BK Murli 1 October 2015 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 1 October 2015 In Bengali

     ১-১০-১৫ প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা" মধুবন


    "মিঠে বাচ্চে -- বাবা এসেছেন তোমাদের বাচ্চাদের সাঁতার শেখাতে, যাতে তোমরা এই দুনিয়া থেকে পার হয়ে যাও, তোমাদের জন্য দুনিয়াই বদলে যায়"

    প্রশ্নঃ- 

    যেসব বাচ্চারা বাবার সহযোগী হয়, তাদের এই সহযোগিতার বদলে কি রিটার্ন প্রাপ্তি হয় ?

    উত্তর;-- 


    যে বাচ্চারা এখন বাবার সহযোগী হয়, তাদেরকে বাবা এমন বানিয়ে দেন যে আধাকল্প কারও সহযোগিতা নেওয়ার বা রায় নেওয়ার কোনো দরকারই থাকে না । তিনি কত বড় বাবা আমিদের, বলেন বাচ্চে তোমরা আমার সহযোগী না হলে আমি স্বর্গের স্থাপনা কি করে করতাম ?

    ওমশান্তি ।মিষ্টি, মিষ্টি নাম্বার অনুসার অতি মিষ্টি রুহানী বাচ্চাদেরকে রুহানী বাবা বোঝাচ্ছেন কারণ অনেক বাচ্চার বে-সমঝ হয়ে গেছে ।রাবণ অনেক বে-সমঝ বানিয়ে দিয়েছে । এখন আমাদের কতো সমঝদার বানাচ্ছেন ।কেউ আই.সি.এসের পরীক্ষা পাশ করে তো ভাবে অনেক বড় পরীক্ষা পাস করলাম ।এখন তুমি দেখো কতো বড় পরীক্ষা পাস করো । একটু ভাবো তো কে সত্যিকারের পড়াচ্ছেন! কে পড়াচ্ছেন! এটাও নিশ্চয় রয়েছে যে --আমরা কল্প কল্প ৫ হাজার বর্ষ বাদ বাপ, শিক্ষক, সৎগুরুর সাথে আবার মিলতেই থাকি। খালি তোমরা বাচ্চারাই জানো- আমরা কতো উঁচু থেকে উঁচু বাবার থেকে উঁচু বর্সা পাচ্ছি ।শিক্ষকও বর্সা দেয় পড়িয়ে ।তোমাদের পড়িয়ে তোমাদের জন্য দুনিয়াই বদলে দেয় , নতুন দুনিয়ায় রাজত্ব করবার জন্য ।ভক্তি মার্গে কতো মহিমা করে । তোমরা ওনার দ্বারা নিজের বর্সা পাচ্ছো। এটাও তোমরা বাচ্চারা জানো যে পুরানো দুনিয়া বদলাচ্ছে । তোমরা বলো আমরা সবাই শিববাবার বাচ্চা । বাবাকেও আসতে- হয় পুরনো দুনিয়াকে নতুন বানাতে । ত্রিমূর্তির চিত্রতেও দেখায় যে ব্রহ্মা দ্বারা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা ।তো নিশ্চয় ব্রহ্মা মুখবংশাবলী ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মণী চাই । ব্রহ্মা তো নতুন দুনিয়া স্থাপন করেন না ।রচয়িতা হলেন বাবা ।বলেন আমি এসে যুক্তির দ্বারা পুরনো দুনিয়ার বিনাশ করিয়ে নতুন দুনিয়া বানাই।নতুন দুনিয়ার বাসকারী খুব কম হয় । সরকার চেষ্টা করতে থাকে যাতে জনসংখ্যা কম হয় ।এখন কম তো হবে না । লড়াইয়ে কোটি কোটি মানুষ মরে তাতে মানুষ কম থোড়াই হয়, জনসংখ্যা তো তবুও বাড়তে থাকে । এটাও তুমি জানো । তোমাদের বুদ্ধিতে বিশ্বের আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান আছে। তোমরা নিজেকে ছাত্রও ভাবো ।সাঁতার কাটাও শেখো। বলে না ও মাঝি আমায় পার করো ।অনেক নামি দামি লোক সাঁতার শেখে। এখন তোমাদের সাঁতার দেখো কেমন, একদম উপরে চলে যাও আবার এখানে আসো । ওরা তো সাঁতার কেটে দেখায় যে কতো মাইল উপরে গেছে । তোমরা আত্মারা কতো মাইল উপরে যাও । ওটাতো স্থূল বস্তু হয় যাকে গোনা যায় । কিন্তু তোমাদের জন্য তা তো অগনিত বার ।তোমরা জানো আমরা আত্মারা নিজের ঘরে চলে যাব, যেখানে সূর্য চাঁদ ইত্যাদি হয় না। তোমাদের খুশী হয় যে ওটা আমাদের ঘর।আমরা ওখানেই থাকি। মানুষ ভক্তি করে, পুরুষার্থ করে- মুক্তিধামে যাবার জন্য ।কিন্তু কেউ যেতে পারে না ।মুক্তিধামে ভগবানের সাথে মিলন করার চেষ্টা করে ।অনেক প্রকারের প্রচেষ্টা করে । কেউ বলে আমরা হলাম জ্যোতি জ্যোতিতে মিশে যাবো । কেউ বলে মুক্তিধামে যায় ।মুক্তিধামের বিষয়ে কারওর জানা নেই। তোমরা বাচ্চারা জানো বাবা এসেছেন নিজের ঘরে নিয়ে যাবেন ।মিষ্টি-মিষ্টি বাবা এসেছেন আমাদের ঘরে নিয়ে যাবার লায়ক বানান ।যার জন্য আধাকল্প পুরুষার্থ করেও তৈরী হতে পারিনি। না কেউ জ্যোতিতে মিশেছে, না মুক্তিধামে যেতে পেরেছে, না মোক্ষ পেয়েছে । যা কিছু পুরুষার্থ করেছে তা ব্যর্থ । এখন তোমাদের ব্রাহ্মণ কুলভূষণদের পুরুষার্থ সত্য সিদ্ধ হচ্ছে ।এই খেলা কিরকম তৈরি হয়ে রয়েছে ।তোমাদের এখন আস্তিক বলা হয় । বাবাকে ভালো মতো তোমরা জানো আর বাবার দ্বারা সৃষ্টি চক্রকেও জেনেছো । বাবা বলেন মুক্তি জীবন্মুক্তির জ্ঞান কারও মধ্যেই নেই । দেবতাদের মধ্যেও নেই। বাবাকে কেউ জানেনা তো তিনি কাদেরকে নিয়ে কিভাবে যাবেন তারা কীভাবে জানবে । কতো ঢের গুরু আছেন , তাঁদের কতো ফলোয়ার্স (অনুসরণকারী)।সত্য, সত্য সদগুরু হলেন শিববাবা ।ওনার তো চরণই নেই ।উনি বলেন আমার তো চরণ নেই । আমি কি করে নিজেকে পূজো করাই ।বাচ্চারা বিশ্বের মালিক হয় ওঁদের দিয়ে থোড়াই পূজো করাবো ।ভক্তিমার্গে বাচ্চারা বাবার পায়ে পড়ে। বাস্তবে বাবার সম্পত্তির মালিক বাচ্চারা হয় ।কিন্তু নম্রতা দেখায় ।ছোটো বাচ্চা আদি সকলে গিয়েপায়ে পড়ে। এখানে বাবা বলেন তোমাদের পায়ে পরা থেকেও ছাড়িয়ে দিই । বাবা কত মহান ।বলেন তোমরা বাচ্চারা আমার সহযোগী হও । তোমরা সহযোগী না হলে আমি স্বর্গের স্থাপনা কি করে করতাম ।বাবা বোঝাচ্ছেন, এখন তোমরা সহযোগী হও আর আমি তোমাদের এমন বানাবো যাতে তোমাদের কারও সহযোগিতা নেওয়ার দরকারই পরবে না ।তোমাদের কারও রায় নেওয়ারও দরকার পরবে না । এখানে বাবা বাচ্চাদের সহযোগিতা নিচ্ছেন । বলেন বাচ্চারা ,এখন ছি-ছি হয়ো না। মায়ার থেকে হেরে যেও না । তাহলে নাম বদনাম হয়ে যাবে।বক্সিং হলে ওখানে যখন কেউ জেতে তো বাহা-বাহা হয়ে যায় ।হার খেলে তার মুখ হলুদ হয়ে যায় ।এখানেও হার খায়।এখানে হেরে গেলে বলা হয়-- মুখ কালো করে দিয়েছে । এসেছে সুন্দর হওয়ার জন্যে আর কি করে দেয় । যা কিছু কামাই ছিল সব শেষ হয়ে যায়, আবার নতুন করে শুরু করতে হয়। বাবার সহযোগী হয়ে আবার হেরে গেলে নাম বদনাম করে দেয় । দুটি পার্টি রয়েছে -- এক হল মায়ার মুরিদ(দাস), আর অপরটি হল ঈশ্বরের ।তোমরা বাবাকে ভালোবাসো ।গায়নও আছে বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি ।তোমাদের আছে প্রীত বুদ্ধি ।তো তোমাদের নাম বদনাম থোড়াই করবে । তোমরা প্রীত বুদ্ধি তো মায়ার কাছে হেরে যাচ্ছ কেন । হেরে গেলে দুঃখ হয় ।জিতলে তালি বাজিয়ে বাহা- বাহা করে । তোমরা বাচ্চারা বোঝো যে আমরা হলাম পালোয়ান । এখন মায়ার উপর জয় তো অবশ্যই পেতে হবে ।বাবা বলেন, দেহসহিত যা কিছু দেখছ, ওই সব কিছু ভুলে যাও ।মামেকম স্মরণ করো । মায়া তোমাদের সতোপ্রধাণ থেকে তমোপ্রধাণ বানিয়ে দিয়েছে ।এখন আবার সতোপ্রধাণ হতে হবে ।মায়াকে জিতে জগৎ জিত হতে হবে ।এটা আছেই হার আর জিতের, সুখদুঃখের খেলা ।রাবণ রাজ্যে পরাজিত হয় । আবার বাবা মূল্যবান বানান । বাবা বুঝিয়েছেন এক শিববাবার জয়ন্তীই মূল্যবাণ হয়। এখন তোমাদের বাচ্চাদের এরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে হবে ।ওখানে ঘরে, ঘরে দ্বীপমালা থাকে, সবার জ্যোতি জাগ্রত হয় ।আসল শক্তির দ্বারা জ্যোতি জাগে । বাবা কত সহজ ভাবে বোঝান ।বাবা ছাড়া মিষ্টি, মিষ্টি সিকিলধে বাচ্চা কে বলবে । রূহানী বাবাই বলেন- হে আমার মিষ্টি লাডলে বাচ্চারা, তোমরা আধাকল্প থেকে ভক্তি করে এসেছো । ফেরত একজনও যেতে পারে না । বাবা-ই এসে সবাইকে নিয়ে যান । তোমরা সঙ্গমযুগের উপর ভালমতো বোঝাতে পারো । বাবা কিভাবে এসে সব আত্মাদের নিয়ে যান ।দুনিয়াতে এই বেহদের নাটককে কারও জানা নেই, এটা বেহদের নাটক। এটাও তোমরা বোঝো, আর কেউ বলতে পারে না ।যদি বলে বেহদের নাটক, তাহলে নাটকের বর্ণনা কি করে করবে। এখানে তোমরা ৮৪ র চক্রকে জানো ।তোমরা বাচ্চারা জেনেছো, তোমাদেরই স্মরণ করতে হবে ।বাপ কত সহজভাবে বলেন। ভক্তিমার্গে তোমরা কতো ধাক্কা খাও । তোমরা কত দূরে স্নান করতে যাও ।একটা সরোবর আছে বলে ওখানে ডুব দিলে পরী হয়ে যায় । এখন তোমরা জ্ঞান সাগরে ডুব দিয়ে পরীজাদা হয়ে যাও । কেউ ভালো ফ্যাশন করে তো বলে যে এ তো যেন পরী হয়ে গেছে । এখন তোমরাও রত্ন হয়ে যাও । উড়বার জন্য মানুষের ডানা ইত্যাদি হতে পারে না । এমনি উড়তে পারে না ।উড়তে পারে আত্মারা ।আত্মা যাকে রকেটও বলা হয়, আত্মা কতো ছোটো হয় ।যখন সব আত্মারা যাবে তখন তোমাদের বাচ্চাদের সাক্ষাৎকারও হতে পারে ।বুদ্ধির দ্বারা বুঝতে পারো-এখানে তোমরা বর্ণন করতে পারো,হতে পারে যেরকম বিনাশ দেখা যায় সেরকম আত্মার পালও দেখতে পাবে যে কি করে যায় ।হনুমান, গণেশ ইত্যাদি তো নেই । কিন্তু ওদের ভাবনা অনুসার সাক্ষাৎকার হয়ে যায় ।বাবা তো হলেনই বিন্দু, ওনার কি বর্ণন করবে । বলাও হয়ে থাকে ছোট তারা যাকে এই চক্ষুদ্বারা দেখা যাবে না ।শরীর কতো বড়, যার দ্বারা কর্ম করতে হবে । আত্মা কত ছোটো তাতে ৮৪ র চক্র অন্তর্ভুক্ত আছে । একজন মানুষও এরকম হবেন না যার এটা বুদ্ধিতে হবে যে আমরা ৮৪ জন্ম কি করে নিই । আত্মাতে কিরকম পার্ট ভরা আছে । আশ্চর্য ব্যাপার ।আত্মাই শরীর নিয়ে পার্ট প্লে করে ।ওটা হয় হদের নাটক আর এটা বেহদের ।বেহদের বাবা নিজেই এসে নিজের পরিচয় দেন ।যারা ভালো সেবাধারী বাচ্চা, তারা বিচার সাগর মন্থন করতে থাকে ।কাকে কি ভাবে বোঝাই ।কতো তোমরা এক একজনের জন্য মাথা খাটাও ।তবুও বলে বাবা আমরা বুঝিই না । কেউ না পড়লে তো বলা হয় যে এ একদম মোটা বুদ্ধির। তোমরা দেখো এখানেও কেউ ৭ দিনেই খুব খুশীতে এসে বলে- বাবার কাছে চলো । কেউ তো কিছুই বোঝে না ।মানুষ শুধু বলে দেয় মোটাবুদ্ধি, জ্ঞানীবুদ্ধি কিন্তু অর্থ জানে না । আত্মা পবিত্র হলে পারশনাথ হয়ে যায় ।পারশনাথের মন্দিরও আছে ।পুরোটা সোনার মন্দির হয় না । উপরে অল্প সোনা লাগিয়ে দেয় । তোমরা বাচ্চারা জানো আমারা বাগবানকে(মালি)পেয়েছি, কাঁটা থেকে ফুল হওয়ার যিনি যুক্তি দিচ্ছেন ।গায়নও আছে গার্ডেন অফ আল্লাহ । তোমাদের কাছে অনেক আগে একজন মুসলমান ধ্যানে যেতো-বলতো খুদা আমাকে ফুল দিয়েছেন ।দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে যেতো, খুদার বাগান দেখতো ।এখন খুদার বাগান দেখানো বালাতো নিজে খুদাই হবেন ।আর কেউ কি করে দেখাবেন ।তোমাদের বৈকুণ্ঠের সাক্ষাৎকার করাণ। খুদাই নিয়ে যান ।নিজেতো উনি থাকেন না ।খুদাতো শান্তিধামে থাকেন । তোমাদের বৈকুণ্ঠের মালিক বানান ।কত ভালো, ভালো কথা তোমরা বোঝাও । খুশী হয় । অন্তরে অনেক খুশী হতে হবে-এখন আমরা সুখধামে যাচ্ছি ।ওখানে দুঃখের কথা হয় না ।বাবা বলেন সুখধাম, দুখধামকে স্মরণ করো ।ঘরকে কেনো স্মরণ- করবে না ।আত্মা ঘরে যাওয়ার জন্যে কতো মাথা খাটায় ।জপ, তপ আদি কত মেহনত করে কিন্তু কেউ জেতে পারে না ।ঝাড় থেকে ক্রমনুসার আত্মারা আসতেইথাকে আবার মাঝে ফিরে কি করে যেতে পারে ।যখন বাপই এখানে আছেন । তোমাদের বাচ্চাদের রোজ বোঝাতে থাকেন- শান্তি আর সুখধামকে স্মরণ করো । বাবাকে ভোলার কারনেই আবার দুঃখী হয় । মায়ার মোচড় লেগে যায় । এখনতো একটুও মোচড় খাবার নয় ।মুল হোলো দেহ-অভিমান । তুমি এখনও পর্যন্ত যে বাবাকে স্মরণ করছিলে- হে পতিত পাবন এসো , ওই - বাপের কাছে এখন পড়ছো ।তোমাদের বাধ্য ভৃত্য, শিক্ষকও আছেন ।বাধ্য ভৃত্য বাবাও আছেন ।বড় লোক নিচে অবশ্যই লেখেন বাধ্য ভৃত্য ।বাবা বলেন আমি তোমাদের বাচ্চাদের দেখো কিভাবে বসে বোঝাই ।সপুত বাচ্চাদের উপরই বাবার ভালবাসা জন্মায়, যে কপুত হয় অর্থাৎ বাবার হয়ে তারপর শত্রু হয়ে যায়, বিকারে চলে যায় তো বাবা বলেন এরকম বাচ্চা না জন্মালেই ভালো হতো।এক জনের জন্যে কতো নাম বদনাম হয়ে যায় ।কত জনের অসুবিধা হয় ।এখানে তুমি কত উঁচু কাজ করছো। বিশ্বের উদ্ধার করছো আর তোমরা তিন পা পৃথিবীরও পাচ্ছ না। তোমরা বাচ্চারা কাউকে তো বাড়ি ঘর তো ছাড়াও না। তোমরা তো রাজাদেরও বলো- তুমি পূজ্য ডবল মুকুটধারী ছিলে, এখন পূজারী হয়ে গেছো । এখন বাবা আবার পূজ্য - বানাচ্ছেন তো তা হবার দরকার আছে ।দেরি থোড়াই আছে ।আমরা এখানে কারুর

    লাখ নিয়ে কি করবো । গরীবদের রাজত্ব পাবার আছে ।বাবা হলেন গরীব নিবাজ। তোমরা অর্থ সহিত বোঝো যে বাবাকে গরীব নিবাজ কেন বলা হয় !ভারতও কতো গরীব, তোমরা হলে গরীব মা ।যে সাহুকারী করবে সে এই জ্ঞানকে বুঝতে পারবে  না ।গরীব অবলারা কত আসেন, ওনাদের উপর অত্যাচার হয় ।বাবা বলেন মাতাদের আগে এগোতে হবে ।প্রভাত  ফেরিতেও প্রথমে মাতা-রা থাকবে ।ব্যাজও তোমাদের ফাস্টক্লাস আছে । এই ট্রান্সলাইটের চিত্র তোমাদের আগে আছে ।সবাইকে শোনাও দুনিয়া বদলাচ্ছে ।বাবার থেকে বর্সা পাওয়া যাচ্ছে আগের কল্পের মতো । বাচ্চাদের বিচার সাগর  মন্থন করতে হবে-কি করে সেবাকে আমলে আনা যায় । সময় তো লাগেই। আচ্ছা !

    মিষ্টি, মিষ্টি সিকিলধে বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার ইয়াদ পেয়ার আর গুডমর্নিং।রূহানী বাপের রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার ।

    ধারনার জন্য মুখ্য সার ঃ-

    ১) বাবার সঙ্গে  পুরো, পুরো প্রীত রেখে সহযোগী হতে হবে ।মায়ার কাছে হেরে গিয়ে কখনো নাম বদনাম করবে না ।পুরুষার্থ করে দেহসহিত যা কিছু দেখা যাচ্ছে তাকে ভুলে যেতে হবে ।

    ২) অন্তরে খুশী  থাকুক যে আমি এখন শান্তিধাম সুখধামে যাচ্ছি ।বাবা ওবিডিয়েন্ট শিক্ষক হয়ে আমাদের ঘরে নিয়ে যাওয়ার লায়ক  বানান । লায়ক, সপুত (সুপুত্র) হতে হবে, কপুত নয় ।

    বরদান ঃ-- 

    সেবা দ্বারা যোগযুক্ত স্থিতির অনুভবকারী রূহানী সেবাধারী ভব।

    ব্রাহ্মণ জীবন  সেবার জীবন ।মায়ার থেকে জীবিত রাখার শ্রেষ্ঠ সাধন হল সেবা । সেবা যোগযুক্ত বানায় কিন্তু কেবল মুখের সেবা নয় ,  শোনা হয়েছে এমন মধুর বোলের স্বরূপ হয়ে সেবা করা ,নিঃস্বার্থ সেবা করা, ত্যাগ তপস্যা স্বরূপ দ্বারা সেবা করা ,  হদের কামনা থেকে নিবৃত্ত হয়ে নিষ্কাম সেবা করা -- একে বলা হয় ঈশ্বরীয় বা রূহানী সেবা ।মুখের সাথে মনের দ্বারা   সেবা করা অর্থাৎ মন্মনাভাব স্থিতিতে স্থিত হওয়া ।

    শ্লোগান ঃ-- 

    আকৃতিকে না দেখে নিরাকার বাপকে দেখলে আকর্ষণ প্রতিমূর্তি হয়ে যাবে ।


    ***OM SHANTI***