BK Murli 1 September 2015 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 1 September 2015 In Bengali

     01-09-15 প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা " মধুবন


    "মীঠে বচ্চে -- তুমি এখন সত্যিকারের পাঠশালায় বসে আছো , এটা সত্সঙ্গও, এখানে তোমরা সত্যিকারের পিতার সঙ্গ পেয়েছো , যিনি পার লাগিয়ে দেন |"

    প্রশ্ন - 

    হিসাব -কিতাবের খেলায় অন্যদের (সমঝ) ভাবনাচিন্তা আর তোমাদের ভাবনাচিন্তায় কি পার্থক্য আছে ?

    উত্তর -- 

    অন্যরা বোঝে এই যে দুঃখ-সুখের খেলা চলে , এই দুঃখ-সুখ সব পরমাত্মাই দিয়ে থাকেন আর তোমরা বাচ্চারা বোঝো যে এটা হল প্রত্যেকটা কর্মের হিসেবের খেলা | বাবা কাউকে ও দুঃখ দেন না | তিনি তো আসেন ই সুখের রাস্তা বলতে | বাবা বলেন - বচ্চে , আমি কাউকে ও দুখী করিনি | এইসব তো তোমাদের ই কর্মের ফল|

    গীত--: 

    এই পাপের দুনিয়া থেকে ……

    ওম শান্তি | মীঠে মীঠে রূহানী বাচ্চারা গান শুনলো কাকে ডাকতে থাকে ? বাবা কে | বাবা এসে এই পাপের কলিযুগী দুনিয়া থেকে সতযুগী পুন্যের দুনিয়ায় নিয়ে চলো | এখন জীব আত্মারা সবাই কলিযুগী হচ্ছে | তাদের বুদ্ধি ওপর দিকে যেতে থাকে | বাবা বলেন আমি যা হচ্ছি , যেমন হচ্ছি , এমন কেউ জানতে পারে না | ঋষি-মুনি আদি বলে থাকেন আমরা রচয়িতা মালিক অর্থাৎ বেহদের বাবা আর ওনার রচনার আদি-মধ্য-অন্ত কে জানি না আত্মারা যেখানে থাকে সেটা হলো ব্ৰহ্ম মহাতত্ব , যেখানে সূৰ্য্য চাদ থাকে না না মুলবতন , না সুক্ষ্মবতনে বাকী এই স্টেজে তো বিজলী (লাইট) আদি সব দরকার না ! তো এই স্টেজকে লাইট দেয় -- রাতে চাঁদ তারারা , দিনে সূৰ্য্য | এই সব হলো আলো | এইসব আলো থাকা সত্ত্বে ও আধাঁর (অন্ধিয়ারা) বলা হয়ে থাকে | রাতে তো যদিও আলো জ্বালানো হয়ে থাকে | সত্যযুগ ত্রেতাকে বলা হয় দিন আর ভক্তিমার্গকে বলা হয় রাত এইসব ও বোঝার কথা | নতুন দুনিয়া তো আবার পুরোনো অবশ্য ই হবে | আবার নতুন হবে , তো পুরোনোর অবশ্যই বিনাশ হবে | এই হলো বেহদের দুনিয়া | বাড়ীঘরও অনেক বড় বড় হয়ে থাকে রাজা আদিদের | এই হলো বেহদের ঘর , মান্ডবা অথবা স্টেজ , এইসব কে কর্মক্ষেত্র ও বলা হয়ে থাকে | কর্ম তো অবশ্য ই করতে হবে | সকল মনুষ্যদের জন্য এটা হলো কর্মক্ষেত্র | সবাইকে কর্ম করতে হবে , পার্ট ও বাজাতে হবে | পার্ট প্রত্যেক আত্মাকে আগের থেকে দেওয়া হয়ে থাকে | তোমাদের মধ্যে ও কেউ কেউ আছে , যারা এইসব কথা কে খুব ভালো করে বুঝতে পারে | বাস্তবে এই হলো গীতা পাঠশালা | পাঠশালায় কখনো বুড়ো আদি পড়াশোনা করে কি ? এখানে তো বুড়ো , জওয়ান আদি সবাই পড়াশোনা করে থাকে | বেদের পাঠশালা বলা যাবে না | সেখানে কোনো এইম অবজেক্ট হয় না | আমরা এত বেদশাস্ত্র আদি পড়ে থাকি , এইসব দিয়ে কি তৈরী হবো - এটাও জানতে পারে না | অন্য যে সব সত্সঙ্গ আছে সেখানে এইম অবজেক্ট বলতে কিছু নেই | এবার তো সত্সঙ্গ বলতে লজ্জা হবে | সত্ তো একজন বাবা হন , যার জন্য বলা হয়ে থাকে সঙ্গ তারে …কুসঙ্গ বোরে …… | কুসঙ্গ কলিযুগী মনুষ্যদের | সত্ এর সঙ্গ তো একটা ই | এখন তোমাদের আশ্চর্য্য লাগতে থাকে | সারা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান বাবা কেমন করে দিয়েছেন , তোমাদের তো খুশী হওয়া দরকার | তুমি সত্যি সত্যি পাঠশালা য় বসে আছো | বাকী সব গুলো হলো মিথ্যের পাঠশালা , ঐসব সত্সঙ্গ আদি থেকে কিছুই তৈরী হয়ে বের হবে না | স্কুল কলেজ আদি থেকে কিছু তৈরী হয়ে বেরোয় কারণ ওখানে পড়া করে | বাকী কোথাও ই পড়াশোনা হয় না | সত্ সঙ্গ কে পড়াশোনা বলা হবে না শাস্ত্র আদি পড়ে তো দোকান খুলে বসে , পয়সা কামাতে থাকে | গ্রন্থ একটু শিখে নিয়ে গুরুদ্বারা খুলে বসে যায় | গুরুদ্বারাও কত খোলা হয়েছে | গুরুর দ্বার অর্থাৎ ঘর বলা হবে তাই না ! ফাটক (দরজা) খোলা হয় , সেখানে গিয়ে শাস্ত্র আদি পড়া হয়ে থাকে | তোমাদের গুরুদ্বারা হলো - মুক্তি আর জীবনমুক্তি ধাম সতগুরু দ্বার | সতগুরুর নাম কি ? অকালমূর্ত | সতগুরুকে অকালমূর্ত বলা হয় , তিনি এসে মুক্তি- জীবনমুক্তির দ্বার খোলেন তাই অকালমূর্ত বলা হবে তাই না ! যাঁকে কালও খেতে পারে না | আত্মা তো হচ্ছে ই বিন্দু | বিন্দুকে কাল কেমন করে খাবে | ঐ আত্মা তো শরীর ছেড়ে পালিয়ে যায় | লোকে বুঝতে থোড়াই পারে যে এক পুরোনো শরীর ছেড়ে আবার যায় অন্যটা নিতে তাহলে এর মধ্যে কান্নার কি দরকার আছে | এটা তোমরা জানতে পারো -- ড্রামা অনাদি তৈরী হয়ে আছে | প্রত্যেককে পার্ট প্লে করতেই হয় | বাবা বোঝাচ্ছেন -- সত্যযুগে হলো নষ্টমোহা | মোহজীতের গল্প আছে না | পন্ডিতরা শুনিয়ে থাকে , মাতারাও শুনে শুনে আবার গ্রন্থ নিয়ে বসে যায় শোনাবার জন্য | অনেক মনুষ্য গিয়ে শুনতে থাকে | তাদেরকে বলা হয় কনরস ড্রামা প্ল্যান অনুসারে মনুষ্যরা তো বলবে আমাদের দোষ কি আছে | বাবা বলেন তোমরা আমায় ডাকতে থাকো যে দুঃখের দুনিয়া থেকে এবার নিয়ে চলো | এখন আমি এসেছি তো আমার শোনা উচিত না ! বাবা বাচ্চাদের বসে বোঝাচ্ছেন , ভালো মত পাওয়া যাচ্ছে তো সেগুলো নিয়ে নেওয়া উচিত | তোমাদেরও কোনো দোষ নেই | এটা ও ড্রামা ছিল | রামরাজ্য , রাবণরাজ্যের খেলা তৈরী হয়ে আছে | খেলাতে কেউ হেরে যায় তো তাদের দোষ থোড়া ই হয় | হার জীত তো হয়েই থাকে , যার মধ্যে লড়াই এর কোনো কথা নেই | তোমাদের বাদশাহী ছিলো | এইসবও তোমাদের আগে জানা ছিল না , এখন তোমরা বুঝতে পারছো , যারা সার্ভিসেবল হচ্ছো , যাদের নাম উচু হচ্ছে | দিল্লিতে সবচেয়ে নামীগ্রামী এমন কে আছেন যারা বুঝতে পারে | তো ঝট্ করে নাম নেওয়া হবে জগদীশের | তোমাদের জন্য ম্যাগাজীনও বের করে থাকেন | তার মধ্যে সব কিছু এসে যায় | অনেক প্রকারের পয়েন্টস লেখা থাকে , বৃজমোহনও লেখেন | লেখা কি থোড়াই কোনো মাসীর ঘর | অবশ্যই বিচার সাগর মন্থন করেন , ভালো সার্ভিসও করেন | কত লোক পড়ে খুশী হয়ে থাকে | বাচ্চাদেরও রিফ্রেশমেন্ট পাওয়া যায় কেউ কেউ প্রদর্শনীতে অনেক মাথা মারতে (চালাতে) থাকে , কেউ কেউ কর্মবন্ধনে ফেঁসে আছে , এইজন্য এত নিতে পারে না | এটাও বলবে ড্রামা , অবলাদের ওপরও অত্যাচার হওয়ার ড্রামায় পার্ট আছে | এমন পার্ট কেন বাজাচ্ছো , এই প্রশ্ন ই ওঠে না | এটা তো অনাদি বানানো ড্রামা হচ্ছে ঐ সবে কিছু থোড়ী ই করতে পারা যায় | কেউ বলে আমরা কি পাপ করেছি যে এমন পার্টে রাখা হয়েছে | এবার পাপের তো কোনো কথা ই নেই | এটা তো পার্ট হচ্ছে | অবলারা কেউ তো নিমিত্ত হবে , যার উপর সিতম (অত্যাচার) হবে | এমনি তো আবার সবাই বলবে আমাদের এই পার্ট কেনো ? না , এটা তো বানানো একটা ড্রামা হচ্ছে | পুরুষদের উপর ও অত্যাচার হয়ে থাকে | এই সব কথা তে কত টা সহনশীলতা (সহ্যশক্তি) রাখতে হয় | অনেক সহনশীলতা দরকার | মায়ার বিঘ্ন তো অনেক পড়বে | বিশ্বের বাদশাহী নেবে তো কিছু মেহনত করতে হবে | ড্রামা য় বিপদ , খিটপিট আদি কত হয় | অবলাদের ওপর অত্যাচারও লেখা আছে | রক্তের নদী ও বইবে | কোথাও কোনো সেফ্টী থাকবে না | এখন তো সকালে ক্লাসে আদি যেতে থাকো , সেন্টার্সে | এবার ঐ সময় ও আসবে , যখন তোমরা বাইরে ও বেরোতে পারবে না | দিন-প্রতিদিন জমানা বিগড় (খারাপ) হতে থাকবে আর খারাপ হবার ই আছে | দুঃখের দিন খুব জোর দিয়ে আসবে | অসুখ বিসুখ আদি তে দুঃখ হয় তো আবার ভগবান কে স্মরণ করা হয় , ডাকতে থাকে | এখন তোমরা জানো , বাকী কিছু দিন আছে | আবার আমরা নিজের শান্তিধাম , সুখধামে অবশ্য ই যাবো | দুনিয়ায় এইসব কারোর জানা নেই | এখন তোমরা বাচ্চারা অনুভব করতে পারো নয় কি ! এখন বাবাকে ভালোভাবে জেনে গেছো | ওরা সবাই তো বুঝতে পারে পরমাত্মা হলেন লিঙ্গ | শিবলিঙ্গের পূজাও করতে থাকে | তুমি শিবের মন্দিরে যখন যেতে , কখনো এই খেয়াল করেছো কি শিবলিঙ্গ কি জিনিষ ? অবশ্যই এটা জড় হচ্ছে তো চৈতন্যও হবে ! এটা তবে কি হচ্ছে ? ভগবান তো রচনা করেন ওপরে | ওনার নিশানী (চিহ্ন) আছে শুধু পূজার জন্য | পূজ্য হবে তো আবার এইসব জিনিষ আর হবে না | শিব কাশী র মন্দিরে ও যেতে থাকে , কারোর জানা থোড়াই আছে ভগবান নিরাকার | আমরাও হলাম ওনার সন্তান | বাবার বাচ্চা হয়েও আবার আমরা দুঃখী কেন হই ? চিন্তা করার বিষয় তাই না | আত্মা বলে আমরা পরমাত্মার সন্তান তাহলে আবার আমরা দুঃখী কেনো ? বাবা তো হলেন সুখদাতা | ডাকাও হয় -- হে ভগবান , আমাদের দুঃখ দূর করো (হর) | সেটা কেমন করে দূর হবে ? দুঃখ-সুখ এটা তো নিজের কর্মের হিসাব | মানুষ বোঝে সুখের বদলে সুখ , দুঃখের বদলে দুঃখ পরমাত্মাই দিয়ে থাকেন | তাঁকে দোষ দেয়, বাবা বলেন আমি কখনো দুঃখ দিতে পারি না | আমি তো আধাকল্পের জন্য সুখ দিয়ে চলে যাই | এই হলো সুখ আর দূঃখের খেলা | শুধু সুখেরই খেলা হলে আবার ভক্তি আদি কিছু থাকতো না , ভগবানকে পাওয়ার জন্য সবাই ভক্তি আদি করতে থাকে , তাই না | এবার বাবা বসে পুরো সমাচার (খবর) শোনাচ্ছেন বাবা বলেন তোমরা বাচ্চারা কত ভাগ্যবান | সেইসব ঋষি-মুনিদের কত নাম আছে | তোমরা হচ্ছো রাজ ঋষি , তাঁরা হচ্ছেন হঠযোগী ঋষি | ঋষি অর্থাৎ পবিত্ৰ | তোমাদের স্বর্গের রাজা হতে হলে অবশ্যই পবিত্ৰ হতে হবে | সত্যযুগ-ত্রেতা য় যাদের রাজত্ব ছিল তাদের আবার হবে | বাকী সবাই পিছনে আসতে থাকবে | তোমরা এখন বলবে আমরা শ্রীমতে নিজের রাজ্য স্হাপন করছি | পুরোনো দুনিয়া র বিনাশ হতেও সময় তো লাগবে না | সত্যযুগকে আসতে হবে , কলিযুগকে যেতে হবে | কত বড় দুনিয়া হচ্ছে | এক এক শহর মনুষ্য দিয়ে ভরা আছে | ধনবান লোকেরা দুনিয়ার চক্কর লাগাতে থাকে | কিন্তু এখানে পুরো দুনিয়া কে কেউ ও দেখতে পায় নি | হ্যাঁ , সতযুগে দেখতে পাবে কারণ সত্যযুগেই একটা রাজ্য , এত কম রাজারা থাকবে , এখানে তো দেখো কত বড় দুনিয়া | এত বড় দুনিয়ার চক্কর কে লাগায় | ওখানে তোমাদের সমুদ্রে যাওয়ার দরকার নেই | ওখানে সীলন , বর্মা আদি হবে ? না , কিছু ই নয় | এই করাচী হবে না | তোমরা সবাই মীঠী নদীর কিনারে (পারে) থাকো | খেত, বাগান ইত্যদি সব হয়ে থাকে , সৃষ্টি তো বড় হচ্ছে মনুষ্য অনেক অল্প থাকবে, তারপর বৃদ্ধি হতে শুরু করবে | আবার ওখানে গিয়ে নিজের রাজ্য স্হাপন করতে থাকে ! ধীরে ধীরে হপ করে নিয়ে গেছে | নিজেদের রাজ্য স্হাপন করে নিয়েছে | এখন তো সবাইকে ছাড়তে হচ্ছে | এক ভারতই থাকবে , যেখানে কারোর ও রাজ্য ছিনিয়ে নেওয়া হয় নি , কারণ ভারত আসলে অহিংসক দেশ | ভারতই পুরো দুনিয়ার মালিক ছিল আর সবাই পিছনে এসে একটু একটু করে টুকরো টুকরো নিয়ে নিয়েছে | তোমরা কাউকে হপ করো নি , ইংরেজরা হপ করে নিয়ে নিয়েছে | তোমাদের ভারতবাসীদের তো বাবা বিশ্বের বানিয়ে থাকেন | তুমি কোথাও গিয়েছিলে থোড়া ই | তোমাদের বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এইসব পুরো কথা আছে , বুড়ী মাতারা এতসব বুঝতে পারে না | বাবা বলেন তবু ভালো যে কিছুই পড়ো নি | পড়াগুলো সব বুদ্ধি থেকে বের করতে হবে , একটা কথা শুধু ধারণ করতে হবে - মীঠে বচ্চে বাবা কে স্মরণ করো। তোমরা তো বলেও ছিলে ন, বাবা আপনি আসবেন তো আমরা বারী(গদগদ) হয়ে যাবো , কুরবান হয়ে যাবো। তোমাদের তাহলে এবার আমার উপর কুরবান হয়ে যেতে হবে | লেন-দেন তো হতে থাকে না ! বিয়ের সময় স্ত্রী-পুরুষ এক দুই এর হাতে নমক (নুন) দিয়ে থাকে | বাবাকে ও বলা হয়ে থাকে , আমরা পুরোনো সব কিছু আপনাকে দিয়ে দিচ্ছি | মরতে তো হবে , এইসব তো শেষ হওয়ারই | আপনি আমাদের আবার নতুন দুনিয়া দেবেন | বাবা আসেন ই সবাইকে নিয়ে যাবার জন্য | উনি হলেন কাল ! সিন্ধ-এ বলা হয়ে থাকে- এটা কোন কাল যে সবাই কে ভাগিয়ে নিয়ে যায় , তোমরা বাচ্চারা তো খুশী হতে থাকো | বাবা আসেনই নিয়ে যাওয়ার জন্য | আমরা তো খুশী খুশী আমাদের ঘরে যাবো | সহ্যও করতে হবে | ভালো ভালো বড় বড় ঘরের মাতারা মার খেতে থাকে | তুমি সত্যি কামাই করে থাকো | মানুষ থোড়াই জানতে পারে , তারা হচ্ছে কলিযুগী সম্প্রদায় | তোমরা হলে সঙ্গমযুগী , পুরুষোত্তম তৈরী হচ্ছো। তোমরা জানো প্রথম নম্বরে পুরুষোত্তম হলেন লক্ষ্মী নারায়ণ। আবার ডিগ্ৰী কম হতে থাকবে | আবার ধীরে ধীরে নীচে নামতে থাকবে | এই সময় সবাই নীচে পড়ে আছে | ঝাড় (গাছ) পুরোনো হয়ে গেছে , তনা (কান্ড) পঁচে গেছে | এখন আবার স্হাপন করা হচ্ছে | ফাউন্ডনেশন হচ্ছে তাই না | কলম কত ছোটো হয়ে থাকে আবার তার থেকেও কত বড় গাছ বেড়ে যেতে থাকে | এটাও একটা গাছ , সত্যযুগে অনেক ছোটো ছোটো গাছ হয়ে থাকে | এখন কত বড় বড় গাছ আছে | ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ফুল কত আছে মনুষ্য সৃষ্টির | একটাই গাছে কত ভিন্ন ভিন্ন আছে | অনেক ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের গাছ আছে মনুষ্যদের | একটাও চেহারার মিল খায় না অন্যের সাথে । একেবারে বানানো ড্রামা | এক রকমের পার্ট কারোরই হতে পারে না | এনাদের কে বলা হয় কুদরতী (প্রাকৃতিক) বানানো বেহদের ড্রামা , এর মধ্যেও বনাবট (দেখানো) অনেক আছে | যে জিনিষ টা রীয়েল (সত্যি) হয়ে থাকে , ওটা শেষ হয়েই থাকে | আবার 5 হাজার বছর পরে রিয়েলিটিতে আসবে | চিত্র ইত্যাদিও থোড়াই রিয়েল তৈরী হয়ে আছে | ব্ৰহ্মারও চেহারা আবার 5 হাজার বছর পর তোমরা দেখতে পাবে | এই ড্রামার রহস্যকে বোঝার বুদ্ধি বড় বিশাল দরকার | আর কিছু বোঝো না বোঝো শুধু একটা কথা বুদ্ধি তে রাখো- একজন শিববাবা দ্বিতীয় আর কেউ নয় | এটা আত্মা বললো -- বাবা আমরা আপনাকেই স্মরণ করবো এটা তো অনেক সহজ তাই না ! হাত দিয়ে কর্ম করতে থাকো আর বুদ্ধি দিয়ে বাবাকে স্মরণ করতে থাকো | আচ্ছা | 
    মীঠে মীঠে সিকিলধে বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদা র ইয়াদ , পেয়ার আর গুড মর্নিং | রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার |


    ধারণার জন্য মুখ্য সার -- 

    1. সহনশীলতার গুণ ধারণ করে মায়ার বিঘ্নকে পাস করতে হবে | অনেক বিপদ আসবে , অত্যাচার হবে -- সহ্য করতে করতে বাবার স্মরণে থাকতে হবে , সত্যিকারের কামাই করতে হবে |


    2. বিশাল বুদ্ধি দিয়ে এই বানানো ড্রামাকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে | এটা প্রাকৃতিকভাবে তৈরী ড্রামা, সেইজন্য কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না। বাবা যা ভালো মত দিতে থাকেন , তার উপর চলতে থাকতে হবে |

    বরদান --: 

    বিশেষতা রূপী সঞ্জীবনী বুটি দ্বারা মুর্ছিতকে সুরজীত করাবার বিশেষ আত্মা ভব |
    প্রত্যেক আত্মাকে শ্রেষ্ঠ স্মৃতির , বিশেষতার স্মৃতি রূপী সঞ্জীবনী বুটি খাওয়াও , তো সে মুর্ছিত থেকে সুরজীত হয়ে যাবে | বিশেষতার স্বরূপের দর্পণ তাদের সামনে রাখো | অন্যদের স্মৃতিতে আনার জন্য তোমরা বিশেষ আত্মা হয়েই যাবে | যদি তোমরা কাউকে তার ভুল ত্রুটি বা দুর্বলতাকে দেখাও, তো সে লুকোতে চাইবে , এড়িয়ে যাবে। তোমরা বিশেষতা শোনাও তো স্বয়ং ই নিজের দুর্বলতাকে স্পষ্ট অনুভব করবে | এই সঞ্জীবনী বুটি দিয়ে মুর্ছিতকে সুরজীত করে উড়তে থাকো আর উড়াতে থাকো |

    স্লোগান --: 

    নাম-মান-শান বা সাধনের সঙ্কল্পেরও ত্যাগ ই হলো মহান ত্যাগ |



    ***OM SHANTI***