BK Murli 25 May 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 25 May 2016 Bengali

    ২৫-০৫-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


    "মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা নিজেরাই নিজেদের জিজ্ঞাসা করো যে , আমি কি কর্মেন্দ্রীয়-জীত হয়েছি , কোনোও কর্মেন্দ্রীয় আমায় ধোঁকা তো দিচ্ছে না !

    প্রশ্ন -- 

    কর্মাতীত হওয়ার জন্য তোমাদের বাচ্চাদের নিজের সাথে কি প্রতিজ্ঞা করতে হবে ?

    উত্তর -- 

    নিজের সাথে প্রতিজ্ঞা করো যে কখনোও যেন কোনোও কর্মেন্দ্রীয় চলায়মান না হয় | আমাকে আমার কর্মেন্দ্রীয়গুলিকে বশে আনতেই হবে | বাবা আমাদের যা-যা নির্দ্দেশ দিয়েছেন ,সেসব আমাদের ব্যবহারে (IMPLEMENT করতে হবে) আনতেই হবে | বাবা বলেন মিষ্টি বাচ্চারা কর্মাতীত হতে হবে তো সেই কারণে কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা কোনোও বিকর্ম কোরো না | মায়া খুবই প্রবল , চোখ হয় ধোঁকাবাজ , তাকে সামলে রাখো |

    ওম্ শান্তি | 

    বাচ্চারা আত্ম-অভিমানী হয়ে বসেছো ? নিজেকে জিজ্ঞাসা করো , প্রত্যেকটি কথা নিজেকেই জিজ্ঞাসা করতে হয় , বাবা যুক্তি দেন যে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আত্ম-অভিমানী হয়ে বসেছো অর্থাৎ নিজেকে আত্মা চিন্তা করছো ? বাবাকে স্মরণ করছো ? কারণ এই হল তোমার রূহানী সেনা | সেই সেনাতে তো সবসময় জওয়ানই ভর্ত্তি হয় | এই সেনায় জওয়ান চোদ্দ-পনেরোরও হয় , আবার নব্বই বছরের বুড়োও হয় , আবার ছোটো-ছোটো বাচ্চারাও থাকে | এই সেনা মায়ার ওপরে বিজয়ী প্রাপ্ত করার জন্য হয়ে থাকে | প্রত্যেককে মায়ার ওপরে বিজয়ী হয়ে বাবার থেকে বেহদের অধিকার প্রাপ্ত করতে হবে | কারণ মায়া হলো অনেক দুশ্তর | বাচ্চারা নিজেরাও জানে যে মায়া খুবই প্রবল | প্রত্যেক কর্মেন্দ্রীয়ই অনেক ধোঁকা দেয় | সবচেয়ে বেশী ধোঁকা দেয় কোন্ ইন্দ্রিয় ? চোখ হলো সবচেয়ে বেশী ধোঁকা দেওয়ায় নিমিত্ত ইন্দ্রিয় | নিজের স্ত্রী হওয়ার পরেও দ্বিতীয় কেউ সুন্দরী দেখলো তো ঝট্ করে তার দিকে চোখ চলে যায় | চোখ অনেক বেশী ধোঁকা দেয় , মনে হয় হাত লাগাই | বাচ্চাদের সদৈব বোঝানো হয় যে বুদ্ধিতে মনে রেখো আমরা হলাম ব্ৰহ্মকুমার-কুমারী , ভাই-বোন , আর এইসবে মায়া গুপ্ত ভাবে অনেক ধোঁকা দেয় | এইজন্য নিজের কাছে চার্ট রাখা দরকার আর চার্টে লেখা দরকার যে আজ সারাদিন কোন কোন কর্মেন্দ্রীয় আমাদের ধোঁকা দিয়েছে ? সবচেয়ে বেশী শত্রুতা করে চোখ | তাই এটা লেখা দরকার যে অমুককে দেখেছি , আমাদের দৃষ্টি গেছে | সুরদাসেরও উদাহরণ আছে , তাই না | নিজের চোখ বার করে দিয়েছিল | এবার থেকে নিজেই যাচাই করলে দেখবে যে চোখই বেশী ধোঁকা দেয় | নিজের স্ত্রীকেও ত্যাগ করে অন্য কোনো সুন্দরীকে দেখলো তো তার ওপরে ফিদা (মোহিত) হয়ে যায় | কেউ গায়নে ভালো হয় , তো কেউ আবার শৃঙ্গার ভালো করে তো চোখ ঝট্ করে চলায়মান হয়ে যায় | এইজন্য বাবা বলেন যে এই চোখ অনেক ধোঁকা দেয় | যদিও সার্ভিস করে , কিন্তু তারপরেও চোখ ধোঁকা দেয় | এই শত্রুর পুরো যাচাই করতে হবে , নয়তো বুঝতে হবে যে আমরা নিজেরাই নিজের পদ ভ্রষ্ট করলাম | যারা বোঝদার হয় , তাদের নিজের কাছে ডায়রী রেখে নোট করা দরকার | অমুককে দেখে আমাদের দৃষ্টি গেছে তো নিজেদের নিজেই শাস্তি দাও | ভক্তিমার্গেও পূজোর সময়ে বুদ্ধি এদিক-ওদিক বিচরণ করতে থাকে তো তখন তারা নিজেরাই নিজেদের চিমটি কাটে | সেইজন্য এরকম কোনো স্ত্রী ইত্যাদি সামনে আসলে কিনারা করা দরকার , দাঁড়িয়ে দেখা উচিত নয় | চোখ অনেক ধোঁকা দেয় | সন্ন্যাসীরা এই কারণে চোখ বন্ধ করে বসে | স্ত্রীকে পেছনে আর পুরুষকে সামনে বসানো হয় | অনেকে এইরকমও আছে যে স্ত্রীকে একদম দ্যাখে না | তোমাদের বাচ্চাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে | বিশ্বের রাজত্ব-ভাগ্য প্রাপ্ত করা কি চাট্টিখানি কথা ! তারা তো বলে-করে দশ-বারো , কুড়ি হাজার , এক-দুই লাখ-কোটি একত্রিত করবে আর শেষ হয়ে যাবে | তোমরা বাচ্চারা তো অবিনাশী অধিকার প্রাপ্ত করো | সবকিছুরই প্রাপ্তি হয়ে যায় , এমন কোনো জিনিষ থাকে না , যে যার প্রাপ্তির জন্য মাথা খুড়তে হয় | কলিযুগ অন্ত আর সত্যযুগ আদিতে রাতদিনের তফাত হয় | সেখানে তো কিছুই হয় না |
    এখন তোমাদের এই সময় হলো পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ | পুরুষোত্তম অক্ষরটা অবশ্যই লিখতে হবে | মানব থেকে দেবতা পরিণত করা হচ্ছে …… তুমি এখন ব্রাক্ষণ হয়েছো , মানুষরা তো একদমই ঘোর অন্ধকারে আছে | অনেক আছে , যারা স্বর্গকে দেখতে পায় না | বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের ধর্ম অনেক সুখ দেয় | মানুষরা এইসব থোড়াই বোঝে | ভারতবাসীরা তো ভুলে গেছে যে স্বর্গ জিনিষটা কি ? ক্রিশ্চানরাও নিজেরাই বলে যে স্বর্গ ছিল | এই লক্ষ্মীনারায়ণকে গড-গডেজ (দেবী-দেবতা) বলা হয় , তাই না | তাহলে অবশ্যই এইসব গড বা ভগবানই তৈরী করবেন | বাবা সেই কারণেই বোঝাচ্ছেন যে তোমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে | রোজ নিজের পোতামেলে (কর্মের হিসেব) লক্ষ্য রাখো | কোনো কর্মেন্দ্রীয় আমায় বেপথে চালাচ্ছে না তো বা ধোঁকা তো দিচ্ছে না ? মুখও অনেক সময় ধোঁকা দিয়ে দেয় | আগে কাছাড়ী হতো , যেখানে সবাই নিজের ভুল স্বীকার করতো | আমরা অমুক জিনিষ লুকিয়ে খেয়ে নিয়েছি | ভালো ভালো বড় ঘরের বাচ্চারা বলে দেয় , মায়া এইরকম এইরকম আক্রমন (বার) করে | লুকিয়ে খাওয়াও চুরি হয় | সেটাও আবার শিববাবার যজ্ঞের চুরি , এইসব তো খুবই খারাপ | এক টাকা চুরি করলে চুরি, লাখ টাকা চুরি হলেও চুরি ( কখ কা চোর সো লখ কা চোর ) | মায়া একদম নাক থেকে ধরে | এই অভ্যাস বেশ খারাপ | খারাপ অভ্যাস থাকলে আমরা আর কি তৈরী হবো | স্বর্গে যাওয়া কোনো বড় কথা নয় | কিন্তু সেসবে আরও তো পদ (মর্তবা) আছে , তাই না | কোথায় রাজা , আর কোথায় প্রজা | কত তফাৎ হয়ে যায় | কর্মেন্দ্রীয়রাও অনেক ধোঁকা দেওয়ায় নিমিত্ত হয় | তাদের এবার সামলাতে হবে | উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য বাবার নির্দ্দেশে ভালো করে চলতে হবে | বাবা ডায়রেক্শন দেবেন আর মায়া মাঝে এসে বিঘ্ন ঘটাবে | বাবা বলছেন যে ভুলো না , নয়তো শেষে অনেক অনুশোচনা করবে | নাপাস হওয়ার আবার সাক্ষাতৎকারও হবে | এখন তুমি বলো আমরা নর থেকে নারায়ণ হবো | কিন্তু নিজেকে জিজ্ঞাসা করো আর নিজের কর্মের হিসেব(পোতামেল) বার করো | অনেক আছে , যারা মুশকিল বুঝে ব্যবহারে আনে | কিন্তু বাবা বলেন এইসব দ্বারা তোমারই উন্নতি হবে | পুরো দিনের পোতামেল (কর্মের হিসেব) বার করা দরকার | চোখ সবচেয়ে বেশী ধোঁকা দেয় | কাউকেও দেখবে তো খেয়ালে আসবে যে সে তো খুবই ভালো , আবার কথা বলবে , মন হবে তাকে কিছু উপহার দেওয়ার , খাওয়াবার , এইসবই চিন্তন চলতে থাকবে | বাচ্চারা বোঝে , এইসবে অনেক পরিশ্রম আছে | কর্মেন্দ্রীয় অনেকই ধোঁকা দেয় , রাবণ রাজত্ব হচ্ছে , তাই না | বাবা বলেন সেখানে চিন্তার কোনো কথা নেই কারণ রাবণ রাজত্বই থাকে না | চিন্তার কোনোও কথা নেই | ওখানেও যদি চিন্তা হয় , তাহলে নরক আর স্বর্গের মাঝে তফাত কি থাকবে ? তোমরা বাচ্চারা অনেক অনেক উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার জন্য ভগবানের নিকট পড়াশোনা করছো | বাবা বোঝাচ্ছেন যে মায়া নিন্দা করে | তুমি কোনো অপকার করলে , আমি উপকার করবো | বাচ্চারা যদি তোমরা কুদৃষ্টি রাখবে তো তোমাদেরই ক্ষতি হবে | লক্ষ্য অনেক বড় এই কারণে বাবা বলছেন যে নিজেদের কর্মের হিসেব (পোতামেল) রাখা শুরু করো | কোনো বিকর্ম তো করছি না ? কাউকে ধোঁকা তো দিচ্ছি না ? এবার তোমাদের বিকর্মাজীত হতে হবে | বিকর্মাজীত সম্বতঃ তোমাদের বাচ্চাদের ছাড়া আর কারোরও জানা নেই | বাবা বুঝিয়েছেন যে বিকর্মাজীতের পাঁচ হাজার বছর হয়েছে , তারপর বিকর্ম করে বাম মার্গে তারা চলে যায় | কর্ম , অকর্ম বিকর্ম অক্ষর তো আছে , তাই না | মায়ার রাজত্বে মানুষরা যেসব কর্ম করে , সেই কর্মকে বিকর্ম বলা হয় | সত্যযুগে তো বিকার হয়ই না , সেইকারণে বিকর্মও তৈরী হয় না | এইসবও তুমি জানো কারণ তুমি জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করেছো | তুমি ত্রিনেত্রী তৈরী হয়েছো , তো ত্রিকালদর্শী , ত্রিনেত্রী পরিণত করার অধিকারী হন একমাত্ৰ বাবা | তুমি যখন আস্তিক হয়েছো , তখন ত্রিকালদর্শী হয়েছো | পুরো ড্রামার রহস্য বুদ্ধিতে রয়েছে | মূলবতন , সূক্ষ্মবতন স্থূলবতন চুরাশীর চক্র তারপর আরও অন্য ধর্ম বৃদ্ধি হয় | তারা কোনো সদ্গতি প্রাপ্ত করতে পারে না | তাদের গুরুও বলা যায় না | বাবাই একজন হন , যিনি সকলের সদ্গতি করেন | এবার সকলের সদ্গতি হওয়ার আছে | তাদের ধর্ম স্থাপক বলা হয় , গুরু নয় | ধর্ম স্থাপক ধর্ম স্থাপনের কাজে নিমিত্ত হয়েছে | বাকী তারা সদ্গতি প্রাপ্ত থোড়াই করে | তাদের স্মরণ করলে কোনোও সদ্গতি হবে না | বিকর্ম বিনাশ হবে না | এইসব হলো ভক্তি | তাই বাবা বোঝাচ্ছেন যে মায়া খুবই প্রবল , আর তার সাথেই লড়াই হতে থাকে | তুমি হলে শিবশক্তি পান্ডব সেনা | তোমরা হলে সকলেই পান্ডা | শান্তিধাম , সুখধামের রাস্তা বলে থাকো | তুমি হলে গাইড , বলো সকলকে যে বাবাকে স্মরণ করো , তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হবে | তারপর দ্বিতীয় দিকে যদি কোনো পাপ কর্ম হয় তো শতগুণ পাপ হবে | যতটা হয় কোনোও বিকর্ম কোরো না | কর্মেন্দ্রীয় অনেক ধোঁকা দেয় , বাবা প্রত্যেকের চলন দেখেই বুঝে যান | বাচ্চাদেরকে অনেক মায়ার তুফান বা ঝড়ের সম্মুখীন হতে হয় | স্ত্রী-পুরুষ বোঝার কারণেই তুফান বা ঝড় আসে | এবার এই চোখের ওপরে কতটা কন্ট্রোল দরকার , বুঝেছো | আমরা হলাম শিববাবার বাচ্চা , বাবার থেকে পরিণতি জেনে রাখীও বাঁধা হয় , তারপরও মায়া ধোঁকা দেয় , তারপর আর ছাড়তে পারে না | কর্মেন্দ্রীয় যখন বশে হবে , তখন কর্মাতীত অবস্থা পরিণত হবে | বলা তো খুবই সহজ , কিন্তু বোঝাও দরকার , তাই না | বাবা বলেন.ডায়রেক্শন অনুযায়ী ব্যবহার ( implement) করো | সারাদিন বাবা বাবা করতে থাকো | বাবার দ্বারাই আমরা পুরো অধিকার প্রাপ্ত করবো | এরকম শিক্ষক কখনোও কোথাও পাওয়া যাবে না | এইসব কথা দেবতারাও জানে না | তাহলে পেছনের ধর্মের লোকেরা কিভাবে জানবে ? বাবা বলেন , আমি কিছু বললে , সেটা বোঝো যে এইসব শিববাবা বলছেন | এইরকম বুঝো না যে এইসব দাদা (ব্ৰহ্মাবাবা) বলেন | তিনি তো হলেন আমার (শিববাবার) রথ , তিনি কি করেন , তোমাদের বাচ্চাদের আমি রাজত্ব দিয়ে থাকি , এই রথ তোমাদের থোড়াই কিছু দেয় | তিনি তো হন একদম বেগর (ভিখারী) | ইনিও বাবার নিকটে বর্সা নেন | যেমন তুমি পুরুষার্থ করছো , সেইরকম তিনিও পুরুষার্থ করছেন | তিনিও ছাত্রজীবনে (স্টুডেন্ট লাইফ) আছেন | এই রথকে লোন বা ধার করা হয়েছে , আর তমোপ্রধান রয়েছে | তুমি পুজ্য দেবতা হওয়ার জন্য , মনুষ্য থেকে দেবতা পরিণত হওয়ার জন্য পড়া করছো | কারোর ভাগ্যে না থাকলে তো বলবে আমার তো সংশয় আছে , শিববাবা কিভাবে এসে পড়ান ? এই কথাগুলিই বোঝে না | বাবার স্মরণ বিনা বিকর্ম বিনাশ হবে না | পুরো শাস্তি পেতে হবে | এখন তো রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে | রাজাদের তো কত দাস-দাসী হয়ে থাকে | বাবা তো রাজাদের কানেক্শনেও এসেছেন | বিয়ের সময় পণ (দহেজ) হিসাবে দাসী দেওয়া হত | এখানেই যখন এতো দাস-দাসী হয় , তাহলে সত্যযুগে কত থাকবে ? এখন রাজধানীও স্থাপন হচ্ছে | বাবা জানেন যে কে কি হবে , কারণ প্রত্যেকের চলনে আর কর্মের হিসেব দ্বারাই বাবা বলে দিতে পারেন | এই সময় যদি কারোর মৃত্যু হয় , তাহলে সে কি তৈরী হবে ! পরবর্ত্তী সময়ে কর্মাতীত অবস্থাকে সকলে নম্বর অনুযায়ী প্রাপ্ত করে | তাহলে তো এইসব কামাই হচ্ছে , কামাইতে মানুষরা কত ব্যস্ত থাকে ! খাবার খেতে থাকবে আর কাণে ফোন থাকবে , এরকম লোকেরা তো জ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারে না | এখানে তো গরীব , সাধারণ মানুষরাই এসে থাকে | সাহুকাররা তো বলে সময় কোথায় ! আরে ! , শুধু বাবাকে স্মরণ করলেই তো বিকর্ম বিনাশ হয়ে যায় | তাই বাবা মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদেরকে বারবার বোঝাচ্ছেন | প্রত্যেককে এই খবর দিতে হবে , যাতে তারা এটা বলতে না পারে যে আমরা জানি না শিববাবা এসেছেন | ব্যস , সারাদিন বাবা বাবা বলতে থাকো | অনেক বাচ্চা আছে , যারা বাবাকে অনেক স্মরণ করে | শিববাবা বললেই অনেক বাচ্চাদের প্রেমে চোখে জল এসে পড়ে | কবে দেখা হবে ! দেখতে পায় না , তবুও বাবার কাছে যাওয়ার জন্য ছটফট্ করতে থাকে , আর যারা দেখে , তারা মানে না | তারা দূরে বসে চোখের জল ফেলতে থাকে | আশ্চর্য্য লাগছে , তাই না | ব্ৰহ্মারও অনেকের সাক্ষাত্কার হয় | পরে গিয়ে অনেকের সাক্ষাত্কার হবে | মানুষদের মৃত্যুর সময় সবাই বলে , ভগবানকে স্মরণ করো | তুমিও শিববাবাকে স্মরণ করো | বাবা বলেন বাচ্চারা পুরুষার্থে মেকঅপ (তাড়াতাড়ি) করতে থাকো | সুযোগ পেলেই মেকঅপ করো | কামাই অত্যন্ত বিশাল হয় | কেউ-কেউ তো এমনও হয় যে , কতও বোঝাও , তারপরও বুদ্ধিতে থাকে না | বাবা বলেন এরকম তৈরী হয়ো না | নিজের কল্যাণ নিজেকেই করতে হবে | বাবার শ্রীমতে চলতে থাকো | তোমাকে বাবা পুরুষদের মধ্যে উত্তম তৈরী করেন | এইসব হলো এম-অবজেক্ট (লক্ষ্য) | বাবা সার্ভিসের জন্য যুক্তি বলতে থাকেন | খবর তো সকলকে দিতে হবে | যারা বোঝে , তারা তো বরাবর সত্য বলে | এই লড়াই দ্বারাই বিশেষ করে ভারতে , পুরো বিশ্বে সুখ-শান্তি প্রাপ্ত হবে | এরকম এরকম পেমপ্লেট (পর্চা) সকল ভাষাতে ছাপাতে হবে | ভারত হলো কত বড় ! প্রত্যেকের জানা দরকার , কেউ যেন না বলতে পারে যে আমরা জানি না | তুমি বলবে , আরে , এরোপ্লেন দ্বারা পমপ্লেট (পর্চা) ফেলা হয়েছে , খবরের কাগজেও দেওয়া হয়েছে , তাও তোমরা জাগ্রত হওনি | এইসবও দেখানো হবে | আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি(সিকিলধে) বাচ্চাদের মাতাপিতা বাপদাদা স্মরণ করছেন আর জানাচ্ছেন স্নেহ , সুমন আর সুপ্রভাত | আত্মাদের পিতা (রূহানী) আত্মাদের জানায় নমস্কার |

    ধারনার জন্য মুখ্য সার --:

    1.নিজেদের মধ্যে যেসব খারাপ অভ্যাস আছে , সেসবের যাচাই করে বার করার পরিশ্রম করতে হবে | সত্যিকারের নিজেদের কর্মের হিসেব রাখতে হবে আর বাবার ডায়রেক্শনে চলতে হবে |

    2. এমন কোনো কর্ম করবে না , যার দ্বারা বাবার নাম বদনাম হয় | নিজের উন্নতির জন্য পরিশ্রম করতে হবে | একটুও যেন কুদৃষ্টি না থাকে |

    বরদান --: 

    ব্রাহ্মণ জীবনের নীতি আর রীতি প্রমাণ সদা চলার জন্য ব্যৰ্থ সঙ্কল্প মুক্ত (ভব) হও ! 

    যারা ব্রাহ্মণ জীবনের নীতি রীতি প্রমান চলতে চলতে শ্রীমতের আজ্ঞা সদাই স্মৃতিতে রাখে , তারা সারাদিন শুদ্ধ প্রবৃত্তিতে ব্যস্ত থাকে , তাদের ব্যৰ্থ সঙ্কল্প রূপী রাবণ আক্রমণ করতে পারে না | বুদ্ধির প্রবৃত্তি হলো শুদ্ধ সঙ্কল্প করা , বাণীর প্রবৃত্তি হলো বাবা দ্বারা যা শুনেছো , সেইসব অন্যদের শোনানো , আর কর্মের প্রবৃত্তি কর্মযোগী হয়ে প্রত্যেক কর্ম করতে হবে | এইভাবে প্রবৃত্তিতে ব্যস্ত থাকলেই ব্যৰ্থ সঙ্কল্প থেকে নিবৃত্তি প্রাপ্ত করতে পারবে |

    স্লোগন --: 

    নিজের প্রত্যেক নতুন সঙ্কল্প দ্বারা নতুন জগতের নতুন ঝলকের সাক্ষাৎকার করাও | 

    ***OM SHANTI***