BK Murli 8 May 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 8 May 2016 In Bengali

    ০৮-০৫-১৬ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি “ বাপদাদা ‘’ মধুবন:রিভাইস : ১১-০৪-৮১

    সত্যতার শক্তি দ্বারা বিশ্ব পরিবর্তন

    আজকের এই সভা কিসের সভা ? এ হল বিধি- বিধাতাদের সভা, সিদ্ধিদাতাদের সভা। নিজেকে এরূপ বিধি- বিধাতা বা সিদ্ধিদাতা মনে করো ? এই সভার বিশেষত্বটিকে কি জান ? বিধি- বিধাতাদের বিশেষ শক্তি কোনটি যার দ্বারা সেকেন্ডে সকলকে বিধি দ্বারা সিদ্ধিস্বরূপ বানাতে পারো ? সেটাকে কি জান ? সেটি হল সত্যতা অর্থাৎ রিয়েলটি । সত্যতাই হল মহানতা। সত্যতারই মান্যতা রয়েছে। সেই সত্যতাকে অর্থাৎ মহানতাকে স্পষ্ট ভাবে জান ? বিশেষ বিধিটি হল সত্যতার উপর নির্ভর। প্রথম ভিত্তি হল নিজের অর্থাৎ নিজ স্বরূপে সত্যতাকে দেখো। সত্য স্বরূপ কি, আর তোমরা কি মানতে ? তো প্রথম সত্য হল আত্মার স্বরূপের। যতদিন পর্যন্ত এই সত্যটিকে না জানতে তখন কি মহানতা ছিল ? মহান ছিলে বা মহানের পূজারী ছিলে ? আর যখন নিজেকে জেনেছ তো এখন কি হয়ে গেছ ? মহান আত্মা হয়ে গেছ। সত্যতার অথরিটির দ্বারা অন্যদেরও বলো --আমরা হলাম আত্মা । এইভাবে সত্য পিতার সত্য পরিচয় পাওয়ার পরে নিজের রচনার বা সৃষ্টি চক্রের সত্য পরিচয় অথরিটির সাথে শুনিয়ে থাকো -- এখন এই সৃষ্টি চক্র সমাপ্ত হয়ে পুনরায় আবার রিপিট হয় । এখন হল সঙ্গমের যুগ, কলিযুগ নয় । তা সে সমগ্র বিশ্বের বিদ্বান পণ্ডিত বা অনেক আত্মারা শাস্ত্রানুযায়ী কলিযুগের সপক্ষে প্রমাণ দিতে থাকেন, মানেনও, কিন্তু তোমরা ৫ পান্ডব অর্থাৎ কোটির মধ্যে মাত্র সামান্য সংখ্যক আত্মাই চ্যলেঞ্জ করে থাকো যে এটা কলিযুগ নয়, এটা হল সঙ্গম যুগ--এটা কীসের অথরিটিতে বলে থাকো ? সত্যতার মহানতার কারণে। বিশ্বে বার্তা দিয়ে থাকো যে এসো এবং এসে বোঝো। ঘুমিয়ে থাকা কুম্ভকর্ণদেরকে জাগিয়ে বলে থাকো যে সময় এসে গেছে। ইনিই হলেন সত্যিকারের পিতা, সত্য শিক্ষক। সতগুরু দ্বারা সত্যতার শক্তি প্রাপ্ত হয়েছে। অনুভব করে থাকো যে- এটাই হল সত্য।
    সত্যের দু’টি অর্থ রযেছে। একটি হল সৎ, দ্বিতীয় হল সত্য অর্থাৎ অবিনাশী। তো বাবা হলেন সত্য এবং অবিনাশীও, সেইজন্য বাবার দ্বারা যে পরিচয় লাভ হয়েছে সে সবই হল সৎ অথাৎ সত্য এবং অবিনাশী। ভক্তরাও বাবার মহিমা কীর্তন করে -- ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’। তারা সত্য বলেও মানে আর অবিনাশীও। এটাও মানে -- গড ইস ট্রুথ। তো বাবার দ্বারা সত্যতার অথরিটি প্রাপ্ত হয়ে গেছে। এই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়ে গেছে। সত্যতার অথরিটির যে প্রশংসাটি শুনেছ, তার নিদর্শন কোনটি ? সিন্ধিতে একটি ক‌থা আছে -- ‘ যেখানে সত্য থাকবে সেখানে আত্মা নাচবে’(সচ্ তো বিঠো নাচ), আরও বলা হয় --'সত্যের তরনী হেলবে দুলবে, কিন্তু ডুববে না’ । তোমাদেরকে নাড়াবার অনেক চেষ্টা হয় তাই না ! এ সমস্তই মিথ্যা কল্পনা। কিন্তু সত্য যেখানে, আত্মা নাচবে সেখানে। তো সত্যতার মহানতার নেশায় সদা খুশীর দোলায় দুলত থাকে। খুশীতে নাচতে থাকো তাই না ! তারা যতই নাড়াবার চেষ্টা করে ততই কি হয় ? তোমাদের দোলনাকে যতই নাড়াতে থাকে, ততো আরও বেশী করে আনন্দে ঝুলতে থাকে। তোমাদেরকে নাড়াতে পারে না, বরং দোলনটিকেই নাড়াতে থাকে। তাদেরকে আরও বেশী করে ধন্যবাদ দাও যে আমরা বাবার সাথে ঝুলছি, আরও আরও বেশী করে দোলাও। সেটা নাড়ানো নয়, বরং আরও বেশী করে দোল দেওয়া হয়ে যায়। এমন অনুভব করো ? নড়চড় তো হও না ? দোল খেতে থাকো তাই তো ? সত্যতার শক্তি সমগ্র প্রকৃততিকেই সতোপ্রধান বানিয়ে দেয়। যুগকে সত্যযুগ বানিয়ে দেয়। সকল আত্মাদেরই সদগতির ভাগ্য তৈরী করে দেয়। প্রত্যেক আত্মা তোমাদের সত্যতার শক্তি দ্বারা নিজের নিজের যথা শক্তি নিজ ধমে, নিজ সময়ে গতির পরে সদ্গতিতেই অবতরিত হবে, কেননা বিধি-বিধাতাদের দ্বারা সঙ্গম যুগে শেষ পর্যন্তও বাবাকে স্মরণ করবার বিধির সংবাদ অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। এরপর কেউ বাণী দ্বারা, কেউ চিত্র দ্বারা, কেউ সমাচার প্রভৃতির দ্বারা, কেউ তোমাদের সকলের পাওয়ারফুল ভাইব্রেশনের দ্বারা, কেউ অন্তিম বিনাশের লীলার উথাল পাথাল অবস্থার দ্বারা, বৈরাগ্য বৃত্তির বায়ুমন্ডলের দ্বারা খবর পৌঁছাবে। এই সমস্ত বিজ্ঞানের উপকরণগুলি আপনাদেরকে এই সমস্ত খবরা খবর যোগানোর কার্যে সহযোগী হবে। সঙ্গমেই প্রকৃতি সহযোগী হওয়ার নিজ পার্ট শুরু করে দেবে। সকল তরফ থেকেই সকলে প্রকৃতিপতির এবং মাস্টার প্রকৃতিপতিকে স্বাগত জানবে। সকল তরফ থেকেই প্রকৃতি ধন্যবাদ অর্পণ করবে এবং নিজেকেও। তারপরে কি হবে ? ভক্তিতে যে মহিমা রযেছে- সেখানে প্রকৃতির সকল তত্ত্বকে দেবতা রূপে দেখানো হয়। দেবতা অর্থাৎ প্রদানকারী। তো অন্তিম সময়ে প্রকৃতির সকল তত্ত্ব তোমাদের সকলের সহযোগ প্রদানকারী দাতা হয়ে যাবে। এই সাগরও তোমাদের সহযোগ দেবে। চারিদিকের সকল সামগ্রী ভারতের ধরনীতে একত্রিত করতে সহযোগী হবে, সেইজন্য বলা হয় সাগর রত্নের ডালি সাজিয়ে দিয়েছে। এইভাবেই ধরিত্রীর দোলাচল সমস্ত মূল্যবান বস্তু গুলিকে তোমাদের শ্রেষ্ঠ আত্মাদের জন্য এক স্থানে অথাৎ ভারতে একত্রিত করবার সহযোগী হবে। ইন্দ্র দেবতা বলা তাই না ! তো বৃষ্টিপাতও ধরিত্রীকে পরিষ্কার করবার জন্য সহযোগ দিতে হাজির হয়ে যাবে। এত বিপুল সংখ্যক আবর্জনা তো আর তোমরা সাফ করবেনা। এ সবের জন্যই প্রকৃতির সহযগিতা পাওয়া যাবে, খানিকটা বৃষ্টিপাত ধুয়ে নিয়ে যাবে। আর অগ্নির বিষয়ে তো জানই । তো অন্তিম সময়ে এ সকল তত্ত্ব তোমাদের শ্রেষ্ঠ আত্মাদের সহযোগিতা প্রদানকারী দেবতা হয়ে যাবে এবং অন্য সকল আত্মারাই তা অনুভব করতে পারবে। এরপর ভক্তিতে, যারা এখন সহযোগী হওয়ার কর্তব্যের কারণ দেবতা হবে, সেই কর্তব্যের ভুল ব্যখ্যা মনুষ্য রূপ দিয়ে দিয়েছে। যেমন সূর্য হল তত্ত্ব, কিন্তু মানব রূপ দিয়ে দিয়েছে। তো বুঝতে পেরেছ বিধি-বিধাতা হয়ে কি কার্য করতে হবে ?
    ওদের হল বিধান সভা আর এখানে হল বিধি-বিধাতাদের সভা। ওদের সভার মেম্বার থাকে। এখানে অধিকারী মহান আত্মারা থাকে। তাহলে বুঝতে পারলে তো সত্যতার মহানতা কতোখানি। সত্যতা হল পারসের সমান। পরশ পাথর যেমন লোহাকেও পারস বানিয়ে দেয়। তোমাদের সত্যতার শক্তি আত্মাদেরকে, প্রকৃতকে, সময়কে, সকল সামগ্রীকে, সর্ব সম্বন্ধে, সংস্কার গুলিকে, আহারকে, ব্যবহারকে- সব কিছুকেই সতোপ্রধান বানিয়ে দেয়। তমো গুণের নাম গন্ধ সমাপ্ত করে দেয়। সত্যতার শক্তি, তোমাদের নাম রূপকে সত্ এবং অবিনাশী বানিয়ে দেয়। আধাকল্প চৈতন্য রূপ, আধাকল্প চিত্রের রূপে। আধাকল্প প্রজা তোমাদের নাম গাইবে, আধাকল্প ভক্ত তোমাদের নাম গাইবে। তমোদের বোল সত্য বচনের রূপে গাওয়া হয়। এখনও তোমাদের এক আধটা বচনকে উচ্চারণ করতে তারা নিজেদের মহান অনুভব করে। তোমাদের সত্যতার শক্তির দ্বারা দেশও অবিনাশী হয়ে যায়। বছর গুলিও অবিনাশী হয়ে যায়। আধা কল্প দেবতার বেশে থাকবে, আধাকল্প দেবতাদের বেশ-এর স্মরণিকা হিসাবে চলবে। অন্তিম সময়েও ভক্তরা তোমাদের চিত্রকে দেখে ও পোষাক দিয়ে তা সাজাতে থাকে। তোমাদের কর্তব্য এবং চরিত্র- সবই সত্য হয়ে গেছে। কর্তব্যকে স্মরণ করে তাকে ভাগবতে রূপ দিয়েছে। তোমাদের চরিত্র নিয়েও অনেক কাহিনি রচিত হয়ে গেছে। এ সবই সত্য হয়ে গেছে। তার কারণ কী ? সত্যতার শক্তিই হল তার কারণ। তোমাদের দিনচর্যাও হল তার কারণ। আহার করা, অমৃত পান করা, সবই সত্য হয়ে গেছে। তোমাদের চিত্রকও তারা ওঠায়, রাখে, পরিক্রমা করে তা নিয়ে ভোগ নিবেদন করে, অমৃত রাখে এবং তা পান করে প্রতিটি কর্ম বা প্রতিটি কর্মের স্মারক হয়ে গেছে। এতটা শক্তি নিজের মধ্যে র‍যেছে,তা জানো ? এতটা অথরিটির সাথে সকলকে চ্যালেঞ্জ করো সেবা করো ? নতুন নতুন এসেছে না ! এমন ভাবো না তো যে আমরা তো সংখ্যায় অল্প। কিন্তু অলমাইটি অথরিটি তো তোমাদের সাথী। এই রকম জোরের সাথে বলো। মানবে কি মানব না, বলবো ? এই রকম সংকল্প আসে না তো ? যেখানে সত্যতা রয়েছে সেখানেই বিজয়। নিশ্চয়ের আধারে অনুভবী মূরত হয়ে যদি বলো তবে সফলতা সদা তোমাদের সাথেই থাকবে।
    তোমরা সবাই এসেছ, তাই বাপদাদাও এসেছেন। তোমাদের আসতেই হয়, তাই বাপদাদাকেও আসতেই হয়। বাবাকেও তো পরকায়াতে আসতে হয় তাই না! তোমাদের ট্রেনে গিয়ে বসতে হয়, বাবাকে পরকায়াতে গিয়ে বসতে হয়। কোনো অসুবিধা অনুভব হয় কি ? এরপর তো তোমাদের পৌত্র-পৌত্রীরাও আসবে। ভক্তরাও আসবে, তখন কি করবে ? ভক্তরা তো তোমাদের বসতে দেবে না। এখন তো তাও আরাম করে বসতে পারছো। এরপরে তাদেরকে আরাম দিতে হবে। তাও তো তোমরা তিন বর্গ ফুট জমি(তিন পৈর পৃথ্বী) পেয়েছো। তোমাদের ভক্তরা তো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তপস্যা করে। তোমাদের চিত্রের দর্শনের জন্য ভক্তরা লাইনে(ক্যু) দাঁড়িয়ে থাকে। তো তোমরাও সেটা অনুভব করো। সীজনের ফল খেতে এসেছ না ! নতুন বাচ্চাদের প্রতি বাপদাদা বিশেষ স্নেহ জানাচ্ছেন, কারণ তারা পরে এসেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে। সদা নিষ্ঠার দ্বারা বিঘ্ন-বিনাশক হয়ে বিজয়ী রত্ন হবে। লৌকিক রূপেও যেমন বড়দের থেকে ছোটরা বেশী দ্রুতবেগে ছুটতে পারে, তো তোমরাও রেসে খুব জোর দৌড় লাগিয়ে নম্বর ওয়ানে এসে যাও। এমন উৎসাহ উদ্দীপনা যারা রাখে, বাপদাদা সেইসব বাচ্চাদের সদা সহযোগী হন। তোমাদের হল যোগ, বাবা হল সহযোগ। এই দুটি বিষয়ে যত পারো এগিয়ে যেতে পারো। এখন সুযোগ র‍য়েছে,এরপর এই সুযোগও সমাপ্ত হয়ে যাবে।
    এমন সদা সত্যতার মহানতায় থাকা। সকল আত্মাদেরকে বিধি-বিধাতা, সদগতি দাতা, বিশ্বকে নিজের সত্যতার শক্তি দ্বারা সতোপ্রধান বানায় যারা, এইরূপ বাপদাদার সদা স্নেহী এবং সদা সহযোগী বাচ্চাদেরকে বাপদাদা স্মরণ করছেন এবং জানাচ্ছেন স্নেহ-সুমন ও নমস্কার ।
    পার্টিদের সাথে -- ১) সর্বদা নিজেকে শক্তিশালী আত্মা অনুভ করো ? শক্তিশালী আত্মার প্রতিটি সংকল্প শক্তিশালী হবে। প্রতি সংকল্পে সেবা সমায়িত থাকবে। প্রতিটি কর্মে বাবার মতো চরিত্র সমায়িত থাকবে। তো এমন শক্তিশালী আত্মা বলে নিজেকে অনুভব করো ? মুখে সদাই বাবার কথা, স্মৃতিতেও বাবা এবং কর্মেও বাবার চরিত্র- একেই বলা হয় বাপ সমান শক্তিশালী। এমন তো তোমরা ? একটি মাত্র শব্দ ‘বাবা’, কিন্তু এই একটি শব্দই হল জাদু শব্দ। জাদুতে যেমন স্বরূপ পরিবর্তন হয়ে যায়, তেমনি একা বাবা শব্দ সমর্থ স্বরূপ বানিয়ে দেয়। গুণ বদলে যায়, কর্ম বদলে যায়, বোল বদলে যায়। এই একটি মাত্র শব্দই হল জাদু শব্দ। তো সকলে জাদুকর হয়ে গেছ তো ? জাদু দেখাতে পারো তো ? বাবা বললাম আর বাবারই বানিয়ে দিলাম-- এটাই হল জাদু।
    ২) বরদান ভূমিতে এসে বরদাতা দ্বারা বরদান পাওয়ার ভাগ্য বানিয়েছো ? মহিমার সাথে যা বলা হয়ে থাকে- ভাগ্যবিধাতা বাবার দ্বারা যা চাও তা দিয়ে নিজের ভাগ্যের রেখা অঙ্কন করতে পারো। এটাই হল এ সময়ের বরদান। তো বরদানের সময়কে, বরদানের স্থানকে কার্যে আনতে পেরেছো ? কি বরদান নিয়েছো ? যেমন বাবা হলেন সম্পন্ন, বাপ সমান হওয়ার দৃঢ় সংকল্প করেছো ? বাচ্চাদের জন্য যে প্রশস্তি র‍যেছে, ‘যে বালক, সে-ই মালিক’। তো বালক হল বাবার মালিক। মালিক ভাবের নেশায় থাকার জন্য বাপ সমান নিজেকে সম্পন্ন বানাতে হবে। বাবার বিশেষত্ব হল সর্বশক্তিমান,অর্থাৎ সর্বশক্তির বিশেষত্ব সস্পন্ন। তো যিনি বালক তথা মালিক হবেন, তার মধ্যেও সর্বশক্তি থাকবে। একটি শক্তিরও যাতে অভাব না হয়। একটি শক্তিও যদি কম থাকে, তবে তাকে শক্তিমান বলা হবে, সর্বশক্তিমান নয়। তুমি তাহলে কে ? সর্বশক্তিমান অথাৎ যা চাও তাই করতে পারো, প্রতিটি কর্মেন্দ্রীয় যেন স্ব নিয়ন্রণে থাকে। সংকল্প করলাম আর হয়ে গেল- কেননা তোমরা তো হলে মাস্টার। তো তোমরা হলে স্বরাজ্য অধিকারী। প্রথমে স্বরাজ্য, পরে বিশ্বরাজ্য।
    রাজধানী দেহলীতে( দিল্লী) থাকার জন্য স্ব রাজ্য অধিকারী হয়েছো তো ? এর জন্য অনেক কালের সংস্কার প্রয়োজন। অন্তিম সময়ে যদি তৈরী হও, তবে বিশ্বের রাজ্য কবে লাভ করবে ? বিশ্বের রাজ্য ইত্যাদি যদি পেতে হয়, তবে আদিকাল থেকে এই সংস্কারও থাকতে হবে। অনেক সময় কালের রাজ্য, তাই অনেক সময়ের সংস্কার। মাষ্টার সর্বশক্তিমানের কাছে এটা কোনো বড় ব্যপার নয়। দিল্লী নিবাসী এখন কি ভাবছো ? মনে করছো যে মহাযজ্ঞ করেছি তো, ব্যস হয়ে গেছে ! আরোহী কলার দিকে অগ্রসর হচ্ছো যে তোমরা। যা কিছু করছো তার চেয়েও আরও এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে চলতে চলতে নিজের রাজ্য হয়ে যাবে এখন অন্যের রাজ্যে নিজের কার্যাদি করতে হচ্ছে, এরপর নিজেরই রাজ্য হয়ে যাবে। প্রকৃতিও তোমাদের নিবেদন(Offer ) করবে। প্রকৃতি যখন অফার করবে তখন আত্মারা কি করবে ? আত্মারা তখন তোমাদের সামনে মাথা নত করবে। তাহলে এখন কি করবে ? তবুও যা কিছু করেছো ড্রামানুসারে সাহস এবং উদ্দীপনার সাথে কাজকে সফল করেছো। এর জন্য বাপদাদা এই সাহসের কারণে খুব খুশী হচ্ছেন। পরিশ্রম যা কিছু করেছো সবই জমা হয়ে গেছে। বর্তমানও তার দ্বারা তৈরী হয়েছে, ভবিষ্যৎও।
    সেবার বীজ অবিনাশী হওয়ার কারণে কিছুটা আওয়াজ বের হয়েছে এবং আরও বের হতে থাকবে। বীজ পড়বার ফলে অনেক আত্মারা গুপ্তভাবে সন্দেশ পেয়েছে। সবার ক্লান্তি দূর হয়েছে তো ! তবুও বাপদাদার স্নেহ সহযোগ সর্বদা প্রাপ্ত হওয়ার ফলে সামনে আরও এগিয়ে যাবে। দিল্লীও এই বরদান পেয়েছে। শ্রেষ্ঠ কর্মে নিমিত্ত হওয়ার জন্য। তবুও এটা হল সেবার জন্মভুমি। সেবার ইতিহাসে নাম তো থেকে যায়তই না, এবং বহু মানুষের সেবার জন্য উপকরণও প্রাপ্ত হয়ে যায়। সেবার ভুমিতে যারা থাকে তারা তো বরদানী হয়ে গেল তাই না ! পরিশ্রম খুব ভালোই করেছো। আচ্ছা।

    বরদান -

     নিজের দিব্য অলৌকিক জন্মের স্মৃতি দ্বারা মর্যাদার সীমারেখার মধ্যে থাকা মর্যাদা পুরুষোত্তম ভব

    প্রত্যেক কুলেরই যেমন মর্যাদার সীমারেখা থাকে, তেমনি ব্রাহ্মণ কুলের মর্যাদার সীমারেখা রয়েছে। ব্রাহ্মণ অর্থাৎ দিব্য এবং অলৌলিক জন্ম যার,তিনি হলেন মর্যাদা পুরুষোত্তম। তারা সংকল্পেও কোনো প্রকার আকর্ষণের বশে মর্যাদার সীমারেখা উলঙ্ঘন করতে পারে না। যে মর্যাদার সীমারখা থাকে সংকল্পেও উলঙ্ঘন করে তারা বাবার আশ্রয়ের(সাহারা) অনুভব করতে পারে না। সন্তানের পরিবর্তে ভিক্ষা প্রার্থী হয়ে যায়। ব্রাহ্মণ অর্থাৎ আহ্বানকারী, চাওয়া বন্ধ। কখনো প্রকৃতি বা মায়ার মুখাপেক্ষী নয়, তারা সদাই বাবার মস্তকের রাজমুকুটে অবস্থানকারী।

    শ্লোগান - 

    শান্তি দূত হয়ে নিজের তপস্যার দ্বারা বিশ্বে শান্তির কিরণ ছড়িয়ে দাও।



    ***OM SHANTI***