানে থেকে পুরুষার্থ করো l একবার ভূপাতিত হয়েছো কি সব হারিয়ে ফেলবে l এমনভাবে রাজার পদ পেতে পারবে না l কথিত আছে না ......চড়তি কলা হলে বৈকুন্ঠের রস পান করতে পারবে , আর যদি পতিত হও তবে চণ্ডালতুল্য হবে ....হাড়গোড় চূর্ণ হয়ে যাবে l পাঁচতলার উপর থেকে পড়লেও অর্থাত্ জ্ঞান প্রাপ্ত করার পর আধোগতি হলেও কেউ কেউ বাবাকে লিখে জানায় l আবার কেউ তো কিছুই বলে না l যেমন ইন্দ্রপ্রস্থের পরীদের উদাহরণ আছে l এ সকলই হলো জ্ঞানের কথা l এই সভাতে কোনো পতিত মানুষদের থাকার হুকুম নেই l আবার কাউকে তার এই অবস্থায় বসাতেই হয় l পতিত মানুষরাই তো এখানে আসবে পবিত্র হবার জন্য l এখন দেখো , কত দ্রৌপদীরা বাবাকে ডাকতে থাকে, বাবা আমাদের বিবস্ত্র হওয়ার হাত থেকে বাঁচাও l সংসারের বন্ধনে আবদ্ধ মেয়েদের অভিনয়ও এখানে চলতে থাকে l কামেশু , ক্রোধেশু এই কথা আছে না ? এই নিয়ে অনেক মনোমালিন্য চলতেই থাকে l বাবার কাছে এইসব খবর আসে l বেহদের বাবা বলেন যে এই কাম , ক্রোধের উপর তোমরা জয় পাও l এখন পবিত্র হও, আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমি প্রতিজ্ঞা করছি তোমরা এই বিশ্বের মালিক হতে পারবে l খবরের কাগজেও এই কথা লেখা হয় যে কোনো একজন প্রেরক আছে যার দ্বারা এই বোম্ব বানানো হয় l যার দ্বারা তোমাদের বংশেরই নাশ হবে l কিন্তু কি আর করা যাবে, সবই এই নাটকে লিপিবদ্ধ আছে, তাই দিনে দিনে মানুষ বানিয়েই চলছে l সময় তো আর খুব বেশী নেই l আচ্ছা l
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি(সিকিলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণ , ভালোবাসা আর সুপ্রভাত l রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদের নমস্কার l
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) সত্যযুগের প্রেমের রাজধানীতে যাওয়ার জন্য অনেক বেশী প্রেমপূর্ণ হতে হবে l রাজপদের অধিকারী হবার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে l পবিত্রতাই হল প্রথম বিষয় তাই কাম মহাশত্রু , এর উপর বিজয় পেতে হবে l
২) এই পুরানো দুনিয়া থেকে বেহদের বৈরাগী হওয়ার জন্য এই চোখে দেহের সঙ্গে যা কিছু দেখছো , তাকে দেখেও না দেখতে হবে l প্রতি পদে বাবার মত নিয়ে চলতে হবে l
বরদান :-
মুখের বাণীর সাহায্যে জ্ঞান রত্নের দান করে মাষ্টার জ্ঞানী আত্মা হও l
যারা বাণীর সাহায্যে জ্ঞান রত্নের দান করেন, তারা মাষ্টার জ্ঞানী আত্মার বরদান প্রাপ্ত করতে পারেন l তাদের এক একটি কথা অতি মূল্যবান l তাদের এক একটি কথা শোনার জন্য অনেক আত্মারা তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে l তাদের প্রতিটি শব্দে জ্ঞানের সার ভরা থাকে l তারা অনেক খুশীরও প্রাপ্তি করে l তাদের কাছে এই জ্ঞানের সম্পত্তি ভরপুর থাকে তাই তারা সর্বদা সন্তুষ্ট এবং আনন্দিত থাকে l তাদের বাণী শক্তিশালী হতে থাকে l এই জ্ঞানের বাণীর দান করতে করতে মুখের বাক্য অনেক গুণ সমৃদ্ধ হতে থাকে l
স্লোগান :-
স্বরাজ্যের মালিক হও তাহলে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকারের(বর্সা) অধিকারী হতে পারবে l
***OM SHANTI***