BK Murli 3 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 3 May 2016 In Bengali

     03-05-2016 প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মিষ্টি বাচ্চারা -- সুখ-শান্তির বরদান একমাত্র বাবার দ্বারাই প্রাপ্ত হয়ে থাকে , কোনো দেহধারী দ্বারা নয় | বাবা এসেছেন -- তোমাদের মুক্তি-জীবনমুক্তির পথ দেখাতে "

    প্রশ্ন -- 

    বাবার সাথে যাওয়ার আর সত্যযুগ ইত্যাদিতে আসার পুরুষার্থ কি ?

    উত্তর --: 

    বাবার সাথে যেতে হলে তো পুরো পবিত্ৰ পরিণত হতে হবে | সত্যযুগ ইত্যাদিতে আসার জন্য আর সঙ্গ বুদ্ধিযোগ ভেঙ্গে এক বাবার স্মরণে থাকতে হবে | আত্ম-অভিমানী অবশ্যই পরিণত হতে হবে | এক বাবার মতে চলবে তো উচ্চ পদের অধিকার প্রাপ্ত হবে |

    গীত -: 

    নয়নহীনকে পথ দেখাও (নয়নহীন কো রাহ দিখাও)…………

    ওম শান্তি | 

    এই গীত কারা গাইলো ? বাচ্চারা , কারণ বাবা তো একই হন , ওঁনাকেই রচয়িতা বলা হয় | রচনা রচয়িতাকে ডাকাডাকি করছে | বাবা বুঝিয়েছেন -- ভক্তিমার্গে তো তোমাদের দুটো বাবা হয় | এক হলো লৌকিক , দ্বিতীয় হলো পারলৌকিক | সকল আত্মাদের বাবা একজনই হন | এক বাবা হওয়ার কারণে সকল আত্মারা নিজেদের ব্রাদার্স বা ভাই বলে | তারা ঐ বাবাকে ডাকে , ও গডফাদার , ও পরমপিতা দয়া করো , ক্ষমা করো | ভক্তের রক্ষক এক ভগবানই হন | প্রথম প্রথম বোঝানো দরকার যে আমাদের দুজন বাবা হয় | এবার পারলৌকিক বাবা তো সবার এক হয় , বাকী লৌকিক বাবা প্রত্যেকের আলাদা-আলাদা হয় | এবার লৌকিক বাবা বড় হয় না পারলৌকিক বাবা বড় হয় ? লৌকিক বাবাকে তো আর পরমপিতা বা ভগবান বলা হয় না | আত্মার বাবাই হলেন পরমপিতা পরমাত্মা | আত্মা নামটা কখনো পরিবর্তিত হয় না | শরীরের নাম পরিবর্ত্তিত হতে থাকে | আত্মা ভিন্ন ভিন্ন শরীর দ্বারা পার্ট প্লে করতে থাকে অর্থাত পুনর্জন্ম গ্রহণ করে থাকে | শেষ অব্দি সে (আত্মা) কত জন্ম গ্রহণ করে থাকে | সেইসবও বাবা এসে বোঝান | বাচ্চারা তোমরা নিজের জন্মের ব্যাপারে কিছুই জানো না | বাবা আসেনই ভারতে ,ওঁনার নাম হলো শিব | বোঝেও শিব পরমাত্মা হন | শিবজয়ন্তী বা শিবরাত্রিও পালন করে | তিনি হন নিরাকার | সেইরকম আত্মাও হয় নিরাকার , নিরাকার থেকে সাকারে পার্ট প্লে করতে এসে থাকে | এবার নিরাকার শিব তো শরীর বিনা পার্ট প্লে করতে পারে না | মানুষরা এইসব কথা কিছুতেই বুঝছে না , নয়নহীন হয় | এই শরীরের দুই নেত্র তো সকলেরই আছে | তৃতীয় জ্ঞানের নেত্র আত্মার হয় না , যাহাকে দিব্য-চক্ষুও বলা হয় | আত্মা নিজের পিতাকে ভুলেছে , এই কারণে ডাকছে যে নয়নহীনকে পথ দেখাও | কোথাকার পথ বা রাস্তা ? শান্তিধামের আর সুখধামের | সকলের সদ্গতি দাতা , সত্গুরু তো একজনই হন | মানুষরা , মানুষের গুরু পরিণত হয়ে সদ্গতি দিতে পারে না | না নিজে সদ্গতি প্রাপ্ত করে আর না অন্যদের প্রাপ্ত করাতে পারে | এক বাবাই সকলকে সদ্গতি দিয়ে থাকেন | ঐ অল্ফ (ঈশ্বর) বাবাকেই স্মরণ করতে হবে | বাবা বোঝাচ্ছেন -- কোনোও মনুষ্যমাত্র মুক্তি-জীবনমুক্তি , শান্তি আর সুখ সদাকালের জন্য প্রাপ্ত করতে পারে না | সুখ-শান্তির বরদান তো এক বাবাই দিতে পারেন | মানুষরা , মানুষদের দিতে পারেন না | ভারতবাসী সতোপ্রধান ছিল , তাই সত্যযুগী স্বর্গবাসী ছিল | আত্মা পবিত্র ছিল | যখন আত্মারা পবিত্ৰ , সতোপ্রধান ছিল , তখন ভারতকে স্বর্গ বলা হত |
    তুমি জানো , বরাবর আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ , সতোপ্রধান ছিল | সেইসময়ে লক্ষ্মীনারায়ণের রাজত্ব ছিল | এখন কলিযুগের শেষ সময় চলছে , যার কারণে নরক বলা হচ্ছে | এই ভারত স্বর্গ ছিল , তখন ধনবানও ছিল | হীরে-জহরাতের মহল ছিল | বাবা বাচ্চাদের স্মরণ করাচ্ছেন | সত্যযুগ ইত্যাদিতে এই লক্ষ্মীনারায়ণের রাজত্ব ছিল , যাহাকে স্বর্গ বৈকুন্ঠ বলা হয় | এখন তো আর স্বর্গ নেই , এইসব বাবা বোঝাচ্ছেন | বাবা ভারতেই আসেন | নিরাকার শিবের জয়ন্তীও পালন করা হয় , কিন্তু তিনি কি করেন , এইসব ব্যাপারে কেউই কিছুই জানে না | আমাদের আত্মাদের পিতা হলেন শিব , ওঁনার আমরা জয়ন্তী পালন করি | বাবার বায়োগ্রাফী বা জীবনী সম্বন্ধেও কেউই কিছুই জানে না | গাওয়াও হয় -- দুঃখে সকলে স্মরণ করে | ডাকাডাকিও করে ও গডফাদার দয়া করো | আমরা অনেক দুঃখী কারণ রাবণ রাজত্বে আছি | বছর বছর রাবণকে জ্বালানো হয় , তাই না | কিন্তু এটা কারোরও জানা নেই যে দশ মাথা সহিত রাবণ হয় কি জিনিষ ! আমরা ওনাকে জ্বালাই কেন , ওনার সাথে কিসের শত্রুতা আছে , যে ওনার এফিজী তৈরী করে জ্বালানো হয় | ভারতবাসী একদম জানে না কারণ জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র তো নেই , সেই কারণেই তো রামরাজত্ব চাইছে | পাঁচ বিকার স্ত্রীতে , পাঁচ বিকার পুরুষে আছে , এই কারণে এইসবকে রাবণের সম্প্রদায় বলা হয় | এই রাবণ পাঁচ বিকারই বড় থেকে বড় শত্রু হয় , যার কারণে ওনার এফিজী তৈরী করে জ্বালানো হয় | ভারতবাসীরা এইসব জানে না যে রাবণ কে , যাঁকে জ্বালানো হয় | রাবণ রাজত্ব , পাঁচ বিকার কখন থেকে আরম্ভ হয়েছে , এটাও কারোর জানা নেই | বাবা বোঝাচ্ছেন -- রামরাজত্ব -- সত্যযুগ , ত্রেতা | রাবণরাজত্ব -- দ্বাপর , কলিযুগ | সত্যযুগে এনাদের লক্ষ্মীনারায়ণের রাজত্ব ছিল , এনারা এই রাজত্ব কোথা থেকে , কিভাবে প্রাপ্ত করলেন , এইসব কেউই জানে না | এইসব হলো বোঝার কথা | এইসবে মনোযোগ দিতে হয় | মোস্ট বিলাভড বাবা হন , তাইতো ওঁনাকে ভক্তিমার্গেও ডাকাডাকি করা হয় | ভারতে যখন এনাদের (লক্ষ্মীনারায়ণের) রাজত্ব ছিল , তখন দুঃখের নামও ছিল না | এখন হলো দুঃখধাম , কত ধর্ম হয়েছে | সত্যযুগে এক ধর্ম ছিল , এতো সব আত্মারা কোথায় চলে যাবে , এইসব কেউই জানে না , কারণ নয়নহীন আছে | শাস্ত্র দ্বারা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র কেউই প্রাপ্ত করতে পারে না | জ্ঞানের নেত্র জ্ঞানসাগর পরমপিতা পরমাত্মাই দিয়ে থাকেন | আত্মা তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত করে | আত্মা ভুলে গেছে , যে কত জন্ম গ্রহণ করেছে | সত্যযুগে যে দেবী-দেবতার রাজত্ব ছিল , সেইসব কোথায় গেলো ? গায়ও মনুষ্য চুরাশী জন্ম গ্রহণ করে | চুরাশীর চক্র বলা হয় | কিন্তু কোন আত্মারা চুরাশী জন্ম গ্রহণ করে থাকে ? যারা প্রথমে ভারতে আসে , তারা ছিল দেবী-দেবতা | তারপর চুরাশী জন্ম ভোগ করে শেষে পতিত পরিণত হয়ে যায় | গায়ও তারা -- হে পতিত পাবন , তাই সিদ্ধ হয় , আমরা হলাম পতিত , এইকারণে ডাকাডাকি করে , হে পতিতপাবন আমাদের পাবন বা পবিত্ৰ পরিণত করতে আসুন | যারা নিজেরাই পতিত , তারা আবার অন্যদের কিকরে পবিত্ৰ পরিণত করবে | বাবা বোঝাচ্ছেন অর্দ্ধকল্প ভক্তিমার্গে রাবণ রাজত্ব , পাঁচ বিকার হওয়ার দরুন ভারত এতো দুঃখ ভোগ করেছে | চুরাশী জন্ম গ্রহণ তো করাই হয় | সেইসবের হিসেবও তো বোঝানো দরকার | প্রথম প্রথম সত্যযুগে হয় সতোপ্রধান , তারপর ত্রেতায়ও হয় সতো …… আত্মায় খাদ পড়ে যায় | বাবা ভারতেই আসেন | শিবজয়ন্তী হয় , তাই না | আর সকল আত্মারা তো গর্ভে জন্ম গ্রহণ করে থাকে | বাবা বলেন -- আমি সাধারণ বৃদ্ধ শরীরে প্রবেশ করি , যাঁর এটা হয় অনেক জন্মের অন্তিম জন্ম | এইসব কোনো একজনকে বোঝানো হয় না | এই হলো গীতা পাঠশালা | মানবদের দেবতায় পরিণত করার জন্য এই রাজযোগ শেখানো হয় | তুমি এখানে এসেছো স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করতে , যা বাবাই দিয়ে থাকেন | গীতা পড়লে কেউ রাজা পরিণত হয় না আরওই রঙ্ক পরিণত হয় | বাবা গীতার জ্ঞান শুনিয়ে রাজা পরিণত করে থাকেন , অন্যের দ্বারা গীতা শোনার কারণে রঙ্ক পরিণত হয়ে গেছো | ভারতে যখন এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্ব ছিল , তখন পবিত্ৰতা -শান্তি- সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ ছিল , পবিত্ৰ গৃহস্থ আশ্ৰম ছিল | সেখানে হিংসার কোনো নাম ছিল না , দ্বাপর থেকে এইসব হিংসা শুরু হয়েছে | কাম কাটারী চালিয়ে চালিয়ে তোমার এই অবস্থা হয়েছে | সত্যযুগে শত প্রতিশত পবিত্ৰ ছিল , সতোপ্রধান ছিল | এইসব রহস্য কোনোও মনুষ্য অথবা সাধু-সন্ত ইত্যাদিরা জানে না | বাবা যিনি জ্ঞানের সাগর , পতিতপাবন হন , তিনিই এসে সতোপ্রধান পরিণত হওয়ার যুক্তি বলেন | রাবণের মতে মানুষদের দেখো কি অবস্থা হয়েছে ! রাজা-মহারাজারাও (দ্বাপরযুগের ) , যারা পবিত্ৰ রাজা পরিণত হয়ে গেছে , অর্থাত সত্যযুগের মহারাজাদের চরণে গিয়ে পড়ে আর মহিমা করে -- আপনি হলেন সর্বগুণসম্পন্ন , আমরা হলাম নীচ পাপী | আমাদের কোনো গুণ নেই অর্থাত অবগুণে ভরা , তারপর বলে আপনিই দয়া করুন | আপনি এসে আমাদের মন্দির যোগ্য পরিণত করুন | কেউই বুঝতে পারে না যে বাবা কিভাবে এসে আবার দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করাচ্ছেন | এবার তুমি বুঝেছো আমরাই দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলাম | আমরাই আবার ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শুদ্র পরিণত হয়েছি , এতো জন্ম গ্রহণ করে এবার আমাদের চুরাশী জন্ম পুরো হয়েছে | আবার দুনিয়ার চক্র ঘোরা দরকার এইজন্য তোমাকে পবিত্ৰ এখানেই পরিণত হতে হবে | পতিত তো সুখধাম আর শান্তিধামে যেতে পারবে না | বাবা বোঝাচ্ছেন তুমি যে সতোপ্রধান ছিলে , তুমিই আবার তমোপ্রধান পরিণত হয়েছো | স্বর্ণযুগ (গোল্ডন) থেকে আবার লৌহযুগে এসেছো আবার স্বর্ণযুগী পরিণত হতে হবে , তখনই মুক্তিধাম , সুখধামে যেতে পারবে | ভারত সুখধাম ছিল | এখন হলো দুঃখধাম | গানেও শুনেছো -- আমরা নয়নহীন , আমাদের পথ বলে দাও …… আমরা নিজের শান্তিধামে কিভাবে যাবো | সেই লোকেরা তো বলে দেয় -- পরমাত্মা হলেন সর্বব্যাপী , অমুক হলেন অবতার , পরশুরাম হলেন অবতার | এবার বাবা পরশুরাম পরিণত হয়ে কাউকে মারবে নাকি ? এরকম হয় না | বাবা বোঝাচ্ছেন তুমি এই চক্রে কিভাবে চুরাশী জন্ম গ্রহণ করেছো | এবার আমায় অল্ফ (ঈশ্বর)কে স্মরণ করো | হে আত্মারা দেহী-অভিমানী পরিণত হও | দেহ -অভিমানী পরিণত হয়ে তুমি একদমই দুঃখী , কাঙ্গাল , নরকবাসী পরিণত হয়ে গেছো | যদি স্বর্গবাসী অর্থাত স্বর্গে বাসিন্দা হতে হবে , তাহলে আত্ম-অভিমানী অবশ্যই পরিণত হতে হবে | আত্মাই এক শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় শরীর ধারণ করে | এবার চুরাশী জন্ম পুরো বা কমপ্লীট হয়েছে এবার আমাদের সত্যযুগে যেতে হবে | এখন শুধু আমায় স্মরণ করো আর সঙ্গ বুদ্ধিযোগ ভাঙ্গো | গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো | আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্যটা ধারণ করে | এবার দেহী-অভিমানী অর্থাত আত্মা পরিণত হতে হবে , আমায় স্মরণ করো তো খাদ সব জ্বলে ছাই হবে | তুমি পবিত্ৰ পরিণত হয়ে যাবে আর তারপর আমি(শিববাবা) সব বাচ্চাদের নিয়ে চলে যাবো | যদি আমার (শিববাবার) মতে না চলো , তাহলে এতো উচ্চ পদও প্রাপ্ত হবে না | লক্ষ্মীনারায়ণের পদ হয় উচ্চ | যখন এনাদের রাজত্ব ছিল , তখন আর কোনো ধর্ম ছিল না | দ্বাপর থেকে আবার সব ধর্ম এসেছে | সত্যযুগে মানুষই হয় অল্প | এখন তো অনেক ধর্ম হওয়ার কারণে অনেকে কত দুঃখী হয়ে আছে | দেবতা ধর্মের যারা , তারা পতিত হওয়ার কারণে এখন নিজেদেরকে পতিত বলে না | হিন্দু নাম রেখে দিয়েছে | হিন্দু তো কোনো ধর্ম হয় না | বাবা বোঝাচ্ছেন রাবণ তোমায় এইরকম পরিণত করে দিয়েছে | তুমি যখন যোগ্য দেবী-দেবতা ছিলে তখন সারা বিশ্বে রাজত্ব ছিল , আর সবাই সুখী ছিল | এখন তো সবাই দুঃখী হয়ে আছে | ভারত হেভেন বা স্বর্গ ছিল এখন নরক (হেল) পরিণত হয়েছে | আবার নরককে স্বর্গ বাবা ছাড়া কেউই পরিণত করতে পারবে না | দেবতাদের সম্পূৰ্ণ নির্বিকারী বলা হয় | এখানকার মানুষরা তো সম্পূৰ্ণ বিকারী হয় , এদের বলা হয় পতিত | ভারত শিবালয় ছিল , শিববাবা দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল | বাবা স্বর্গ পরিণত করেন আবার রাবণ নরক তৈরী করে | রাবণ অভিশাপ দেয় , আর বাবা একুশ জন্মর জন্য বর্সা অথবা অধিকার দেন | এবার তোমরা প্রত্যেকে এক বাবাকেই স্মরণ করো , কোনোও দেহধারীকে নয় | দেহধারীকে ভগবান বলা হয় না | ভগবান তো একজনই হন | বাবা তো বেহদের বর্সা দেন আবার রাবণ শ্রাপিত করে | এইসময়ে ভারত অভিশপ্ত হওয়ার কারণে অনেক দুঃখী হয় | এবার এই রাবণের ওপরে বিজয়ী হতে হবে | গাওয়াও হয় দান দিয়ে গ্রহণ মুক্ত হও | ঐ গ্রহণ যে লাগে , সেটা তো পৃথিবীর পরছায়া (ছায়া) হয় | এবার বাবা বলেন তোমাদের ওপরে পাঁচ বিকার রূপী রাবণের গ্রহণ হয় | এই পাঁচ বিকারকে দানে দিতে হবে | প্রথম তো দান দেবে যে আমরা কখনোও বিকারে যাবো না | এই কাম-কাটারীই মানুষদের পতিত পরিণত করে থাকে | আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি অনেকদিনের হারিয়ে আবার ফিরে পাওয়া (সিকিলধে) বাচ্চাদের মাতাপিতা বাপদাদা স্মরণ করছেন আর জানাচ্ছেন স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত | আত্মাদের পিতা (রূহানী) আত্মারূপী বাচ্চাদের জানায় নমস্কার |

    ধারণার জন্য মুখ্য সার --:

    1. বাবা যা নলেজ বা জ্ঞান দেন , তাতে পুরো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে | জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র দ্বারা নিজের.চুরাশীতম জন্মের পরিচয় জেনে এবার অন্তিম জন্মে পবিত্ৰ পরিণত হতে হবে |

    2. রাবণের অভিশাপ থেকে বাঁচার জন্য এক বাবার স্মরণে থাকতে হবে | পাঁচ বিকারের দান দিতে হবে | এক বাবার মতে চলতে হবে |

    বরদান --: 

    রূহানি এক্সারসাইজ আর সেল্ফ কন্ট্রোল (আত্মনিয়ন্ত্রন) দ্বারা মহিনতা অর্থাত হাল্কা ভাব অনুভব করার জন্য ফরিস্তা স্বরূপ (ভব) হও !

    বুদ্ধির মহিনতা বা হাল্কাভাব হলো ব্রাক্ষন জীবনের ব্যক্তিত্ব | মহিনতাই হলো মহানতা | তার জন্য রোজ অমৃতবেলায় অশরীরী স্বরূপের রূহানী বা আত্মিক ব্যায়াম (এক্সারসাইজ) করো আর ব্যৰ্থ সঙ্কল্পের ভোজনকে বাতিল করো | বাতিলের জন্য দরকার সেল্ফ কন্ট্রোল বা আত্মনিয়ন্ত্রন | যে সময়ে যে সঙ্কল্প রূপী ভোজন স্বীকার করা দরকার , সেই সময়ে সেটাই করো | ব্যৰ্থ সঙ্কল্পের অতিরিক্ত ভোজন কোরো না তাহলেই হাল্কা বুদ্ধিধারী পরিণত হয়ে ফরিস্তা স্বরূপের লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করতে পারবে |

    স্লোগন --:

    মহান আত্মা তারা হয় , যারা প্রত্যেক কদমে , প্রত্যেক সেকেন্ডে শ্রীমত অনুসারে হুবহু চলে |

    ***OM SHANTI***