BK Murli 24 June 2016 Bengali
২৪-০৬-১৬ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "মাতেশ্বরী" রিভাইস : ১৫-১২-৬৩ মধুবন
( মাতেশ্বরীজির পুণ্য স্মৃতি দিবসে ক্লাসে শোনানোর জন্যে জগদম্বা মায়ের মধুর মহাবাক্য )
"কর্মের আধারেই - সুখ-দুঃখের রেসপন্সিবিলিটি রয়েছে "
এই কথাতো মানুষ মাত্রই জানে যে দুঃখ এবং সুখের জীবন কর্মের আধারে প্রালব্ধ রূপে চলায়মান হয় অর্থাৎ নিরন্তর চলতেই থাকে। নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম হয় কর্ম , তার যে প্রালব্ধ প্রাপ্ত হয় সেসব দুঃখ অথবা সুখের রূপে ভোগ করতে হয়। তাহলে সুখ ও দুঃখের সম্বন্ধ রয়েছে কর্মের সাথে। কর্মকে ভাগ্য বলা যাবেনা । অনেকে এইরকম ভাবে যা ভাগ্যে থাকবে , সেইজন্য দুঃখ আর সুখকে ভাগ্য ভেবে নেয়। এমন যেন এই ভাগ্য ভগবান লিখেছেন নাকি অন্য কেউ লিখেছে তাই বলে দেয় ভাগ্যে যা রয়েছে হবেই.... কিন্তু এই কথাও বুঝতে হবে ভাগ্য কে লিখেছে? ভাগ্য কি পরমাত্মা লিখেছেন নাকি আগে থেকেই ভাগ্য তৈরী রয়েছে ? এমন ভাগ্যও তো আমিই তৈরী করেছি যার দ্বারা দুঃখ ও সুখ ভোগ করতে হয়। দুঃখ ও সুখের নির্মাতা তো আর পরমাত্মা নয়। নিজের কর্ম এবং যে মানুষ কর্ম করছে তাহলে এই রেসপন্সিবিলিটি মানুষের নিজেরই হল কিনা । যেমন করবে তেমনই ফল পাবে , এই প্রবাদ বাক্য তো খুবই কমন , যে করবে সে পাবে। গীতায়ও বর্ণিত রয়েছে যে জীবাত্মা হল নিজেই নিজের শত্রু নিজেই নিজের মিত্র । ভগবান বলেননি যে আমি হলাম তোমাদের শত্রু বা মিত্র । জীবাত্মা হল নিজেই নিজের শত্রু এবং নিজের মিত্র সেইজন্য নিজের সঙ্গে মিত্রতা বা শত্রুতা করছে সে আসলে কে? স্বয়ং মানুষ । তাহলে এই কথাটা যখন এতই পরিষ্কার যে সুখ দুঃখের রেসপন্সিবিলিটি স্বয়ং মানুষের , তো দুঃখ কেউ স্বীকার করতে চায়না কেন? যে রূপেই দুঃখ আসুক না কেন দূর করতে চায়। কোনোরকম ঝগড়াঝাঁটি হলে সেসব মিটিয়ে দিতে চায়। এরই মধ্যে কারও অকালে মৃত্যু ঘটলেও দুঃখ হয় তখন ভাবে এইটা কি হল? তাইতো মানুষ সেই আবেশে বশীভূত হয়ে ভগবানকেও কথা শুনিয়ে দেয়। তোমার সম্মুখে এই যে এত পরিস্থিতি এসেছে , অকাল মৃত্যুর আগমন ঘটেছে সেইসব কি ভগবানের কর্ম ? আমাদের সম্মুখে যে রোগ দুঃখের রূপ ধরে এসে যায় সেইসব কি ভগবান করিয়েছেন ? এইসব যে লড়াই ঝগড়া , সংসারের যত দুঃখের কারণ আছে সেইসব কি ভগবানের করণীয় ? আরে, ভগবানকে তো বলা হয় দুঃখহর্তা , সুখকর্তা । তবেই যখন কোনো দুঃখ আসে তো ওঁনাকে স্মরণ করে। শরীরের রোগ হলে বলে হে ভগবান ! দুঃখে কেবল ওঁনাকেই স্মরণ করে। যদি উনি দুঃখ দিয়ে থাকেন তবে কি করা উচিত ? বলো । যে দুঃখ দেয় তাকে কি স্মরণ করা উচিত? এই কথাও তো ভাবা উচিত যে দুঃখের সময়ে যখন ওঁনাকেই স্মরণ করা হয় তবে ওঁনাকে বলা যাবেনা যে এই দুঃখ তিনিই দিয়েছেন । এই কথাও তো বুঝতে হবে। স্মরণও এইজন্য করা হয় নিশ্চয়ই ওঁনার সঙ্গে আমাদের অন্য সম্বন্ধ রয়েছে , দুঃখ দাতার সম্বন্ধ নয়।
এই দুঃখের কারণ এবং এর রেসপন্সিবিলিটি যা কিছু রয়েছে তার জন্যে অন্য কেউ দায়ী। তাহলে তৃতীয় জন কেউ তো নেই । এক আমি আর দ্বিতীয়ত আমার রচয়িতা । ব্যস্ , দুটোই জিনিস আছে কিনা । এক আমি ওঁনার রচনা বা ওঁনার সন্তান আর দ্বিতীয় আমার পিতা । তাহলে পিতা হলেন রেসপন্সিবল অথবা আমি হলাম রেসপন্সিবল ? কিন্তু যখন আমার কাছে দুঃখ আসে তখন এইভাবে দেখি যে এইসবও বোধহয় ভগবান দুঃখ দিয়েছেন । বলা হয় ভগবানের ইচ্ছে । কিন্তু অন্তরে আত্মাকে এই অনুভব হয় যে তিনি হলেন আমার সুখদাতা। যেমন সুখের জন্যে প্রার্থনা করা হয় হে ভগবান এই দুঃখ দূর করুন । তবুও বলে সকলে ভগবান আমার আয়ু বড় করুন । দেখ, আয়ু বাড়াতেও প্রার্থনা করে। তাহলে আয়ু-র জন্যে , দুঃখের জন্যে , দৈহিক রোগের জন্যে আর ঝগড়াঝাঁটি অথবা কোনোরকম এমন অশান্তির জন্যেও ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়। কোনো বাচ্চা এমন হয় যে নিজেই বলে ভগবান সুমতি দিন .... অর্থাৎ মনের মতামতের জন্যেও ওঁনার কাছে প্রার্থনা করা হয় । যেকোনো কষ্টে স্মরণ ওঁনাকেই করা হয় প্রার্থনাও ওঁনার কাছেই করা হয়। তাহলে যে বস্তুর জন্যে প্রার্থনা করা হচ্ছে সেসবের দাতা উনি হলেন কিনা । উনিই হলেন আমাদের সুখদাতা তবেই তো ওঁনার কাছে প্রার্থনা করা হয়। তাইতো এইরকম সব কথার নিবৃত্তির উপায় একমাত্র ওঁনার কাছেই রয়েছে সেইজন্য যদি কিছু হয় তখন বলা হয় " ও মায় গড" ।
এর অর্থ কেউ জানেনা কিন্তু গড আছে নিশ্চয়ই । উনি কে, উনি কোথায় সেসব জানা নেই তবু অন্তর থেকে আওয়াজ আসে। তাহলে তো এই বিষয়টা বুঝতে হবে যে শেষমেষ যখন ওঁনাকেই স্মরণ করে থাকি আমাদের সমস্ত দুঃখের সঙ্গে ওঁনার কি সম্বন্ধ রয়েছে ? উনি কি তাহলে হলেন দুঃখদাতা, নাকি ওঁনার কানেক্শন রয়েছে সুখের সঙ্গে ? এই কথাতো আমাদের স্মরণের দ্বারা-ই প্রমাণিত হয়ে যায় যে দুঃখ দেওয়া ওঁনার কাজ নয়। যদি দিতেন তাহলে স্মরণ কেন করা হয়? কিন্তু দুঃখের সময় তো ভগবানের প্রতি বিশেষ প্রেম উৎপন্ন হয় যেন তিনি হলেন আমাদের পরম মিত্র । তাই এর থেকে প্রমাণিত হয় যে ভগবানের সঙ্গে আমাদের সুখের সম্বন্ধ নিশ্চয়ই আছে এবং দুঃখের কারণ অন্য কেউ হবে। এখন আর কেউ তৃতীয় জন তো নেই-ই , এক আমি দ্বিতীয় হলেন উনি তাহলে নিশ্চয়ই আমিই হলাম রেসপন্সিবল । তো যে জিনিসের জন্যে আমিই দায়ী আমি নিমিত্ত আর আমিই আবার সেই দুঃখে দুঃখিত হই। দুঃখের ক্রিয়েটার বা জন্মদাতা হলাম আমি তাহলে দেখো কতটা অবুঝ স্থিতি আমাদের । যেই জিনিস থেকে মুক্তি চাই , সে জিনিস আমি নিজের জন্যে ক্রিয়েট করি, আশ্চর্যজনক কথা কিনা । আমি চাইনা যে আমি কোনো প্রকারে দুঃখী হই , আমার ইচ্ছে নেই কিন্তু আমি ক্রিয়েট করছি নিশ্চয়ই এই ক্রিয়েশন করাতে কোনো ভুল হচ্ছে , চাইনা কিন্তু দুঃখ ক্রিয়েট হচ্ছে , মানে নিশ্চয়ই আমি কোথাও অজ্ঞান বশত: ভুল করছি । যে কোনো বিষয়ের সম্বন্ধে প্রথমে জ্ঞান থাকা জরুরী । সেই বিষয়ে নলেজ থাকা উচিত । তো এই নলেজের বিষয়ে জ্ঞানের খোঁজ করা উচিত কিনা । কিন্তু আশ্চর্য এই যে এই কথা বুঝতে কত অজুহাত দেখানো হয়। বলে সময় নেই , কি আর করব গৃহস্থ ব্যবসা ইত্যাদি সামলাবো নাকি এই করব... না ঐ করব ... কি করব... সেইজন্য ঐসব দিকেই চোখ থাকে আর সেটাই সামলায় কিন্তু তাতেই দুঃখিত হয়ে যায়। কিন্তু আমি যখন নিজেই নিজের দুঃখকে রূপ দিয়েছি , আমার গৃহস্থ , আমার পরিবার ...... এইসব আমিই দুঃখের রূপ দিয়েছি । তো প্রথমে এর খোঁজ করা উচিত । নির্মাণের পূর্বে সম্পূর্ণ নলেজ থাকা উচিত যে এই যে জিনিস তৈরী করে আমি দুঃখিত হই তার আগে এই বোধশক্তি থাকা উচিত যে এই নির্মাণের পরিণতি দুঃখ নাকি এর মধ্যেও কোনো সুখের ব্যাপার আছে কি, নাকি সুখ আমাদের জন্যে নয় নাকি? ? এর বিষয়ে খোঁজ করা দরকার ।
তাই এখানে সেই বিষয়ের সন্ধান দেওয়া হচ্ছে যে এই জিনিস যা নিজের দুঃখের কারণ ঐ দুঃখকে দূর করার উপায় রয়েছে । কেন হয়, এই কথাও জানা জীবনের জন্যে অতি আবশ্যক। দেখো, সকলেই কত অজ্ঞানী । আর যাদের জ্ঞান রয়েছে তারা বলে কি করব, কিভাবে করব, নিজের গৃহস্থ ব্যবহার ত্যাগ করব নাকি । তারা আবার অনেক অজুহাত দেখায় তখন আশ্চর্য হয় দেখো মানুষের বুদ্ধি যে এত দুঃখে থাকার পরেও এইসব কথায় বুদ্ধি বসেই না , বুদ্ধি দিলেও সেই বিষয় বুঝতে সময়টুকু পর্যন্ত দেয় না। আমরা সেই বিষয়টা বুঝে , ধারণা করে, অনুভব করে বলছি এই হল অনুভবের কথা । নিশ্চয়ই অনুভব হয়েছে তবেই তো এতোটা কথা বলা যায়। প্র্যাক্টিক্যালে কিভাবে সুখের প্রাপ্তি হতে পারে। অনেক কালের যে আশা ছিল এখন সেই সুখদাতা স্বয়ং আমাদের নিজ পরিচয় দিচ্ছেন যে হে বাচ্চারা তোমরা দুঃখে রয়েছো কেন ? কারণ তো তোমাদের নিজেদের কিন্তু কোন্ কথার জন্যে তোমরা দুঃখ ভোগ করছ , তোমাদের কোন্ কর্ম গুলি দুঃখের কারণ হয়ে যাচ্ছে । সেই কথা এখানে এসে বুঝে নাও। দেখো, এতটা অফার তিনি করেন। তবুও আশ্চর্য হল এই যে এত কথা শোনার পরেও তারা বলে এইরকমই চলতে হবে। একেই বলা হয় অহ মম মায়া । একদম শক্ত হাতে মায়া ধরে বসে আছে । যে জিনিসের জন্যে সারাদিন মাথা কুটি করছে , সেই জিনিস বাবা সম্মুখে এসে বলে দিচ্ছেন , বাচ্চারা তোমাদের সুখের কারণ হল কি আর দুঃখের কারণই বা হল কি , এইসব কথা বসে বুঝিয়ে দিচ্ছেন । তবুও বলে সময় নেই , কি করব।
বাবা স্বয়ং বলেন আমি এখন এসেছি তোমাদের সব দুঃখ দূর করতে আর তোমাদের সুখ প্রাপ্ত করাতে কেননা গায়নও আছে দুঃখহর্তা সুখকর্তা । কখনও এইরকম বলা হয়না যে আজ দুঃখকর্তা সুখহর্তা । না, দুঃখহর্তা । তো বাবা বলছেন বাচ্চারা আমি এসেছি তোমাদের দুঃখ দূর করতে এবং দুঃখ দূর করতে আমি তোমাদের দিয়ে এমনই কর্ম করাবো যাতে তোমাদের দুঃখ নষ্ট হয়ে যাবে। শুধুমাত্র আমি যা শেখাই , বুঝিয়ে বলি সেইসব ভাল করে বুঝে পুরুষার্থ করো আর সেইভাবেই দুঃখকে নষ্ট করে দাও। তোমাদের দুঃখ দূর করতে আমি যে শিক্ষা দিয়ে থাকি সেইসব ধারণ করো কেননা সেতো তোমারই জিনিস কিনা । কিন্তু অনেকে এমন কারণ দেয় যেন আমরা ভগবানের উপরে দয়া করছি । অনেকে বলে সময় পেলে করব। আরে ভাই ! খাওয়াদাওয়া এই সব যে কথা রয়েছে সেই কর্মের খাতায় তোমরা এতটাই ব্যস্ত রয়েছ , তাইজন্য দুঃখে রয়েছ। যদিও একদিকে বলছে এই দুঃখ থেকে মুক্তি চাই আর অন্য দিকে বাবা এই দুঃখ থেকে মুক্তির পথ বলে দিচ্ছেন তবুও দেখ সেই কথা কারুর বুদ্ধিতে বসছেই না । সেইরকম অনেকে ভাবে এই ধন সম্পদ এই শরীর হল মায়া । তখন এমন এমন উপায় করা আরম্ভ করে যাতে এর থেকে মুক্ত হতে পারে। কিন্তু না, তোমাদের দুঃখের কারণ হল অন্য কিছু । এই আমার রচনা যা হল অনাদি , সে দুঃখের কারণ নয়। তোমাদের ভেতরে অন্য এক্স্ট্রা কিছু জিনিস এসেছে , যাকেই ৫ বিকার বা মায়া বলা হয়। মায়া বিকারগুলিকে বলা হয়। বিকার কোনো শরীর নয় , এই সংসার বিকার নয় , ধন সম্পদ বিকার নয়। বিকার হল এক অন্য জিনিস । যার ফলে এইসব জিনিস দুঃখের কারণ হয়েছে। না হলে এই সব জিনিস হল আত্মার সুখের কারণ । সব সম্পত্তি ধন ইত্যাদি যা কিছু আছে সবকিছুই হল সুখের কারণ। কিন্তু সেইসব কথার পূর্ণ জ্ঞান না থাকার জন্যে এই সব জিনিস দুঃখের কারণ হয়েছে সেইজন্যই বাবা বলছেন আমার রচিত এই অনাদি রচনা দুঃখের কারণ নয়। দুঃখের কারণ হলে তুমি নিজে। তোমার ভেতরে কোনো অন্য জিনিস প্রবেশিত আছে । সেই জিনিস হল মায়া ৫ বিকার । এখন তুমি সেইটা দূর করো। অনেকে বলে এইসবও ভগবানের দেওয়া । কিন্তু ভগবান তো সুখের জিনিস দিয়েছেন কিনা তোমরা তাতে বিকার মিশ্রিত করে সব জিনিস খারাপ করে দিয়েছ সেইজন্যই বলে বাবার সন্তান যদি হও তবে সেই জিনিস ত্যাগ করে দাও তো তোমাদের সুখের কারণ হয়ে যাবে। এইসব কথা বুঝতে হবে। তারজন্যে বলা হয় বারবার এসো, কিছু বোঝো। কিন্তু অনেকে এখানে আসে , শোনে কিন্তু বাইরে গেলেই শেষ । তো আশ্চর্য বলা হবে কিনা । কিন্তু নিজের জীবনের প্রতি যে আশা রেখেছ তার কারণ কি কিভাবে কারণটি দূর হবে তারজন্য এসে কিছু বোঝো। এমন নয় এই করি না ঐ করি, কি করি ..... অনেকে আবার ভাবে এইসব বৃদ্ধদের কর্ম । আরে জীবন নির্মাণ কি শুধুমাত্র বৃদ্ধদের জন্যে জরুরী । বৃদ্ধ তো সে হল যে উল্টো সিঁড়ি চড়ে তারপর দেখে নামে , তার চেয়ে বরং সিঁড়ি চড়ার আগেই কেন সামলে নেই না যে জীবনটা কিভাবে চালানো হবে তো এইসব তো বুঝবার কথা কিনা সেইজন্য তাদের এই পরামর্শ দেওয়া হয় যে এইসব কথা কিছু বুঝে নিজের দুঃখের যে মূল কারণটা রয়েছে সেটা দূর করার পুরো পুরো যত্ন নেওয়া উচিত ।
বাবা হলেন ভগবান যিনি সকলের পিতা ওঁনার কাছে নিজের অধিকার নিতে হবে। এমনি থোড়াই ওঁনাকে বাবা বলা হবে। ওঁনার কাছে যে প্রাপ্তি হবে সেসব নিতে হবে। কিন্তু ভগবান স্বয়ং বলছেন কোটিতে কেউ একজন আমাকে জানে এখন সেই অবস্থা হয়েছে কিন্তু তবু বলেন কেউ তো আছে তাইনা । কোটিতে না জানি কেউ বুঝে নিয়ে নিজের সৌভাগ্যকে স্বীকার করে নেবে । আচ্ছা !
মীঠে বাপদাদার এবং মায়ের স্মরণ ভালোবাসা আর গুডমর্ণিং ।
বরদান :- এই পুরানো দুনিয়াকে বিদেশ ভেবে এই স্থান থেকে মন সরিয়ে রেখে উপরাম থাকে এমন স্বদেশী ভব।
ব্যাখ্যা : যেমন অনেকে বিদেশী বস্তু স্পর্শ করেন না , নিজের দেশের জিনিস প্রয়োগ করেন। তেমনই আপনাদের জন্যে এই পুরনো দুনিয়াই হল বিদেশ , এর থেকে উপরাম ( থেকেও না থাকা) থাকো অর্থাৎ পুরানো দুনিয়ার যে জিনিস আছে , স্বভাব সংস্কার আছে তার দিকে একটুও যেন আকর্ষণ না থাকে। স্বদেশী হও অর্থাৎ আত্মিক রূপে নিজের উঁচু দেশ পরমধাম আর এই ঈশ্বরীয় পরিবারের হিসেবে মধুবন দেশবাসী ভেবে এই নেশাতেই থাকো।
শ্লোগান :-
ঝামেলায় লিপ্ত না হয়ে সর্বদা মিলন মেলায় মগ্ন থাকো।