BK Murli 31 December 2015 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 31 December 2015 In Bengali

    31-12-15 প্রাতঃমুরলী ওমশান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    "মীঠে বাচ্চে - যে সঙ্কল্প ঈশ্বরীয় সেবার্থে চলে , সেই সঙ্কল্পকে শুদ্ধ সঙ্কল্প বা নিঃসংকল্পই বলা হবে , ব্যর্থ নয়"

    প্রশ্ন :- 

    বিকর্ম থেকে বাঁচতে কোন্ কর্তব্য পালনের সময়ে অনাসক্ত থাকতে হবে? 

    উত্তর :- 

    মিত্র আত্মীয় স্বজনের সেবা করো কিন্তু অলৌকিক ঈশ্বরীয় দৃষ্টি রেখে করো , তাদের জন্যে মোহ না থাকাই উচিত । যদি কোনো বিকারী সম্বন্ধের প্রতি সঙ্কল্পও চলে তাহলে সেই কর্ম বিকর্মে পরিণত হবে তাই অনাসক্ত হয়ে কর্তব্য পালন করো । যতটা পারো দেহী-অভিমানী থাকার পুরুষার্থ করো।

    ওমশান্তি !

    আজ তোমাদের বাচ্চাদের সঙ্কল্প , বিকল্প , নিঃসংকল্প অথবা কর্ম , অকর্ম আর বিকর্ম সম্বন্ধীয় কথা বোঝান হচ্ছে । যতক্ষণ তুমি এইখানে রয়েছো ততক্ষণ তোমার সঙ্কল্প নিশ্চয়ই চলবে । সঙ্কল্প ধারণ না করে কোনো মানুষ ক্ষণিকের জন্যেও থাকতে পারবে না । এবারে এই সঙ্কল্প বা মনের বিচার বা ভাবনা এখানেও চলবে , সত্যযুগেও চলবে আর অজ্ঞানকালেও চলে কিন্তু জ্ঞানে আসার ফলে সঙ্কল্প , আর সঙ্কল্প থাকে না কেননা তুমি পরমাত্মার সেবা অর্থে নিমিত্ত হয়েছো, যারফলে যজ্ঞের অর্থে যে সঙ্কল্প চলে সেই সঙ্কল্প , সঙ্কল্প নয় সেইসব হল নিঃসংকল্প । বাকি যে সব ফালতু সঙ্কল্প চলে অর্থাৎ কলিযুগী সংসার আর কলিযুগী মিত্র আত্মীয় স্বজনদের প্রতি যে সঙ্কল্প চলে সেইসব হল বিকল্প যার দ্বারা বিকর্ম হয়ে থাকে আর বিকর্ম দ্বারা দুঃখের প্রাপ্তি হয়। বাকি যজ্ঞের প্রতি বা ঈশ্বরীয় সেবা প্রতি যে সঙ্কল্প চলে সেসব তো নিঃসংকল্প হয়ে গেল । শুদ্ধ সঙ্কল্প সার্ভিসের প্রতি যতই চলুক না কেন । দেখো, বাবা এখানে বসে আছেন তোমাদের বাচ্চাদের সামলানোর জন্য । এইরূপে সার্ভিস করার জন্যে মা বাবার সঙ্কল্প নিশ্চয়ই চলে । কিন্তু এই সঙ্কল্প , এমন সঙ্কল্প যা বিকর্ম নয় কিন্তু যদি কারও বিকারী সম্বন্ধের প্রতি সঙ্কল্প চলে তবে তো অবশ্যই বিকর্ম হয়ে যায় । বাবা তোমাদের বাচ্চাদের বলেন যে মিত্র আত্মীয় স্বজনের যতই সার্ভিস করো কিন্তু অলৌকিক ঈশ্বরীয় দৃষ্টি দিয়ে । মোহ অনুভব যেন না হয়। অনাসক্ত হয়ে নিজের কর্তব্য পালন করা উচিত । কিন্তু যারা এখানে থেকে কর্ম সম্বন্ধে লিপ্ত থেকে তাদের সম্পর্ক গুলি কাটিয়ে উঠতে না পারে তবুও পরমাত্মার সঙ্গ ছাড়া উচিত নয়। হাত ধরে থাকলে কিছু না কিছু পদ প্রাপ্ত করেই নেবে । এবারে এটা তো প্রত্যেকে জানেই যে আমার নিজের মধ্যে কি কি বিকার আছে । যদি কারও ভেতরে একটি বিকারও থাকে তবে সে তো দেহ-অভিমানী হল নিশ্চয়ই , যার ভেতরে বিকার নেই সেই হল দেহী-অভিমানী । যার ভেতরে যে বিকার আছে সে সাজা পাবে নিশ্চয়ই আর যে বিকার বিহীন সে হবে সাজা থেকে মুক্ত । যেমন কোনো কোনো বাচ্চা আছে ..... যাদের ভেতরে না আছে কাম , না ক্রোধ , না লোভ, না মোহ ...... তারা সার্ভিস খুব ভাল করতে পারে । এবার তাদের হল অনেক জ্ঞান বিজ্ঞানময় অবস্থা । সে তো তোমরা সবাই ভোট দেবে । এবারে এইসব যেমন আমি জানি তেমন তোমরাও জানো, যে ভালো হবে তাকে সবাই ভালো বলবে , যার ভেতরে যা কিছু খারাপ থাকবে তাকে সবাই সেই রকম ভোট দেবে । এখন এই নিশ্চয় করো যার ভেতরে কোনো বিকার আছে সে সার্ভিস করতে পারবেনা । যে হল বিকার প্রুফ সে সার্ভিস করে অন্যদের নিজ সমান বানাতে পারবে সেইজন্য বিকারের উপরে সম্পূর্ণ বিজয় চাই । ঈশ্বর অর্থে যে সঙ্কল্প চলবে সেইসব গুলি নিঃসংকল্প বলে ধরা হবে । 
    বাস্তবে নিঃসংকল্পতা তাকেই বলা হবে যখন সঙ্কল্প চলবেই না, দুঃখ সুখ থেকে নেয়ারা বা ডিট্যাচ হয়ে যাবে , সে তো অন্ত সময়ে যখন তুমি হিসাব নিকাশ মিটিয়ে চলে যাবে , সেখানে দুঃখ সুখ থেকে ডিট্যাচ অবস্থায় থাকবে , সে�ইসময় কোনো সঙ্কল্প চলবে না । ঐ সময়ে কর্ম অকর্ম দুই-ই অবস্থা থেকে উপরাম অকর্মী অবস্থায় থাকবে । এখানে তোমার সঙ্কল্প নিশ্চয়ই চলবে কেননা তুমি সম্পূর্ণ দুনিয়াকে শুদ্ধ বানানোর অর্থে নিমিত্ত হয়েছো তো তারজন্যে তোমার শুদ্ধ সঙ্কল্প নিশ্চয়ই চলবে । সত্যযুগে শুদ্ধ সঙ্কল্প চলার কারণে সঙ্কল্প , সঙ্কল্প নয়, কর্ম করার সময়ে কর্ম বন্ধন তৈরী হবেনা । বুঝলে । এবারে কর্ম , অকর্ম আর বিকর্মের গতি তো কেবল পরমাত্মাই বোঝাতে পারেন । উনিই বিকর্ম থেকে বাঁচাতে পারেন তাই সঙ্গমে এই পড়া তোমাকে পড়াচ্ছেন সেইজন্য বাচ্চে নিজেরা খুব সাবধানে থাকো। নিজের হিসেব নিকেস গুলোকে দেখতে থাকো। তুমি এখানে এসেছো হিসাব নিকাশ মেটাতে । এমন না হয় এখানে এসেও হিসাব কিতাব বাড়াতে থাকো আর সাজা খেতে হোক । এই গর্ভ জেলের সাজা কোনো কম তো নয়। এই কারণে অনেক পুরুষার্থ করতে হবে । এই লক্ষ্য খুবই কঠিন সেইজন্য খুব সাবধানে চলতে হবে । বিকল্পের উপরে নিশ্চয়ই বিজয়ী হতে হবে। এবারে কত দূর তুমি বিকল্পের উপরে বিজয়ী হয়েছ , কত দূর তুমি নিঃসংকল্প অর্থাৎ সুখ দুঃখ থেকে ডিট্যাচ অবস্থায় থাকো, এইভাবে তুমি নিজেকে জানতে থাকো। যে নিজেকে বুঝতে পারবে না সে মাম্মা , বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারো কেননা তুমি তো হলে ওনার উত্তরাধিকারী , তাই উনি তোমাকে বলতেই পারেন ।নিঃসংকল্প অবস্থায় থাকলে তুমি নিজেরটুকু নয়, যে কোনো বিকারী জনের বিকর্ম মেটাতে পারো, কোনোও কামী পুরুষ তোমার সামনে আসুক , তবুও তার বিকারী সঙ্কল্প চলবে না । যেমন কেউ দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে একেবারে শান্ত হয়ে যায় , তেমনই তুমিও হলে গুপ্ত রূপে দেবতা । তোমার সামনে কারও বিকারী সঙ্কল্প চলতে পারবে না , কিন্তু এমন অনেক কামী পুরুষ আছে যাদের কিছু সঙ্কল্প যদিও চলবে তবুও আঘাত করতে পারবে না , যদি তুমি যোগযুক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকো। দেখো, বাচ্চে তুমি এখানে এসেছো পরমাত্মাকে বিকারের আহুতি দিতে কিন্তু কেউ কেউ এখনও নিয়মানুযায়ী আহুতি দেইনি। তাদের যোগ পরমপিতার সাথে যুক্ত নেই । সারাদিন বুদ্ধিযোগ এদিক ওদিক ঘোরে অর্থাৎ দেহী-অভিমানী হয় নি । দেহ-অভিমানী হওয়ার কারণে কারও স্বভাবে এসে যায় , যে কারণে পরমাত্মার সঙ্গে প্রীতি রাখতে পারে না অর্থাৎ পরমাত্মার অর্থে সার্ভিস করার অধিকারী হতে পারে না । তাই যে পরমাত্মার কাছে সার্ভিস নিয়ে সার্ভিস করছে অর্থাৎ পতিতদের পবিত্র করছে তারাই হল আমার সত্যিকারের পাকা বাচ্চা । তারা অনেক দামী পদ প্রাপ্ত করে। এখন পরমাত্মা নিজেই তোমার পিতা রূপে এসেছেন । সেই পিতাকে সাধারণ রূপে না জেনে কোনো রকমের সঙ্কল্প উৎপন্ন করা মানে বিনাশের প্রাপ্তি হওয়া । এখন সেই সময় আসবে যে ১০৮ জ্ঞানগঙ্গারা সম্পূর্ণ অবস্থা প্রাপ্ত করবে । বাকি যারা পড়াশোনা করে নি তারা নিজেরই ক্ষতি করবে। এ কথা নিশ্চয় জেনো , যদি কেউ এই ঈশ্বরীয় যজ্ঞে লুকিয়ে কাজ করে তাদের জানী-জাননহার বাবা দেখে নেন , সেইটি আবার সাকার স্বরূপ বাবাকে টাচ করে , সাবধান করার জন্য । তো কোনো কথা লুকোনো উচিত নয় । যদিবা কোনো ভুল হয়, কিন্তু সেইসব বলে দিলেই বাঁচতে পারবে সেইজন্য বাচ্চে সাবধান থেকো। বাচ্চাদের প্রথমে নিজেকে বুঝতে হবে যে আমি হলাম কে, হোয়াট এম আই। "আমি" শরীরকে বলা হয় না , আমি বলা হয় আত্মাকে । আমি আত্মা কোথা থেকে এসেছি ? কার সন্তান ? আত্মা যখন এইকথা জেনে যায় যে আমি হলাম আত্মা পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান তখন পিতাকে স্মরণ করেই খুশীর অনুভব করে। বাচ্চা তখন খুশী হয় যখন বাবার অক্যুপেশানকে জানতে পারে । যতক্ষণ ছোট থাকে , পিতার অক্যুপেশানকে না জানা পর্যন্ত এতো খুশীর অনুভব করে না । যেমন যেমন বড়ো হতে থাকে , পিতার অক্যপেশানকে জানতে পারে তো সেই নেশা , সেই খুশী বাড়তে থাকে । তো প্রথমে ওঁনার অক্যুপেশানকে জানতে হবে যে আমাদের বাবা কে? উনি কোথায় থাকেন ? যদি বলা হয় আত্মা ওনাতেই বিলীন হয়ে যাবে তবেতো আত্মা হয়ে গেল বিনাশী তাহলে খুশীর অনুভব কার হবে? তোমার কাছে যে নতুন জিজ্ঞাসুরা আসে তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তুমি এখানে কি পড়ো? এর দ্বারা কি স্টেটাস পাওয়া যাবে ? ঐ কলেজের স্টুডেন্টরা বলে যে আমরা পড়াশোনা করে ডাক্তার হচ্ছি , ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছি .... তো তাদেরকে সবাই বিশ্বাস করবে যে এরা নিশ্চিত পড়াশোনা করছে । এখানেও স্টুডেন্টরা বলে যে এই হল দুঃখের দুনিয়া যাকে নরক , হেল অথবা ডেভিল ওয়ার্ল্ড বলা হয়। তার বিরুদ্ধে আছে হেভেন বা ডিটি ওয়ার্ল্ড , যাকে স্বর্গ বলা হয়। এইকথা তো সবাই জানে , বুঝতেও পারে যে এই সেই স্বর্গ নয়, এই হল নরক বা দুঃখের দুনিয়া , পাপাত্মাদের দুনিয়া তাইতো ওঁনাকে ডাকা হয় যে আমাদের পুণ্যের দুনিয়ায় নিয়ে চলো। তবে এই বাচ্চারা যা পড়ছে তারা জানে যে বাবা আমাদের সেই পুণ্যের দুনিয়ায় নিয়ে যাচ্ছেন । তাই যে নতুন স্টুডেন্টরা আসে তাদের বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করা উচিত , বাচ্চাদের কাছে পড়া উচিত । তারা নিজের টিচারের অথবা পিতার অকুপেশান বলে দিতে পারবে । বাবা নিজের প্রশংসা নিজেই বসে করবেন নাকি , টিচার নিজের মহিমা নিজেই শোনাবে নাকি । সেতো স্টুডেন্টরা শোনাবে যে এই টিচার কেমন , তবেই বলা হয় স্টুডেন্ট্স শোজ মাস্টার । তোমরা বাচ্চারা যারা এতো কোর্স পড়ে এসেছ , তোমার কাজ হল নতুনদের বসে বোঝানো । বাকি টিচার যারা বি.এ. , এম. এ. পড়ান তারা বসে নতুন স্টুডেন্টদের এ.বি.সি. শেখাবে নাকি । কেউ কেউ স্টুডেন্ট ভাল হুশিয়ার হয়, তারা অন্যদেরও পড়ায়। তাদের মধ্যে মাতা গুরু তো হল বিখ্যাত । এই হল ডিটি ধর্মের প্রথম মাতা , যাঁকে জগৎঅম্বা বলা হয় । মাতাদের হল অনেক মহিমা। বেঙ্গলে কালী , দুর্গা , সরস্বতী আর লক্ষ্মী এই চার দেবীর অনেক পূজো হয়। এবারে এই চার দেবীর অক্যুপেশান তো জানা উচিত । যেমন লক্ষ্মী হল গডেজ অফ ওয়েল্থ । সে তো এখানেই রাজ্য করে গেছে । বাকি কালী, দুর্গা ইত্যাদি এইসব তো আলাদা নাম তার। যদি চারজন মাতা আছেন তবে তো তাদের চারজন স্বামী থাকা উচিত । এবারে লক্ষ্মীর স্বামীর নাম নারায়ণ বলে প্রসিদ্ধ । কালীর স্বামীর নাম কি? (শঙ্কর ) কিন্তু শঙ্করকে তো পার্বতীর স্বামী বলা হয়। পার্বতী আর কালী এক নয়। অনেকে আছে যারা কালীর পূজো করেন, মাতাকে স্মরণ করে কিন্তু পিতার খোঁজ নেই । কালীর নতুবা স্বামী থাকা উচিত নতুবা পিতা থাকা উচিত কিন্তু এইসব কারুর জানা নেই । তোমাকে বোঝাতে হবে যে এই দুনিয়া হল একই , যা একসময়ে নরক বা দুঃখের দুনিয়া হয়ে যায় আবার সেই দুনিয়াই সত্যযুগে বা স্বর্গে পরিণত হয়। লক্ষ্মী-নারায়ণও এই সৃষ্টিতে সত্যযুগে রাজত্ব করেছিল । বাকি সূক্ষ্মতে কোনো বৈকুন্ঠ নেই যেখানে সূক্ষ্ম লক্ষ্মী-নারায়ণ আছে । ওঁনাদের চিত্র এখানেই আছে তাহলে নিশ্চয়ই রাজ্য করে গেছে । সমস্ত খেলা হল এই করপোরিয়াল ওয়ার্ল্ডের । সুক্ষ্মবতনের কোনো হিস্ট্রী জিওগ্রাফি নেই । কিন্তু সব কথা ছেড়ে নতুন জিজ্ঞাসুদের প্রথমে অল্ফ্ শেখাতে হবে পরে বে শেখাতে হবে । অল্ফ্ হল গড, সুপ্রীম সোল। যতক্ষণ এই কথা পুরো বুঝবেনা ততক্ষণ পরমপিতার প্রতি ভালোবাসা জাগবেনা , সেই খুশী আসবেনা কেননা প্রথমে যখন বাবাকে জানবে তখন ওঁনার অকুপেশানকে জেনে খুশী হবে । তাহলে খুশী হল এই প্রথম কথার জ্ঞানে। গড হলেন এভারহ্যাপী , আনন্দস্বরূপ । আমরা ওঁনার সন্তান , তাই খুশী কেন হবেনা ? সেই গুদগুদী কেন হবেনা ? আই এম সান অফ গড, আই এম এভারহ্যাপী মাস্টার গড। সেই খুশী না অনুভব হলে জানবে নিজেকে সান বা পুত্র ভাবেইনি। গড ইজ এভারহ্যাপী বাট আই এম নট হ্যাপী কেননা ফাদারকে জানেনা । খুবই সহজ কথা । কারও এই জ্ঞান শোনার বদলে শান্তি ভাল লাগে কেননা অনেকে আছে যারা এই জ্ঞান নিতে পারবে না । এতোটা সময় কোথায় ? ব্যস এই অল্ফকে জেনে সাইলেন্সে থাকলেও ভাল হবে । যেমন সন্ন্যাসীরা পাহাড়ের গুহায় পরমাত্মার স্মরণে বসে । তেমনই পরমপিতা পরমাত্মার , ঐ সুপ্রীম লাইটের স্মরণে থাকলেও ভাল হবে। তাঁর স্মরণে সন্ন্যাসীরাও নির্বিকারী হয়ে যায় । কিন্তু ঘরে বসে তো স্মরণ করতে পারবে না । সেখানে তো বাচ্চাদের প্রতি মোহ থাকবে , সেইজন্য তো সন্ন্যাস নেয়। পবিত্র হলে তাতে সুখ তো আছেই । সন্ন্যাসীরা হল সবচেয়ে ভাল । আদিদেবও সন্ন্যাসী হয়েছিলো কিনা । এই সামনে ওঁনার মন্দির আছে , যেখানে তপস্যা করছেন । গীতায়ও বলা হয়েছে দেহের সব ধর্মের সন্ন্যাস করো। তারা সন্ন্যাস নিলে মহাত্মা হয়ে যায় । গৃহস্থকে মহাত্মা বলা বেনিয়ম হবে । তোমাকে তো পরমাত্মা এসে সন্ন্যাস করিয়েছেন। সন্ন্যাস নেওয়াই হয় সুখের জন্যে । মহাত্মা কখনোই দুঃখে থাকেন না। রাজারাও সন্ন্যাস নিলে মুকুট ইত্যাদি ত্যাগ করে । যেমন গোপিচাঁদ সন্ন্যাস নিল তো সুখ আছে । আচ্ছা !

    মীঠে মীঠে সিকীলাধে বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা আর গুডমর্ণিং । রূহানী বাবার রূহানী বাচ্চাদের নমস্কার । 

    ধারণার জন্যে মুখ্য সার:--

    ১. কোনো উল্টো কর্ম লুকিয়ে করবে না । বাপদাদার কাছে কোনো কথা লুকানো চলবে না । খুব খুব সাবধান থাকতে হবে । 

    ২. স্টুডেন্ট শোজ মাস্টার , যা পড়েছ তাই অন্যদের পড়াতে হবে । আমরা হলাম এভারহ্যাপী গডের বাচ্চা এই স্মৃতিতে অনেক খুশীতে থাকতে হবে ।


    বরদান :- 

    সেবা দ্বারা অনেক আত্মাদের আশীর্বাদ প্রাপ্ত করে সর্বদা এগিয়ে যায় এমন মহাদানী ভব।

    মহাদানী হওয়া অর্থাৎ অন্যদের সেবা করা , অন্যদের সেবা করলে নিজের সেবা স্বত:তই হয়ে যায় । মহাদানী হওয়া অর্থাৎ নিজেকে মালামাল করা, আত্মাদের যত সুখ , শান্তি এবং শক্তির দান করবে ততই আত্মাদের প্রাপ্তির আওয়াজ বা ধন্যবাদ যা কিছু বেরোবে সেইসব তোমার জন্যে আশীর্বাদ স্বরূপ হয়ে যাবে । এই আশীর্বাদই হল এগিয়ে যাওয়ার সাধন , যারা আশীর্বাদ পেয়ে থাকে তারা সর্বদা খুশীতে থাকে । তাই রোজ অমৃতেবলায় মহাদানী হওয়ার প্রোগ্রাম বানাও। কোনো সময় বা দিন যেন এরকম না হয় যেদিন দান করা হয়নি ।

    শ্লোগান :- 

    বর্তমানের প্রত্যক্ষ ফল উড়তি কলার বল দেয়


    ***OM SHANTI***