BK Murli 19 August 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 19 August 2016 Bengali

    ১৯-০৮-১৬ প্রাত:মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মিষ্টি বাচ্চারা - স্মরণের অভ্যাসে যোগযুক্ত হয়ে থাকলে স্থিতিশীলতা আসবে(ভালো দশা), তোমাদের বৃহস্পতির দশা চলছে এইজন্য তোমাদের এখন চড়তি কলা"

    প্রশ্নঃ 

    যদি যোগে পুরোপুরি মনোযোগ না থাকে তবে তার ফল কি হবে ? নিরন্তর স্মরণে থাকার যুক্তিগুলো কি কি ?

    উত্তরঃ 

    যদি যোগে সম্পূর্ণ মনোযোগ না থাকে তবে চলতে চলতে মায়ার প্রবেশ ঘটে , পুরুষার্থী ভূপতিত হয় l 2 ) দেহ-অভিমানী হয়ে একের পর এক ভুল করতে থাকে l মায়া ভুল কর্ম করাতে থাকে , পতিত হতে হয় l নিরন্তর স্মরণে থাকার জন্য মুখে এই চুষীঁকাঠি দিয়ে দাও- ক্রোধ কোরো না , দেহ সহিত সব কিছু ভুলে আমি আত্মা , পরমাত্মার সন্তান - এই অভ্যাস করো l যোগবলের দ্বারা কি কি প্রাপ্তি হয় তা স্মৃতিতে ধারণ করে রাখ l

    গীত :- 

    ওম্ নমঃ শিবায় ...

    ওম্ শান্তি l 

    মিষ্টি -মিষ্টি রুহানি বাচ্চারা নিজেদের রুহানি পিতা শিববাবার মহিমা শুনেছে l যখন পাপ বেড়ে যায় অর্থাত্ মানুষ পাপ আত্মায় পরিণত হয় তখনই পতিত -পাবন বাবা আসেন , এসে পতিতকে পবিত্র করে তোলেন l সেই বেহদের বাবারই মহিমা , তাঁকে বৃক্ষপতিও বলা হয়ে থাকে l এই সময় বেহদের বাবার দ্বারা বেহদের দশা , বৃহস্পতির প্রভাব এখন তোমাদের উপর রয়েছে l খাস আর আম এই দুই শব্দ- এই ভারতবর্ষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য l বৃহস্পতির দশায় খাস ভারত জীবনমুক্ত হয়ে যায় অর্থাত্ স্বরাজ্য পদ পায় কেননা সত্যকার বাবা যিনি , যাঁকে সত্য বলা হয় তিনি এসে আমাদের নর থেকে নারায়ণ তৈরী করেন l আর বাকি যারা আছে ক্রমানুসারে নিজের নিজের ধর্মের সম্প্রদায়ে গিয়ে যুক্ত হতে থাকে এবং শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে ক্রমানুসারে আসতে থাকে l কলিযুগের অন্ত পর্যন্ত এই আগমন চলতে থাকে l প্রত্যেক আত্মার নিজ নিজ ধর্মের অনুশাসনেই নিজস্ব পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে l রাজত্বের , রাজা থেকে প্রজা পর্যন্ত সকলেই নিজের নিজের পার্ট পায় l নাটকের বিষয়বস্তুও রাজা আর প্রজাদের নিয়ে l সবাইকেই যার যেমন ভূমিকা তা পালন করতেই হয় l বাচ্চারা এখন জেনেছে আমাদের উপর এখন বৃহস্পতির শুভ দশা রয়েছে l এরকম নয় কেবল একদিনেরই এই দশা l না ; তোমাদের বৃহস্পতির দশা চলছে l তোমাদের এখন চড়তি কলা l যত স্মরণ করবে ততই চড়তি কলা হবে l স্মরণ ভুলে গেলে মায়ার বিঘ্ন আসে l স্মরণের দ্বারা দশা ভালোভাবে স্থিত হয় l যথার্থভাবে স্মরণ না করলে অবশ্যই ধরাশায়ী হতে হবে l তারপর তার কিছু না কিছু ভুল হতেই থাকবে l বাবা বুঝিয়েছেন ড্রামা অনুসারে ধর্মাবলম্বী যারা আছে তারা একের পর এক নিজেদের ভূমিকা পালন করতে আসে l বাচ্চারা জানে স্বর্গের দশা অর্থাত্ জীবনমুক্তির দশা যা এখন আমাদের উপর রয়েছে l এই ড্রামার চক্র কিভাবে ঘুরছে এও সবিস্তারে বুঝতে হবে l এই সৃষ্টি নাটকের চক্র খাস ভারতের উপর ভিত্তি করেই রচিত হয়েছে l বাবাও ভারতেই আসেন l গায়ন আছে - আশ্চর্যবত্ শুনন্তি, কথন্তি , ভাগন্তি অর্থাত্ অতি মনোযোগী শ্রোতা , ভালো বক্তা হয়েও অনেকেই চলে যায়-ভাগন্তি , কেননা শ্রীমত্ পথে চলতে চলতে মায়া সামনে এসে তাদের পথ রুদ্ধ করে দাঁড়ায় l যোগে সম্পূর্ণ মনোযোগ থাকেনা , পরে বাবা এসে সঞ্জীবনী বুটি দেন অর্থাত্ প্রাণ সঞ্চার করে আত্মার ভাব জাগিয়ে তোলার বুটি প্রদান করেন l তোমরাও হচ্ছ হনুমান কেননা তোমরাই জ্ঞানরূপ সঞ্জীবনী বুটি অন্যদের বিতরণ করছ l বাবা বলছেন - এই সময় রাবণকে সরিয়ে দিতে এই বুটির গন্ধ শুঁকিয়ে দিই অর্থাত্ মানুষের সকল রকম বিকার ধ্বংস করতে বাবা জ্ঞানরূপ সঞ্জীবনী বুটি প্রদান করেন l বাবা তোমাদের সব সত্য কথাগুলো বলেন l সত্য হন এক এবং একমাত্র বাবা , যিনি স্বয়ং এসে তোমাদের সত্য নারায়ণের কথা শুনিয়ে সত্যযুগের স্থাপনা করেন l এঁনাকে বলাই হয়ে থাকে ট্রুথ , যিনি সদা সত্য বলেন l তোমাদের বলে - তোমরা কি শাস্ত্র মানো ? বলো - হ্যাঁ , শাস্ত্র আমরা মানি আর এও জানি এই সবকিছু ভক্তিমার্গের শাস্ত্র l এতো আমরা মানি l জ্ঞান আর ভক্তি দুটোই আলাদা l যখন জ্ঞানের প্রাপ্তি হয় তখন ভক্তির আর দরকার পরেনা l ভক্তি অর্থাত্ উতরতি কলা , অধোগতি l জ্ঞান অর্থাত্ চড়তি কলা , উর্দ্ধগতি l এই সময় ভক্তি বিদ্যমান l আমাদের এখন জ্ঞানের প্রাপ্তি হয়েছে যার দ্বারা সদগতি হয় l ভক্তদের রক্ষা করেন এক , ভগবান l শত্রুর থেকেই তো রক্ষা করা হয় ! বাবা বাচ্চাদের বলছেন - "আমি এসে রাবণের থেকে তোমাদের রক্ষা করি l" দেখছ তো , রাবণের থেকে কিভাবে রক্ষা হচ্ছে ! এই রাবণের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতেই হবে l বাবা বুঝিয়ে দিচ্ছেন - মিষ্টি বাচ্চারা , এই রাবণ তোমাদের তমঃপ্রধান বানিয়েছে l সত্যযুগকে বলা হয়ে থাকে সতোপ্রধান , স্বর্গ l তারপর কলা ধীরে ধীরে কমে যায় l অন্তে যখন একেবারে দেহ-অভিমানে এসে যায় তখন পতিত হয় l নতুন মহলের স্থাপনা হয় l মাসের পর অথবা ৬ মাস পর কিছু না কিছু কলা কম হতেই থাকে l প্রতি বছরেই মহলের লেপন হয় তবুও তো কলা কমেই যায় l নতুন থেকে পুরনো , পুরনো থেকে আবার নতুন এইরকম শুরু থেকে শেষ প্রত্যেক জিনিসের ক্ষেত্রেই হয়ে আসছে l নিশ্চিতভাবে বলা যায় , এই মহল ১০০ , ১৫০ বছর পর্যন্ত চলবে l বাবা বুঝিয়েছেন সত্যযুগ বলা হবে নতুন দুনিয়া থেকে l ত্রেতায় আবার শতকরা ২৫ ভাগ কম বলা হবে কেননা সেই সময় কিছুটা পুরনো হয়ে যায় l ত্রেতার সকলে , তাঁরা হলেন চন্দ্রবংশীয় l তাঁদের ক্ষত্রিয়ের চিহ্ন দেওয়া হয় কেননা তাঁরা নতুন দুনিয়ার উপযুক্ত হতে পারেনি এইজন্য তাঁদের পদ কিছু কমে যায় l সকলে চায় কৃষ্ণপুরীতে যেতে l এরকম তো কেউ বলেনা রামপুরী যাব ! সকলে কৃষ্ণপুরীর জন্যই বলে l গীতও গায় - "চলো বৃন্দাবন ভজ রাধে গোবিন্দ" ...বৃন্দাবনেরই কথা l অযোধ্যার জন্য এরকম বলা হয়না l শ্রীকৃষ্ণের প্রতি সকলের ভালবাসা গভীর l কৃষ্ণকে খুব ভালবেসে স্মরণ করে l কৃষ্ণকে দেখে বলে - এঁনার মতো স্বামী , এঁনার মতো পুত্র , এঁ৮নার মতো ভাই যেন হয় l যারা উচ্চ পদের অভিলাষী(সেন্সিবল) বাচ্চারা বা কণ্যারা সামনে কৃষ্ণের মূর্তি বা ছবি রাখে যাতে তাদের যেন কৃষ্ণের মতো সন্তান হয় l কৃষ্ণ-প্রেমে মগ্ন থাকে তো ! সবাই চায় কৃষ্ণপুরী l এখন কংসপুরী , রাবণের পুরী l কৃষ্ণপুরীর মহত্ব অনেক l কৃষ্ণকে সবাই স্মরণ করে l তাই -তো বাবা বলছেন এতকাল ধরে কৃষ্ণকে স্মরণ করে আসছ এখন কৃষ্ণপুরী যাওয়ার জন্য পুরুষর্থ করো , এঁনার ঘরানায় তো যাও l সূর্যবংশী ৮ ঘরানার অর্থাত্ আট পুরুষের রাজত্বকাল সেইজন্য এমন পুরুষার্থ করো যাতে রাজত্বের অধিকারী হয়ে রাজকুমারের সাথে দোলায় দুলতে পার l এতো বোঝার মতো কথা l বাবা বলছেন - বাচ্চারা যত সময় হতে পারে "মনমনাভব" থাক অর্থাত্ মন আমাতে লাগাও l স্মরণে না থাকার জন্য পতন হয় l জ্ঞান কখনও পতনের দিকে ঠেলে দেয়না l স্মরণের যাত্রায় না থাকলে পতন হয় l এর ওপরই ভিত্তি করে আল্লা আলাদীন , হাতিমতাই প্রভৃতি নাটক রচিত হয়েছে l স্মরণে থাকার জন্যই মুখে চুষিকাঠি দিয়ে দেওয়া হতো l কারও ক্রোধ হলে মুখের কথায় তা ব্যক্ত করে , এইজন্য বলা হয় মুখে কিছু পুরে দাও l কথা না বললে তো ক্রোধ আসবে না l বাবা বলেছেন - কখনও কারও ওপর ক্রোধ ক'রোনা l কিন্তু এই সকল কথা সম্পূর্ণ বুঝতে না পেরে শাস্ত্রে নানারকম উদ্ভট কথা লিখেছে l বাবা যথার্থরূপে সামনে বসে বুঝিয়ে দেন l বাবা যখন আসেন তখনই তো এসে বুঝিয়ে দেন l যে সকল মহারথীর পার্ট প্লে হয়ে গেছে তাঁদেরই মহিমা গাওয়া হয় l রবি ঠাকুর , ঝাঁসির রাণীর পার্ট হয়ে গেছে , পরে এঁদেরই চরিত্রায়ন হয় অর্থাত্ নাটক তৈরী হয় l আচ্ছা শিববাবাও তো ভূমিকা পালন করে গেছেন ! তাই তো শিব জয়ন্তী উদযাপন হয় l কিন্তু শিব কবে এসেছেন , এসে কি করেছেন এসব কিছু জানা নেই l তিনি তো সারা সৃষ্টির পিতা l তবে তো নিশ্চয়ই তিনি এসে সকলকে সদগতি দিয়েছেন ! ইসলাম , বৌদ্ধ ইত্যাদি যাঁরাই ধর্ম স্থাপন করে গেছেন তাঁদের জয়ন্তী পালন করা হয় l সবার তিথি , তারিখ জানা আছে , এঁনারটা (শিববাবা) কারও জানা নেই l বলেও , খ্রীষ্টের এত বছর পূর্বে ভারত প্যারাডাইস (স্বর্গ) ছিল l স্বস্তিকা যখন তৈরী করে তখন তাতে পুরো চারভাগ করে l চারভাগের দ্বারা চার যুগ দর্শানো হয় l প্রত্যেক যুগের আয়ু না কম না বেশী হতে পারে l জগন্নাথ পুরীতে চালের হাঁড়ি চার ভাগের বানানো হয় l বাবা বলেন - এই ভক্তিমার্গে আগডুম বাগডুম করে দিয়েছে l বাবা এখন বলছেন দেহ-সহিত এসব ভুলে যাও l আমি আত্মা , পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান- কেবল এই অভ্যাস করো l বাবা স্বর্গের রচয়িতা তবে তো অবশ্যই আমাদের স্বর্গে পাঠিয়েছিলেন l নরকে তো নিশ্চয়ই পাঠাননি ! বাবা কাউকে নরকে পাঠান না l প্রথম প্রথম সকলে সুখ ভোগ করে l প্রথমার্ধে সুখ দ্বিতীয়ার্ধে দুঃখ l বাবা তো সকলের সুখকর্তা দুঃখহর্তা l আত্মা প্রথমে সুখ দেখে পরে দুঃখ l বিবেকও বলে - আমরা প্রথমে সতোপ্রধান তারপরে সতো , রজঃ , তমঃ-তে চলে আসি l মানুষেরাও বুঝতে পারে - বিদেশের লোকেরা সেনসিবল্ l সেখানে বম্বস্ এমনভাবে বানানো হয় , যা এক মুহূর্তে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে l আজকাল যেমন বিদ্যুত্ সংযোগে মুহূর্ত মধ্যে মৃতদেহ শেষ করে দেওয়া হয় , সেরকম বম্বস্ ফেললেও আগুন লেগে যায় আর মানুষও সাথে সাথে শেষ হয়ে যায় l খড়ের গাদায় আগুন লাগবেই l তুফান এমন আসবে যে গ্রামের পর গ্রাম ধ্বংস হয়ে যাবে l আর সেই সময় এমন কোনও ব্যবস্থা থাকবে না যা বাঁচাতে পারে l বিনাশ তো হতেই হবে l পুরনো দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হবে l গীতায়ও বর্ণিত আছে l বাবা বুঝিয়েছেন - ইউরোপবাসী বম্ব এমনভাবে ছুঁড়বে যে বোঝারও অবকাশ থাকবে না l তোমরা বাচ্চারা জেনেছ কল্প পূর্বেও বিনাশ হয়েছিল , এখনও হবে l তোমরাও কল্প পূর্বের মতো এই পড়া করছ l ধীরে ধীরে ঝাড় বৃদ্ধি পেতে থাকবে l বৃদ্ধি হতে হতে আবার স্থাপনাও শুরু হয়ে যায় l মায়ার আক্রমণে ভালো ভালো ফুল অর্থাত্ তীব্র পুরুষার্থীরাও পথভ্রষ্ট হয় l যোগে সম্পূর্ণরূপে না থাকলে মায়া বারবার বিঘ্ন উত্পত্তি করে l বাবার বাচ্চা হয়ে পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করে আবার যদি বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ে তবে নাম বদনাম হয়ে যাবে l তারপর আঘাত আসে খুব জোরে l বাবা বলছেন - এই কামের আঘাতে কখনও জর্জরিত হয়োনা l বাচ্চারা জেনেছে এখানে রক্তনদী বয়ে যাবে l সত্যযুগে দুধের নদী বাহিত হয় l ওখানে নতুন দুনিয়া , এখানে হলো পুরনো দুনিয়া l কলিযুগে কি আছে আর সেই তুলনায় সত্যযুগে কত বৈভব ! এখানে তো কিছুই নেই l কণ্যারা সাক্ষাত্কারে গিয়ে দেখে আসে l সূক্ষ্মবতনে সুবীরস (বৈকুন্ঠের পানীয়) পান করেছে , এই করেছে সবেরই সাক্ষাত্কার হয় l বলে , আমরা মূলবতনে যাই l বাবা বৈকুন্ঠে পাঠান l এই সমস্ত সাক্ষাত্কার ইত্যাদি ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে l এর থেকে কিছুই পাওয়ার নেই l অনেক বাচ্চারা সূক্ষ্মবতন যেত , সুবীরস পান করত l আজ আর নেই l ভালো ভালো তীব্র পুরুষার্থী বাচ্চারা সব হারিয়ে গেছে l অনেকে ধ্যানে সাক্ষাত্ দর্শন করার পরেও বিবাহ করে নিয়েছে l আশ্চর্য লাগে - মায়ার কেমন জাদু ! ভাগ্য কিভাবে উলটপালট হয়ে যায় l অনেকেই নিজেদের পার্ট খুব ভালো প্লে করেছে l অনেক সাহায্যও করেছে আইওয়েলে অর্থাত্ প্রারম্ভিক স্থাপনার কাজে l তারাও তো আজ নেই l তাই বাবা বলেছেন - মায়া তুম বড়ী জবরদস্ত হো অর্থাত্ মায়া তুমি বড়ই শক্তিশালী ! মায়ার সাথে তোমাদের যুদ্ধ চলে l একেই বলা হয় যোগবলের লড়াই l যোগবল দ্বারা কি প্রাপ্তি হয় কারও জানা নেই l শুধু বলে ভরতের এটা প্রাচীন যোগ l মিষ্টি -মিষ্টি বাচ্চাদের যোগ সম্বন্ধে বুঝিয়ে দেওয়া হয় , প্রাচীন রাজযোগের বর্ণনা আছে l ফিলোসফার (দার্শনিক) ইত্যাদি যাঁরাই আছেন এই আধ্যাত্মিক জ্ঞান কারও নেই l রুহানি বাবাই জ্ঞানের সাগর l তাঁর জন্যই গাওয়া হয় শিবায় নমঃ l ওঁনারই মহিমা গাওয়া হয়েছে l বাবা এসে তোমাদের জ্ঞানের কতকিছুই বুঝিয়ে দিচ্ছেন l একেই জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র বলা হয়ে থাকে এবং কারও শক্তি নেই যে নিজেকে ত্রিকালদর্শী বলতে পারে l ত্রিকালদর্শী কেবল ব্রাহ্মণ-ই হতে পারে , যে ব্রাহ্মণ দ্বারা যজ্ঞের রচনা হয়েছে l যা হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ l রুদ্র শিবকেও বলা হয় l অনেক নাম রাখা হয়েছে l প্রত্যেক দেশে আলাদা আলাদা অনেক নাম l এক বাবা ব্যতীত আর কারও এত নাম নেই l বাবুলনাথও এঁনাকেই বলা হয় , বাবুল তাকেই বলা হয় - যার মধ্যে কাঁটা থাকে l বাবা কাঁটাকে ফুল রূপে গড়ে তোলেন , এইজন্য ওঁনার নাম বাবুলনাথ রাখা হয়েছে l বোম্বেতে সেখানে অনেক মেলা বসে l অর্থ কিছু বোঝেনা l বাবা সামনে বসে বুঝিয়ে দেন ওঁনার সঠিক নাম , শিব l ব্যাপারী লোকেরাও বিন্দুকে শিব বলে l এক দুই গুনতে গুনতে যখন ১০ এ আসবে তখন দশের পরিবর্তে বলবে শিব l বাবাও বলেন - আমি বিন্দু , স্টার l অনেক লোকেই এমনিতে ডাবল তিলকও দেয় l মাতা আর পিতা l জ্ঞান সূর্য আর জ্ঞান চন্দ্রমার চিহ্ন l ওরা এর অর্থ জানেনা l তাই বাবা যোগ সম্বন্ধে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন l যোগ কত প্রসিদ্ধ ! বাচ্চারা , এখন তোমরা যোগ শব্দ ছেড়ে দাও , স্মরণ করো l বাবা বলেন - যোগ শব্দ বললে বুঝবে না , স্মরণ বললে তখন বুঝে যাবে l বাবাকে অনেক অনেক স্মরণ করতে হবে l ওঁনাকে সাজনও বলা হয়ে থাকে l পাটরাণী বানাতে হবে তো ! বিশ্বের রাজধানীর বর্সা বাবা দেন l সত্যযুগে এক বাবাই হন l ভক্তি মার্গে তোমাদের দুই বাবা আর জ্ঞান মার্গে এখন তোমাদের তিন বাবা l কত আশ্চর্যের ! অর্থসহ তোমরা জেনেছ , সত্যযুগে হয়ই সবাই সুখী l এইজন্য পারলৌকিক বাবাকে জানেই না l তোমরা এখন তিন বাবাকেই জেনেছ l কত সহজেই বোঝার মতো কথা l আচ্ছা !
    মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি (সিকিলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা বাপদাদার স্মরণের সুমন আর সুপ্রভাত l রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদের নমস্কার l

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

    ১) স্মরণে স্থিত থাকার জন্য মুখ দিয়ে কিছু বোলো না l মুখে চুষিকাঠি দিলে ক্রোধের উত্তেজনা শেষ হয়ে যাবে l কারও ওপর ক্রোধ করা ঠিক নয় l

    ২) এই দুঃখধামে আগুন লাগবেই , এইজন্য পুরানো এই দুনিয়াকে ভুলে নতুন দুনিয়াকে স্মরণ করতে হবে l বাবার কাছে পবিত্র থাকার যে প্রতিজ্ঞা করেছ তাতে স্থির থাকতে হবে l

    বরদান:- 

    নির্দেশ পালনের দ্বারা( বাবার দেওয়া ফরমান) সকল ইচ্ছার বিনাশ করে মায়াপ্রুফ (মায়া প্রতিরোধী) ভব

    অমৃতবেলা থেকে রাত পর্যন্ত দিনচর্যায় যা যা নির্দেশ(ফরমান) পেয়েছ সেই নির্দেশাবলী মেনে নিজের বৃত্তি , দৃষ্টি , সংকল্প , স্মৃতি , সেবা আর সম্বন্ধের চেক করো l যারা প্রত্যেক পদক্ষেপে প্রত্যেক সংকল্প , নির্দেশের পালন করে তাদের সব ইচ্ছা সমাপ্ত হয়ে যায় l যদি অন্তর্মনে পুরুষার্থের বা সফলতার ইচ্ছাও থেকে যায় তবে অবশ্যই কোথাও না কোথাও নির্দেশের অমান্য হচ্ছে l তাই যখন কোনো সমস্যা আসে তখন সবদিক থেকে চেক করো - এতে মায়াপ্রুফ সতঃতই তৈরী হওয়া যাবে l

    স্লোগান :- 

    নিজের সূক্ষ্ম দুর্বলতার চিন্তন করে তাকে শেষ করতে হবে - এই হলো স্বচিন্তন l



    ***OM SHANTI***