BK Murli 31 July 2016 Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 31 July 2016 Bengali

     ৩০-০৭-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


    "মিষ্টি বাচ্চারা- তোমার ভাগ্য বিড়ম্বনাকে সংশোধন করে ভাগ্য গড়ে দেন একমাত্র বাবা, যিনি তোমাকে জ্ঞান দান করে ভাগ্যবান তৈরি করেন ।“

    প্রশ্ন :- 

    বাচ্চারা এই রুহানি ভাট্টির (আত্মা শোধন) প্রক্রিয়াটি কি?

    উত্তর :- 

    রুহানি ভাট্টি অর্থাৎ স্মরণের যাত্রায় থাকা যাত্রীদের কখনো এদিকে - ওদিকের চিন্তনে থাকা উচিত নয় ।একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে হবে ।যদি বুদ্ধি এখানে - ওখানে যেতে থাকে তাহলে তো ঝটকা খেতে থাকবে ।দীর্ঘশ্বাস ফেলবে, তাতে বায়ুমণ্ডল দূষিত হবে ।নিজের লোকসান হবে ।

    গান :- 

    হৃদয়ের ভরসা ভেঙে না যায়.......

    ওম শান্তি :- 

    মিষ্টি মিষ্টি রুহানি বাচ্চারা গানের দুটো কথা শুনলে, বাচ্চাদের সাবধান করা হয়েছে । এই সময় যারা আছেন তাদের সবার ভাগ্য বিগড়ে আছে, কেবল তোমরা ব্রাহ্মণরা ছাড়া । তোমাদের এখন বিগড়ে যাওয়া ভাগ্য শুধরে যাচ্ছে । বাবাকে বলা হয় ভাগ্য নির্মাণকারী । তোমরা জানো যে শিববাবা কত মিষ্টি । বাবা শব্দটা খুব মিষ্টি ।বাবার থেকে সব আত্মাদের বর্সা (অধিকার) প্রাপ্ত হয় । লৌকিক বাবার থেকে পুত্র সন্তানরা বর্সা (অধিকার) পায় । কন্যা সন্তানরা তা পায় না । এখানে তো কি ছেলে, কি মেয়ে, সবাই বাবার বর্সা (অধিকার) প্রাপ্ত করে । বাবা আত্মাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের পড়ান ।আত্মা বুঝতে পারে যে, আমরা সবাই ভাই ভাই । এটাকে ভ্রাতৃত্ব ভাব বলা হয় তো, এক ভগবানেরই সন্তান আমরা, তাহলে এত লড়াই - ঝগড়া কেন? সবাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে থাকো। অনেক ধর্ম, অনেক মত আছে, আর প্রধান কথা তো রাবণ রাজ্যে লড়াই - ঝগড়া চলতে থাকে । কেননা এই রাজ্যে বিকারের প্রবেশ অবাধ । কাম বিকারের জন্য তো কত লড়াই ঝগড়া হয় ।এমন কত রাজারা লড়াই করছে । কামের জন্য খুব লড়াই হয় ।কত খুশী হয় । কারোর সাথে এমনও লড়াই ঝগড়া হয় যে তাকে মেরে ফেলা হয় । কাম মহাশত্রু ।যাদের রাগ আছে তাদের কাম মহাশত্রু । যাদের ক্রোধ আছে তাদের ক্রোধী বলা হয় । লোভাতুরকে লোভী বলা হয় । কিন্তু যে কামনাকারী, তাদের অনেক নাম আছে । বলা হয় অমৃত ছেড়ে বিষ পান করেছো কেন? শাস্ত্রে "অমৃত" নাম লিখে দিয়েছে । দেখানো হয়েছে সাগর মন্থন করে অমৃত পাওয়া গেছে । সেই ঘট( কলস) লক্ষীকে দেওয়া হয়েছে । কত কাহিনী আছে । এই সমস্ত কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বড় কথা এবং সর্বব্যাপী কথা আছে, যা কিনা, গীতার ভগবান কে? আর পতিত পাবন কে? প্রদর্শিত মুখ্য চিত্রনাট্যে এই সব বোঝানো হয় ।পতিত - পাবন, জ্ঞানের সাগর, আর তার থেকে নির্গত জ্ঞানের গঙ্গা, নদী অথবা সাগর কি হয় । কত ভালো ভালো কথা বোঝানো হয় ।বাবা বসে বসে বোঝান - মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের কে পবিত্র বানিয়েছেন? বিগড়ে যাওয়া ভাগ্যকে কে সংশোধন করে দেবেন? সেই পতিত- পাবন কখন আসবেন? এই খেলা কেউ জানে না ।বাবাকে তো বলাই হয়, সে জ্ঞান দীপ্ত , আশীর্বাদক, শান্তি দাতা । গানও আছে, বিড়ম্বনাকে কে শুধরে দেন একজনই... । এটা তো বোঝাই যায় যে রাবণই সবসময় বিগড়ে দেয় আমাদের । এই খেলা হার - জিতের ।তোমরা তো জানই যে রাবণকে, ভারতবাসীরা বছরে বছরে পুড়িয়ে দেয় ।ইনি ভারতের শত্রু । ভারতেই খালি পোড়ানো হয় । কারোর কাছে জিজ্ঞাসা করো, কবে থেকে রাবণকে পোড়ানো হয়? তাহলে সে বলবে যে, এটা তো অনাদি কাল থেকে শুরু হয়েছে । যখন থেকে সৃষ্টি শুরু হয়েছে । শাস্ত্রে এই সব পড়া( সার) মুখ্য রুপে আছে, অনেক কাল আগে থেকেই ছিলো । মুখ্য ভুল হলো ঈশ্বরক সর্বব্যাপী বলা । বাবা তো এটা বলেন না, এটা কার ভুল! এটা তো নাটকের মধ্যে গাঁথা আছে । জেতা- হারার খেলা । মায়ার কাছে হারলেও হারা, মায়ার কাছে জিতলেও জেতা । মায়ার কাছে কেমন করে হারা হয় সেই সব বোঝানো হয়েছে । অর্ধেক কল্প রাবণ রাজ্য চালনা করে, এক সেকেন্ড ও এদিক ওদিক হয় না । রাম রাজ্যের স্থাপনা হয়, তখন রাবণ রাজ্যের বিনাশ হয় । সমস্ত কিছু নিজের সময়ানুযায়ী চলতে থাকে । সত্য যুগে তো লঙ্কা হয় না সেখানে বুদ্ধ ধর্মের অংশ হয় । লেখা পড়া জানা লোকেদের বুদ্ধিতে থাকে, লন্ডন এদিকে আর আমেরিকা ওদিকে। পড়শোনা করলে বুদ্ধির তালা খুলে যায় । রশ্মি আসে, একে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র বলা হয় ।. বৃদ্ধজনেরা অনেক কথা বুঝতে পারে না । এদেরকে একটা প্রধান কথা ধারণা করে নিতে হবে । যা অন্তিম কালে কাজে আসবে ।মনুষ্যগণ তো অনেক শাস্ত্র পড়ে । কিন্তু শেষে একটা কথা বলতে বলা হয় যে, রাম রাম বলো । এমন বলা হয় না যে, বেদ পডো়, শাস্ত্র পড়ো, কিন্তু শেষে বলে যে, রামকে স্মরণ করো । বেশিরভাগ সময় যিনি, যে বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেন অন্তিম কালে তার ওই সব স্মরণ এসে যায় । এখন বিনাশ তো সবার হবেই । তুমি তো জানো কাকে স্মরণ করতে হবে? কেউ কৃষ্ণকে, কেউ আপন গুরুকে, স্মরণ করবে । কেউ নিজের দেহ সম্পর্কিত কাউকে স্মরণ করবে ।দেহ কে স্মরণ করলে তো সব খেলা সমাপ্ত । এখানে একটাই কথা বোঝানো হয় যে, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো ।চার্ট বানিয়ে রাখো, কতটা স্মরণ করলে । যত স্মরণ করবে ততই পবিত্র হয়ে যাবে । এমনও হয় না যে, খালি গঙ্গা স্নান করলেই পবিত্র হয়ে যায় ।আত্মার ব্যাপার আছে । আত্মা পতিত হয়, আবার আত্মাই পবিত্র হয় ।বাবা তো বুঝিয়েছেন - আত্মা একটা নক্ষত্র রুপ বিন্দু ।ভ্রূকুটির মধ্য স্থানে থাকে । বলা হয় নক্ষত্র রুপ আত্মা অতি সূক্ষ্ম ।তোমরা বাচ্চারা এই সব বুঝতে পারছো । বাবা বলেন যে, আমি কল্পের সঙ্গম যুগে আসি । তার পর উনি কল্প শব্দটা ছেড়ে যুগে যুগে কথা ব্যবহার করেছেন ।মনুষ্যগণ তো এটা উল্টো বুঝেছে । আমি কল্পের সঙ্গম যুগে আসি । ঘোর অন্ধকারময় আর আলোয় আলোকিত যুগের সঙ্গমে আসি।বাদবাকি যুগে যুগে আসার দরকার নেই ।সিঁড়ি বেয়ে নামবার সময় আসি। যখন পুরো ৮৪ জন্মের সিঁড়ির ধাপ নামা হবে, তখন বাবা আসেন । এই জ্ঞান সম্পূর্ণ জগতের জন্য দেওয়া হয়েছে । সন্ন্যাসীরা বলেন যে এই সব চিত্রপট সবটাই কল্পনা । কিন্তু কল্পনার কোনও ব্যাপার নেই । এটা সবাই কে জানানো হচ্ছে । না হলে মানুষ্যরা কেমন করে বুঝতে পারবে ।এই কারণেই এই সব চিত্রপট বানানো হয়েছে । এর প্রদর্শন দেশ দেশান্তরে হয়ে থাকে । বাবা বলেন, অনেক ভারতীয় সন্তান আছে, তারা তো আমারই সন্তান, তাই না? এখানে অনেক ধর্মের উৎস (সম্মেলন) আছে । বাবা বোঝাচ্ছেন - এরা সব কাম - চিন্তার চিতায় বসে দগ্ধে মরছে । সত্য যুগে যে প্রথমে আসে, সেই আবার দ্বাপর যুগে কাম- অগ্নিতে দগ্ধেছে । এই জন্য কালো বর্ণের হয়ে গেছে । এখন তো সবার সদগতির সময় । তুমি নিমিত্ত তৈরি হচ্ছো । তোমার পরে সবার সদগতি করতে হবে । বাবা কত সহজ পন্থা বলে দিয়েছেন । বাবা বলছেন যে, কেবলমাত্র বাবাকেই স্মরণে রাখো । আত্মাই দুর্গতির শিকার । আত্মা পতিত হলে শরীরও তেমনি পাবে । আত্মাকে পবিত্র বানানোর রীতি বাবা খুব সহজ ভাবে বলেছেন ।

    ত্রিমূর্তির চিত্রে ব্রহ্মার ছবি দেখে মানুষ তো আশ্চর্য হয়ে যায়, এনাকে ব্রহ্মা কেন বলা হয় । ব্রহ্মা তো সূক্ষ্মলোকের অধীশ্বর । ইনি এখনে কোথা থেকে এলেন । এই মহাশয় তো খুব নামকরা ছিলেন ।সব সংবাদপত্রে খবর ছিল, এক জহুরী, নিজেকে শ্রীকৃষ্ণ বলে দাবি করেছেন । এবং ১৬১০৮ জন রানি চাই ।খুব গন্ডগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল, তাকে তাড়ানোর জন্য । সব একে একে দাড়িয়ে গেল, যে কে তাকে মারবে । এত মানুষ আছে । তবুও আবুতে যখন কেউ যায়, তাহলে তাকে সঙ্গে কথা জিজ্ঞেস করা হয় যে, ব্র. কু দের কাছে যাচ্ছ! ওরা তো যাদু( বশ) করে দেয় । স্ত্রী, পুরুষদের ভাই, বোন বানিয়ে দেয় । বড় বড় কথা বলে আর মাথা খারাপ করে দেয় । বাবা বলেন, তোমরা আমায় "জ্ঞানের সাগর" অলমাইটি অ‌থরিটি (Allmighty Authority) বলো । ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি ("World Allmighty Authority") অর্থাৎ সর্বশক্তিমান । যিনি সমস্ত বেদ শাস্ত্রের আদি অন্ত জানেন । বড় বড় বিদ্বানদেরকেও অথরিটি বলা হয় । ওয়ার্ল্ড অলমাইটি (World Allmighty) অর্থাৎ সর্ব শক্তিমান । যিনি সব বেদ শাস্ত্র পড়েছেন । তারপর বেনারস গিয়ে উপাধি (টাইটেল) নিয়ে আসেন ।যেমন মহামহোপ্যাধ্যায়, শ্রী শ্রী ১০৮ সরস্বতী, ইত্যাদি । এই সব উপাধি ওখানে সব পাওয়া যায় । যিনি খুব বড় বিদ্বান তাকে তত বড় উপাধি দেয়া হয় । শাস্ত্রে জনক রাজার ব্যাপারে বলা আছে । উনি বলছেন যে, কেউ আমাকে সত্য ব্রহ্মজ্ঞান কি? তা আমাকে জানান । তবে ব্রহ্ম জ্ঞান তো নেই । সমস্ত ব্যাপার তো এখানকার । গল্প কথা সবকিছু বড় করে দিয়েছে । শঙ্কর পার্বতীর কথোপকথন গল্পকারে লেখা হয়েছে । কত কাহিনী লেখা হয়েছে । শঙ্কর, পার্বতীকে যে সব কথা বলেছেন, বাস্তবে শিব এর ছিলো, শিব ওই কথোপকথন গুলোকে শঙ্কর আর পার্বতীর নাম দিয়েছেন ।ভাগবত ইত্যাদি তে যা আছে সেই সব এই সময়ের কথা । আবার গল্পে বলা হয়েছে, ওনার খেয়াল হলো - - রাজাকে এই জ্ঞান দিয়ে দিই ।বাবাও বোঝাচ্ছেন - - রাজাদের জ্ঞান দাও ।তুমি সূর্যবংশী ছিলে, তারপর চন্দ্রবংশী, বৈশ্যবংশী, শূদ্রবংশী হয়েছো ।তোমার রাজধানী হারিয়ে গেছে । আবার যদি সূর্যবংশী রাজধানী নিতে হয়, তাহলে পুরুষার্থ করো ।রাজযোগ শেখাবেন বলে বাবা এসেছেন ।তাহলে এসো, বেহদের (অলৌকিক) স্বরাজ নাও ।রাজাদের কাছে অনেক চিঠি পত্র জমা দেওয়া হয়, কিন্তু সেই সমস্ত তো রাজা পান না । ওনার প্রাইভেট সেক্রেটারি চিঠি পত্র দেখেন ।কত চিঠি ফেলে দেয়া হয় । যেটা তে প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে সেটা রাজাকে দেখানো হয় । বলা হয়, অষ্টাবক্র মুনি জনক রাজাকে মুহূর্তের মধ্যে জীবন মুক্তির সাক্ষাৎ করিয়ে ছিলেন । এই সব এখনো আছে ।এখন বাবা কত সুন্দর করে তোমাদের বোঝান । যে বোঝবার না, সে এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখতে থাকে । বাবা তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারেন যে এর বুদ্ধিতে কিছু ঢুকবে না । বাবা চারপাশে নজর রাখেন - - সবাই ভালো করে শুনছে তো? এদের মন কোথায় ঘুরছে, ক্লান্ত থাকে । বুদ্ধিতে যদি জ্ঞান না থাকে তাহলে তো ঝটকা( ধাক্কা) লাগবে ।লোকসান হয়ে যায় । করাচী তে এই রকম বাচ্চাদের ভাট্টি (সংশোধনাগার) ছিল । কারোর যদি ঝটকা লাগত তো তৎক্ষণাৎ বার করে দেওয়া হত। নিজেরাই বসতো । বাইরের কেউ বসাতো না ।প্রারম্ভে এদের অনেক বড় পার্ট চলত । অনেক বড় ইতিহাস আছে । প্রথম প্রথম বাচ্চারা খুব ধ্যানের মধ্যে থাকতো । এখনো অবধি বলা হয় যে ওই সব যাদুর মতো ছিলো । পরমপিতা পরমাত্মাকে যাদুকর বলা হয়, তাই না? শিববাবা দেখছেন যে, এদের খুব প্রেম ভাব আছে, দেখা মাত্র ধ্যান মগ্ন হয়ে যায় । বৈকুণ্ঠে তো ভারতবাসী খুব আদরের । কেউ মারা গেলে বলা হয়, বৈকুণ্ঠবাসী হয়ে গেল, স্বর্গ বাসী হলো । এই সময় এখানে নরক হয়ে আছে । সব নরকবাসী । তবেই তো কেউ মারা গেলে বলা হয় যে, সে স্বর্গ বাসী হয়েছে । কিন্তু স্বর্গে তো কেউ যায় না । এখনো অবধি তুমি জানো যে, আমরা স্বর্গ বাসী ছিলাম । তার পর আবার ৮৪ জন্মের জন্য নরকবাসী হয়ে গেছি ।এবার বাবা আবার স্বর্গ বাসী বানাচ্ছেন । স্বর্গে তো রাজধানী আছে । রাজধানীতে অনেক পদ আছে । পুরুষার্থ করে নর থেকে নারায়ণ হতে হবে । তোমরা জানো যে মাম্মা আর বাবা ভবিষ্যতে লক্ষী নারায়ণ হবেন । এখন পুরুষার্থ করছেন । এই কারণে বলা হয়, মাম্মা বাবাকে অনুসরণ করো । তারা যেমন করেন, তেমন তুমিও করো । এটা স্মরণে রাখো । স্ব-দর্শন চক্র ধারী হয়ে যাও । তোমরা বাবাকে স্মরণ করো আর বাবার বর্সাকে (অধিকার) স্মরণে রাখো । ত্রিকালদর্শী হও । তুমি তো সমস্ত চক্রের জ্ঞানে আছো । অন্যদেরও বোঝাতে থাকো । এই সেবাব্রতর কাজে তৎপর থাকো । । এই সেবাব্রত করতে থাকলে অন্য কিছু কাজ কর্ম মনে আসবে না । আচ্ছা!! 

    মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি (সিকীলধে) বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা ও গুড মর্নিং, রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদের নমস্কার ।

    ধারণার মুখ্য সার :-

    ১) সত্যযুগে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হলে মাম্মা ও বাবাকে সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করতে হবে । তাঁদের মতো পুরুষার্থ করতে হবে । সেবা কাজে তৎপর হতে হবে । একাগ্র মনে পড়াশোনা করতে হবে ।

    ২) স্মরণীয় ধারণার ঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে । নিজেকে আত্মা ভেবে বাবাকেই স্মরণ করতে হবে । দেহ বা দেহধারীদের ভুলতে হবে ।

    বরদান :- 

    স্বার্থ শব্দের অর্থ জেনে সর্বদা এক মনোভাবাপন্ন পরিস্থিতিতে স্থির হওয়ার জন্য সহজ পুরুষার্থী ভবঃ( হও) 

    আজকাল যে দুই, একজনের মধ্যে প্রেম, স্নেহ ভালোবাসা আছে, তা কিন্তু স্নেহ বশতঃ নয়, তার মধ্যে স্বার্থ লুকিয়ে থাকে । স্বার্থের জন্য যে ভালোবাসা সেই ভালোবাসায় কোনো আলাদা বৈশিষ্ট্য নেই । এই জন্যই স্বার্থ শব্দের অর্থ বোঝা অর্থাৎ প্রথমে" স্ব" এর" রথ "কে স্বাহা (ত্যাগ) করে দাও । এই" স্বার্থ" কে ত্যাগ করে দিলে বিশিষ্ট হয়ে যায় । এই একটা শব্দের অর্থ জেনে কি করতে হবে বুঝতে পারলে, সর্বদা একাগ্র ও এক মনোভাবাপন্ন হয়ে যায় । এটাই সহজ পুরুষার্থ ।

    স্লোগান :- 

    ফরিস্তা স্থিতিতে থাকলে কোনো প্রকার বিঘ্ন প্রভাব বিস্তার করতে পারে না ।

    ***OM SHANTI***