BK Murli 30 May 2016 Bengali
৩০-০৫-২০১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা " মধুবন
"মীঠে বাচ্চে - চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম অর্থাৎ যারা হলেন দেবীদেবতা ধর্মের , শিবের অথবা দেবতাদের পুজারী , তাদেরকে সর্বপ্রথম জ্ঞান দাও "
প্রশ্ন :-
বাবার কোন্ একটি কর্তব্য কোনো মানুষ করতে পারেনা এবং কেন?
উত্তর :-
সম্পূর্ণ বিশ্বে শান্তি স্থাপনের কর্তব্য হল একমাত্র বাবারই। মানুষ বিশ্বে শান্তি স্থাপন করতে পারবেনা কেননা সকলেই হল বিকারগ্রস্ত । শান্তির স্থাপনা তখনই সম্ভব যখন পিতাকে জানবে এবং পবিত্র হবে । পিতাকে না জানার দরুন অনাথ হয়েছে ।
গান:-
মরণ যেন হয় তোমার গলিতে।
ওমশান্তি !
ওমশান্তির অর্থ ক্ষণে ক্ষণে বলা হয় কেননা ওমশান্তির অর্থ কেউ জানেনা । যেমন ক্ষণে ক্ষণে বলা হয় মনমনাভব অর্থাৎ বেহদের বাবাকে স্মরণ করো। ওম শব্দের অর্থ বলা হয় ওম মানে ভগবান । বাবা বলেন ওম অর্থাৎ আমি আত্মা , এই হল আমার শরীর । পরমপিতা পরমাত্মাও বলেন ওম। আমিও আত্মা , পরমধাম নিবাসী । তোমরা আত্মারা জন্ম মৃত্যুর চক্রে আসো আমি আসি না। কিন্তু হ্যাঁ আমি সাকারে আসি নিশ্চয়ই , তোমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের সার তত্ত্ব বুঝিয়ে দিতে । অন্য কেউ এইসব কথা বোঝাতে পারেনা। যদি নিশ্চয় না থাকে তাহলে সম্পূর্ণ দুনিয়ায় খুঁজে বেড়াতে হবে আরও অন্য কেউ আছে কি যে নিজের এবং সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ দিতে পারে। পরমপিতা পরমাত্মা বিনে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য কেউ বলে দিতে পারেনা, কেউ রাজযোগও শেখাতে পারেনা। পতিতদের পবিত্র করতে পারেনা। সর্বপ্রথম যারা দেবীদেবতাদের পুজারী তাদেরকে বোঝানোর পুরুষার্থ করো। আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্মের আত্মারাই ৮৪ জন্ম নিয়ে থাকে , তারাই ভাল ভাবে বুঝতে পারবে । পরে যারা আসে ৮৪ জন্ম নিতে পারবেনা । এইসব কথা শুনবেও তারা যারা দেবতাদের পুজারী হবে এবং গীতাপাঠ করতে অভ্যাসী হবে। গীতায় শুধুমাত্র একটি ভুল রয়েছে ভগবানের বদলে কৃষ্ণের নাম দেওয়া হয়েছে । তাই গীতাপাঠ করে যারা তাদেরকে বোঝান উচিত । জিজ্ঞাসা করো পরমপিতা পরমাত্মা শিবের সঙ্গে আপনার সম্বন্ধ কি? ওঁনাকে ভগবান বলা হয় | শ্রীকৃষ্ণ হলেন দৈবী গুণধারী । ওঁনার কাছে দৈবী রাজধানী ছিল যেখানে সকলেই ছিলেন গুণধারী । বর্তমানে তারা-ই পূজ্য থেকে পূজারী রূপে পরিণত হয়েছে । তাই সর্বপ্রথম আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্মের আত্মাদের জাগানোর চেষ্টা করা উচিত । চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম। যারা শিবের পূজারী তাদেরকে বোঝাতে হবে। শিব আসেন নিশ্চয়ই তবেই তো ওঁনার জয়ন্তী পালন হয়, তিনি হলেন পরমপিতা পরমাত্মা । এসে নিশ্চয়ই রাজযোগ শেখাবেন আর অন্য কেউ শেখাতে পারেনা । কৃষ্ণকে অথবা ব্রহ্মাকে ভগবান বলা হবেনা । কারণ সর্বের সদ্গতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা , তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর তাই তিনিই হলেন সকলের শিক্ষক । সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের ইতিহাস ভূগোল অন্য কেউ জানেনা । বাবা বলেন আমারে জ্ঞানের সাগর , চৈতন্য বীজরূপও বলা হয়। এইতো হল উল্টো বৃক্ষ যার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান সেই বীজের মধ্যেই হবে সেইজন্য আমারে জ্ঞানের সাগর , অলমাইটি অথোরিটি বলা হয়। অথোরিটি মানে কি? সকল বেদ, শাস্ত্র , গ্রন্থ ইত্যাদি সবকিছুর জ্ঞান আছে । তোমাদের বোঝাচ্ছেন । ঐ শাস্ত্রবিষেশজ্ঞ দের অভিমত হল কল্পের আয়ু লক্ষ বর্ষ । কিন্তু তাতো হতে পারেনা । এই হল ভ্যারাইটি ধর্মের মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষ , যার আয়ু লম্বা চওড়া করে বিশাল রূপে লেখা হয়েছে । এই ভাগবত কোনো ধর্মশাস্ত্র নয়। গীতা হল ধর্মশাস্ত্র , তার থেকেই দেবীদেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়েছে । বাকি ভাগবত , মহাভারত ইত্যাদি দ্বারা কোনো ধর্ম স্থাপন হয়না । সেতো শ্রীকৃষ্ণের ইতিহাস লেখা হয়েছে । বাবা বোঝাচ্ছেন বাচ্চারা তুমি দেবীদেবতা ধর্মের আত্মাদের বোঝাও যে তোমরা ৮৪ জন্ম নিয়েছ। সত্যযুগে কেবলমাত্র ভারতই ছিল আর কোনো ধর্ম ছিলনা । ভারত-ই স্বর্গ ছিল । ভারত-ই উচ্চ থেকে উচ্চ ছিল গায়ন আছে এবং তার উপরে হল শিবের জন্ম স্থান যিনি এসে পতিতদের পবিত্র করেন। শিবের পূজাও এখানেই হয় , জয়ন্তীও পালন হয়। নিশ্চয়ই পতিত দুনিয়ায় আসবেন। আহ্বানও করে সকলে পতিত-পাবন এসো। ভারত পবিত্র ছিল তারপর ৮৪ জন্মের চক্র লাগিয়েছে । যারা পবিত্র স্বর্গবাসী ছিল এখন পতিত নরকবাসী হয়েছে । পবিত্র করেছেন শিববাবা, পতিত করেছে রাবণ। এইসময় হলই রাবণরাজ্য । প্রত্যেক নর-নারী ৫ বিকারে বশীভূত । সত্যযুগে বিকার ছিলই না। নির্বিকারী ছিল । এখন হয়েছে পতিত তবেই তো ডাকে এসো এসে আমাদের আবার পবিত্র করো। সত্যযুগে আমরাই সেই পবিত্র ছিলাম , ২১ জন্ম রামরাজ্যে ছিলাম । এখন তো হল রাবণরাজ্য , সবাই এখন বিকারে বশীভূত । বাবা বলেন কাম হল মহাশত্রু । এই বিকার-ই আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়েছে । এবারে এর উপরে বিজয়ী হয়ে পবিত্র হও। তুমি জন্ম-জন্মান্তর পাপ করেছ। সবচেয়ে তমোপ্রধান হয়েছ, আত্মাতে খাদ পড়েছে। প্রথমে তো গোল্ডেন এজেড ছিলে তারপরে সিল্ভার এজেড তারপর কপার ..... খাদ পড়ে পড়ে সিড়ি দিয়ে নীচে নেমেছ । এইসব ভারতেরই কথা । সত্যযুগে ৮ জন্ম , ত্রেতা যুগে ১২ জন্ম , সেই ভারতবাসীই হয়ে যায় চন্দ্রবংশী , বৈশ্যবংশী । আত্মা ইম্পিওর অর্থাৎ অপবিত্র হয়ে যায়। আমি প্রতি কল্পে এসে ভারতকে স্বর্গে পরিণত করি , রাবণ এসে নরক করে , এইরূপ ড্রামা রচিত । এখন বাবা বোঝাচ্ছেন যে জ্ঞানের সাগর তো হলেন শিববাবা তাইনা । উচ্চ থেকে উচ্চ হলেন শিব সকলের পূজ্য । সর্বপ্রথম ওঁনারই পূজো হয়। তিনি হলেন বেহদের পিতা। নিশ্চয়ই ওঁনার কাছে বেহদের বর্সা স্বর্গের অধিকার প্রাপ্ত হয়। ভারতবাসী ভুলে গিয়েছে ভগবান এক নিরাকারকেই বলা হয়। ওঁনাকে মানুষ স্মরণ করে। এমন নয় যে সকলেই ভগবান । একদিকে ভগবানকে স্মরণও করে আবার অন্য দিকে ভগবানের গ্লানিও করে। একদিকে বলে তিনি সর্বব্যাপী , অন্য দিকে বলে পতিত-পাবন এসো। বাবা এসে ব্রহ্মা দেহের আধার নিয়ে ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণদেরকেই বোঝান । এখন তুমি হলে ব্রাহ্মণ উচ্চ শিখরে । ব্রাহ্মণদের ঊর্ধ্বে হলেন শিব। বিরাট রূপের চিত্রে দেবতা , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শুদ্র দেখানো হয়েছে । ব্রাহ্মণদের নাম নেই কারণ দেখা যায় ব্রাহ্মণরা হল বিকারে বশীভূত । তাহলে দেবতাদের চেয়ে উত্তম বলা যায় কিভাবে । বাবা বুঝিয়ে দেন ও গায়নও রয়েছে ব্রাহ্মণ দেবীদেবতায় নম: । অ্যাকুরেট কেউ জানেনা যে এঁদের রাজত্ব কবে ছিল? স্বর্গ আসে কোথা থেকে ? এখন তুমি বুঝতে পারো বাবা এসে ব্রহ্মা দ্বারা স্বর্গের স্থাপনা করছেন , শঙ্করের দ্বারা নরকের বিনাশ করান। মহাভারতের লড়াইও লেগেছিল কিনা , যার দ্বারা স্বর্গের দ্বার খুলেছিল। গায়ন রয়েছে কিন্তু কিছুই বুঝতে পারেনা। এইসব দেখানো হয়েছে এই রূদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা বিনাশ জ্বালা অর্থাৎ জ্যোতি পুঞ্জ প্রজ্বলিত হয়। বরাবর সেই পার্ট চলছে এখন বর্তমানে । ৫ হাজার বর্ষ পূর্বে লড়াই হয়েছিল তখন পতিত দুনিয়ার বিনাশ ঘটে । গীতা জ্ঞান যখন শোনানো হয় তখন বলা হয় ৩ টি সৈন্যদল ছিল - ইউরোপবাসী যাদব সেনা যারা বিজ্ঞানের সাহায্যে মিসাইল আবিষ্কার করেছে । গীতার ৫ হাজার বর্ষ পূর্ণ হয়েছে । বাবা বোঝাচ্ছেন এই ৩টি সৈন্যদল এখনও রয়েছে । গায়নও আছে - বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি অর্থাৎ পরমপিতা পরমাত্মা থেকে বিপরীত বুদ্ধি । বাকি তোমরা পান্ডব, তোমাদের হল প্রীতি বুদ্ধি । তুমি শিববাবাকেই স্মরণ করো। জানো যে শিববাবা আমাদের ২১ জন্মের বর্সা স্বর্গের অধিকার দিতে এসেছেন । তোমাদের প্রীতি বুদ্ধি যুক্ত রয়েছে শিববাবার সাথে । বাকি তো কেউ বাবাকে জানেই না তো ৩টি সেনা হল কিনা । তুমি হলে পান্ডব সেনা। বিনাশ কাল তো চলছেই। তুমি জানো মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে । শিববাবা বলেন তুমি পবিত্র রূপে পরিণত হলে নতুন দুনিয়ার মালিক হবে । সত্যযুগে একমাত্র দেবীদেবতা ধর্ম ছিল আর অন্য কোনো ধর্ম ছিলনা । এখন অন্য সব ধর্ম রয়েছে বাকি আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্ম নেই । নিজেকে দেবীদেবতা স্বীকার করেইনা। বলে আমরাতো হলাম পতিত । দেবতাদের সম্মুখে মহিমা বর্ণনা করে - তুমি হলে সর্বগুন সম্পন্ন , ১৬ কলা সম্পূর্ণ । নিজেকে বলে আমরা হলাম বিকারে ববশীভূত । আমি নির্গুণহারীতে কোনো গুণ নেই । বাবাকে স্মরণ করে। তোমাকেও এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ না করলে পবিত্র হবেনা তো উঁচু পদ প্রাপ্তিও হবেনা । অপবিত্র দুনিয়ার যখন বিনাশ হবে তখনই দুনিয়ায় শান্তি হবে। মানুষ চেষ্টা তো করে , ভারতে এবং সম্পূর্ণ দুনিয়ায় শান্তি হোক । কিন্তু সে তো একমাত্র বাবারই কর্তব্য । মানুষতো হলই বিকারগ্রস্ত । তারা শান্তি কিভাবে স্থাপন করতে পারে। ঘরে ঘরে কলহ। বাবাকে না জানার জন্যে একেবারেই অনাথ হয়ে পড়েছে । সত্যযুগে সম্পূর্ণ পবিত্রতা , সুখ , শান্তি ছিল। এখন পুনরায় বাবা সেই পবিত্রতা সুখ-শান্তি স্থাপন করছেন অন্য কেউ করতে পারেনা । ভারতবাসী এখন হয়েছে নরকবাসী । স্বর্গে যখন ছিল তো পুনর্জন্ম স্বর্গে নিত। এখন হয়েছে পতিত , সেইজন্য পতিত-পাবন বাবাকেই স্মরণ করে। এখন তো বাচ্চারা জানে যে পারলৌকিক পিতাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে। লৌকিক পিতার কাছে হদের বর্সা প্রাপ্ত হয়। এইসব বুঝবার কথা । এইটি কোনো সতসংগ নয়। ঐ হল ভক্তি মার্গ , এই হল জ্ঞান মার্গ।
তোমাদের খুশীর কারণ হল বাবা আমাদের স্বর্গবাসী করছেন । যারা কল্প পূর্বেও স্বর্গবাসী হয়েছিল তারা-ই আবার হবে । ব্রাহ্মণ না হয়ে দেবতা রূপে কখনোই পরিণত হতে পারবেনা । এইসব কথা বুঝতে হবে । এখনতো ভারতে কোনো কলা অর্থাৎ আত্মার কোয়ালিটী নেই । কেউ জানতেও পারেনা। কুম্ভকরণের নিদ্রায় সকলেই নিদ্রিত , তোমাকে বাবা এখন জাগিয়ে তুলেছেন। তুমি এখানে এসেছ স্বর্গবাসী হতে । বাবা বিনে অন্য আর কেউ করতে পারবেনা । স্বর্গ বলা-ই হয় সত্যযুগকে । নরক বলা হয় কলিযুগকে । যথা রাজারানী , তথা প্রজা। এখন সবাই বিকার দ্বারা জন্ম গ্রহণ করে, দেবতাদের কখনোই বিকার দ্বারা পুনর্জন্ম হয়না । বাচ্চারা এখন বাবার কাছে পবিত্র হওয়ার প্রতিজ্ঞা করে কিন্তু চলতে চলতে হেরেও যায় তখন জমানো পুণ্যের খাজানা শেষ হয়। খুব জোরে আহত হয়। আশ্চর্য সহকারে শোনে, বলে আর পরবর্তী কালে পলাতক হয়। ভালাই সাক্ষাতকার করে কিন্তু সাক্ষাতকারের সময়ে মায়ার প্রবেশ ঘটে। যেমন রেডিও তে এক দুজনের কথা না শুনতে পেয়ে মধ্যিখানে গড়বড় করে দেয়। এইখানেও এইরকম হয়। যোগের সময়ে মায়া বিঘ্ন উৎপন্ন করে। সমস্ত পরিশ্রম হলই যোগে। ভারতের প্রাচীন যোগের গায়ন রয়েছে । আচ্ছা ।
মিষ্টি মিষ্টি সিকীলাধে (হারিয়ে ফিরে পাওয়া ) বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সার:-
১. একমাত্র বাবার সঙ্গে সত্যিকারের ভালোবাসা রেখে সত্য পান্ডব স্বরূপ হতে হবে । মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে তাইজন্য পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হতে হবে ।
২. কাম হল মহাশত্রু যে আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়েছে , তাকে হারিয়ে পবিত্র রূপে পরিণত হতে হবে , স্মরণের সাহায্যে বিকার রূপী খাদ বা অপশিষ্ট নষ্ট করে আত্মাকে গোল্ডেন এজেড রূপে পরিবর্তন করতে হবে।
বরদান :-
বিশ্ব পরিবর্তনের শ্রেষ্ঠ কার্যের দায়িত্ব পালনের সাথে ডবল লাইট থাকে এমন আধারমূর্ত ভব।
ব্যাখ্যা :- যে আত্মারা আধারমূর্ত হয় তাদের উপরেই সম্পূর্ণ দায়িত্ব থাকে । এখন তুমি যেই রূপে যেখানে যেভাবে কর্ম করবে সেইভাবে অনেক আত্মারা তোমাকে ফলো করবে, এই হল তোমার দায়িত্ব । কিন্তু এই দায়িত্ব অবস্থা নির্মাণে খুবই সাহায্যকারী হয়ে ওঠে কারণ এই দায়িত্ব পালনের ফলে অনেক আত্মাদের আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় , যে কারণে দায়িত্ব পালনের ভার কমে যায় এবং এই দায়িত্ব পালনের কার্য ক্লান্তি দূর করার সাধন হয়ে যায়।
শ্লোগান :-
মন এবং বুদ্ধি দুইয়ের ব্যালেন্স রেখে সেবা করলে সফলতা প্রাপ্ত হয়।