BK Murli 26 July 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 26 July 2016 Bengali

     ২৬-০৭-১৬ প্রাত :মুরলি ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    " মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের বাবা সমান সত্যকার পয়গম্বর বা প্রভু-বার্তা প্রেরক (messenger ) তৈরি হতে হবে , সবাইকে ঘরে ফিরে যাওয়ার সন্দেশ দিতে হবে "

    প্রশ্নঃ - 

    আজকাল মানুষের বুদ্ধি কোন দিশায় ছুটে বেড়াচ্ছে ?

    উত্তরঃ - 

    ফ্যাশনের দিকে l মানুষ নানাপ্রকার ফ্যাশনে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে সচেষ্ট l এই ফ্যাশনের আকর্ষণ এসেছে চিত্রের মাধ্যমে l ভাবে , পার্বতীও এইরকম ফ্যাশন করত , কেশগুচ্ছ নানাভাবে সাজাত l বাবা বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন , এই পতিত দুনিয়ার সজ্জায় না সাজতে l তিনি বলছেন - "আমি তোমাদের এমন দুনিয়ায় নিয়ে চলেছি যেখানে স্বাভাবিক সৌন্দর্য অতি সরল একটা ব্যপার l সেখানে ফ্যাশনের কোনও আবশ্যকতা নেই l"

    গীত :- 

    তুমিই মাতা , পিতাও তুমি . . .

    ওম্ শান্তি l 

    বাচ্চারা এই গান শুনেছে l যখন মহিমা করে তখন বুদ্ধি খুব তীক্ষ্ণ থাকে l আত্মাই বাবাকে বলে , উঁনি কান্ডারী (জীবনরূপী তরণীকে ভবসাগর পার করিয়ে দেন) , পতিত-পাবন অথবা সত্যকার অগ্রদূত l বাবা এসে আত্মাদের বার্তা দেন আর যাদের মেসেঞ্জার বা পয়গম্বর বলা হয় , তাদের মধ্যে কেউ বড় আবার কেউ ছোট l বাস্তবে সে মেসেজ বা আমন্ত্রণ জানায় না l এরা তো ভুল মহিমা বর্ণন করেছে l বাচ্চারা বোঝে এক বাবা ব্যতীত এই মনুষ্যসৃষ্টিতে আর কারও মহিমা হয় না l সবচেয়ে বেশি মহিমা গাওয়া হয় এই লক্ষ্মী-নারায়ণের , কারন এঁরা নতুন দুনিয়ার মালিক l সেও ভারতবাসী জানে l ভারতবাসী সবই জানে l এই দুনিয়ার লোকেরা শুধু জানে , ভারত প্রাচীন দেশ ছিল l ভারতেই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল l কৃষ্ণকেও ভগবানের আখ্যা দেয় l ভারতবাসী এঁদের অর্থাত্ লক্ষ্মী-নারায়ণকে ভগবান -ভগবতীর মান্যতা দেয় l কিন্তু কারোর এই জ্ঞান নেই যে , এই ভগবান-ভগবতী সত্যযুগে রাজ্য করত l ভগবান দেবী-দেবতার রাজ্য স্থাপন করেছেন l বুদ্ধিও বলে , আমরা ভগবানের সন্তান যখন , তখন তো আমাদেরও ভগবান-ভগবতীই হওয়া উচিত্ l সকলেই তো এক শিব ভগবানের সন্তান l কিন্তু ভগবান-ভগবতী বলা যাবেনা l তাঁরা সকলে দেবী-দেবতা l এত কিছু বাবা সব বসে বুঝিয়ে দেন l ভারতবাসী বলবে , আমরা ভারতবাসী প্রথমে নতুন দুনিয়ায় ছিলাম l সকলেই নতুন দুনিয়ার স্বপ্ন দেখে l বাপুজীও নতুন দুনিয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন , নতুন রামরাজ্য l কিন্তু রামরাজ্যের অর্থ একদম বুঝতে পারেনা l আজকাল মানুষের মধ্যে অহংকার অনেক বেড়ে গেছে l কলিযুগ পাথরবুদ্ধির বশে থাকে , আর সত্যযুগে পারসবুদ্ধি l কিন্তু এসব কারও বোধগম্য হয়না l ভারতই সত্যযুগে পারসবুদ্ধির সাহচর্যে ছিল l সেই ভারত এখন কলিযুগে এসে পাথরবুদ্ধিতে আচ্ছন্ন l মানুষ একেই স্বর্গ বলে মানে l বলবে , স্বর্গে বিমান , বড় বড় মহল যা কিছু ছিল তার সবই তো এই দুনিয়ায় আছে l বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির ফলে সুখের সকল সাধন এখন মানুষের হাতের মুঠোয় , ফ্যাশন ইত্যাদিরও কত রকমফের l বুদ্ধি সারাদিন ফ্যাশনের পিছনে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে l কৃত্রিম উপায়ে সুন্দর হওয়ার জন্য কেশ-কলাপের (চুলের গোছা ) কত সজ্জা l এসবের জন্য কত অর্থব্যয় ! এই সমস্ত ফ্যাশন এসেছে বিজ্ঞাপিত চিত্রের মাধ্যমে l ভাবে , পার্বতীর মতো কেশদাম সাজালে পার্বতী হওয়া যায় l পূর্বে পার্সি লোকেদের স্ত্রী-এরা মুখের ওপর কালো সুতোর জালি লাগাত , যাতে মুখ দেখে কারও মনে প্রেমের ভাবনা না জাগে l এই সকল নিয়ম-বন্ধনই পতিত দুনিয়ার পরিচায়ক l গানের কলিতে সুর তোলে তুমিই মাতা , পিতাও তুমি . . . কিন্তু গানের এই কথা কার উদ্দেশ্যে ? মাতা-পিতা কে - তাও জানেনা l মাতা-পিতাই নিশ্চয় বিশ্বের রাজত্ব উপহার দেন l বাবা তোমাদের সুখের রাজত্ব দিয়েছিলেন l বলে , বাবা আমরা আপনি ব্যতীত কারও থেকে শুনব না l এখন তোমরা জেনেছ শিববাবার মহিমা গাওয়া হয় l ব্রহ্মার আত্মাও বলে - আমরা যে পবিত্র ছিলাম সেই আমরাই .আবার পতিত হয়েছি l ব্রহ্মার বাচ্চারাও এইভাবে বলবে , আমরা ব্রহ্মাকুমার -কুমারীরা দেবী-দেবতা ছিলাম , ৮৪ জন্মের অন্তে আবার পতিত হয়েছি l পুরুষার্থ অনুসারে যে যেমন শ্রেষ্ঠত্ব প্রাপ্ত করেছিল তার অধোগতি সেই শ্রেষ্ঠত্বের পরিপ্রেক্ষিতে হয় l বাবা শ্রেষ্ঠ , বাচ্চারাও শ্রেষ্ঠ l এরা নিজেরাই বলে , শিববাবাও বলেন , আমি আসি- বাচ্চাদের বহু জন্মের অন্তিমে l যাঁরা শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে পূজ্য লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বে ছিলেন l বর্তমান সময় হলো সঙ্গম , তোমরা কলিযুগে ছিলে , এখন সঙ্গমযুগীয় হয়েছ l বাবা সঙ্গমেই আসেন , ড্রামা অনুসারে বাচ্চাদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে l বাচ্চারা এখন জ্ঞানে থাকায় বুঝতে পারে , আমরা যে দেবতা ছিলাম সেই তাঁরাই আবার ক্রমানুসারে ক্ষত্রিয় , বৈশ্য , শূদ্র অবস্থায় নেমে আসে l সারা চক্র তোমরা যথার্থভাবে জেনেছ l এই বিষয় তো খুবই সহজ , আমরা ৮৪ জন্মের চক্রে ফিরে ফিরে আসি l কারও কারও বুদ্ধিতে এই সহজ কথাটা বোধগম্য হয়না l স্টুডেন্টদের মধ্যে নম্বরবিশিষ্ট ভালো-মন্দ থাকেই l ডান মার্গ থেকে শুরু করলে অর্থাত্ সত্য-ত্রেতায় যারা রাজত্ব করেছিল তারা প্রথম শ্রেণীর স্টুডেন্ট , দ্বাপর-এ যারা ছিল তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর , কলিতে এসেছিল যারা, তৃতীয় শ্রেণীর l বাচ্চারা নিজেরাও বলে আমাদের বুদ্ধি তৃতীয় শ্রেণীর , আমরা কাউকে বুঝাতে পারিনা l আন্তরিক ইচ্ছা থাকা সত্বেও বলতে পারিনা , বাবা কি করা যায় ? এই হলো নিজের কর্মের হিসাব-নিকাশ l বাবা এখন বলছেন - আমি তোমাদেরই করা কর্ম -বিকর্মের গতির জ্ঞান শুনাই l কর্ম যে করতে হবে তা ' তোমরা-বাচ্চারা জানো l তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত বাচ্চাদের বুদ্ধি এই জ্ঞান বুঝতে পারেনা l এই হলো রাবণ রাজ্য l দুনিয়াতে মানুষ গুরুর স্মরণাপন্ন হয় , সদগতি প্রাপ্ত করতে l মনে করে গুরুই মুক্তি দিয়ে পরমধামে নিয়ে যাবে l পরমধাম হলো নির্বাণধাম - বাণী সে পরে অড্রামা প্ল্যান অনুসারে রাবণ রাজ্যে মানুষ বিকর্ম করবে এবং অধোগতি প্রাপ্ত হবে l দুঃখের দুনিয়াতে মানুষ গুরুর স্মরণাপন্ন হয় , সদগতি প্রাপ্ত করতে l মনে করে গুরুই মুক্তি দিয়ে পরমধামে নিয়ে যাবে l পরমধাম হলো নির্বাণধাম - বাণী সে পরে অর্থাত্ নিস্তব্ধ , নিস্তরঙ্গ , কোলাহলহীন জগত l মানুষ ভাবে বাণপ্রস্থই মুক্তির সহজ উপায় l বাণপ্রস্থে যাওয়ার আগে মানুষ তার যাবতীয় ধনসম্পদ বাচ্চাদের হাতে সঁপে দিয়ে গুরুর স্মরণাপন্ন হয় l খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা বাচ্চারাই করে l কিন্তু বাণপ্রস্থের অর্থ কেউ বুঝতে পারেনা l কারও বুদ্ধিতে আসেনা আমাদের নির্বাণধামে , নিজের ঘরে যেতে হবে l দুনিয়ার মানুষ ঘরে ফিরে যাওয়া কি জানেনা l তারা জানে , মৃত্যুপরবর্তী সময়ে জ্যোতি জ্যোতির সাথে লীন হয়ে যায় l নির্বাণধামে আত্মাদের থাকার স্থান l আগে ষাট বছর বয়সের পরে বানপ্রস্থ নিত , যেন এটা একটা নিয়ম l এখনও মানুষ এইসব করে l তোমরা এখন বোঝাতে পার নিঃশব্দ ও পবিত্র জগতে কেউ যেতে পারেনা l এইজন্য পতিত -পাবন বাবাকে আহ্বান করে পবিত্র করে গড়ে ঘরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতে হয় ; মুক্তিধামই আত্মাদের ঘর l তোমাদের বাচ্চাদের সত্যযুগ সম্পর্কে বোঝানো হয় - সেখানে কারা থাকে এবং তারা কি ধরনের বুদ্ধি পোষণ করে l আদমশুমারিও কেউ জানেনা l রামরাজ্যে কতই বা জনসংখ্যা হবে l শিশু ইত্যাদিও কিভাবে জন্ম নেবে , এসবের কিছুই বুঝতে পারেনা l কোনও বিদ্বান , আচার্য্য , পণ্ডিত নেই যিনি এই ড্রামার চক্র বোঝাতে পারেন l ৮৪ জন্মের চক্রকে ৮৪ লাখ বছরের হিসাব করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তুলছে l পুরো কল্পের ড্রামা-চক্রের রহস্য একেবারে বিভ্রান্তিকর অবস্থায় উপনীত হয়েছে l বাবা সব বুঝিয়ে দেন l এখন তোমরা বুঝতে পার বাবা কর্ম -অকর্ম-বিকর্মের সমস্ত রহস্য বুঝিয়েছেন l সত্যযুগে তোমাদেরই কর্ম , অকর্ম হয়ে যায় l ওখানে কোনও খারাপ কর্ম হয়ইনা , এইজন্য কর্ম , অকর্ম হয়ে যায় l এখানে মানুষ যে কর্মই করুক তা বিকর্ম হয়ে যায় l এখন তোমরা বাচ্চারা জেনেছ যে আমাদের ছোট বড় সকলের বাণপ্রস্থ অবস্থা চলছে l সকলে শব্দহীন দুনিয়ায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে l বলছে , হে পতিতপাবন এস , আমাদের পতিত থেকে পবিত্র করে গড়ে তোল l কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়া পবিত্র না হবে , এই দুনিয়ায় কেউই পবিত্র থাকতে পারবে না l এখানে পতিত দুনিয়া যা আছে তার বিনাশ হতেই হবে l তোমরা জেনেছ যে আমাদের আবার নতুন দুনিয়ায় ফিরে যেতে হবে l কিভাবে যাওয়া যাবে ? এই সমস্ত কিছু হলো জ্ঞান l এই জ্ঞান নতুন , দুনিয়া নতুন , অমরলোক বা পবিত্র দুনিয়ার স্থাপনার জন্য l তোমরা এখন সঙ্গম-দুয়ারে বসে আছ এবং তোমরা বুঝতে পার , অন্যান্য যে মানুষ আছে , যারা ব্রাহ্মণ নয় তারা কলিযুগে অবস্থান করছে l সত্যযুগে যাওয়ার পথ তৈরি হচ্ছে যখন , তখন তো অবশ্যই এখন সঙ্গমযুগ l সত্যযুগেই স্বর্গ এবং একে সঙ্গম বল যায়না l বর্তমান সময় হল সঙ্গম , এই সঙ্গমযুগ সবচেয়ে ছোট l একে লিপ যুগ বলা হয়ে থাকে অর্থাত্ অতি গতিময় এই সঙ্গমযুগ , যে সময়ে মানুষ পাপ আত্মা থেকে ধর্মাত্মায় পরিণত হয় এইজন্য একে ধর্মীয় যুগ বলা হয়ে থাকে l কলিযুগের সব মানুষই অধার্মিক l ওখানে সকলে ধর্মাত্মা l কলিযুগে ভক্তি মার্গের প্রভাব খুব বেশি l পাথরের মূর্তি গড়ে , যে-ই দেখবে তার মন খুশিতে ভরে যাবে l এই হলো পাথর প্রতিমার পূজা l কত দূরদূরান্তের শিবমন্দিরে যায় পূজা করতে l শিব -চিত্র তো ঘরেও রাখা যেতে পারে l তবেই তো আর এত দূরে দূরে ঘুরে বেড়ানোর প্রয়োজন হয়না l এই জ্ঞান এখন বুদ্ধিতে এসেছে l এখন তোমাদের জ্ঞান চক্ষু উন্মীলিত হয়েছে , বুদ্ধির রুদ্ধ দ্বার খুলে গেছে , বাবার জ্ঞানে তা' এখন ভরপুর l পরমপিতা পরমাত্মা এই মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ , জ্ঞানের সাগর , জ্ঞানসম্পন্ন l আত্মাও সেই জ্ঞান ধারণ করে চলে l আত্মাই প্রেসিডেন্ট ইত্যাদি হয় l মানুষ দেহ-অভিমানে থাকার কারনে দেহেরই মহিমা করতে থাকে l এখন তোমরা বুঝতে পার আত্মাই সবকিছু করে l তোমরা-আত্মারা ৮৪ জন্মের চক্রের আবর্তনে এসে একেবারে দুর্গতি প্রাপ্ত হও l আমরা আত্মারা বাবাকে এখন চিনেছি l বাবার থেকে আমরা বিশ্বের রাজ্যভার নিতে চলেছি l আত্মাকে শরীর ধারন করতেই হয় l শরীর ব্যতীত আত্মা কিভাবে বলবে বা কিভাবে শুনবে l বাবা বলেন - "আমি নিরাকার l আমিও শরীরের আধার নিই l " তোমরা জেনেছ শিববাবা এই ব্রহ্মাতনের দ্বারাই তোমাদের জ্ঞান প্রদান করেন l এইসব কথা তোমরা ব্রহ্মাকুমার -কুমারীরা বোঝাতে পার l তোমাদের এখন জ্ঞানের প্রাপ্তি হয়েছে l ব্রহ্মা দ্বারা আদি সনাতন দেবী -দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয় l শিববাবাই রাজযোগ শেখাচ্ছেন , এর মধ্যে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হওয়ার কোনও কথাই নেই l শিববাবা আমাদের বোঝান , আর আমরা আবার অন্যদের বুঝিয়ে দিই l আমাদেরও শিববাবা শুনিয়ে থাকেন l এখন তোমরা বলবে , আমরা পতিত থেকে পবিত্র হয়ে উঠছি l বাবা বুঝিয়ে দেন এই হলো পতিত দুনিয়া , রাবণ-রাজ্য l রাবণ পাপ আত্মা বানায় l এসব অন্য আর কেউই জানেনা l যদিও রাবণের কুশপুত্তলিকা জ্বালায় কিন্তু বুঝতে পারেনা কিছুই l সীতাকে রাবণ উঠিয়ে নিয়ে গেছে , এই -এই করেছে . . . . কত আজগুবি সব কথা বসে বসে লিখেছে l যখন এসব বসে শোনে তখন কেদেঁ ফেলে l ওগুলো সব মুখের কথা l বাবা আমাদের বিকর্মজিত্ তৈরি করার জন্য বোঝান l বলেন মামেকম্ ইয়াদ করো অর্থাত্ আমাকে স্মরণ করো l অন্য কোথাও বুদ্ধিযোগ লাগিও না l শিববাবা আমাদের কাছে তাঁর পরিচয় দিয়েছেন ll পতিতপাবন বাবা এসে নিজের পরিচয় দিয়ে থাকেন l এখন তোমরা বুঝতে পার কত মিষ্টি বাবা , যিনি আমাদের স্বর্গের মালিক তৈরি করছেন l আচ্ছা -

    মিষ্টি -মিষ্টি হারানিধি (সিকিলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা , বাপদাদার স্মরণ -স্নেহ আর সুপ্রভাত l রুহানি বাবার (পরমাত্মা পরমপিতা ) রুহানি বাচ্চাদের (আত্মাদের ) নমস্কার l

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :-

    ১) কর্ম -অকর্ম -বিকর্মের গতিকে জেনে শ্রেষ্ঠ কর্ম করে যেতে হবে l জ্ঞান দানের মাধ্যমে ধর্মাত্মা হয়ে উঠতে হবে l

    ২) এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা - এই অন্তিম মূহুর্তে পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়াতে যেতে হবে l পবিত্র হওয়ার সন্দেশ সকলকে দিতে হবে l

    বরদান :- 

    আসক্তিকে অনাসক্তিতে পরিবর্তন করতে সমর্থ আত্মারা শক্তিস্বরূপ ভব

    শক্তি স্বরূপ হওয়ার জন্য আসক্তিকে অনাসক্তিতে পরিবর্তন করে এগিয়ে চলো l নিজের দেহের প্রতি বা সম্পর্কে অথবা কোনও পার্থিব বস্তুর প্রতি যদি কোথাও আসক্তি জন্মায় তবে মায়াও এসে যেতে পারে l আর শক্তিরূপ হতে পারবে না l এইজন্য প্রথমে নিরাসক্ত হও তবেই মায়ার বিঘ্নের সাথে যুঝতে পারবে l বিঘ্নসংকুল পরিস্থিতিতে চিৎকার না করে বা না ঘাবড়ে শক্তিরূপ ধারণ করতে পারলে বিঘ্ন-বিনাশক হতে পারবে l

    শ্লোগান :- 

    দয়াভাব হোক নিঃস্বার্থ আর অনুরাগমুক্ত - স্বার্থ থেকে দূরে l


    ***OM SHANTI***