BK Murli 30 November 2015 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 30 November 2015 In Bengali

    ৩০/১১/২০১৫ প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপ-দাদা" মধুবন

    " মিঠে বাচ্চে -- তুমি এখন গডলি সার্ভিসে রয়েছো, তোমাকে সকলকে সুখের রাস্তা দেখাতে হবে, স্কলারশিপ নেওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে।

    প্রশ্ন : -- 

    তোমাদের বাচ্চাদের বুদ্ধিতে যখন জ্ঞানের ভালো ধালণা হয়ে যায় তো কোন্ ভয়টি দূর হয়ে যায় ?

    উত্তর : -- 

    ভক্তিতে যে ভয় থাকে যে গুরু আমাকে অভিশাপ দিয়ে দেবেন, এই ভয় জ্ঞানে আসার ফলে, জ্ঞানের ধারণা করবার ফলে দূর হয়ে যায় । কারণ জ্ঞান মার্গে কেউই অভিশাপ দেয় না । রাবণ অভিশাপ দেয়, বাবা বর্সা দেন। রিদ্ধি-সিদাধি যারা শেখে তারা এমন উৎপাত করবার,দুঃখ দেওয়ার মতো কাজ করে। জ্ঞানে ( মার্গে) তোমরা বাচ্চারা সবাইকে সুখ দিয়ে থাকো।

    ওম্ শান্তি | 

    মিঠে মিঠে রূহানী বাচ্চাদের প্রতি রূহানী বাবা বসে বোঝাচ্ছেন । তোমরা সবাই প্রথমে হলে আত্মা । এতেই পাক্কা নিশ্চয় রাখতে হবে । বাচ্চারা জানে যে আমরা আত্মারা পরমধাম থেকে আসি, এই শরীর নিয়ে পার্ট প্লে করতে। আত্মাই পার্ট প্লে করে। মানুষ তারপরে মনে করে শরীরই পার্ট প্লে করে। এটাই হল সবচেয়ে বড় ভুল । যার কারণে আত্মাকে কেউই জানতে পারে না । এই আবাগমনে (আসা এবং যাওয়ায় ) আমরা আত্মারা আসা-যাওয়া করি -- এই কথাটাই ভুলে যায়, সেইসেইজন্য বাবাকে এসেই আত্ম - অভিমানী বানাতে হয় । এই কথাটিও কেউই জানে না । বাবা-ই বোঝান যে, আত্মা কীভাবে পার্ট প্লে করে। মানুষের ম্যাক্সিমাম ৮৪ জন্ম থেকে মিনিমাম এক বা দুটি জন্ম হয় । আত্মাকে তো পুনর্জন্ম নিতেই হবে। এর থেকে স্পষ্ট হয় যে যে বহুবার জন্ম নেয়, তার বহুবার পুনর্জন্ম হয় । কম বার যে জন্ম নেয়, পুনর্জন্মও তার কম বারই হয় । যেমন নাটকে কারো শুরু থেকে শেষ পর্যন্তই পার্ট থাকে, কারো থাকে অল্প পার্ট। এটা কোনো মানুষই জানে না । আত্মা তো নিজেকেই জানে না, নিজের বাবাকে কি করে জানবে। আত্মারই তো ব্যাপার না! তিনি হলেন আত্মার পিতা । কৃষ্ণ তো আত্মার পিতা নন । কৃষ্ণ তো নিরাকার বলা যাবে না । সাকারেই তাঁকে চেনা যায় । আত্মা তো সকলেরই আছে । প্রত্যেক আত্মার মধ্যেই তো পার্ট ভরা রয়েছে । এটাও তোমাদের মধ্যে পুরুষার্থ অনুসারেই বুঝতে পারবে। এখন তোমরা বাচ্চারা জানছো যে আমরা বাচ্চারা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়েছি। এমন নয় যে, যে আত্মা, সেই হল পরমাত্মা ( আত্মা সো পরমাত্মা )। না, বাবা বুঝিয়েছেন যে -- আমরা আত্মারা প্রথমে সেই দেবতা(সো দেবতা) হই। এখন হলাম পতিত তমোপ্রধান, এরপর সতো প্রধান পবিত্র হতে হবে । বাবা তখনই আসেন যখন সৃষ্টি পুরানো হয়ে যায় । বাবা এসে পুরাতনকে নতুন করেন। নতুন সৃষ্টির স্থাপনা করেন । নতুন দুনিয়াতে আছেই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম। তাদের জন্যই বলবে প্রথমে কলিযুগী শুদ্র ধর্মের মানুষে ছিলে । এখন প্রজাপিতা ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ হয়েছো। ব্রাহ্মণ কুলে আসো। ব্রাহ্মণ কুলের ডিনায়েস্টি( রাজবংশ) হয় না । ব্রাহ্মণ কুল কোনো রাজত্ব করে না, শুদ্র কুল। উভয়েরই কোনো রাজত্ব হয় না । তবুও তাদের প্রজার উপর প্রজার রাজত্ব চলে। তোমাদের ব্রাহ্মণদের কোনো রাজত্ব নেই । তোমরা হলে স্টুডেন্ট, তোমরা পড়ো। বাবা তোমাদেরকেই বোঝান। এই ৮৪ -র চক্র কীভাবে ঘোরে। সত্যযুগ, ত্রেতা.... তারপরে হয় সঙ্গম যুগ। এই সঙ্গম যুগের মতো মহিমা আর কোনো যুগেরই নেই । এটা হল পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ। সত্য যুগ থেকে ত্রেতাতে আসে, দুই কলা কমে যায় তো তার আর কী মহিমা করবে ! পতনের মহিমা কি থোড়াই হয় । কলিযুগকে বলা হয় পুরানো দুনিয়া । এখন নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হবে।, যেখানে রয়েছে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব । তাঁরা ছিলেন পুরুষোত্তম । তারপর কলা কম হতে হতে কনিষ্ঠ, শুদ্র বুদ্ধির হয়ে যায় । তাদের পাথরের মতো বুদ্ধিও বলা যায় । এমন পাথরের বুদ্ধির হয়ে যায় যে, তারা যে যাদের পূজা করে তাদের জীবন কাহিনীটাও তারা জানে না । বাচ্চা যদি বাবাকেই না জানতে পারে তাহলে বর্সা অর্থাৎ সম্পদ কীভাবে পাবে। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবার জীবনকে জানো। তাঁর কাছ থেকেই তোমরা বর্সা পাচ্ছো। বেহদের বাবাকে ইয়াদ অর্থাৎ স্মরণ করে থাকো। তুমি মাত- পিতা ....যখন বলো তখন নিশ্চয়ই বাবা এসে থাকবেন তবেই তো গভীর সুখ দিয়েছেন,। বাবা বলেন -- আমি এসেছি, অগাধ সুখ তোমাদের বাচ্চাদেরকে দিই। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এই নলেজ যেন খুব ভালো ভাবে থাকা চাই । সেইজন্য তোমরা স্বদর্শন চক্রধারীতে পরিণত হত। তুমি এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র লাভ করেছো। তোমরা জানো যে আমরা-- আমিই সেই দেবতা( হাম সো দেবতা) হব। এখন শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছি। কলিযুগী ব্রাহ্মণ তো রয়েছেই। সেই ব্রাহ্মণরা জানে না যে আমাদের ধর্ম এবং কুল কখন স্থাপিত হয়েছিল, কেননা তাবা হলই কলিযুগী । তোমরা এখন ডাইরেক্ট প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হয়েছো এবং সবথেকে উচ্চ কোটির। বাবা তোমাদের পড়ার সার্ভিস, তোমাদেরকে সামলানোর সার্ভিস এবং শৃঙ্গার করবার সার্ভিস করেন। তোমরাও হলে ওয়ান গডলি সার্ভিস ওনলি। গড ফাদারও বলেন -- আমি তো এসেছিই সব বাচ্চাদের সার্ভিসের জন্যই । বাচ্চাদেরকে সুখের রাস্তা দেখাই। বাবা বলেন এখন ঘরে চলো। মানুষ ভক্তিও করে মুক্তির জন্য। নিশ্চয়ই জীবনে বাঁধন আছে | বাবা এসে এই দুঃখ থেকে মুক্ত করেন | তোমরা বাচ্চারা জানো যে ত্রাহি-ত্রাহি করবে | হাহাকারের পর জয়জয়কারও হবে | এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে - কত হায়-হায় করবে, যখন ন্যাচারাল ক্যলামিটিস ইত্যাদি হবে | ইওরোপবাসী যাদবরাও আছেন , বাবা বুঝিয়েছেন -ইওরোপবাসীদের যাদব বলা হয় | দেখাতে থাকে যে পেট থেকে মুশল বের হলো , তার পর অভিশাপ দিল | এখন শাপ ইত্যাদির তো কোনো কথা নেই | এটা তো ড্রামা | বাবা তো আশির্বাদই দেন , রাবণ শাপ দেয় | এটা একটা খেলা হয়ে রয়েছে,বাকি শাপ ইত্যাদি যারা দেন তারা অন্য মানুষ | সেই শাপকে নামাবার লোকও থাকেন | গুরু গোসাই এদের কাছেও মানুষ যেতে ভয় পায় যে যদি কোনো শাপ না দিয়ে দেন | আসলে জ্ঞান মার্গে কেউ অভিশাপ দিতেই পারে না | জ্ঞান মার্গ আর ভক্তি মার্গে শাপ ইত্যাদির কোনো কথাই নেই | যারা রিদ্ধি - সিদ্ধি ইত্যাদি শেখেন তারা শাপ দিতে থাকেন, মানুষকে প্রচুর দুঃখ দিতে থাকেন, টাকাও কামাতে থাকেন | ভক্তরা এই কাজ করেন না |

    বাবা এইটাও বুঝিয়েয়্ছেন - সঙ্গমের সাথে পুরুষোত্তম শব্দটা নিশ্চই করে লিখো | ত্রিমূর্তি শব্দটাকেও লিখতে হবে আর প্রজাপিতা শব্দটা কে লিখতে হবে , কেননা ব্রহ্মা নামও অনেকেরই আছে | প্রজাপিতা লিখবে তাহলে বুঝবে যে সাকারে আছেন প্রজাপিতা | শুধু ব্রহ্মা লিখলে সূক্ষ্মবতনকে বুঝে নেয় | ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শংকরকে ভগবান বলে দেয় |প্রজাপিতা বললে বোঝাতে পারবে যে - প্রজাপিতা তো এইখানে আছেন | সূক্ষ্মবতনে কি করে হতে পারে | বিষ্ণুকে দেখানো হয়যে ব্রহ্মার নাভি দিয়ে বের হল | তোমরা বাচ্চারাও জ্ঞান পেয়্ছো | নাভি ইত্যাদির তো কোনো কথাই নেই | ব্রহ্মা সো বিষ্ণু, বিষ্ণু সো ব্রহ্মা কি করে হন | সমগ্র চক্রের জ্ঞান তোমরা এই চিত্রও গুলি দিয়ে বোঝাতে পারো | চিত্রও ছাড়া বোঝাতে গেলে পরিশ্রম লাগে | ব্রহ্মা সো বিষ্ণু, বিষ্ণু সো ব্রহ্মা তৈরী হন | লক্ষী-নারায়ণ ৮৪ এর চক্র লাগিয়ে তারপর ব্রহ্মা-সরস্বতী হন | বাবা প্রথম দিক থেকেই নাম দিয়ে দিয়েছেন , যখন ভাট্টি তৈরী হলো তখন নাম দেবা হলো | তারপর কতজনে চলে গেলেন,এই জন্য বোঝানো হয়েছে যে ব্রাহ্মনদের মালা হয়ে না , কেননা ব্রাহ্মণরা হলেন পুরুষার্থী | কখনো নিচে আবার কখনো উপরে হতে থাকে তাদের অবস্থা | গ্রহচারী বসে যায়ে | বাবা তো ছিলেন জৌহারি | মুক্ত ইত্যাদির মালা কি করে তৈরী হয়ে,অনুভবি ছিলেন | ব্রাহ্মনদের মালা পিছাড়ি(পরে ) তে তৈরী হয়ে | আমরা সেই ব্রাহ্মন দেবীও গুন ধারণ করে দেবতা তরিয় হই | তারপর সিড়ি নাবতে হয়ে | নইলে ৮৪ জন্ম কি করে নেবে | ৮৪ জন্মের হিসাব করে দেখতে পারো |তোমাদের অধ্যেক সময় পেরিয়ে গেলে তবে গিয়ে অন্য ধর্ম গুলো এসে add হয়ে | মালা তৈরী করতে অনেক পরিশ্রম লাগে |অনেক সাবধানে মুক্ত গুলোকে টেবিলে রাখা হয় যাতে নড়তে না পারে | তারপর সূঁচ দিয়ে পড়ানো হয়ে | কোথাও আবার যদি ঠিক না হয় তাহলে আবার ভেঙ্গে ফেলতে হয়ে | এইটা তো অনেক বড় মালা | তোমরা বাচ্চারা জানো-আমরা পড়াশোনা করছি নতুন দুনিয়ার জন্য | বাবা বুঝিয়েয়্ছেন যে শ্লোগান বানাও-আমরা শূদ্র থেকে ব্রাহ্মন , ব্রাহ্মন থেকে দেবতা কি করে তৈরী হচ্ছি, এসে বোঝো | এই চক্র কে জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হবে | স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে | এমনি স্লোগান বানিয়ে বাচ্চাদেরকে সেখানো উচিত | বাবা তো যুক্তি অনেক গুলোই বলেন | বাস্তবে মূল্য তোমাদেরই আছে |তোমাদের কে হিরো-হিরোইন দের পার্ট দেবা হয়ে | হীরের মতন তৈরী হয়ে আবার ৮৪ জন্ম নিয়ে করির মতন হয়ে যাও |এখন যখন হীরের মতন জন্ম পেয়্ছো তাহলে কড়ির পেছনে কেন পড়ছো | এমনিও না যে কোনো রকম ঘর বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে | বাবা তো বলেন যে গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও পদ্য ফুলের মতন পবিত্র থাক,আর সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান প্রাপ্ত করে দৈবীয় গুণ ও ধারণ কর তালে তুমি হীরের মতন হয়ে যাবে | ঠিক সেই ভাবে যেমনি ভারত ৫০০০ বছর আগে হীরের মতন ছিল | এটাই হল-লক্ষ্য-উদেশ্য (aim-object ) | এই চিত্রও (লক্ষী-নারায়ণ )কে অনেক মহত্ব বা গুরুত্ব দিতে হবে | তোমাদের বাচ্চাদেরকে অনেক সার্ভিস করতে হবে প্রদর্শনী আর মুজিউমে | বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস ছাড়া তোমরা প্রজা কি করে তৈরী করবে ? যদিওবা এই উঁচু জ্ঞানকে শোনেন তবুও উঁচু পোস্ট কোনো কোনোই বিরল ব্যক্তিই ( কেউ-কেউ মহান ) পেতে পারেন | ওদের জন্যই বলা হয়ে কোটির মধ্য কেউ এক | স্কলারশিপও কেউ- কেউ নেন তো | এনারাও সেই | প্লাসে অনেক আছে | 8 টি দানা আছে তবুও নম্বর অনুযায়ী আছে তো | ওনারা প্রথম-প্রথম রাজ সিংহাসনে বসবেন | তারপর কলা কম হতে থাকবে,লক্ষী-নারায়ণের চিত্রও হল নম্বর এক | ওদেরও diniesty চলে তো , কিন্তু চিত্রও লক্ষী-নারায়নেরই দেওয়া আছে | এইখানে তুমি জানো যে চিত্রও তো পাল্টাতেই থাকে | চিত্রও   দিয়ে কি লাভ | নাম, রূপ, দেশ,কাল সবই পাল্টে যায় |

    মীঠে-মীঠে রুহানী বাচ্চাদেরকে বসে রুহানী বাবা বোঝাছেন | কল্প আগেও বাবা বুঝিয়েছিলেন | এমন না - যে কৃষ্ণ শুধু গোপ-গোপীদের শুনিয়েছেন | কৃষ্ণের গোপ-গোপী তো হয় না | আর না তাদের জ্ঞান শেখানো হয় | উনি হলেন সতযুগের প্রিন্স | সেইখানে কি করে রাজযোগ শেখাবেন বা পতিতকে পাবন বানাবেন | এখন তুমি নিজের বাবাকে ইয়াদ কর | বাবা আবার হলেন টিচারও | টিচারকে স্টুডেন্ট কখনো ভুলতে পারে না |

    বাবাকে বাচ্চারা ভোলেনা, গুরুকেও ভুলতে পারেনা । বাবাতো জন্ম থেকেই থাকে । টিচার পাঁচ বছর পরে মেলে । তারপর গুরু বানপ্রস্থে মেলে । জন্ম থেকেই গুরু করে কোনো লাভ নেই । গুরুর কোলে এসে পরের দিন মারা যায় । তারপর গুরু কি করেন ? গায়নও আছে সদ্গুরু বিনে গতি নেই । সদ্গুরুকে ছেড়ে তারা আবার গুরু বলে । গুরু তো ঢের আছে । বাবা বলেন - বাচ্চে তোমায় কোনো দেহধারী গুরু করার দরকার নেই , তোমার কারও কাছে কিছু চাইবার নেই । বলাও হয়- চাইবার চেয়ে মরা ভাল । সবার চিন্তা থাকে আমরা কিভাবে নিজেদের পয়সা ট্রান্সফার করি। অন্য জন্মের জন্যে তারা ঈশ্বর অর্থে দান পুন্য করে তো তার শোধ এই পুরনো সৃষ্টিতে অল্পকালের জন্যে প্রাপ্ত হয়। এখানে তোমার ট্রান্সফার হয় নতুন দুনিয়ায় আর ২১ জন্মের জন্যে । তন মন ধন প্রভুর সম্মুখে অর্পণ করতে হবে । সেতো যখন তিনি আসবেন তখন অর্পণ করা হবে তাইনা ! প্রভুকে কেউ জানেনা তাই গুরু কে ধরে । ধন ইত্যাদি গুরুর সম্মুখে অর্পণ করে দেয়। উত্তরাধিকারী না থাকলে সবকিছু গুরুকে দান করে দেয়। আজকাল কায়দা অনুযায়ী ঈশ্বর অর্থে কেউ দান করেনা । বাবা বলেন আমি হলাম গরীব নিবাজ সেইজন্য আসি ভারতে। তোমাকে এসে বিশ্বের মালিক বানাই। ডাইরেক্ট আর ইনডাইরেক্টে কতটা তফাত আছে । তারা কিছুই জানেনা । শুধু বলে দেয় আমরা ঈশ্বর প্রতি অর্পণ করি। এইসব অবুঝ সম কাজ। তোমরা বাচ্চারা এখন বোঝদার হলে তাই তুমি অবুঝ থেকে বোঝদার হয়েছো। বুদ্ধিতে জ্ঞান আছে বাবাতো কামাল করে । নিশ্চয়ই বেহদের বাবার কাছ থেকে বেহদের বর্সা মিলবে । বাবার থেকে তুমি বর্সা নাও কেবল দাদার সাহায্যে । দাদাও ওনার কাছে বর্সা নিচ্ছেন । বর্সা একমাত্র উনি দিতে পারেন । কেবল ওনাকেই স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন বাচ্চে আমি এঁনার অনেক জন্মের অন্তে আসি এঁনার মধ্যে প্রবেশ করে এঁনাকেও পবিত্র করি ফলে উনি ফরিস্তা হয়ে যান। ব্যাজের সম্বন্ধে তুমি অনেক সার্ভিস করতে পারো। তোমার এইসব হলো অর্থ পূর্ণ ব্যাজেস । এই তো জীবন দায়ী চিত্র । এর মূল্য কেউ জানেনা আর বাবাকে সর্বদা বড়ো জিনিস পছন্দ , যাতে কেউও দূর থেকে পড়তে পারে । আচ্ছা !

    মীঠে মীঠে সিকীলাধে বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর সুপ্রভাত । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদেরকে নমস্কার ।

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার:- 

    ১ . বাবার কাছ থেকে বর্সা নিতে ডাইরেক্ট নিজের তন মন ধন ঈশ্বর সম্মুখে অর্পণ করাতেই বুদ্ধিমানের কাজ । নিজের সবকিছু ২১ জন্মের জন্যে ট্রান্সফার করতে হবে । 

    ২ . যেমন বাবা পড়ানোর , সামলানোর আর শৃঙ্গারের সার্ভিস করেন এমন বাবার সমান সার্ভিস করতে হবে । জীবনবন্ধ থেকে সবাইকে বের করে জীবনমুক্তিতে নিয়ে যেতে হবে।

    বরদান :- 

    প্রতিটি কর্ম চরিত্রের রূপে গায়ন যোগ্য বানায় এমন মহান আত্মা ভব।

    মহান আত্মা সে যার প্রতি সঙ্কল্প প্রতি কর্ম মহান হবে । একটি সঙ্কল্পও সাধারণ বা ব্যর্থ হবেনা। কোনো কর্ম সাধারণ বা অর্থহীন হবেনা । কর্মেন্দ্রীয় দ্বারা যা কর্মই হোক অর্থপূর্ণ হোক , সময়ও মহান কার্যে সফল হোক তবে প্রত্যেক চরিত্র গায়ন যোগ্য হবে । মহান আত্মাদেরই স্মৃতিচিন্হ হলো হর্ষিত মুখ , আকর্ষণ মূর্ত আর অব্যক্ত স্বরূপ ।

    শ্লোগান :- 

    মানের ইচ্ছা ছেড়ে স্বমানে টিকে রইলে মান ছায়ার মতন পিছনে আসবে । 

    ***OM SHANTI***