BK Murli 26 June 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 26 June 2016 Bengali

     ২৬-০৬-১৬ প্রাতঃ মুরলী ওম শান্তি “অব্যক্ত-বাপদাদা” রিভাইসঃ ১২-১০-৮১ মধুবন

    “বর্তমানই হল ভবিষ্যতের আধার”

    আজ বৃক্ষপতি বাবা নিজ বৃক্ষের প্রথম পাতাগুলিকে বা বৃক্ষের আধারমূরত শ্রেষ্ট আত্মাদেরকে দেখছেন। ব্রাহ্মণ আত্মারাই হল নতুন বৃক্ষের কলম(চারা)। নতুন বৃক্ষের আধারই(ভিত্তি) হল কলম। তোমরা প্রত্যেক আত্মারাই হলে নতুন বৃক্ষের কলম। সেই জন্য প্রত্যেক আত্মাই হল অমূল্য। সদা নিজেকে এমন অমূল্য আধারমূরত বৃক্ষের কলম বা চারা মনে করে চলো ? কলমে যদি দুর্বলতা থাকে, তাহলে সমস্ত বৃক্ষই দুর্বল হবে। প্রত্যেকে নিজের নিজের দায়িত্ব সম্বন্ধে বুঝতে পারো ? এমন তো মনে করো না যে আমরা তো ছোটো বা পিছনে আসবো, দায়িত্ব তো বড়দের ওপরেই। এমন মনে করো না তো ? অধিকার(বর্ষা) নেওয়ার ক্ষেত্রে ছোটো হোক বা বড় প্রত্যেকে নিজেকে সম্পূর্ণ অধিকারী মনে করো, কেউই চন্দ্রবংশীর অধিকার নিতে রাজি হও না, সকলে এটাকেই নিজের অধিকার মনে করো যে আমি সূর্যবংশীই হবো। তার সাথে সঙ্গম যুগের প্রাপ্তির ওপর, বাবার ওপর নিজের সম্পূর্ণ অধিকার দাবি করে থাকো। এই বোল বলতে থাকো যে বাবা তো সবার আগে আমাদের ছোটোদেরই বাবা। ছোটোদের প্রতিই বাবার বেশী স্নেহ, সেইজন্য বাবা তো আমাদেরই। আমাদের সব অধিকারই আগে হওয়া উচিত। স্নেহের সাথে নিজের অধিকারের বর্ণনা করে থাকো, তো যেমন বাবার উপরে, প্রাপ্তির উপরে নিজের অধিকার রয়েছে মনে করো তেমনি দায়িত্বের ক্ষেত্রেও ছোটো বড় তোমরা সকলেই হলে অধিকারী। সকলেই হলে সাথী। তো এতটাই দায়িত্বের অধিকারী মনে করে চলো। স্ব-পরিবর্তন, বিশ্ব-পরিবর্তন উভয় দায়িত্বের তাজধারী তথা বিশ্ব রাজ্যের তাজের অধিকারী হবে। সঙ্গমযুগী তাজধারী সো ভবিষ্যতের তাজধারী। বর্তমানে না হলে ভবিষ্যতেও নয়। বর্তমানই হল ভবিষ্যতের আধার(ভিত্তি)। চেক করো এবং নলেজের দর্পণে উভয় স্বরূপকেই দেখো সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ এবং ভবিষ্যতের দেবপদ-ধারী। দুটো রূপকেই দেখো এবং তারপরে দুটোর মধ্যে চেক করো- ব্রাহ্মণ জীবনে কি ডবল রাজমুকুট(তাজ) হয়েছে, নাকি সিংগল রাজমুকুট ? এক হল পবিত্রতার তাজ, দ্বিতীয় হল প্র্যাকটিক্যাল জীবনে এবং পড়া এবং সেবায়। দুটি তাজই সমান ? সম্পূর্ণ ? নাকি কিছু কম রয়েছে ? এখানে যদি কোনো তাজ অসম্পূরণ থাকে, পবিত্রতারই হোক বা সেবার, তাহলে ওখানেও ছোটো তাজ বা একটি তাজধারী অর্থাৎ প্রজা পদ লাভ হবে। কেননা প্রজদেরও লাইটের তাজ হবে অর্থাৎ তারাও পবিত্র আত্মা হবে। কিন্তু বিশ্বরাজন বা মহারাজনের তাজ প্রাপ্ত হবে না। কেউ মহারাজন, কেউ রাজন অর্থাৎ রাজা, মহারাজা এবং বিশ্ব মহারাজা- এটার আধারেই নম্বর অনুযায়ী তাজধারী হবে।
    একই ভাবে রাজসিনহাসনকেও(তখত) দেখো- বর্তমান সময়ে ব্রাহ্মণ জীবনে কত সময় অকাল তখৎ ধারী এবং বাবার হৃদসংহাসনে আসীন থাকো- উভয় সংহাসনে কত সময় ধরে থাকো ? অকাল তখৎ নশীন যদি নিরন্তর অর্থাৎ সদাকালের জন্য হও, তবে বাবার হৃদসংহাসনে আসীনও চিরকালের জন্যই হবে। উভয়েরই সম্বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণ জীবনে যদি কখনো কখনো তখৎ নশীন, তবে ভবিষ্যতেও পুরো আধা কল্প তখৎ নশীন অর্থাৎ রয়্যাল ফ্যামিলিতে আসতে পারবেনা। কেননা রয়্যাল ফ্যামিলিই তখৎ নশীন বলে প্রসিদ্ধ। তো এখনে সদাকালের তখৎ নশীন যিনি তিনিই ভবিষ্যতে সদাকালের রাজ্য অধিকারী অর্থাৎ তখৎনশীন। তো দর্পণে দেখো- বর্তমান কি আর ভবিষ্যৎ কি ? এইভাবেই তিলককেও চেক করো- অবিনাশী অর্থাৎ যা কখনোই মুছে যাবে না। সঙ্গম যুগে দেবেরও দেবের সুহাগ(বিবাহিত রমণীর সৌভাগ্যের চিহ্ণ) এবং পরমাত্ম বা ঈশ্বরীয় সন্তানের ভাগ্যের তিলক প্রাপ্ত হয়। তো এই সুহাগ এবং ভাগ্যের তিলক অবিনাশী তো ? মায়া সুহাগ বা ভাগ্যের তিলককে মুছে দেয় না তো ? এখনকার সুহাগ, সদা ভাগ্যের তিলকধারী তথা ভবিষ্যতের সদা রাজ্য তিলকধারী। প্রত্যেক জন্মে রাজ্যাভিষেকের(রাজতিলক) উৎসব হবে। রাজার সাথে রয়্যাল ফ্যামিলিরও তিলক দিবস উদযাপন করা হয়। সেখানকার প্রত্যেক জন্মের রাজ তিলকের উৎসব আর এখানে হল ব্রাহ্মণ জীবনে সদা বাবার সাথে মিলন মেলার, নিজেকে সদা আরোহীকলার, সকল প্রকারের সেবার অর্থাৎ তন-মন-ধন-জন এসবেরই সেবার সর্বদা উৎসাহ এবং উদ্দীপনা থাকবে। এখনকার উৎসাহ, ভবিষ্যতের উৎসব হবে।
    একইভাবে তন-মন-ধনও সম্বন্ধযুক্ত। এখানে আদি থেকে এখন পর্যন্ত এবং এখন থেকে অন্তিম সময় পর্যন্ত নিজের শরীরকে কতটা সেবায় সমর্পিত করেছো ? মনকে কতটা সময় বাবাকে স্মরণ করতে এবং মন্সা সেবায় লাগিয়েছো ? মন্সা সেবা হল শুভ ভাবনা এবং শ্রেষ্ট কামনা। এতেও সেবা হদের ছিল নাকি বেহদের ছিল ? সকলের প্রতি শুভ ভাবনা এবং শ্রেষ্ঠ ছিল, নাকি কারো প্রতি ছিল কারো প্রতি ছিল না ? এইভাবে ধনকে নিজের জন্য ব্যবহার করেছে ? নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, নাকি নিঃস্বার্থ সেবায় লাগিয়েছে ? বাবা যে আমানত দিয়েছেন সেসবের অপব্যবহার (খয়ানত) হয়ে যাচ্ছে না তো ? বেহদের পরিবর্তে হদে(লৌকিক) ব্যবহৃত হচ্ছে না তো ? এই চেকিং-এর আধারেই ওখানেও প্রালব্ধে পারসেন্টেজের ভিত্তিতে নম্বর অনুযায়ী পদের প্রাপ্তি হয়। সবেতেই যদি ফুল পারসেন্টেজ হয়, তাহলে ফুল সময় এবং ফুল প্রালব্ধ। নইলে স্ট্যাটাসে এবং সময়ের ক্ষেত্রেও প্রভেদ থেকে যাবে। ফুল টাইম যে দেবে এবং ফুল প্রালব্ধ যে লাভ করবে, সে ১-১-১ এর সম্বতের আগে সর্ব প্রথম সম্পূর্ণ ফুল সতোপ্রধান প্রকৃতি, ফুল রাজ্য ভাগ্য, সম্বতও ১, প্রালব্ধও এক(নম্বর), প্রকৃতির সুখও এক(নম্বর) । নইলে সেকেন্ড, থার্ড ইত্যাদি শুরু হয়ে যাবে।
    এখন দু’দিক থেকেই চেক করো- ব্রাহ্মণ এবং দেবতা। সঙ্গম যুগী এবং সত্যযুগী- দুটো স্বরূকেই সামনে রাখো। সঙ্গম যুগে থাকলে সত্য যুগে অবশ্যই থাকবে,এটা নিশ্চিত, সেইজন্য ব্রাহ্মণ জীবনের ১৬ টি আধ্যাত্মিক(রুহানী) শৃঙ্গারকে দেখো। ১৬ কলাকে দেখো। নিজেই নিজেকে দেখো, যে যে খামতি রয়েছে সে সব গুলি ভরতে থাকো। বুঝেছো- কি করতে হবে ? নিজেকে দর্পণে দেখো। আচ্ছা-
    এইরূপ বেহদের সেবাধারী, সকলের প্রতি সদা শুভ চিন্তন, সদা স্মরণ এবং সেবার উৎসাহে থাকা সদাকালের সুহাগ এবং ভাগ্যের তিলকধারী, এমন বর্তমানের রাজ্য অলঙ্কারী, শ্রেষ্ঠ আত্মাদেরকে বাপদাদার স্মরণ স্নেহ-সুমন এবং নমস্কার
    আজ বারে বারেই বিদ্যুৎ আসছে আর যাচ্ছিল- তো বাবা বললেন, বিদ্যুতের অস্থিরতাতে তোমরা অস্থির হয়ে পড়ো নি তো ? তোমাদের এই সাকার সৃষ্টির গীত, ভক্তরা যা গেয়ে থাকে, বাবাকে বলে- ‘দেখো প্রভু তোমার সংসারের কী হাল হয়েছে'....তো বাবাও দেখছেন, ভক্তদের আওয়াজও আসছে আর দেখতেও পাচ্ছেন। যখন নামই হল- অসার সংসার- কোনো কিছুতে সার কীভাবে পাওয়া যাবে ? আচ্ছা।
    মহারাষ্ট্র জোনের পার্টিদের সাথে অব্যক্ত বাপদাদার মধুর সাক্ষাৎকার--
    সঙ্গম যুগের সবচেয়ে বড় খাজানা কোনটি ? বাবা-ই হলেন সবচেয়ে বড় খাজানা। বাবাকে পাওয়া হয়ে গেছে মানেই সব কিছু পাওয়া হয়ে গেছে। বাবা নেই তো কিছুই নেই। সত্যযুগেও এরূপ খাজানা পাওয়া যাবে না। তো এমন যুগে, যা কিনা হল সর্ব খাজানা প্রাপ্ত করবার যুগ আর সে সব প্রাপ্তকারী আত্মারাও হলে তোমরাই। তো এমন আত্মারা সম্পন্ন তো হবেই তাই না ! ব্রাহ্মণের জীবনে অপ্রাপ্ত বস্তু কিছুই নেই। দেবতাদের জীবনে বাবার অপ্রাপ্তি থাকবে, কিন্তু ব্রাহ্মণদের জীবনে কোনো প্রকারেরই অপ্রাপ্তি নেই। ব্রাহ্মণদের মনে এই অবিনাশী গীত বাজতেই থাকে- অপ্রাপ্ত কোনো বস্তুই নেই আমাদের খাজানায় ! খাজানার মালিক তোমরা ? নাকি হতে হবে ? বালক হওয়ার অর্থই হল মালিক হওয়া। মালিক তো হয়েই গেছো, বাকি কতটা সামলাতে পারছো- সেটাই প্রত্যেকের ক্ষেত্রে নম্বর অনুযায়ী দেখার। তো সদা এই খুশীতে নাচতে থাকো যে আমি হলাম বালক তথা মালিক।
    ২- সবাই নিশ্চয় বুদ্ধি বিজয়ন্তি তো ! নিশ্চয়ে কখনো টলমল হও না তো ? অচল অডোল সঙ্কল্প বা স্বপ্নেও ব্যর্থ সংকল্প যাতে না আসে। একেই বলা হয় অচল অডোল মহাবীর। তো এমন হয়েছো তো ? যা কিছু হয়- তাতে কল্যাণ নিহিত থাকে। যা কিছু এখন বোঝা যায় না, কিন্তু পরে বোঝা যাবে। কোনো বিষয়কেই একটি কালের দৃষ্টিতে দেখো না, ত্রিকালদর্শী হয়ে দেখো। এখন এমন কেন হচ্ছে ? এখন এটা কেন ? এমন নয়। ত্রিকালদর্শী হয়ে দেখলে সদা এটাই সংকল্প হবে যে, যা কিছু হচ্ছে তাতে কল্যাণই রয়েছে। এই রূপ ত্রিকালদর্শী হয়ে চলো তো ? সেবার আধারমূরত যত মজবুত হবে, ততই সেবার বিল্ডিংও মজবুত হবে। বাবা যা বলেন সেটাই করতে থাকো। তারপর বাবা জানে আর তাঁর কাজ জানে। বাবা যেমন চালাবেন তাতে কল্যাণই নিহিত থাকবে। বাবা বলেন- এইভাবে চলো, এইরকম থাকো- আজ্ঞে হাজির(জী হাজির)। এমন ভেবো না-এরকম কেন ? সব সময় বলো- আজ্ঞে হাজির। বুঝেছো- আজ্ঞে হুজুর(জী হুজুর) বা আজ্ঞে হাজির। তাহলে সদা উড়ন্ত কলাতে যেতে থাকবে। থেমে থাকবে না। উড়তে থাকবে। কেননা হাল্কা হয়ে যাবে যে।
    ৩ -- এখন নিজেকে সদা সমগ্র বিশ্বের মধ্যে কোটির মধ্যে কেউ, সেই কেউ-এর মধ্যেও কেউ- এমন শ্রেষ্ঠ আত্মা মনে করো ? এমন অনুভব হয় যে এটা তোমাদেরই প্রশস্তিসূচক ? এক হল জ্ঞানের আধারে জানা, দ্বিতীয় হল কারো অনুভব শুনে তার আধারে মানা, তৃতীয় হল নিজে অনুভব করা। তো এমন অনুভব হয় যে আমরা কল্প পূর্বের কোটির মধ্যে কোটি, তার মধ্যেও বিশেষ শ্রেষ্ঠ আত্মা আমরা ? এরূপ আত্মাদের লক্ষণ কি হবে ? এমন শ্রেষ্ট আত্মারা সদা অগ্নি রূপী(শমা) বাবার দিকে পতঙ্গ হয়ে(পরবানে) নিবেদিত হয়ে যাবে, তারা শুধুমাত্র চারপাশে ঘুরে বেড়াবে না। তারা এমন আত্মা নয় যে ঘুরতে ঘুরতে এমনিই এলো, সামনে ঘোরা ঘুরি করল, সামান্য প্রাপ্তি লাভ করল তারপরে উধাও- এইরকম না। নিবেদিত হয়ে যাওয়া মানে হল মরে যাওয়া- তোমরা হলে মথ বা পতঙ্গ যারা নিজেদেরকে উৎসর্গ করে আর মরে যায়, তাই তো তোমরা ? পতঙ্গ হয়ে পুড়ে মরা মানেই হল বাবার হয়ে যাওয়া। যে আগুনে পোড়ে সে-ই বাবার হয়। জ্বলা বা পোড়া অর্থাৎ পরিবর্তন হওয়া। আচ্ছা-
    সর্বদা সকল পরিস্থিতিতে একরস স্থিতি থাকবে, তার সহজ সাধন কি ? কেননা সকলের লক্ষ্যও হল এক, যেমন এক বাবা, একই গৃহ, রাজ্যও এক হবে, তেমনি এখনও একরস স্থিতি থাকবে। কিন্তু একরস স্থিতিতে থাকার সহজ সাধন তোমাদের কি দেওয়া হয়েছে ? একটি শব্দে বলো। সেই একটি শব্দ হল-- ট্রাস্টি। যদি ট্রাস্টি হয়ে যেতে পারো, তাহলে সকলের থেকে একেবারে পৃথক এবং সকলের প্রিয় হয়ে যাবে, তবেই একরস হয়ে যাবে। গৃহস্থী হলে অনেক রস এসে যায়, অনেক বেশী আমার আমার এসে যায়। কখনো আমার ঘর, কখনো আমার পরিবার গৃহস্থীভাব মানেই অনেক রসের মাঝে বিভ্রান্ত হয়ে পড়া। ট্রাস্টিভাব অর্থাৎ একরস। ট্রাস্টি সদা হাল্কা এবং সদা আরোহী কলায় যাবে। তো এই পুরো গ্রুপ ট্রাস্টি গ্রুপ তো ? সামান্যও আমার আমার থাকলে, আমার মানেই গৃহস্থী ভাব। যেখানই আমার আমার থাকবে সেখানেই মমতা আসবে। যাদের মমতা থাকবে তাদের গৃহস্থী বলা হবে, ট্রাস্টি নয়। গৃহস্থী তো আধা কল্প থাকলে এবং গৃহস্থ জীবনে কি প্রাপ্তি হল তারও অনুভব হয়েছে তোমাদের। একখন ট্রাস্টি হও। আর যদি সামাণ্য একটুও গৃহস্থী ভাব থাকে, তবে সেটা মধুবনেই ছেড়ে যেও। জীবনে দুঃখের স্রোত উৎপন্নকারী কিছু যদি থেকে থাকে, তবে সেগুলিকে এখানেই রেখে যাও এবং সুখদায়ী যা কিছু আছে, সেসব এখান থেকে নিয়ে যেও।
    মিষ্টি দাদীজি আম্বালায় অনুষ্ঠিত মেলায় যাওয়ার অনুমতি বাপদাদার থেকে নিচ্ছেন, বাপদাদা বললেনঃ-- 
    বাপদাদা অনেক বাচ্চাদের খুশীতে থাকতে দেখলে নিজেও খুব খুশী হন। সেবার জন্য যেখানেই যাও, তাতে অনেকের অনেক খাজানার প্রাপ্তি হয়। সেইজন্য তোমাদের যাওয়াটাও হল ড্রামার পার্ট এবং এই পার্টটা এখন চলতে থাকবে। স্টপ হতে হলে তো সেকেন্ডে হয়ে যাবে। সাকারে যেমন দেখেছো বাবার জন্য সব কিছু প্রস্তুতই ছিল, পার্ট সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিল তো প্রস্তুত থাকা সত্বেও যেতে পারেন নি সেই রকমই ড্রামাতে সমাপ্ত হওয়ার থাকলে সেকেন্ডেই হবে হঠাৎই । তবে এখন যেতেও হবে, রিফ্রেশও করতে হবে। সকলের মনকে খুশী করা-- এও সবচয়ে বড় পুণ্য। সকলেই তার জন্য তোমাদেরকে আহ্বান করছে তাই না ! আহ্বানে সাড়া(প্রত্যক্ষ হওয়া) তো দিতেই হয় তাই না ! জড় চিত্রকে আহ্বান করলে তাতেও জান অনুভব করা যায়। তো এই আহ্বান করা শুরুও এখান থেকেই হয়। সেইজন্য সকলকে স্মরণ আর ভালোবাসা জানিয়ে এটাই বলবে যে এখন বাচার সাথে সাথে সংকল্প শক্তির সেবা, যে যে অন্তিম পাওয়ারফুল সেবা রয়েছে, সে সবও করো। সংকল্প শক্তি এবং বাণীর শক্তি, মন্সা সেবা এবং বাণী দ্বারা সেবা উভয়েরই যখন কম্বান্ড রূপ হবে তখন সহজেই সফলতা আসবে। সিংগল থেকে সিংগল রেজাল্টই আসবে, কম্বান্ড সেবার থেকে দ্বিগুণ রেজাল্ট হবে। প্রথমে হল সংকল্প শক্তি তারপরে হল বাণীর শক্তি। তো মন্সা এবং বাচা উভয় সেবা-ই একসাথে প্রয়োজন। বাণী দ্বারা সেবায় মন্সা সেবা হবে না- এও যেমন হবে না, মন্সা সেবার সময় বাণীর সাহায্য নিতে পারছো না - এও হবে না। বাণী দ্বারা সেবা খুবা অল্প সংখ্যকই করতে পারে, বাকিরা দেখাশোনার কাজে- অন্যান্য কাজে যারা থাকবে তাদের মন্সা সেবা করা উচিত। তাতে বায়ুমন্ডল যোগযুক্ত হয়ে ওঠে। সংগঠনে মিলন বেশী হয়, কিন্ত মিলনের সাথে সাথে সেবার লক্ষ্যও যাতে থাকে। সবাই যদি মনে করে যে আমাকে সেবা করতে হবে, তবে পরিবেশ পাওয়ারফুল থাকবে আর সেবাও দ্বিগুণ হবে। উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সেবা হচ্ছে, বাহ খুব ভালো। কিন্তু উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে সাথে এই লক্ষ্য থাকাও জরুরি। আচ্ছা- সবাইকে অনেক অনেক স্মরণ করেছি জানিও।

    বরদানঃ - 

    সাধারণত্বের দ্বারা মহানতাকে প্রসিদ্ধকারী সিম্পল এবং স্যাম্পল ভব

    যেমন কোনো সিম্পল জিনিস যদি স্বচ্ছ হয়, তো অবশ্যই সেটার প্রতি মন সহজেই আকৃষ্ট হয়। তেমনি মন্সার সংকল্পে, সম্বন্ধে, ব্যবহারে, আচার আচরণে যিনি সিম্পল এবং স্বচ্ছ হবেন তিনিই স্যাম্পল হয়ে সকলকে নিজের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট করবেন । সিম্পল অর্থাৎ সাধারণ। সাধারণত্বের দ্বারাই মহানতা প্রসিদ্ধ হয়। যে সাধারণ অর্থাৎ সিম্পল হয় না সে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

    শ্লোগানঃ - 

    অন্তর থেকে যখন বলবে “আমার বাবা” তখন মায়া কৃত অচেতনতায় মুদিত চক্ষু উন্মিলিত হয়ে যায়।

    ***OM SHANTI***