BK Murli 31 October 2015 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    Brahma Kumaris Murli In Bengali 31 October 2015



    ৩১-১০-১৫ প্রাতঃমুরলী ওম শান্তি “বাপদাদা" মধুবন 

    “মীঠে বাচ্চে:- সকাল-সকাল উঠে বাবার সাথে মিস্টি-মিস্টি কথা বলো,বিচার সাগর মন্থনের জন্য সকালের সময় হল খুব ভালো “

    প্রশ্ন:-- ভক্তরাও ভগবানকে সর্বশক্তিমান বলে আর তোমরা বাচ্চারাও,কিন্তু দুটোতে তফাত কি আছে ?

    উত্তর:-- ওরা বলেন ভগবান যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন | সব কিছু তার হাতে | কিন্তু তোমরা জানো বাবা বলেছেন যে আমিও ড্রামার বন্ধনে বেঁধে রয়েছি | ড্রামা হল সর্বশক্তিমান | বাবাকে সর্বশক্তিমান এই জন্য বলা হয় যে তাঁর কাছে সকলকে সদগতি দেওয়ার শক্তি আছে | এমন রাজ্য স্থাপনা করেন যেটাকে কেউ আর কেঁড়ে নিতে পারবে না | 

    ওম শান্তি ! কে বললেন ? বাবা বলেছেন | ওম্ শান্তি- এইটা কে বললো? দাদা বললেন | এখন তোমরা বাচ্চারা এইটা চিনতে পেরেছো | উঁচু থেকে উঁচুর মহিমা অনেক বড় | বলেন যে সর্বশক্তিমান উনি কি না করতে পারেন | এবার এই ভক্তি মার্গের লোকেরা তো সর্বশক্তিমানের মানে তো অনেক বড় করে বুঝতে থাকে | বাবা বলেন ড্রামা অনুসার সব কিছুই হতে থাকে,আমি কিছুই করি না | আমি ও ড্রামার বাঁধনে বেঁধে রয়েছি | শুধু তোমরা বাবাকে ইয়াদ(স্মরণ) করে সর্বশক্তিমান হয়ে যাও |পবিত্র হয়ে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাও | বাবা হলেন সর্বশক্তিমান, ওনাকে শেখাতে হয় | বাচ্চে আমাকে ইয়াদ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে,তারপর সর্বশক্তিমান হয়ে সমগ্র বিশ্বে রাজ্য করবে | শক্তি যদি না থাকে তাহলে রাজত্ব করবে কি ভাবে | শক্তি পাওয়া যায় যোগের দ্বারা,তাই প্রাচীন ভারতের যোগের এত প্রশংসা | তোমরা বাচ্চারা নম্বর অনুসারে ইয়াদ করে আরও আনন্দ পেতে থাকো | তোমরা জানো যে আমরা আত্মারা বাবাকে ইয়াদ করে সমগ্র বিশ্বে রাজ্য করতে পারবো | কারণ কারওশক্তি নেই যে কেঁড়ে নিতে পারে | উঁচু থেকে উঁচু বাবার মহিমা সবাই করেন কিন্তু কিছুই বুঝতে পারেন না | একটাও মানুষ নেই যে এটা ভাবতে পারে যে এই সব হল নাটক | যদি বোঝো যে এটা হল নাটক তাহলে আদি থেকে শেষ পর্যন্ত সব কিছু স্মরণ থাকা উচিত | নইলে নাটক বলাটাই ভুল হয়ে যাবে | বলতে থাকে যে এইটা সব নাটক ,আমরা পার্ট প্লে করতে এসেছি | তাহলে ওই নাটকের আদি-মধ্য-অন্ত টাকেও জানা উচিত তো | এইটাও বলতে থাকেন যে আমরা ওপর থেকে আসি তবেই তো বৃদ্ধি হতে থাকে | সত্যযুগে তো ছিল অল্প মানুষ | এত সব আত্মারা কোথা থেকে এল, এটা কেউ বোঝে না | এইটা অনাদি ড্রামা আগে থেকেই হয়ে রয়েছে | যেটা আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত রিপিট (repeat) হতে থাকে ,তুমি সিনেমা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখো আবার সেইটাকেই repeat করে দেখলে বুঝতে পারবে যে চক্র ঠিক সেই ভাবেই repeat হবে | একটুও তফাৎ হবে না | 
    বাবা মীঠে-মীঠে বাচ্চাদেরকে কি ভাবে বসে বোঝাতে থাকেন | বাবা হলেন কত মিষ্টি | বাবা আপনি কত মিষ্টি | বাবা, এবার আমরা চলি নিজে সুখধামে | এখন এটা বুঝতে পেরেছি যে আত্মা যখন পবিত্র হয়ে যাবে তো সেইখানে দুধও পবিত্র হয়ে যাবে |শ্রেষ্ঠচারী মা-এরা খুবই মিষ্টি হন, সময় মতো বাচ্চাদের নিজেই দুধ খাইয়ে দেন | বাচ্চাদের কাঁদবার কোনো দরকারই হয় না | এমনি-এমনি এইটাও বিচার সাগর মন্থন করতে হয় | সকালে বাবার সাথে কথা বলতে খুব মজা লাগে | বাবা আপনি কত ভালো যুক্তি বলেন, শ্রেষ্ঠাচারী রাজ্য স্থাপনা করবার | তারপর আবার আমরা শ্রেষ্ঠচারী মা দের কোলে যাবো | অনেক বার আমরা সেই নতুন সৃষ্টিতে গিয়েছি | এখন আমাদের আনন্দের দিন আসছে | এটা হল খুশির খুরাক(dose),এই জন্য গানও আছে যে অতিন্দ্রীয় সুখ কি যদি জাতে চাও তাহলে গোপ-গোপীদের জিজ্ঞাসা করো | এখন আমরা বেহদের বাবাকে পেয়েছি | আমাদের আবার তিনি স্বর্গের মালিক শ্রেষ্ঠাচারী বানাচ্ছেন | কল্প-কল্প আমরা নিজের রাজ্য ভাগ্য নিতে থাকি | হেরেও যাই আবার জিতেও থাকি | এখন বাবাকে স্মরণ করেই রাবণের উপর বিজয় পেতে হবে,তারপর আমরা পাবন হয়ে যাবো | সেইখানে লড়াই ইত্যাদির কোনো ব্যাপার নেই, কোনো খরচা নেই | ভক্তি-মার্গে জন্ম-জন্মান্তর কত খরচা করলে,কত ধাক্কা খেলে,কত গুরু করলে | এবার আমরা অর্ধেক কল্প আর কোনো গুরু করব না |শান্তিধাম সুখধাম যেতে হবে | বাবা বলেন যে তোমরা সুখধামের পথিক | এখন দুঃখধাম থেকে সুখধামে যেতে হবে | বাহ আমাদের বাবা,কি সুন্দর করে আমাদের পড়াচ্ছেন | আমাদের ইয়াদগার ও এইখানেই আছে | এইটা তো খুবই আশ্চর্য এর কথা |এই দিলবাড়া মন্দিরের অপরমপার মহিমা আছে | এখন আমরা রাজযোগ শিখছি | সেটার ইয়াদগার তো নিশ্চই হবে তো | এইটা হুবহু আমদের ইয়াদগার | বাবা,মাম্মা আর বাচ্চারা বসে আছেন | নিচে যোগ শিখছেন, উপরে স্বর্গের রাজত্ব রয়েছে | ঝাড়ে কত ক্লিয়ার আছে | বাবা কেমন সাক্ষাত্কার করিয়েছেন,তারপর বসে চিত্রও তৈরী করিয়েছেন | বাবা ই সাক্ষাত্কার করিয়েছেন আবার কারেক্ট ও করিয়েছেন | কত আশ্চর্য আছে | সব কিছু নতুন নলেজ |কেউই এই নলেজ টা তো আর জানেন না | বাবাই বসে এই জ্ঞান টা বোঝান,মানুষে কত তমোপ্রধান হয়ে যেতে থাকে | মানুষের সৃষ্টি বৃদ্ধি হতে থাকে | ভক্তিও বৃদ্ধি পেতে-পেতে তমোপ্রধান হয়ে যেতে থাকে | এখানে এবার তোমরা সতপ্রধান হবার চেষ্টা করছ | গীতা তেও অক্ষর আছে মন্মনাভব | সুধু এইটা জানেন না যে ভগবান কে | এখন তোমাদের বাচ্চাদেরকে সকাল-সকাল উঠে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে,কি মানুষদের ভগবানের পরিচয় টা কি করে দি | ভক্তিতেও মানুষে সকাল-সকাল উঠে ঘরে বসে ভগবান কে স্মরণ করেন | সেইটাও বিচার সাগর মন্থন হলো তো | এখন তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়্ছো | বাবা ও তৃতীয় নেত্রের কথা বলেন | এইটাকেই তিজরী র গল্প বলা হয়েছে | তিজরীর গল্প, অমরকথা সত্যনারায়ান এর কথা ও প্রসিদ্ধ আছে | যিনি শোনান তিনি কেবল বাবা, সেইটাকেই ভক্তিতেও বলে দেব হয়েছে | জ্ঞান দিয়ে তোমরা বাচ্চারা সাইলেন্ট হতে থাক, এই জন্য দেবতাদের পদ্মপতি বলা হয়েছে | দেবতারা হন প্রচুর ধনবান আর পদমপতি | কলিযুগটাকেও দেখো ,সত্যযুগটাকেও দেখো, রাত-দিনের তফাৎ আছে | সমগ্র দুনিয়ার শেষ হতে তো সময় তো লাগবে | এইটা হলো বেহদের দুনিয়া,ভারত হলো অবিনাশী খন্ড | এইটা সম্পূর্ন ভাবে বিলুপ্ত হয় না | একটাই খন্ড থাকে - অধ্যেক কল্প | তারপর আরও খন্ড emerge হবে নম্বর অনুসারে | তোমরা বাচ্চারা কত জ্ঞান পেয়্ছো | বলবে-দুনিয়ার ইতিহাস-ভূগোল কি করে চক্র লাগায়ে - এসে বোঝো | প্রাচীন ঋষি-মুনিদের কত মান আছে,কিন্তু তারাও সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানেন না | ওনারা হলেন হঠযোগী | হেন বাকি তো ওনাদের মধ্যে পবিত্রতার শক্তি আছে তাই দিয়ে ধরে রাখেন ভারত কে | নইলে ভারতের না জানি কি হত | বাড়ি তে পচি আদি লাগানো হয়ে -তালে সুন্দর লাগে | ভারত ই আগে মহান পবিত্র ছিল এখন আবার পতিত হয়েছে | সেইখানে তোমাদের সুখ ও অনেক সময় পর্যন্ত সাথে থাকে |তোমার কাছে অনেক সম্পত্তি থাকে | তোমরা ভারতেই থাকতে | তোমাদের রাজ্য ছিল সেইটা গত কালের কথা | তারপর পরে অন্য ধর্ম এলো | তারা এসে কিছু ঠিক করে নিজের নাম উঁচু করেছেন | এখন ওরা সবাই ও তমোপ্রধান হয়ে গিয়েছেন | এখন তোমরা বাচ্চাদেরকে কত খুশি হবা দরকার | এই সব কথা নতুন কাউকে শোনাবে না | প্রথম-প্রথম বাবার পরিচয় দিতে হবে | বাবার নাম,রূপ,দেশ , কাল কি জানো ? উঁচু থেকে উঁচু বাবার পার্ট প্রসিদ্ধ হয়ে থাকে তো | এখন তোমরা জানো - সেই বাবাই আমাদের কে ডাইরেকশন দিচ্ছেন | তুমি আবার থেকে নিজের রাজধানী স্থাপন করছ | তোমরা বাচ্চারাই বাবার মদদগার | তোমরাই পবিত্র হচ্ছো | তোমাদের জন্য পবিত্র দুনিয়া নিশ্চই স্থাপনা হবে | তুমি এইটা লিখতে পার যে পুরোনো দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে | তারপর এই সূর্যবংশী-চন্দ্রবংশী রাজ্য হবে | তারপর রাবণ রাজ্য হবে | ছবি গুলো দিয়ে বোঝানো খুবই সহজ তার মধ্যে তিথি-তারিখ সব লেখা থাকে | ভারতের প্রাচীন রাজযোগ মানে ইয়াদ (স্মরণ) | ইয়াদ দিয়েই বিকর্ম বিনাশ হয়ে আর পড়া করলে স্টেটাস পাওয়া যায় | দৈবীয় গুণ ধারণ করতে হবে | হ্যাঁ এমন তো হবেই যে মায়ার ঝড় তো নিশ্চই আসবে | সকালে উঠে বাবার সাথে কথা বলাটা খুব ভালো | ভক্তি আর জ্ঞান দুটোর জন্যই এই সময় টা একদম উপযুক্ত | মিস্টি-মিস্টি কথা বলা উচিত | এখন আমরা শ্রেষ্ঠচারী দুনিয়া তে যাবো | বুড়োদের মনে এইটা থাকে যে আমরা দেহ টাকে ছেড়ে আবার গর্ভে যাবো | বাবা কত নেশা চড়ান | এমনি-এমনি কথা বসে বলতে থাক তালেও তোমার অনেক জমা হবে | শিববাবা আমাদের নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী বানাচ্ছেন | প্রথম-প্রথম আমরা আসি,সব অলরাউন্ড পার্ট আমরাই প্লে করি | এখন বাবা বলেন যে এই ছিঃ-ছিঃ দেহের খোলসটা এবার ছেড়ে দাউ | দেহের সাথে সব দুনিয়া কে ভুলে যাও | এইটা হলো বেহদের সন্যাস | সেইখানেও তোমার বার্ধক্য আসবে তো সাক্ষাত্কার হবে-- আমার আবার শৈশব আসছে তখন খুশি হয় | ছোটোবেলা তো সবারই ভালো লাগে | এমন ভাবে সকালে বসে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে | পয়েন্টস্ বের হলে তোমরা খুশি হবে | খুশিতে ঘন্টা দেড় ঘন্টা পার হয়ে যায় | যত প্রাকটিসে করতে থাকবে তত আনন্দ বাড়তে থাকবে | খুব মজা পাবে,ঘুরতে-ফিরতে ইয়াদ করতে হবে | অনেক খালি সময় আছে , হ্যাঁ বিঘ্ন তো আসবেই ,তাতে কোনো সন্দেহ নেই | ধাঁধা ইত্যাদিতে মানুষদের ঘুম আসে না | অলসরা ঘুমোতে থাকবে | তোমরা যতটা পারো শিববাবাকে ইয়াদ করতে থাকো | তোমাদের বুদ্ধিতে থাকে যে শিববাবার জন্য রান্না করছি | শিববাবার জন্য এইটা করছি | খাবারও শুদ্ধ করে বানাতে হবে | এমন জিনিস না থাকে যাতে অশান্তি হয় |বাবা(ব্রহ্মা) নিজেও ইয়াদ করেন। আচ্ছা !

    মীঠে-মীঠে সিকিলাধি বাচ্চাদের প্রতি মাত-পিতা,বাপদাদার ইয়াদ পেয়ার আর গুড-মর্নিং | রুহানি বাবার রুহানি বাচ্চাদেরকে নমস্কার |

    ধারণার জন্য মুখ্য সার :--

    ১. সকাল-সকাল উঠে বাবার সাথে মিস্টি-মিস্টি কথা বলতে হবে | প্রতিদিন আনন্দের খুরাক (dose ) নিয়ে অতিন্দ্রীয় সুখের অনুভব করতে হবে |

    ২. সত্যযুগী রাজধানী স্থাপন করবার জন্য বাবার পুরো-পুরো মদদগার হয়ে পবিত্র হতে হবে | ইয়াদ দিয়ে বিকর্ম বিনাশ করতে হবে, রান্নাও শুদ্ধ হয়ে বানাতে হবে | 

    বরদান :-- শান্তির দূত হয়ে সকলকে শান্তির ম্যাসেজ দিতে পারার মতন মাস্টার শান্তি, শক্তিদাতা ভব | 

    আপনারা বাচ্চারা হলেন শান্তির ম্যাসেঞ্জার, শান্তিদূত | যে কোনো জায়গায় থেকেও নিজেকে শান্তির দূত ভেবে চলতে থাকো | আমি হলাম শান্তির দূত, শান্তির ম্যাসেজ দিতে হবে আমাকে , এই ভাবে নিজেও শান্তিস্বরূপ শক্তিশালী থাকবে আর অন্যদেরকেও শান্তি দিতে থাকবে | তারা অশান্তি দিক ,আপনি শান্তি দিন | তারা আগুন লাগাক, আপনারা জল ঢালুন | এটাই শান্তির ম্যাসেঞ্জার,মাস্টার শান্তি , শক্তিদাতা বাচ্চাদের কর্তব্য | 

    শ্লোগান :-- যেমন আওয়াজে আসা তোমাদের সহজ মনে হয়, ঠিক সেই ভাবে আওয়াজ থেকে দূরে সরে যাওয়াটাই সহজ হোক |



    ***Om Shanti****