BK Murli In Bengali 14 August 2016

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli In Bengali 14 August 2016

    ১৪-০৮-১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "অব্যক্ত-বাপদাদা" রিভাইস: ০৩-১১-৮১ মধুবন' যোদ্ধা নয় দিলতখ্তনশীন অর্থাৎ হৃদয় আসনে বিরাজমান হও 'আজ দূরদেশ নিবাসী বিদেশী পিতা নিজের সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন । বাচ্চাদেরও স্বদেশের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন এবং সমর্থ স্বরূপে পরিণত করে সঙ্গে নিয়ে যেতে এসেছেন । স্বদেশ স্মরণে এসেছে তাইনা ? এই হল অন্যের দেশ, অন্যের রাজ্য, যেখানে সবকিছু পুরনো দেখা যায়। ব্যক্তি দেখো কিংবা বস্তু সবকিছুই কি রূপ দেখা যায় ? সবকিছুই জর্জরিভূত অবস্থায় পৌঁছেছে । চতুর্দিকে অন্ধকার ছেয়ে আছে। এমন দেশে তোমরা সবাই বন্ধনে থেকে বন্ধনযুক্ত আত্মা রূপে পরিণত হয়েছ তখন বাবা এসে স্বরূপ এবং স্বদেশের স্মৃতি দ্বারা বন্ধনমুক্ত করে স্বদেশে নিয়ে যাচ্ছেন । সাথে সাথে স্বরাজ্যের অধিকারীওকরছেন । তাহলে সবাই নিজের স্বদেশে ফিরে যেতে তৈরী হয়েছ তো ? অথবা যেমন তোমরা একটা ড্রামা দেখাও যে স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছে থাকা সত্বেও কেউ বিশেষ জনই যাওয়ার জন্যে তৈরী হয়। এমনভাবে কথা ঘুরিয়ে " যাব-যাব " বলবে না তো ?হিসাব নিকেশ মিটিয়ে নিয়েছ নাকি এখনও কিছু বাকি রয়েছে ? নিজের হিসাব নিকেশের সমাপ্তির সমাপ্তি সমারোহ পালন করেছ নাকি এখনও তৈয়ারী চলছে? এমন ভাবছ না তো যে অন্ত সময়ে সমাপ্তি সমারোহ পালন করবে? সমাপ্তি সমারোহ এখন থেকে পালন করলে তবেই অন্ত সময়ে সম্পূর্ণতার সমারোহ পালন করতে পারবে l এই পুরনো হিসেব নিকেশ সমাপ্ত করতে হবে। সেইসব এখন করলে বহুকালের জন্যে বন্ধনমুক্ত , জীবনমুক্ত পদের প্রাপ্তি করতেপারবে । নাহলে অন্ত সময় পর্যন্ত যোদ্ধা স্বরূপ রয়ে যাবে। যেঅন্ত সময় পর্যন্ত যোদ্ধা জীবনে থাকে তার প্রালব্ধ কি রূপ হবে? যোদ্ধা জীবন তো শৈশবের জীবন । এবারে তো স্বরাজ্য অধিকারী হয়েছ? স্মৃতির তিলক , বাবার হৃদয় আসনে বিরাজমান হয়েছ। আসনে বিরাজিত হয় যারা যোদ্ধা হয় কি তারা ? যুদ্ধের প্রালব্ধ সিংহাসন এবং মুকুটের প্রাপ্তি তো হয়েছে। বর্তমানের প্রালব্ধ বা প্রত্যক্ষফল প্রাপ্ত হয় নি এখনও ?এইসঙ্গমযুগের প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয়েছে নাকি প্রাপ্ত হয়নি ? কিগান গাও তোমরা ? যা পাওয়ার ছিল পাওয়া হয়েছে ? যখন বর্তমানের সাথে ভবিষ্যতের সম্বন্ধ রয়েছে , তো ভবিষ্যতের প্রালব্ধ হল ২৫০০ বর্ষের, তবে কি বর্তমানের প্রালব্ধ অন্ত সময়ের ৫-৬ মাসের হবে অথবা ৫ দিনের হবে বা ৫ ঘন্টার হবে অথবা সঙ্গমযুগ বহুকালের হবে? যদি সঙ্গমযুগের প্রালব্ধ বহুকালের না হয় তো ভবিষ্যতের প্রালব্ধ বহুকালের হবে কিভাবে ?ওখানকার ২৫০০ বর্ষ , এখানের ২৫ বছরও নয় ? ডাইরেক্ট বাবার বাচ্চা হয়ে সঙ্গমযুগের সদাকালের বর্সার প্রাপ্তি না করলে আর করলে কি? সর্ব খাজানার মালিকের বালক হয়ে খাজানা সম্পন্ন না হলে মালিকের সন্তান হয়ে লাভ কি?" সফলতা হল আমাদের জন্ম সিদ্ধ অধিকার " । এই কথা বলে সদা সফলতার অনুভব না করলে জন্ম সিদ্ধ অধিকারী হয়ে করলে কি? ভাগ্য বিধাতা দুই পিতার সন্তান হয়ে সদা পদমাপদম ভাগ্যশালী না হলে দুই পিতার সন্তান হয়ে লাভ কি? শ্রেষ্ঠ কর্মের বা শ্রেষ্ঠ চরিত্রের অতি সহজ বিধি বরদাতা বাবা দিয়েছেন তবুও সিদ্ধি স্বরূপ না হলে লাভ কি?যুদ্ধ করা, পরিশ্রম করা , ধীরে ধীরে আরামে চলা .... এইসব কি খুবই পছন্দের ? যুদ্ধের মাঠ পছন্দ হয়? হৃদয় আসন পছন্দ নয় কি? যদি আসন পছন্দ তাহলে আসনে বিরাজিত রইলে মায়ার আগমন ঘটবেনা। আসন ছেড়ে নীচে যুদ্ধের মাঠে নেমে যাও তাই পরিশ্রম করতে হয়। যেমন অনেক বাচ্চারা আছে , লড়াই ঝগড়া ছাড়া থাকতে পারেনা আর যে আসবে তার সঙ্গেই নিজের থেকে কিছু না কিছু নিয়ে কষাকষি করতেই থাকবে। যুদ্ধের সংস্কার রাজ্য সিংহাসন ছাড়িয়ে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে যায়। এখন যুদ্ধের সংস্কার সমাপ্ত করো।রাজ্যের সংস্কার ধারণ করো , প্রালব্ধের অধিকারী হও তবেই ভবিষ্যতের বহুকালের প্রালব্ধের অধিকারী হবে। অন্ত সময় পর্যন্ত যোদ্ধা স্বরূপ জীবন রইলে কি পদ প্রাপ্ত করবে? চন্দ্রবংশী হতে হবে।সূর্যবংশীদের চিহ্ন কি - সদা খুশীর রাসক্রিয়ায় মগ্ন থাকে তারা। সর্বদা অতিন্দ্রীয় সুখের দোলায় দোল খায় তারা। চন্দ্রবংশী রামকে কখনো দোলনায় ঝোলানো হয়না। রাস দেখানো হয়না । যুদ্ধের তীর ধনুক দেখানো হয়। পিছনের রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করবে। অর্ধেক সময়ের রাজ্য বহুকালের তো হলনা তাইনা !তো সর্বদা দোলনায় দোল খাও । সর্বের সঙ্গে রাস মিলিয়ে খুশীর রাস করতে থাকো। একেই বলা হয় সঙ্গমযুগের প্রালব্ধ স্বরূপ। পুরুষার্থী , এই শব্দটিও কতটা পর্যন্ত ?এখনই পুরুষার্থী , এখনই প্রালব্ধের অধিকারী । সঙ্গমের পুরুষার্থী , সত্যযুগের প্রালব্ধের অধিকারী হবেনা । সঙ্গমযুগের প্রালব্ধী হতে হবে। এখনই বীজ বপণ করো, এখনই ফল খাও। যখন সাইন্স প্রতিটি কাজে প্রাপ্তির গতি তীব্র করেছে, তো সাইলেন্সের শক্তি সমূহ নিজের গতি তারচেয়ে তীব্র করবে নাকি এক জন্মে করবে আর পরের জন্মে পাবে ? তারা ধ্বনির গতি থেকেও তীব্র যেতে চায়। সব কর্ম সেকেন্ডের গতি থেকেও এগিয়ে করতে চায়। এত বিশাল বিশ্বের বিনাশ কার্য কত অল্প সময়ের মধ্যে করতে রেডি হয়েছ ? তাহলে স্থাপনার কার্যে নিমিত্ত আত্মারা সেকেন্ডে করা, সেকেন্ডে প্রাপ্তি , এমন তীব্র গতির অনুভবী হবেনা । বুঝলে - এখন তোমাদের কি করণীয় ? প্রত্যক্ষফল খাও। প্রত্যক্ষফল ভাল লাগেনা ? পরিশ্রমের ফল ভাল লাগে? পরিশ্রমের শুকনো ফল খেয়েই এমন দুর্বল , নয়নহীন , বুদ্ধিহীন , শ্রেষ্ঠ কর্মহীন হয়েছ। এবারে তো তাজা প্রত্যক্ষফল খাও। মেহনতকে মুহব্বতে অর্থাৎ পরিশ্রমকে প্রেম-ভালবাসায় পরিবর্তন করো। আচ্ছা ।এমনই সর্বদা রাজ্য বংশী সংস্কার যুক্ত , সদা সর্ব খাজানার অধিকারী অর্থাৎ যে বালক সেই মালিক , সদা সঙ্গমযুগী প্রালব্ধের অধিকারী স্বরূপ সংস্কার যুক্ত , প্রত্যক্ষফল গ্রহণকারী , এমনই সদা প্রাপ্তি স্বরূপ , সদা সর্ব বন্ধনমুক্ত, সঙ্গমযুগী জীবনমুক্ত , এমন তখ্ত - তাজধারী অর্থাৎ রাজ সিংহাসন - রাজমুকুটধারী বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা এবং নমস্কার ।পার্টিদের সাথে পার্সোনাল সাক্ষাৎকার :-১. সর্বদা রূহানী নেশায় স্থিত থাকো কি? রূহানী নেশা অর্থাৎ আত্ম-অভিমানী স্বরূপে স্থিত হওয়া । সর্বদা চলতে ফিরতে আত্মা দর্শন করা , এই হল রূহানী নেশা । রূহানী নেশায় সর্বদা প্রাপ্তির অনুভব সহজেই হবে। যেমন স্থূল নেশায় মত্ত মানুষ নিজেকে প্রাপ্তিবান ভাবে তেমনই এই রূহানী নেশায় থাকলে আত্মারা সর্ব প্রাপ্তি স্বরূপে পরিণত হয়। এই নেশায় থাকলে সর্বপ্রকারের দুঃখ মিটে যায়। দুঃখ এবং অশান্তির বিদায় ঘটে । যখন সদাকালের জন্যে সুখদাতার , শান্তিদাতার সন্তান হয়েছ তবে দুঃখ অশান্তির বিদায় তো ঘটেছে তাইনা ! অশান্তির নাম-গন্ধ নেই । শান্তির সাগরের সন্তান অশান্ত কিভাবে হতে পারে ? রূহানী নেশায় অর্থাৎ দুঃখ অশান্তির সমাপ্তি । এর বিদায় সম্মেলন পালন করেছ ? কারণ দুঃখ অশান্তির উৎপত্তি হয় অপবিত্রতার আধারে। যেখানে অপবিত্রতা নেই, সেখানে দুঃখ অশান্তি আসবে কোথা থেকে। পতিত-পাবন পিতার সন্তান মাস্টার পতিত-পাবন হল কিনা। যে অন্যদের পতিত থেকে পবিত্র করে , সে স্বয়ং পবিত্র তো হবেই তাইনা । যে আত্মা পবিত্র পাবন , তার কাছে সুখ এবং শান্তি স্বত:তই থাকে। তাহলে পবিত্র আত্মা, শ্রেষ্ঠ আত্মা বিশেষ আত্মা হলে কিনা? বিশ্বের মহান আত্মা হয়েছ কারণ বাবাকে আপন করেছ। সবচেয়ে বিশাল মহানতা হল পবিত্র স্বরূপে পরিণত হওয়া সেইজন্য আজও এই মহানতার সম্মুখে মাথা নোয়ায়। সেই সব জড়- চিত্র গুলি কাদের ? এখন মন্দিরে গিয়ে কি বুঝবে ? কাদের পূজো হচ্ছে ? স্মৃতিতে আসে কি এই সবই আমাদের জড়-চিত্র । নিজেকে এমন মহান আত্মা ভেবে চলো। এমনই দিব্য দর্পণ হয়ে যাও যাতে অনেক আত্মারা নিজের আসল চেহারা দেখতে পায়।২. সর্বদা চড়তি কলায় অর্থাৎ আরোহী কলায় এগিয়ে চলেছ তো ? প্রতিটি পদক্ষেপে আরোহী কলার অনুভবী । সঙ্কল্প , বচন , কর্ম , সম্পর্ক এবং সম্বন্ধে সর্বদা আরোহী কলা কারণ বর্তমান সময়টাই হল আরোহী কলায় যাওয়ার সময় আর অন্য কোনো যুগ আরোহী কলার সময় নয়। সঙ্গমযুগই হল আরোহী কলায় যাওয়ার যুগ , তাহলে যেমন সময় তেমনই অনুভব হওয়া উচিত । যে সেকেন্ড পার হল তার পরের সেকেন্ড এল , প্রতি সেকেন্ডে আরোহী কলা। এমন নয় দুই মাস পূর্বে যেমন ছিলে এখনও তেমনই রয়েছ। প্রতিটি সময় পরিবর্তন । কিন্তু পরিবর্তনও হওয়া উচিত আরোহী কলার। কোনো কথায় থামলে চলবেনা । আরোহী কলায় এগিয়ে যেতে হবে, সর্বদা অন্যদেরও এগিয়েনিয়ে যেতে হবে।প্রশ্ন : - যে সর্বদা উড়ন্ত পাখি হবে তার প্রমাণ কি ?উত্তর :- তারা হবে চক্রবর্তী । অলরাউন্ড পার্টধারী । উড়তি কলার আত্মারা এমনই নির্বন্ধন হবে যে যেখানেই সেবা প্রয়োজন, তারা পৌঁছে যাবে। এবং সব রকমের সেবায় সফলতামূর্ত হবে। যেমন বাবা হলেন অলরাউন্ড পার্টধারী , বন্ধুও হতে পারেন পিতাও হতেপারেন , এমনই উড়তি কলার অধিকারী যখন যে সেবার প্রয়োজন পড়বে তখনই সম্পন্ন স্বরূপ দ্বারা পার্ট প্লে করতে পারবে, একেই বলা হয় - ' অলরাউন্ড উড়ন্ত পাখি ' । আচ্ছা ।প্রশ্ন : - সাকার ব্রহ্মার অনেক ভূজা বিখ্যাত কেন ? এই কথাটি কাদের স্মৃতিচিন্হ ?উত্তর :- এই কথাটি হল তোমাদের সহযোগী স্বরূপের স্মৃতি চিহ্ন। যেমন দেহের বিশেষ কার্যকর্তা হল ভূজা তেমনই বাপদাদার কর্তব্যে কার্যকর্তা নিমিত্ত রূপে তোমরা হলে সবাই বাচ্চারা। যে বাচ্চারা সর্বদা যথার্থ রূপে সাথী ও সহযোগী রূপে রয় তাদের বলা হয় - রাইট হ্যান্ড ।প্রশ্ন :- রাইট হ্যান্ডের বিশেষত্ব গুলি কি ??উত্তর :- রাইট হ্যান্ড সদা স্বচ্ছ অর্থাৎ শুদ্ধ এবং শ্রেষ্ঠহয়। যেমন কোনো শ্রেষ্ঠ ও শুদ্ধ কর্ম শরীরের রাইট হ্যান্ডের দ্বারা করা হয় , তেমনই বাপদাদার সহযোগী রাইট হ্যান্ড সদা কথায় , কর্মে এবং সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ ও শুদ্ধ অর্থাৎ পিওর থাকে।২. যেমন ভূজার দ্বারা কার্য সম্পন্ন করার শক্তি একমাত্র আত্মা , ভূজা হল করনহার (যে করে) এবং আত্মা হল করাবনহার ( যে করায় ) , তেমনই রাইট হ্যান্ড সদা সহযোগী নিজের করাবনহার বাবার স্মৃতিতে থেকে নিমিত্ত করনহার রূপে পরিণত হয়। স্বয়ংকে করাবনহার ভাবেনা , তাই তাদের প্রতিটি কর্মে পৃথক ভাব ( ডিট্যাচ ) , নিরহংকারী স্বরূপ এবং নম্রচিত্ত স্বরূপ এই তিনটি স্বরূপের নব-নির্মাণের শ্রেষ্ঠতা ভরা থাকে।৩. রাইট হ্যান্ড বিশেষ শক্তিশালী হয় । রাইট হ্যান্ড সহযোগী আত্মা সদা বিশ্ব-কল্যাণ , বিশ্ব-পরিবর্তকের কার্যের দায়িত্বের ভার সহজেই নিতে পারে।৪. তাদের কাজের গতি অর্থাৎ স্পীড তীব্র হয়। তারা প্রতিটি বিষয়ের ধারণা এবং প্র্যাক্টিকাল স্বরূপ প্রত্যক্ষ করতে তীব্র পুরুষার্থী হবে , সর্বদা এভাররেডি হবে।প্রশ্ন :- লেফ্ট হ্যান্ড সহযোগী ভূজাদের চিহ্ন কি?উত্তর :- তাদের মধ্যে স্বচ্ছতার সাথে অস্বচ্ছতা অর্থাৎ সংকল্প , বাণী ও কর্মে কখনও কিছু-কিছু অশুদ্ধতা থেকে যায় অর্থাৎ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়না ।২. তাদের পুরুষার্থের গতিতে তীব্রতা কম থাকে । করবে , ভাববে , কিন্তু লেফ্ট অর্থাৎ লেট করবে। সঙ্গে থাকবে , কর্ম করবে, কিন্তু পূর্ণ দায়িত্ব নেবার সাহস থাকবেনা । সদা হিম্মত , উল্লাসে ভরপুর থাকবে কিন্তু নিরাধার হবেনা ।৩. তাদের স্টেজ কতকটা উকিল অর্থাৎ ল'য়ার স্বরূপ থাকে। কায়দা বেশী ভাববে আর ফায়দা ( লাভ ) কম পাবে। স্বয়ং , স্বয়ং-এর জাস্টিস হতে পারবেনা । প্রতিটি ছোটো কথায় ফাইনাল জাজমেন্টের জন্যে জাস্টিসের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে। তাহলে এবারে নিজেকে চেক করো যে রাইট হ্যান্ড নাকি লেফ্ট হ্যান্ড ?প্রশ্ন :- সব বাচ্চাদের মনে যে বিশ্ব-পরিবর্তনের শুভ সঙ্কল্প আছে, সেই সঙ্কল্প কবে পুরো হবে?উত্তর :- যখন নিজের সম্পূর্ণ পরিবর্তন করবে। যত নিজের পরিবর্তনে ঘাটতি থাকবে ততই বিশ্ব-পরিবর্তনের গতি কম হবে। স্বয়ং-এর পরিবর্তনের সাহায্যে সময়ের পরিবর্তন করতে পারবে । স্বয়ংকে দেখো তাহলেই সময়ের জ্ঞান স্বত:তই প্রাপ্ত করবে কারণ পরিবর্তনের সময়ের ঘড়িও হলে তুমি । বিশ্বের অর্থাৎ সর্ব আত্মাদের নজর , এবারে তোমরা যে সময়ের ঘড়ি রূপে নিমিত্ত আত্মারা রয়েছ , তাদের উপরে রয়েছে যে এখন আর কত সময় বাকি আছে।বরদান :- মনন শক্তির সাহায্যে শক্তিশালী হয়ে বিঘ্নের গতিকে সমাপ্ত করতে পারে এমন সর্ব আকর্ষণ মুক্ত ভব।ব্যাখ্যা :- বর্তমান সময় মননশক্তি দ্বারা আত্মাতে সর্ব শক্তি ভরার প্রয়োজন । এর জন্যে অন্তর্মুখী হয়ে প্রতিটি পয়েন্টকে মনন করো তাহলেই মাখন বের হবে এবং শক্তিশালী স্বরূপে পরিণত হবে। এমন শক্তিশালী আত্মারা অতিন্দ্রীয় সুখের প্রাপ্তির অনুভব করে , তাদের অল্পকালের কোনো বস্তু নিজের দিকে আকর্ষিত করতে পারেনা। তাদের মগ্ন অবস্থা দ্বারাযে আত্মিক শক্তিশালী স্থিতি নির্মিত হয় তার দ্বারা বিঘ্নেরগতি সমাপ্ত হয়ে যায়।শ্লোগান :- ব্রাহ্মণ সংসারে সবার সম্মান যারা প্রাপ্ত করে তারা-ই তখ্তনশীন বা আসনে বিরাজিত হয়।


    ***Om Shanti***