BK Murli 29 July 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 29 July 2016 Bengali

       ২৯-০৭-১৬         প্রাতঃ মুরলী        ওম্ শান্তি          “বাপদাদা”         মধুবন


    “মিষ্টি বাচ্চারা – সমগ্র বিশ্বে তোমাদের মতো ভাগ্যবান আর কেউ নেই, তোমরা হলে রাজঋষি, তোমরা রাজ্যের জন্যে রাজযোগ শিখছো |”

    প্রশ্ন : 

    নিরাকার বাবার মধ্যে কোন্ সংস্কার আছে যেটা সঙ্গমে তোমরা বাচ্চারা ধারণ করো ?

    উত্তর

    নিরাকার বাবার মধ্যে জ্ঞানের সংস্কার আছে, তিনি তোমাদের জ্ঞান শুনিয়ে পতিত থেকে পবিত্র বানান, সেইজন্যে তাঁকে জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন বলা হয় | তোমরা বাচ্চারাও এখন এই সংস্কার ধারণ করো | তোমরা নেশার সাথে বলো আমাদের ভগবান পড়ায় | আমরা তাঁর কাছ থেকে শুনে অন্যদের শোনাই |

    গীত : 

    অবশেষে সেই দিন এলো আজ ...

    ওম শান্তি | 

    মিষ্টি-মিষ্টি রুহানি বাচ্চারা গীত শুনেছে | এই মহিমা কার ? এক বাবার | শিবায় নমঃ, উচ্চ থেকে উচ্চ হলেন ভগবান | বাচ্চারা জানে ইনি হলেন আমাদের বাবা | এমনটা নয় যে আমরা সকলে হলাম বাবা | বলা হয়ে থাকে যে সম্পূর্ণ দুনিয়া হলো ব্রাদারহুড (brotherhood) | সন্ন্যাসী অথবা বিদ্বানদের বক্তব্য অনুসারে ঈশ্বর যদি সর্বব্যাপী হন তবে তো ফাদারহুড হয়ে যাবে | ব্রাদার হলে এটাই তো প্রতিষ্ঠিত হয় যে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় | ফাদারহুড হলে উত্তরাধিকারের কথাই নেই | বাচ্চারা জানে যে আমাদের সকল বাচ্চাদের বাবা হলেন এক, তাঁকে বলাই হয় ওয়ার্ল্ড গড ফাদার | ওয়ার্ল্ডে কে আছে ? সকলে হলে ব্রাদার, আত্মা | সকলের গড ফাদার হলো এক | সেই পিতার কাছেই সকলে প্রাথনা করে | একেরই পুজো হওয়া উচিত | সেটা হলো সতোপ্রধান পূজা | এটাও বোঝানো হয়েছে – জ্ঞান, ভক্তি এবং বৈরাগ্য | বাবা জ্ঞান প্রদান করেন সদ্গতির জন্যে | সদ্গতি বলা হয় জীবন-মুক্তি ধামকে | এটা আত্মাকে বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে | আমাদের গৃহ হল শান্তিধাম | সেটিকে মুক্তিধাম, নির্বাণধামও বলা হয় | সব থেকে ভালো নাম হলো শান্তিধাম | এখানে তো অর্গান হওয়ার কারণে আত্মারা টকিতে থাকে, বলতে হয় | সূক্ষ্মবতনে আছে নির্বাক চলচ্চিত্র(Movie) | ইশারাতে কথা হয়, আওয়াজ হয় না | তিন লোকও তোমরা জেনে গেছ | মূলবতন, সুক্ষ্মবতন, স্থুলবতন, বুদ্ধিতে এটা ভালো ভাবেই বসেছে | মনুষ্য সৃষ্টির জন্যেই বলা হয়েছে আছে যে এই সৃষ্টি পরিক্রমা হয় | সেটাকে বলা হয় ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি | মানুষই তো সেকথা জানবে | ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি শোনায় | উচ্চ থেকে উচ্চ হলেন বাবা | ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি কেমন করে রিপিট হয়, এটা তিনিই জানেন | এই চক্রকে জেনেই তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়েছো | গায়নও আছে দেবতারা সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিলেন | লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র আছে না | তারা সম্পূর্ণ নির্বিকারী আর এখানে মানুষ নিজেদেরকে বলে সম্পূর্ণ বিকারী | সত্যযুগে আছে সম্পূর্ণ নির্বিকারী অথবা সম্পূর্ণ পাবন | কলিযুগে আছে সম্পূর্ণ বিকারী, সম্পূর্ণ পতিত | ভারতেরই বিষয়ে প্রশস্তি রয়েছে | এখানে বাবাই-ই এসে বুদ্ধিতে বসায় আর কেউ জানে না | ওরা তো সত্যযুগকে লম্বা সময় দিয়ে দিয়েছে | ভাবে লক্ষ্য বছর আগে সত্যযুগ ছিলো | তাই কারো বুদ্ধিতে এই সব কথা আসেই না |

    এখন বাচ্চারা জানে – আমরা এখন সম্পূর্ণ বিকারী থেকে সম্পূর্ণ নির্বিকারী হচ্ছি | সম্পূর্ণ পতিত থেকে সম্পূর্ণ পাবন হতে হবে | বাবা বোঝায় আত্মার মধ্যেই খাদ পড়েছে, গোল্ডেন এইজ থেকে আয়রন এইজ হয়ে গেছে | এখানে আত্মার তুলনা করা যায় | এটা ভালো ভাবে বুঝতে হবে | তোমরা বাচ্চারা হলে অনেক ভাগ্যবান, তোমাদের মত ভাগ্যবান আর কেউ নেই | এখন তোমরা রাজযোগে বসে আছ, তোমরা হলে রাজঋষি | রাজ্যের জন্যে কখনো কোনো পড়া হয় কি ? ব্যারিস্টার বানাবে কিন্তু বিশ্বের মহারাজা কে বানাবে ? বাবা ছাড়া আর কেউ বানাতে পারবে না | এখানে মহারাজা তো কেউ নেই | সত্যযুগে তো অবশ্যই হতে হবে | কাউকে অবশ্যই হতে হবে | বাবা বলেন আমি তখন আসি, যখন ভক্তি সম্পূর্ণ হয় | এখন ভক্তি পুরো হয় এবিষয়ে বলার আর কোনো অবকাশই নেই না | আমাদের বাবা বসে পড়াই – এই নেশা থাকা দরকার | আমাদের আত্মাদেরকে নিরাকার বাবা পরমপিতা পরমাত্মা শিব পড়ান | শিবকে তো কেউ জানেই না | এখন তোমরা বাচ্চারা জানো বাবা আবার স্বর্গের রাজ্যের স্থাপনা করছেন | আমরা তাকে মহারাজা শ্রী নারায়ণ আর মহারানী শ্রী লক্ষী বলি | ভক্তিমর্গে সত্য নারায়ণের কথা শোনায় | অমর কথা আর তিজরীর(তৃতীয় নেত্র লাভের কাহিনী) কথা | বাবা তৃতীয় নেত্র প্রদান করেন | নর থেকে নারায়ণ হওয়ার কথা শোনানো হয় | ওই সব কথা যেগুলো পাস্ট হয়ে যায়, সেগুলো আবার ভক্তিমর্গে কাজে আসে | এখন তোমরা বাচ্চারা বোঝো বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক বানায়, আমরা হলাম অধিকারী | ভগবান তো হলেন স্বর্গের রচয়িতা | আমরা হলাম ভগবানের সন্তান তো আমরা স্বর্গে কেন নেই ! কলিযুগে কেন পড়ে আছি ? পরমপিতা পরমাত্মা তো নতুন দুনিয়ার রচনা করে | পুরনো দুনিয়ার রচনা তো ভগবান করে না | প্রথমে নতুন দুনিয়া বানায় | তার পরে পুরানোকে ভাঙবে | তোমরা জানো আমরা সত্যযুগের জন্যে রাজ্য নিচ্ছি | সত্যযুগে কারা থাকবে ? এই লক্ষী-নারায়ণের রাজ্য হবে এবং আরো রাজারা থাকবে | যেটার চিহ্ন হল বিজয়মালা | বাচ্চারা জানে যে এখন আমরা বিজয়মালাতে আসার জন্যে পুরুষার্থ করছি | দুনিয়ায় মালার অর্থ কেউ জানে না যে এটার কেন পুজো হয়, ওপরের ফুলটি কে ? মালা জপে তারপর ফুলকে নমস্কার করে তারপর আবার মালা জপে | মালা বসে জপ করে, করে যাতে বাইরের কোনো চিন্তা না চলে | ভেতরে রাম-রাম-এর ধুন লাগায়, যেমন বাজনা বাজে | অনেক অভ্যাস করে | এ সব হল ভক্তিমার্গের কথা | হ্যা যে অনেক ভক্তি করে সে কোনো বিকর্ম করবে না | অনেক ভক্তি যে করে ধরে নেওয়া হবে যে ইনি সত্যবাদীই হবেন | মন্দিরে মালা রাখা হবে, মালা জপে মুখে রাম-রাম বলতে থাকবে | অনেকে ভাবে যে ভক্তিতে পাপ হয় না | বলে নোধা ভক্তির দ্বারা মানুষ মুক্ত হয়ে যায় | কিন্তু হয় কিছুই না | এটা হলো একটি নাটক | এতে সতোপ্রধান, সত, রজ, তম-তে সকলকে আসতেই হবে | একজনও ফিরে যেতে পারবে না | যেমন ওপরে খালি হয়ে যায় | সেই রকমই এখানেও খালি হয়ে যাবে | দিল্লির আসেপাশে, মিষ্টি নদীদের ওপরে রাজধানী হয় | সমুদ্রের দিকে হয় না | এই বম্বে ইত্যাদি হবে না | আগে তো সেটা মৎসজীবিদের থাকার স্থান ছিল, তার মাছ ধরতো। ওখানে(স্বর্গে) কোনো পাহাড় ইত্যাদিও হয় না | কোথাও যাওয়ার প্রয়োজনও হয় না | এখানে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায় তো যায় রেস্ট নিতে | সত্যযুগে ক্লান্ত হয়ে পড়ার মতো কোনো প্রকারের পরিশ্রম হয় না, তোমরা স্বর্গবাসী হয়ে যাও | বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয় না | তাই এখন বাচ্চাদের বাবার শ্রীমতে চলা দরকার |
    বাবা বলে – মিষ্টি আদরের বাচ্চারা, শরীর নির্বাহ অর্থে কাজকর্ম ইত্যাদি তো করতেই হবে | স্কুলে স্টুডেন্ট পড়ে তারপর বাড়িতে গিয়ে পড়ে | বাড়ির কাজকর্মও করে | এখানেও এমনটাই আছে | এই পড়াতে তো তোমাদের কোনো অসুবিধে নেই | ওই পড়াতে কতো প্রকারের সাবজেক্ট থাকে | এখানে তো একটাই পড়া আর একটাই পয়েন্ট আছে – মন্মনাভাব, এর মাধ্যমে তোমাদের পাপ নাশ হবে | ভগবানুবাচ আছে যে, ওরা ভাবে গীতা; ভগবান দ্বাপরে শুনিয়েছেন | কিন্তু দ্বাপরে শুনিয়ে কি করবে ? কৃষ্ণের চিত্রে খুব সুন্দর লেখা আছে | এই লড়াই তো হলো নিমিত্ত | সকলে মরলে তখন তো মুক্তি-জীবন্মুক্তিতে যাবে | তাও আবার শুধু লড়াইয়ে তো মরবে না ! অনেক প্রকারের দুর্যোগ (ক্যালামিটিজ) হবে | বাচ্চাদের কোনো দুঃখ যাতে না হয় | মানুষের হার্ট ফেল হলে ওতে কোনো দুঃখ হয় না | মৃত্যু যেন এমনই হয় | বসে-বসে হার্টফেল হল শেষ | যতক্ষণে ডাক্তার আসে ততক্ষণে আত্মা বের হয়ে যায় | এখন তো সকলের মৃত্যু হতে হবে | পরে না হাসপাতাল, না ডাক্তার থাকবে | না ক্রিয়াকর্ম করার কেউ থাকবে | কিছুই হবে না | সকলের প্রাণ তন থেকে বের হবে | মুষুল ধারায় বৃষ্টি হবে | মৃত্যুতে কোনো দেরী লাগবে না | চেষ্টা করছে - এমন বম্ব বানাতে যাতে মানুষ সাথে সাথেই মরে যাবে | এমন-এমন বম্ব বানাতে থাকে | বম্বের উন্নতি করতে থাকে | এটা ড্রামাতে নিবন্ধিত আছে | ড্রামা হল পূর্ব নির্ধারিত খেলা, কল্পে-কল্পে বিনাশ হয় | তারপর যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন থেকে ভক্তি শুরু হয় | এখন ভক্তি পুরো হয়, এখন তোমাদেরকে যোগ বলের দ্বারা পবিত্র হতে হবে | পবিত্র হলেই সুখধাম শান্তিধামে যেতে পারবে | চার্ট রাখতে হবে | এটা তো বুঝে গেছ – আমাদের বাবাকে স্মরণ করে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান এখানেই হতে হবে | এমনটা কোনো শাস্ত্র ইত্যাদিতে লেখা নেই | বাচ্চারা গীত শুনেছে – অবশেষে সেই দিন এলো আজ ... যখন ভারতবাসী আবার রাজাদের রাজা হয় | রাজাদের রাজা অথবা মহারাজা হয় | পরে ত্রেতাতে হয় রাজা-রানী | তারপর যারা পূজ্য মহারাজা-মহারানী ছিল, তারা দ্বাপরে বাম মর্গে এসে পুজারী হয়ে যায় | তারাই পূজ্য আবার তারাই পূজারী হয়ে যায় | বাবা বলেন আমি পূজারী বানাই না | দেবতারা পূজ্য হয়,আমি হই না | না পূজারী বানাই | ভারতবাসী দেবী-দেবতাদের মন্দির বানিয়ে তাদের পূজা করে | লক্ষী-নারায়ণ যারা আগে পূজ্য ছিলো তারপর ভক্তিমর্গে তারাই শিববাবার পূজারী হয়ে যায় | যে শিববাবা মহারাজা-মহারানী বানিয়েছেন , তারপর তাঁর মন্দির বানিয়ে পূজা করে | বিকারীও কেউ হঠাৎ করে হয় না | ধীরে-ধীরে হয় | চিহ্নও দেবতাদের বাম মার্গের দেখানো হয় | যারা পূজ্য লক্ষী-নারায়ণ ছিলেন, তারাই আবার পূজারী হয়ে যায় | প্রথমে শিবের মন্দির হয় | সেই সময় তো হিরে কেটে লিঙ্গ বানাতো, পূজার জন্যে | এটা কেউই জানে না যে পরমাত্মা হলেন ছোট বিন্দু | এটা তোমরা এখন বোঝো যে বড় লিঙ্গ নয় | মন্দির তো অনেক বানাবে | রাজাদের দেখে প্রজারাও এমনটাই করবে | প্রথমে শিববাবার পূজা হয় | এটিকে বলা হয় অব্যভিচারী সতোপ্রধান পূজা তারপর সত রজ তম তে আস | তোমরা রজো তমোতে এসেছ তাই নামই হিন্দু রেখে দিয়েছ | আসলে ছিলে দেবী-দেবতা | বাবা বলেন তোমরা আসলে হলে দেবী-দেবতা ধর্মের | কিন্তু তোমরা অনেক পতিত হয়ে গেছ, সেই জন্যে নিজেদের দেবতা বলতে পারবে না কারণ অপবিত্র হয়ে গেছ | হিন্দু নাম তো অনেক দেরী করে রাখে |

    এখন তোমরা বোঝো আমরা পূজ্য ছিলাম, এখন সঙ্গমযুগে না পূজ্য আছি, না পূজারী আছি | তোমরা কি করো ? শ্রীমতে পূজ্য হচ্ছ, অন্যদেরকেও বানাচ্ছ | তোমরা হলে ব্রাহ্মণ , তোমাদের আত্মা পবিত্র হতে থাকে | বাবা বলেন – এটা তো বোঝো যে আমরা হলাম আত্মা | আত্মার মধ্যেই ভালো বা খারাপ সংস্কার হয় | আত্মা যে কর্ম করে সেটা পরবর্তী জন্মে ভোগ করে | বাবাও আত্মাদের সাথে কথা বলেন | বাবা বলেন – হে বাচ্চে আত্মা-অভিমানী হও | নিরাকার শিববাবা নিরাকার আত্মাদেরকে পড়ায় | নিরাকার বাবার মধ্যে জ্ঞানের সংস্কার আছে | শরীর তো তাঁর নেই | তো তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন | তাঁর মধ্যে সব গুণ আছে | বাবা বলেন আমি এসে তোমরা বাচ্চাদেরকে পবিত্র বানাই | যুক্তি হল কতো সহজ | শব্দই তো একটিই আছে- মন্মনাভাব, মামেকম স্মরণ করো | স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে | এটাও জানো – এখন আমরা হলাম ব্রাহ্মণ | তারপরে সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, বৈশ্য শূদ্র বংশী হবে | আমরাই এই ৮৪ র চক্রে আসি | উপর থেকে নিচে নামলে তখন আবার বাবা আসবেন | অবশ্যই এই সৃষ্টি চক্র পরিক্রমণ হতেই থাকে | সৃষ্টি এখানে পুরনো হয় তারপরে বাবা আসেন নতুন বানানোর জন্যে | এটা তো বুদ্ধিতে বসে | এই চক্র বুদ্ধিতে ঘোরানো দরকার | এখন তোমরা স্বদর্শন চক্রধারী হও, যার থেকে তারপর গিয়ে চক্রবর্তী রাজা হবে | আচ্ছা ! 

    মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি (সিখিলাধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণ ভালবাসা এবং গুড-মর্নিং | রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদেরকে নমস্কার |

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :

    ১) শ্রীমতে পূজ্য হতে হবে | আত্মার মধ্যে যে সব খারাপ সংস্কার এসে গেছে সেগুলোকে জ্ঞান যোগের দ্বারা সমাপ্ত করতে হবে | সম্পূর্ণ নির্বিকারী হতে হবে |

    ২) শরীর নির্বাহ অর্থে কর্ম করা সত্বেও পাঠ পড়তে আর পড়াতে হবে | যোগবলের দ্বারা পবিত্র হয়ে রাজ পদ নিতে হবে |

    বরদান : 

    বুদ্ধি রূপী চরণের দ্বারা এই পাঁচ তত্বের আকর্ষণের ঊর্ধ্বে থাকতে পারা ফরিশ্তা স্বরূপ ভব !

    ফরিশ্তাকে সদা প্রকাশের কায়াতে দেখানো হয় | প্রকাশের কায়া যাদের তারা এই দেহের স্মৃতির থেকেও ঊর্ধ্বে থাকে | তাদের বুদ্ধি রূপী চরণ পাঁচ তত্বের আকর্ষণের উচ্চে অর্থাৎ ঊর্ধ্বে হয় | এই রকম ফরিশ্তাদের মায়া বা কোনো মায়াবী কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারে না | কিন্তু এটা তখন হবে যখন কারো অধীন হবে না | শরীরেরও অধিকারী হয়ে চলা, মায়ারও অধিকারী হওয়া, লৌকিক বা অলৌকিক সম্বন্ধেরও অধীনতাতেও না আসা |

    স্লোগান : 

    শরীরকে দেখার অভ্যাস থাকলে লাইটের শরীর দেখো, লাইট রূপে স্থিত থাকো |


    ***OM SHANTI***