BK Murli 2 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 2 May 2016 In Bengali

     02.05.2016 Bengali Murli ০২.০৫.২০১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা " মধুবন


    "মীঠে বাচ্চে - সর্বদা এই খুশীতেই থাকো যে স্বয়ং ভগবান শিক্ষক রূপে আমাদের পড়াচ্ছেন , আমরা ওঁনার কাছে রাজযোগের শিক্ষা গ্রহণ করছি , প্রজাযোগের নয়"

    প্রশ্ন :- 

    এই পড়াশোনার বিশেষত্ব কি? তোমাদের কত সময় পুরুষার্থ করতে হবে ? 

    উত্তর :- 

    যারা এই পড়াশোনা অনেক বছর ধরে করছে , তাদের চেয়েও নতুন বাচ্চারা তীক্ষ্ণ হয়ে এগিয়ে যায়। এই হল বিশেষত্ব যে ৩ মাসের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধারী ( তীব্র পুরুষার্থী ) নতুন বাচ্চারা পুরনোদের চেয়ে এগিয়ে যেতে পারে। তোমায় পুরুষার্থ ততদিন করতে হবে যতদিন সম্পূর্ণ পাস না হও, কর্মাতীত অবস্থা না হয় , সব হিসাব ক্লিয়ার না হয়।

    ওমশান্তি !

     বাচ্চারা কোথায় বসে আছে ? বেহদের বাবার বিদ্যালয়ে। অনেক উচ্চ মানের নেশা থাকা উচিত বাচ্চাদের । কার বাচ্চাদের ? বেহদের বাবার বাচ্চাদের বা রূহানী (আত্মা রূপী ) বাচ্চাদের । বাবা আত্মাদেরই পড়ান। গুজরাটী বা মারাঠি ভাষীদের পড়াচ্ছেন না । সে তো নাম-রূপ হয়ে গেল। বাবা পড়াচ্ছেনই আত্মাদের । তোমরা বাচ্চারাও জানো য আমাদের বেহদের পিতা হলেন ইনিই , যাঁকে ভগবান বলা হয়। ভগবানুওয়াচ বলা হয় নিশ্চয় কিন্তু ভগবান বলা হয়েছে কাকে - সেসব বোঝেনা । বলেও সবাই শিব পরমাত্মায় নম: । পরমাত্মা তো হলেন এক। তিনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু নিরাকার । তোমাকে কৃষ্ণ ভগবান পড়াচ্ছেন না। না পড়িয়েছেন কখনও । তুমি জানো আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন । ভগবান তো নিরাকার হলেন কিনা । শিবের মন্দিরে যায় পূজোও করে তাহলে নিশ্চয়ই কিছু আছে। নাম-রূপ বিনে কোনো কিছু হয় নাকি । এই কথাও তুমি বুঝতে পেরেছো । সম্পূর্ণ দুনিয়ায় কেউ জানেনা । তুমি এখন জানতে পেরেছ। অনেক সময় ধরে জানছ। এমন তো নয় যে পুরনোদের চেয়ে নতুনরা এগোতে পারবেনা । নতুনরা শুনেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সবাই তো হল গডলী স্টুডেন্ট । নিরাকার বাবা জ্ঞানের সাগর পড়াচ্ছেন । ভগবানুওয়াচ গায়নও আছে । কিন্তু কবে? সেসব ভুলে গেছে ।
    এখন তোমরা বাচ্চারা জানো এমনও হয় যাদের পিতাই শিক্ষক হন। কিন্তু উনি কেবল একটি বিষয় পড়াবেন , অন্য বিষয় অন্য শিক্ষক পড়াবেন । এখানেতো বাবা হলেন সব বাচ্চাদের শিক্ষক । এই কথাই তো হল ওয়ান্ডরফুল । অনেক বাচ্চা আছে যাদের এই নিশ্চয় রয়েছে যে শিববাবা আমাদের পড়ান। শ্রীকৃষ্ণকে বাবা বলা হয়না । কৃষ্ণকে এমন শিক্ষক বা গুরু ভাবা হয়না । ইনি তো প্র্যাক্টিকালে পড়াচ্ছেন । তোমরা বিভিন্ন ধরনের স্টুডেন্ট বসে আছো। বাবা শিক্ষক পড়াচ্ছেন যত দিন না তুমি পাস কোরছ। কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত কর ততদিন পুরুষার্থ করতে হবে । কর্মের হিসাব নিকেস ক্লিয়ার করতে হবে । তোমার অন্তরে খুশীর অনুভব হওয়া উচিত - বাবা আমাদের এমন দুনিয়ায় নিয়ে যান আর কোনো স্কুলে এমন হয়না যেখানে বাচ্চারা বসে থাকে আর বোঝে যে পরমধাম নিবাসী বাবা এসে পড়াবেন । এখন তুমি এখানে বসে বুঝতে পারো আমাদের বেহদের বাবা আমাদের পড়াতে আসেন । তাই অন্তরে অনেক খুশীর অনুভূতি হওয়া উচিত । বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । এইটি প্রজাযোগ নয় , এই হল রাজযোগ । এই স্মৃতি দ্বারাই বাচ্চাদের খুশীর পারদ উঁচুতে থাকা চাই। কত বিশাল পরীক্ষা আর তোমরা কত সাধারণ ভাবে বসে আছো। যেমন মুসলমানরা বাচ্চাদের নীচে আসনে বসিয়ে পড়ায়। তুমি এই নিশ্চয় নিয়েই এখানে আসো। এখন বাবার সম্মুখে বসে আছো। বাবাও বলেন আমি হলাম জ্ঞানের সাগর । আমি কল্প কল্প এসে রাজযোগ শেখাই । কৃষ্ণের ৮৪ জন্ম বলো আর ব্রহ্মার ৮৪ জন্ম , একই কথা । ব্রহ্মা হলেন শ্রীকৃষ্ণ । এই কথা বুদ্ধিতে ভাল রীতি ধারণ করতে হবে । বাবার সঙ্গে ভালোবাসা থাকা উচিত । আমরা আত্মারা সেই পিতার সন্তান , পরমপিতা পরমাত্মা এসে আমাদের পড়ান। কৃষ্ণ তো হতে পারেনা। এমন তো নয় যে কৃষ্ণ পড়িয়েছেন । মুকুট ইত্যাদি খুলে এসেছে । পড়ানোর জন্যে বৃদ্ধ বয়স্ক কেউ চাই। বাবা বলেন আমি বৃদ্ধ দেহে প্রবেশ করি , এই বিষয়টি ফিক্স আছে । শিববাবা ব্রহ্মা দ্বারা পড়ান। বলাও হয় বরাবর পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মা দ্বারা স্থাপনা করেন। এবারে ব্রহ্মা এলেন কোথা থেকে , এই কথা বুঝতে পারেনা। বাবা বসে প্রতি মুহুর্তে বাচ্চাদের সজাগ করেন । মায়া আবার ঘুম পাড়িয়ে দেয়। এখন তোমরা সম্মুখে বসে আছো , বুঝতে পারছো আমি হলাম তোমাদের রূহানী বাবা । আমাকে চেনো কিনা । গায়নও আছে পরমপিতা পরমাত্মা হলেন জ্ঞানের সাগর , পতিত-পাবন , দুঃখহর্তা , সুখকর্তা । কৃষ্ণের জন্যে এইরকম কখনোই বলা হবেনা । সবাইকে একত্রে পড়ানো সম্ভব নয় । মধুবনে মুরলী পড়ানো হয় সেই সব অন্য সেন্টারে যায়। তোমরা এখন সম্মুখে রয়েছো । জানো কল্প পূর্বেও বাবা এভাবেই পড়িয়েছেন । এই সময়ই ছিলো যা পাস্ট হয়েছে। সেই আবার প্রেজেন্ট হয়েছে । ভক্তিমার্গের কথা তো এবার ছেড়ে দিতে হবে। এখন তোমার জ্ঞানের সঙ্গে প্রীতি , শিক্ষকের সঙ্গে প্রীতি রয়েছে । কেউ আবার শিক্ষককে উপহার দেয়। এই বাবাতো নিজেই উপহার দেন। এখানে এসে সাকার রূপে বাচ্চাদের দেখেন , এরা আমার বাচ্চা । এই কথাও সব বাচ্চাদের জানা আছে - সবাই ৮৪ জন্ম নেবে না। কেউ এক জন্ম নেবে তাতেও সুখ দুঃখ পার করবে । এখন তুমি এইসব কথা বুঝতে পেরেছো । এই মনুষ্য সৃষ্টির সিজরা বা আত্মাদের বিভাগ অনুরূপ সেটিং । প্রথম নম্বরে হলেন ব্রহ্মা-সরস্বতী , আদিদেব , আদিদেবী । পরের দিকে অনেক ধর্ম হয়ে যায়। উনি হলেন সর্ব আত্মাদের বীজ। বাকি সব হল পাতা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন সকলের পিতা । এই সময় প্রজাপিতা হাজির বা উপস্থিত রয়েছেন । ইনি বসে শুদ্র থেকে কন্ভার্ট করে ব্রাহ্মণ বানিয়ে দেবতা রূপে পরিণত করতে পড়াচ্ছেন । এই হলই সহজ রাজযোগের পড়াশোনা । রাজা জনকও সেকেন্ডে জীবনমুক্তির প্রাপ্তি করেছিল অর্থাৎ স্বর্গবাসী হয়েছিলেন । মানুষ গাইতেই থাকে কিন্তু বোঝাতে পারেনা । এখন বাবা বলেন বাচ্চারা দেহি-অভিমানী হও। তুমি অশরীরী এসেছিলে , তারপর শরীর নিয়ে পার্ট প্লে করো। বরাবর ৮৪ জন্ম নিয়েছ। বাবা যিনি হলেন সত্য , তিনি সত্য কথাই বলবেন । রাজধানী হল কিনা । রাজযোগ একজন থোরাই শিখবে। তোমরা সবাই এখন কাঁটা থেকে ফুল হচ্ছো। কাঁটা আর ফুল কাকে বলে - এই কথাও তুমি বুঝেছ। এই হল কাঁটালো দুনিয়া ছি: ছি: দুনিয়া। আমরাই ৮৪ জন্মের চক্র লাগিয়ে নরকবাসী হয়েছি। পুনরায় ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী জ্যোগ্রাফি রিপিট হবে । আমরা আবার নিশ্চয়ই স্বর্গবাসী হব। কল্প কল্প আমরাই হয়ে এসেছি । প্রতি মুহুর্তে এই কথা স্মরণে রাখতে হবে আর জ্ঞান বোঝাতে হবে। এই লক্ষ্মীনারায়ণ সূর্য্যবংশী ছিলেন । ক্রাইস্টের আগমনের পূর্বে সংখ্যা খুব কম ছিল , রাজধানী ছিলনা । এখন বাবা এসে সত্যযুগী রাজধানী স্থাপন করেন । স্থাপনা হয়েই থাকে সঙ্গমে । এখন তোমার বুদ্ধিতে আছে এই হল সত্যিকারের কুম্ভ মেলা। আত্মারা হল অনেক , পরমাত্মা হল এক। পরমাত্মা পিতা বাচ্চাদের কাছে আসেন পবিত্র করতে । একে বলাই হয় সঙ্গমযুগের কুম্ভ মেলা। এখন তোমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে । বাবা এসে স্বর্গবাসী বানিয়ে দেন তাই নরক পুরনো দুনিয়ার বিনাশ নিশ্চয়ই হবে। কল্প কল্প বিনাশ হবেই । নতুন সেই পুরনো , পুরনো সেই নতুন হয়ে থাকে। এইসব তো নিশ্চয়ই হবে। নতুনকে স্বর্গ , পুরনোকে নরক বলা হয়। এখন তো কত মানুষের বৃদ্ধি হয়েই চলেছে। খাদ্য শষ্য না পাওয়া গেলে মানুষ ভাবে আমরা অনেক শষ্য উৎপাদন করব , কিন্তু শিশু জন্মও তো অনেক হচ্ছে । খাদ্যদ্রব্য আসবে কোথা থেকে।
    এখন তোমাদের এই আনন্দ যে এই পুরনো দুনিয়া এবার শেষ হবে । মানুষের এই জ্ঞানের কথা শুনতে ভাল লাগে কিন্তু বুদ্ধিতে কিছু বসেনা । তোমার বুদ্ধিতে রয়েছে নরক শেষ হলে স্বর্গের আগমন হবে । সত্যযুগের দেবী দেবতারা এই দুনিয়ায় বাস করে গেছেন । এই লক্ষ্মীনারায়ণ ভারতের মালিক ছিল, ছবি আছে । সত্যযুগে ছিল আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্ম। এখন নিজেদের দেবতা ধর্মের বলে না , তার বদলে হিন্দু বলে দেয়। বাচ্চারা ভাল করে জানে যে আমরা এই দেবীদেবতা হতে চলেছি। বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন , এই (ব্রহ্মা দেহ ) অর্গান্স দ্বারা । বাবা বলেন - না হলে তোমাদের আমি পড়াব কিভাবে । আত্মাদেরই পড়ান কেননা আত্মাতেই খাদ পড়েছে । এখন তোমাকে সত্যিকারের সোনা হতে হবে , গোল্ডেন এজ থেকে সিল্ভার এজে অর্থাৎ রূপোর খাদ পড়লে তুমি চন্দ্রবংশী হয়ে যাও। সত্যযুগে গোল্ডেন এজে ছিলে, সেই আবার নীচে নামতে নামতে অনেক বৃদ্ধি হয়ে যায়। এখন তোমার বুদ্ধিতে রয়েছে - আমরা গোল্ডেন , সিল্ভার , কপার , আয়রন ( স্বর্ণ, রজৎ, তাম্র, লৌহ) এজে ৮৪-র চক্র লাগিয়ে এসেছি । অনেকবার এই পার্ট প্লে করে এসেছি , এই পার্ট থেকে কেউই মুক্ত হতে পারবেনা । তারা বলে , আমাদের মোক্ষ চাই কিন্তু বাস্তবে তোমাদেরই অস্থির হওয়া উচিত । ৮৪-র চক্র তোমরা লাগিয়েছ। মানুষ তো ভাবে আসা আর যাওয়া তো লেগেই থাকে , এর থেকে মুক্ত হওয়া যায় কি। কিন্তু এই তো হতে পারেনা। গুরুরাও বলে দেয় তুমি মোক্ষ প্রাপ্ত করবে । ব্রহ্মকে স্মরণ করো তো ব্রহ্মে লীন হয়ে যাবে । অনেক মত মতান্তর ভারতেই আছে আর কোনো খন্ডে এত নেই । অনেক অনেক মতামত রয়েছে , একে অপরের মতের মিল নেই । রিদ্ধি সিদ্ধিও অনেক শেখে। কেউ কেশর বের করে, কেউ আবার অন্য কিছু .... মানুষ তাতেই অনেক খুশী হয়। এইতো হল স্পিরিচুয়াল নলেজ , আধ্যাত্মিক জ্ঞান । তুমি জানো যে স্পিরিচুয়াল ফাদার হল আত্মাদের (আমাদের) পিতা । রূহানী বাবা আত্মাদের সঙ্গে কথা বলেন । সত্যনারায়ণের কথা এসে শুনিয়ে দেন , যার দ্বারা অমরলোকের মালিক বানিয়ে দেন , নর থেকে নারায়ণ বানিয়ে দেন। পুনরায় কড়ি সম জীবন হয়ে যায়। এখন তোমাদের হীরে তুল্য অমূল্য জন্মের প্রাপ্তি হয় সেই জীবন কড়ি সংগ্রহ করতে কেন নষ্ট করো। এই দুনিয়া আর বাকি কত বছর আছে । কত লড়াই ঝগড়া হয়, সব শেষ হয়ে যাবে । মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে তখন এত লক্ষ কোটি ধন কে খাবে । তারচেয়ে এই সমস্ত ধন সফল করা হোক । এই রূহানী কলেজের স্থাপনা করলে মানুষ এভারহেল্দী , ওয়েল্দী , হ্যাপী হতে পারে। তাও আবার কম্বাইন্ড আছে - হস্পিটাল কাম ইউনিভার্সিটি। হেল্থ , ওয়েল্থ , হ্যাপীনেস তো আছেই । বরাবর যোগের দ্বারা আয়ুও বেশী হয়। তুমি কত হেল্দী হয়ে যাও। কারুনের খাজানা পেয়ে যাও। আল্লাহ আলাদীনের নাটকও দেখানো হয়। তুমি জানো আল্লাহ যে আদি সনাতন দেবীদেবতা ধর্মের স্থাপনা করেন, তাতে অনেক সুখ আছে । নামই হল স্বর্গ । তুমি শান্তিধামের নিবাসী ছিলে তারপর তুমি প্রথমে সুখধামে এলে তারপরে ৮৪ জন্ম নিয়ে নীচে নেমেছ । প্রতিটি কল্পে আমি তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের এইভাবেই বসে বুঝিয়েছি। তুমি নিজের জন্মের কাহিনী জাননা , আমি বলে দিই। তুমি ৮৪ জন্ম নিয়েছ, এই শরীর হল পতিত । আত্মা তো তমোপ্রধান হয়েছে । বাবা ঠিকই বলেন । বাবা কখনও ভুল বলবেন না। তিনি হলেনই সত্য । সত্যযুগ হল ভাইসলেশ পাপমুক্ত দুনিয়া, রাইটিয়স দুনিয়া । কালক্রমে রাবণ আন-রাইটিয়াস অর্থাৎ ভুল (আত্মাকে ভুলে দেহ অভিমানী) বানিয়ে দেয় । এই হলই মিথ্যা খন্ড । গায়নও আছে মিথ্যে মায়া , মিথ্যে কায়া .... কিসের সংসার ? এই পুরনো সংসার হল মিথ্যে । সত্যযুগে সত্যিকারের সংসার ছিল। দুনিয়া তো একটিই , দ্বিতীয় দুনিয়া নেই । নতুন দুনিয়া আবার পুরনো হয়। নতুন বাড়ি পুরনো বাড়িতে তফাত তো থাকেই । নতুন তৈরী হলে নতুন বাড়িতে থাকার ইচ্ছে হয়। এখানেও বাচ্চাদের জন্যে নতুন বাড়ি তৈরী করা হয়, বাচ্চা অনেক হয়ে যাবে । তোমাদের তো অনেক খুশী অনুভব হওয়া উচিত । বাবা বলেন আমার অর্থাৎ জ্ঞান সাগরের বাচ্চারা সব কাম চিতায় বসে একেবারে জ্বলে পূড়ে গেছে । এবার তাদের জ্ঞান চিতায় বসানো হয়। জ্ঞান চিতায় বসিয়ে স্বর্গের মালিক বানাই। কাম চিতায় বসে একেবারেই কালো হয়ে গেছে । কৃষ্ণকে শ্যাম-সুন্দর নাম দিয়েছে । কিন্তু অর্থ কেউ বুঝতে পারেনা। এখন তুমি কি থেকে কি হতে চলেছ। বাবা কড়ি সম জীবন থেকে হীরে তুল্য জীবন বানিয়ে দিচ্ছেন তাই কতটা অ্যাটেন্সন দেওয়া উচিত । বাবাকে স্মরণ করা উচিত । স্মরণের দ্বারাই তুমি স্বর্গের মালিক হবে। আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি সিকীলাধে ( হারিয়ে ফিরে পাওয়া ) বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার :-


    ১. এই হীরে তুল্য অমূল্য জীবনকে কড়ি সংগ্রহ কাজে হারাবেনা। মৃত্যু সম্মুখে সেইজন্য নিজের সর্বস্ব রূহানী সেবায় লাগিয়ে সফল করতে হবে |

    ২. পড়াশোনা এবং যিনি পড়াচ্ছেন ওঁনার সঙ্গে স্নেহ ও প্রীতি রাখতে হবে । ভগবান আমাদের পড়াতে আসেন, এই খুশীতেই থাকতে হবে।

    বরদান :- 

    সর্বদা দেহ-অভিমান এবং দেহের দুর্গন্ধ থেকে দূরে থাকে এমন ইন্দ্রপ্রস্থের নিবাসী ভব।

    কথায় আছে ইন্দ্রপ্রস্থে নাকি পরীদের ছাড়া অন্য কেউ বাস করতে পারেনা। মানুষ অর্থাৎ যারা নিজেদেরকে আত্মা না ভেবে দেহ ভাবে। তো দেহ-অভিমান আর দেহের পুরনো দুনিয়া , পুরনো সম্বন্ধের থেকে সর্বদা উপরে উড়তে থাকো, একটুও যেন মানুষের দুর্গন্ধ না থাকে। দেহি-অভিমানী স্থিতিতে থাকো , জ্ঞান এবং যোগের ডানা বা পাখা যেন মজবুত হয় তবেই বলা হবে ইন্দ্রপ্রস্থের নিবাসী ।

    শ্লোগান :- 

    যারা নিজের তন, মন, ধনকে সফল করতে পারে বা সর্ব খাজানায় বৃদ্ধি করতে পারে তারাই হল সমঝদার অথবা বুদ্ধিমান ।

    ***OM SHANTI***