BK Murli 17 June 2016 Bengali
১৭-০৬-১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা- এই সারা বিশ্ব হল ঈশ্বরীয় পরিবার, সেইজন্য গায় তুমিই হলে মাতা-পিতা, আর আমারা তোমার
বালক(সন্তান), তোমরা এখন বাস্তবে ঈশ্বরীয় পরিবারের হয়েছো"
প্রশ্নঃ-
বাবার থেকে ২১ জন্মের পুরো বর্সা নেওয়ার সহজ বিধি কি ?
উত্তরঃ- সঙ্গমে শিববাবাকে নিজের অংশীদার বানাও ।তন ,মন, ধনের দ্বারা সমর্পিত হও তবে ২১ জন্মের জন্য পুরো বর্সা প্রাপ্ত হবে । বাবা বলেন যে বাচ্চারা সঙ্গমে নিজের পুরানো সবকিছু বিমা(সমর্পণ) করে, তাদেরকে আমি ফেরতে ২১ জন্ম পর্যন্ত দিই ।
গীতঃ-
নয়ন হীনকে রাস্তা দেখাও প্রভু.........
ওমশান্তি ।
বাচ্চারা গীত শুনেছে ।এটা ভক্ত ভগবানকে ডাকছে ।ভগবানকে পুরো না জানার কারণে মানুষ কত দুঃখে আছে। ভক্তিমার্গে কত বুদ্ধি খরচা করতে থাকে । খালি এই জীবনের কথা নয় । যখন থেকে ভক্তি শুরু হয়েছে তখন থেকে ধাক্কা খেতে থাকে । ভারতেই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, যাকে স্বর্গ সৎখণ্ড বলা হত । এখন ভারত অসৎখণ্ড হয়েছে। ভারতের মহীমা খুব মহান কারণ ভারত হল পরমপিতা পরমাত্মার জন্মস্থান । ওঁনার আসল নাম শিব । শিব জয়ন্তী পালন করা হয় । রুদ্র বা সোমনাথ জয়ন্তী বলা হয় না। শিবজয়ন্তী বা শিবরাত্রি বলা হয় । স্বর্গের স্থাপনকারী হলেন একজনই, তিনি হলেন হেভেনলি গড ফাদার ।এখন সব ভক্তের ভগবান তো অবশ্যই এক হওয়া প্রয়োজন । সকলে এখন হল নয়নহীন অর্থাৎ জ্ঞানের চক্ষু বা দিব্য অন্তর নেই।ভগবানউবাচ- আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই, শ্রীমৎ ভগবত গিতা হল মুখ্য ।শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ মত ।এখন তোমাদের বুদ্ধিমান বানানো হচ্ছে ।দিব্য চক্ষু অর্থাৎ জ্ঞানের তৃতীও নেত্র দেখানো হয় ।বাস্তবে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র তোমাদের ব্রাহ্মণদেরই মেলে যাতে তোমরা বাবাকে আর বাবার রচনার আদি, মধ্য, অন্তকে জেনে যাও ।এই সময় সবার মধ্যে দেহ অহংকার বা ৫ বিকার আছে এইজন্য ঘোর অন্ধকারে আছে । তোমাদের
বাচ্চাদের কাছে এখন প্রকাশ(আলো) রয়েছে ।তোমাদের আত্মা সারা বিশ্বের ইতিহাস ভূগোলকে জেনে গেছে ।আগে তোমরা সবাই অজ্ঞানেতে ছিলে । জ্ঞান অঞ্জন সৎগুরু দিয়েছেন যার দ্বারা অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ হয় ।যারা পূজ্য ছিলেন তারাই পুজারী হয়েছে । পূজ্য আছে প্রকাশে ।পূজারী আছে অন্ধকারে ।পরমাত্মাকে নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী বলা যায় না। উনি তো হলেনই পরম পূজ্য।সবাইকে পূজ্য বানান।ওনাকে বলা হয় পরম পূজ্য।পরমপিতা পরম আত্মা মানে পরমাত্মা।কৃষ্ণকে থোড়াই এরকম বলবে।ওনাকে সবাই গড ফাদার বলবে না।নিরাকার ভগবানকেই সবাই গড ফাদার বলবে।উনিও হলেন আত্মা কিন্তু পরম তো তাই ওনাকে পরমআত্মা বলা হয়। উনি হলেন পরমাত্মা সদা পরমধামবাসী।ইংরাজিতে ওঁনাকে সুপ্রীম সোল বলা হয়ে থাকে।বাবা বলেন- তোমরা
গাও-ও আত্মা পরমাত্মা আলাদা ছিল অনেক কাল .........। এরকম নয় যে পরমাত্মা, পরমাত্মা থেকে আলাদা ছিল অনেক সময়...। না, এটা হল প্রথম নম্বরের অজ্ঞানতা- যে আত্মা, সে-ই পরমাত্মা, যিনি পরমাত্মা তিনিই আত্মা বলা। আত্মা তো জন্ম মৃত্যুতে আসে।পরমাত্মা থোড়াই পুনর্জন্মেতে আসেন।বাবা বসে বোঝান-তোমরা ভারতবাসীরা স্বর্গবাসী পূজ্য ছিলে। মানবধর্মের পূজ্য সব দেবী-দেবতারা ছিলেন। এই সব ঈশ্বরীও পরিবার আছে।ঈশ্বর হলেন রচয়িতা ।গাওয়া হয়ে থাকে-তোমরা মাতাপিতা আমরা তোমাদের বালক...তো পরিবার হয়ে গেল তো।আচ্ছা তাহলে এটাতো বলো তোমরা মাতা-পিতা কাকে বলো? এটা কে বলে? আত্মা বলে তুমি মাতা-পিতা...তোমার কৃপাতে আমাদের স্বর্গতে গহন সুখ আমাদের স্বর্গতে প্রাপ্তি হয়েছিল। তোমরা মাতা-পিতা এসে স্বর্গের স্থাপনা করো ।তো আমরা হলাম তোমাদের সন্তান হই।বাবা বলেন-আমি সঙ্গমেতেই এসে রাজযোগ শেখাই,নতুন দুনিয়ার জন্য।মনুষ্যের বুদ্ধি একদমই ভ্রষ্ট হয়ে গেছে।স্বর্গকে নরক মনে করে।বলে ওখানেও কংস, জরাসন্ধি, হিরণ্যকশিপু ইত্যাদি ছিল।বাবা এসে বোঝান-তোমরা কি ভুলে গেছ- আমার শিবজয়ন্তী তো তোমরা ভারতেই পালন করো। গাওয়াও হয়- শিবরাত্রি। কোন রাত্রি? এটা হল ব্রহ্মার বেহদের রাত্রি।বাবা সঙ্গমে এসে রাত্রি থেকে দিন অর্থাৎ নরক থেকে স্বর্গ বানান। শিবরাত্রিরের অর্থও কারো জানা নেই।ভগবান হলেন নিরাকার। মানুষের তো জন্ম থেকে জন্ম শরীরের নাম বদলায়।পরামাত্মা বলেন আমার কোনো শরীরের
নাম নেই। আমার নামই হল শিব । আমি কেবল বৃদ্ধ বাণপ্রস্থ দেহের আধার নিই। ইনি(ব্রহ্মা)পূজ্য ছিলেন এখন পূজারী হয়েছেন। শিববাবা এসে স্বর্গের রচনা করেন ,আমরা ওনার সন্তান তো নিশ্চয় আমাদের স্বর্গের মালিক হওয়া উচিত। শিববাবা হলেন উচ্চ থেকে উচ্চ। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের নিজের- নিজের পার্ট রয়েছে। প্রত্যেক আত্মার মধ্যেই নিজের সুখ-দুঃখের পার্ট ভরা আছে। তোমরা জানো আমরা শিববাবার উত্তরাধিকারী হয়েছিলাম। শিববাবাই স্বর্গবাসী বানিয়েছিলেন, তাই ওঁনাকে সবাই স্মরণ করে- ও ভগবান দয়া করো। সাধুও সাধনা করে, কারণ এখানে দুঃখ থাকার কারণে নির্বাণধামে যেতে চায়।আত্মা, পরমাত্মাতে লীন হয়ে যায় বা যে আত্মা সে-ই পরমাত্মা- এটা বোঝা ভুল। এখন তোমরা বলো আমরা আত্মারা পরমধামবাসী আবার দেবতা কুলে আসব তারপর ৮৪ জন্ম নেব। আমরা আত্মারা বর্ণতে আসি। শিববাবা জন্ম মৃত্যুতে আসেন না। কেবল নারায়ণের রাজবংশ ছিল। যেরকম ক্রিশ্চান ঘরানায় এডওয়ার্ডই প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় চলে। সেরকম ওখানেও লক্ষ্মী-নারায়ণের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এরকম ৮ রাজবংশ চলে।এখন তোমাদের ব্রাহ্মণদের তৃতীয় চক্ষু উন্মোচিত হয়েছে । বাবা বসে আত্মাদের সাথে কথা বলেন।তোমরা এরকম ৮৪-র চক্র লাগিয়ে এত- এত জন্ম নিয়ে এসেছ। বর্ণেরও একটা
চিত্র বানায় যেখানে দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র, ব্রাহ্মণ বানায়। এখন তোমরা জানো আমরা হলাম সেই উচ্চ ব্রাহ্মণ । এই সময় বাস্তবে আমরা হলাম ঈশ্বরীয় সন্তান ।এই সহজ রাজযোগ আর জ্ঞানের দ্বারা আমাদের গহন সুখের প্রাপ্তি হয়। কেউ তো সূর্যবংশী রাজধানীর বর্সা নেয়, কেউ চন্দ্রবংশীর। সারা রাজত্ব স্থাপন হচ্ছে। প্রত্যেকে নিজের পুরুষার্থের দ্বারা ঐ পদ পাবে। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে যে পড়তে,পড়তে যদি আমার শরীর ত্যাগ হয় তাহলে কি পদ পাবো? তো বাবা তা বলতে পারেন।যোগের দ্বারাই আয়ু বাড়ে,বিকর্ম বিনাশ হয় আর কোন উপায় পতিত থেকে পাবন হবার নেই।পতিত-পাবন বলতেই ভগবান স্মরণে আসেন।কিন্তু ভগবান কে আছেন? এটা জানে না।বাবা বলেন-আমি আসিই ভারতে।এটা আমার জন্ম স্থান আছে। সোমনাথের মন্দির কত বিশাল আছে-এটা বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান। ভক্তিমার্গে আবার স্মৃতিস্তম্ভ হতে শুরু হয়। যখন পূজারী হয় তো তখন প্রথমে,প্রথমে সোমনাথের মন্দির বানায়।ভারত তো সত্যযুগ ত্রেতাতে অনেক ধনী ছিল। মন্দিরেতেও প্রচুর ধন ছিল।ভারত হীরে তুল্য ছিল।এখন তো ভারত কাঙ্গাল কড়ি তুল্য আছে।আবার বাপ এসে ভারত কে হীরে তুল্য বানান।কাউকেও জিজ্ঞাসা করো- রচয়িতা কে? বলবে পরমআত্মা।উনি কোথায়
আছেন?উনি তো সর্বব্যাপী আছেন।বাপ বলেন-এই সারা ঝাড় এখন জর্জরীভূত(ফাঁপা) হয়ে গেছে।নিজেকে
দেখতে হয় আমি কি এমন যোগ্য হয়েছি যে বাবা মা-এর সিংহাসনে বসতে পারি। এটা তো হলই পতিত দুনিয়া।
পবিত্রতা হল মুখ্য। এখন তো না স্বাস্থ্য, না সম্পদ, না খুশী আছে। এটা হোল মরুভুমির জলের মত(মৃগতৃষ্ণা
সমান)রাজ্য। এর উপরও দুর্যোধনের কাহিনী শাস্ত্রে রয়েছে।দুর্যোধন বিকারিকে বলা হয়।দ্রৌপদিরা বলেন আমাদের লাজ রক্ষা করো। সবাই এখন দ্রৌপদি তাই না! এই স্ত্রীরাই হল স্বর্গের দ্বার । বাবা কত ভালোভাবে -বোঝান। যার বুদ্ধিযোগ পুরোপুরি লেগে থাকবে তো ধারনাও হবে।জ্ঞান ব্রহ্মচর্যতেই হয়। বাবা বলেন-গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কমল পুষ্পের মত থাকতে হবে। দুদিকে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে হবে। মরতেও অবশ্যই হবে। মরবার সময় মানুষকে মন্ত্র দেয়। বাবা বলেন তোমরা সবাই মরবে।আমি কালের কাল সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যাব। তো খুশী হওয়া দরকার তো। তারপর যে ভালো করে পড়বে সে স্বর্গের মালিক হবে।না পড়লে প্রজার পদ পাবে।এখানে তুমি এসেছ রাজ্যপদ পেতে। এটা হল পড়া, এতে অন্ধশ্রদ্ধার তো কোনো কথাই নেই। এই পড়া হল রাজপদ পাওয়ার জন্য। যেরকম পড়ার লক্ষ্য থাকে- ব্যারিস্টার হবে, তো যোগ নিশ্চয়ই যিনি পড়াবেন সেই শিক্ষকের সাথে রাখতে হবে। এখানে তোমাদের ভগবান পড়ান তো ওনার সাথে যোগ লাগাতে
হবে।বাবা বলেন-আমি পরমধাম ,অনেক দূর থেকে আসি।পরমধাম কত উঁচুতে আছে। সূক্ষ্মবতন থেকেও উঁচুতে। ওখান থেকে আসতে আমার সেকেন্ড মাত্র লাগে। ওনার থেকে তীক্ষ্ণ আর কিছু হতে পারে না। সেকেন্ডে
জীবনমুক্তি দিই। জনকের(রাজা) উধাহরণ আছে তো। এখন তো হল নরক, পুরনো দুনিয়া । নতুন দুনিয়া স্বর্গকে
বলা হয়। বাবা নরকের বিনাশ করিয়ে স্বর্গের মালিক বানায়। বাকি সব আত্মারা শান্তিধামে চলে যায়।
আত্মা হল অবিনাশী । অবিনাশী অভিনয়ও পেয়েছে।তাই আত্মা ছোট বড় কি করে হতে পারে? আত্মা আগুনে জ্বলে
মরতে কি করে পারে? আত্মা হলই তো একটা তারা। ছোট বড় হতে পারে না। এখন তোমরা হলে গড ফাদারলি স্টুডেন্ট । গড ফাদার হলেন জ্ঞানেরসাগর, আনন্দেরসাগর । উনি তোমাদেরকে পড়াচ্ছেন। তুমি জানো এই পড়ার দ্বারা আমরা সেই দেবী-দেবতা হব। তোমরা ভারতের সেবা করছ।সর্ব প্রথমে তো বাবার হতে হবে,অন্য জায়গায় তো গুরুর কাছে যায়, ওনার হয় অথবা ওনাকে নিজের গুরু বানায়।এখানে তো আছেনই বাবা । তো প্রথমে বাবার সন্তান হতে হয়। বাবা বাচ্চাদের নিজের সম্পত্তি দেন। বাপ বলেন-বাচ্চারা তোমরা নিজেদেরকে পাল্টে নাও। তোমাদের বিকার আমার, আমার সবকিছু তোমাদের। দেহ সহিত যা কিছু আছে এ সব আমাকে দাও। আমি তোমাদের আত্মা আর শরীর দুটোকেই পবিত্র বানিয়ে দেবো আর আবার রাজপদও দেব। তোমাদের কাছে যা কিছু আছে তা বলি চড়িয়ে দাও তো জীবনমুক্তি পাবে। বাবা এ সব হল আপনারই । বাবা বলেন- তোমরা আমাকে উত্তরাধিকারী বানাও। আমি ২১ জন্ম তোমাদের উত্তরাধিকারী বানাই।খালি আমার মেতে চলো। ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি যাই করো, বিলেতে যাও, কেবল আমার মতেতে চলো। খবরদার থেকো মায়া থেকে থেকে বিপদে ফেলবে। কোনো বিকর্ম কোরো না। শ্রীমতেতে চললে শ্রেষ্ঠ হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি(সিকিলধে)বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতার বাপদাদার স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। রুহানী বাবার রুহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সারঃ-
১) আত্মা আর শরীর উভয়কেই পবিত্র বানানোর জন্য দেহ সহিত যা কিছু আছে তাকে বাবার কাছে সমর্পণ করে তাঁর শ্রীমতে চলতে হবে।
২) মাতা-পিতার সিংহাসনে বসার জন্য নিজেকে যোগ্য বানাতে হবে। যোগ্য হওয়ার জন্য মুখ্যতঃ পবিত্রতার ধারণা করতে হবে।
বরদানঃ-
তপস্যার দ্বারা নিজের বিকর্ম বা তমোগুণকে ভষ্মকারী তপস্বী মূরত হও(ভব)।
এখন যেমন ঈশ্বরীয় পালনার কর্তব্য চলছে সেইরকম শেষে তপস্যার দ্বারা নিজের বিকর্ম আর সকল আত্মার তমোগুণী সংস্কার বা প্রকৃতির তমোগুনকে ভস্ম করার কর্তব্য চলবে। এরজন্য সদা একরস স্থিতির আসনে স্থিত হয়ে নিজের তপস্বী রূপকে প্রত্যক্ষ করো। তোমার সকল কর্মেন্দ্রিয়ের থেকে দেহ-অভিমানের ত্যাগ আর আত্ম-অভিমানী হওয়ার তপস্যা প্রত্যক্ষ রূপে যেন দেখা দেয়।
স্লোগানঃ-
সংস্কারের সংঘাত থেকে বাঁচতে হলে বালক আর মালিকভাবের ভারসাম্য রাখো।