BK Murli 31 January 2016 In Bengali
31-01-16 প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি " অব্যক্ত -বাপদাদা" রিভাইস : 17-03-81 মধুবন
এই সহজ মার্গ কঠিন (মুশকিল) মনে হওয়ার কারণ এবং নিবারণ
আজ বিশেষত: ডবল বিদেশী বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে এসেছি । ডবল বিদেশী ডবল ভাগ্যশালী কেন ? এক তো বাপদাদাকে জেনেছে এবং বর্সা অর্থাৎ উত্তরাধিকারী হয়েছে। দ্বিতীয় হল লাস্টে এসেও ফার্স্টে গিয়ে আবার ফার্স্টে আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে । লাস্টে যারা আসে তারা একদিক থেকে বিশেষ ভাগ্যবান, কারণ তারা সব কিছু প্রস্তুত অবস্থায় পাচ্ছে । তোমাদের জন্য খুবই সহজও, কারণ আগে যারা এসেছে তারা সেই রাস্তা অতিক্রম করে অনুভবী হয়েছে। আর তোমরা সেই সব অনুভবীদের সহযোগিতায় সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেছো। তো ডবল ভাগ্যশালী হলে না ? ডবল ভাগ্য তো ড্রামা অনুযায়ীই পেয়ে গেছো, এখন তবে এরপরে কি করতে হবে ?
যেমন অনুভবী মহারথী নিমিত্ত আত্মারা তোমাদের সকলের অনুভবের দ্বারা সেবা করেছে, ঠিক তেমনি তোমাদেরও নিজেদের অনুভবের আধারে অনেককে অনুভবী বানাতে হবে। অনুভব শোনানো হল সব চেয়ে সহজ। যে যে জ্ঞানের পয়েন্টস রয়েছে সেই সব পয়েন্টস নয়, সকল পয়েন্টসের অনুভব। তো প্রত্যেক পয়েন্টসের অনুভব শোনানো কত সহজ। এতটাই সহজ অনুভব করো না মুশকিল বলে মনে হয়? এক তো অনুভবের আধারের কারণে সহজ, দ্বিতীয় হল -- আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত জ্ঞান একটি কাহিনীর আকারে বাপদাদা শোনান। তো কাহিনী শোনা এবং শোনানো খুবই সহজ হয় । তৃতীয়ত -- বাবা এখন যা শোনাচ্ছেন সে সব তোমরা সকল আত্মারা প্রথমবার শুনছো না, পূর্বে অনেক বারই শুনেছো এবং আবার তা রিপিট করা হচ্ছে । তো যে কোনো বিষয়কে রিপিট করা, শোনা বা শোনানো তো খুবই সহজ হয়ে থাকে । নতুন বিষয় মুশকিল মনে হয় কিন্তু অনেক বারের শোনা জিনিস তো খুবই সহজ হয় । (বাবার) স্মরণকেই দেখো -- কত ভালোবাসার আর সমীপের সম্বন্ধের স্মরণ । অতি কাছের সম্বন্ধকে মনে করতে মুশকিল হয় না, না চাইলেও মনে এসেই যায়। আর প্রাপ্তিকে দেখো, প্রাপ্তির আধারেও স্মরণ করা অতি সহজ হয় । জ্ঞানও অতি সহজ এবং স্মরণও অতি সহজ। আর এখন তো জ্ঞান এবং যোগকে তোমরা অতি সিকীলধেদের কাছে জ্ঞানের কোর্স তো সাত দিনেই সমাপ্ত হয়ে যায় । আর যোগ শিবির 3 দিনেই সম্পূর্ণ হয়ে যায় । সাগরকে কলসে ভরে দেওয়া হয়েছে বলে । সাগরকে তো তোলা মুশকিল, কিন্তু কলসকে নয় । সাগরকে কলসে সমায়িত করে তোমাকে তো শুধু কলসখানিই দেওয়া হয়েছে, ব্যস। দুটো শব্দেই জ্ঞান এবং যোগ এসে যায় --' তুমি আর বাবা'। তো স্মরণও হয়ে গেল আর জ্ঞানও এসে গেল । তো দুটি শব্দকে ধারণ করা কত সহজ। সেই জন্য টাইটেলই হল সহজ রাজযোগী। যেমন নাম তেমন অনুভব করো ? এর চেয়ে সহজ আর কিছু এর মধ্যে হতে পারে কি ? তাহলে মুশকিল কেন মনে হয়, এর কারণ হল তোমার নিজেরই দুর্বলতা। কোনো না কোনো পুরানো সংস্কার পথের মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পথ অবরুদ্ধ করে দেয় এবং শক্তির ঘাটতি থাকায় সেই অবরোধ সৃষ্টিকারী পাথর ভাঙতে বসে যায় আর পাথর ভাঙতে ভাঙতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে । কিন্তু সহজ পদ্ধতি কি ? পাথরকে ভাঙা নয়, বরং লাফ দিয়ে পার হতে হয় । কেন এমন হল ? এরকম তো হওয়া উচিত ছিল না । আর কতদিন এরকম চলবে ! খুবই মুশকিল অবস্থা! এমন যে কেন হচ্ছে? এইসব ব্যর্থ সংকল্পই হল পাথর ভাঙা। কিন্তু একটিই শব্দ 'ড্রামা' -- এটিই যদি মনে পড়ে যায় তবেই এই এক ড্রামা শব্দের ভিত্তিতে হাই জাম্প দিয়ে দিতে পারতে। তাতে কিছু দিন বা মাসের পরিবর্তে এক সেকেন্ড লাগে । তো নিজের নলেজেরই অভাব হল না !
দ্বিতীয় দুর্বলতা হল সময় মতো সেই পয়েন্টটির টাচিং না হওয়া । এমনিতে তো মাথায় অর্থাৎ বুদ্ধিতে এবং ডায়েরিতে অনেক পয়েন্টস রয়েছে কিন্তু সময় রূপী ডায়েরিতে সেই সময় সেই পয়েন্টটি দেখতে পাওয়া যায় না । এর জন্য সদা জ্ঞানের বিশেষ বিশেষ পয়েন্ট গুলি রোজ রিভাইস করতে থাকো। নিজের মধ্যে অনুভব করতে থাকো, চেক করতে থাকো এবং নিজেকে চেক করে চেঞ্জ করতে থাকো। এরপর তাহলে কখনও টাইম ওয়েস্ট হবে না । আর অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক বেশী অনুভব করতে পারবে। সর্বদা নিজেকে মাস্টার সর্ব শক্তিমান অনুভব করবে। বুঝেছো। এখন কখনোই ব্যর্থ সংকল্পের হাতুড়ি দিয়ে সমস্যার পাহাড়কে ভাঙতে বসে যেও না । এখন এই মজদুরি করা ছাড়ো আর বাদশাহ হও। বেগমপুরের বাদশাহ। তাহলে না আসবে সমস্যা নামক শব্দ না বারবার সমাধান করতে সময় যাবে। তোমার পুরানো সংস্কার তখন তোমার কৃতদাস হয়ে যাবে, তখন আর আঘাত করতে পারবে না । তাই বাদশাহ হও, তখ্তনশীন হও, রাজমুকুটধারী হও, তিলকধারী হও।
● বাপদাদার জার্মান গ্রুপের সাথে মিটিং -- সহজ জ্ঞান এবং যোগের অনুভবী মূরত হয়েছো ? বাপদাদা প্রত্যেক শ্রেষ্ঠ আত্মার ভাগ্যকে দেখছেন। বাবা যেমন প্রত্যেকের কপালে উজ্জ্বল দ্যুতির মতো তারাটিকে দেখছেন, তেমনই তোমরাও নিজের কপালে সদা দ্যুতি, তারাটিকে দেখো ? তারাটি কি দ্যুতি ছড়ায়? উজ্জ্বল এই তারাটিকে মায়া তো কখনো ঢেকে দেয় না ? মায়া আসে ? মায়াজিৎ জগৎজিৎ কবে হবে ? আজ এই মুহূর্তে এই দৃঢ় সংকল্প করো যে মাস্টার সর্বশক্তিমান হয়ে, মায়াজিৎ, জগৎজিৎ হবই। সাহস আছে ? যদি প্রত্যয় রাখো তবে বাপদাদাও অবশ্যই সাহায্য (মদদ) করবেন। এক কদম তুমি বাড়াও, বাবা হাজার কদম সাহায্য করবেন। এক কদম ওঠানো সহজ তো ? তাহলে আজ থেকে সবাই সহজযোগীর টাইটেল বরদান ভূমি মধুবন থেকে বরদানের রূপে নিয়ে যেও। এই গ্রুপ জার্মান গ্রুপ নয়, বরং বলা হবে সহজ যোগী গ্রুপ । যখনই কোনো কঠিন পরিস্থিতি আসবে বাবার উপরে ছেড়ে দেবে। অন্তর থেকে বলো -- "বাবা"। তাহলেই পরিস্থিতি সহজ হয়ে যাবে । এই বাবা শব্দটি অন্তর থেকে বললেই জাদুর কাজ করবে। এতই শ্রেষ্ঠ জাদুকরী শব্দ পেয়েছো। তবে যে সময় মায়া আসে তখন এই শব্দটিকে ভুলিয়ে দেয় । মায়া প্রথমেই এই কাজটি করে যে বাবাকেই ভুলিয়ে দেয় । এই ব্যাপারেই অ্যাটেনশান (সতর্ক) রাখতে হবে। এখন যদি এই অ্যাটেনশান রাখো তাহলেই সদা কমল পুষ্প সমান নিজেকে অনুভব করতে পারবে। মায়ার সমস্যাবহুল যত আবর্জনাই থাক বাবার স্মরণে থাকলে সদা সে সবের উর্ধ্বে থাকবে। পদ্মের চিত্র তো তোমারই চিত্র । সেই জন্য দেখো জার্মান গ্রুপ তাদের ঝাঁকি পদ্মের আকৃতিতে বানিয়েছে। শুধু কি ব্রহ্মা বাবাই পদ্মের উপরে বসে আছেন, নাকি তোমরাও বসে আছো ? পদ্ম ফুলের স্টেজ তো তোমার আসন। আসনকে কখনো না ভুললেই চীয়ারফুল ( আনন্দিত,Cheerful) থাকবে। কোনো বিষয়েই কখনোই দোলাচলে আসবে না । সব সময় একটাই মুড থাকবে --চীয়ারফুল। সবাই দেখে তোমার প্রশংসা করে বলবে --ইনি সদা সহজ যোগী, সদা চীয়ারফুল। সদা এই 'বাবা' শব্দের জাদুটিকে সাথে রাখো। এই তিনটি বিষয়কে সদা মনে করবে। জার্মান গ্রুপের বিশেষত্ব হল -- তারা মধুবনে প্রচন্ড ভালোবাসার টানে ছুটে আসে। মুধুবনকে ভালোবাসা মানে বাবাকে ভালোবাসা । বাপদাদারও বাচ্চাদের প্রতি এতটাই ভালোবাসা রয়েছে । বাবার ভালোবাসা বেশী না বাচ্চাদের? (বাবার) বাবার প্রতি তোমাদের ভালোবাসাও লক্ষ কোটি গুণ(পদমগুণা) রয়েছে । বাবা তো সব সময় বাচ্চাদেরকেই এগিয়ে রাখেন। বাচ্চা তো হল বাবারও মালিক । দেখো তোমরা বিশ্বের মালিক হবে, বাবা মালিক বানাবেন, তিনি নিজে হবেন না। তবে তো তোমরাই এগিয়ে থাকলে তাই না ! বাচ্চাদের জন্য বাবার এতটাই ভালোবাসা রয়েছে । এ তো কেবল এক জন্মের ভাগ্য নয়, 21 জন্মের ভাগ্য এবং অবিনাশী ভাগ্য । এ তো একেবারে গ্যারান্টি ।
জার্মান গ্রুপকে কামাল করে দেখাতে হবে, যেমন এখন অনেক পরিশ্রম করে গীতার ভগবানের চিত্র বানিয়েছো, এখন এমন কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে এসো যাঁরা আওয়াজ ছড়িয়ে দেবেন যে গীতার ভগবান হলেন শিব। বাপদাদা বাচ্চাদের পরিশ্রম দেখে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছেন। খুব ভালো টপিক নির্বাচন করেছো। এই টপিকটিকেই যদি প্রমাণিত করতে পারো তাহলে তোমাদের জয় জয়কার হয়ে যাবে। এখন যেমন ভাবে পরিশ্রম করেছো ঠিক তেমন ভাবেই পরিশ্রম করে জোরদার আওয়াজ ছড়িয়ে দাও। বিচার সাগর মন্থন ভালোই করেছো, চিত্রও খুব ভালো বানিয়েছো।
প্রশ্ন :-- কিসের ভিত্তিতে বাপদাদা প্রতিটি স্থানের রেজাল্ট দেখেন ?
উত্তর :-- সেই স্থানের বায়ুমণ্ডল বা পরিস্থিতি কেমন, তার ভিত্তিতেই বাপদাদা রেজাল্ট দেখেন। বন্ধুর বা বন্ধা জমিতে দুটো ফুলও ফোটে তবে সেটা 100 টা ফুলের থেকেও বেশী। বাবা সেই দুটি ফুলকে একশোটি ফুলের সমান দেখেন। যত ছোট সেন্টারই হোক না কেন, তাকে ছোট ভেবো না । কোথাও কোয়ালিটি তো কোথাও কোয়ান্টিটি রয়েছে । বাচ্চারা যেখানেই যাবে, সফলতা হল তাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার ।
প্রশ্ন :-- সেবার বৃদ্ধি হয় কোন্ দুই স্বরূপে সেবা করলে ?
উত্তর :-- রূপ এবং বসন্ত এই ডবল স্বরূপে সেবা করো, দৃষ্টি দিয়েও সেবা করো এবং মুখ(বাণী) দিয়েও। যখন তুমি একই সময়ে একসাথে উভয় রূপেই সেবা করবে তখন রেজাল্টও ডবলই আসবে।
● নাইরোবি গ্রুপের সাথে মিটিং (কেনিয়া)-- মথ বা পতঙ্গ পরে এসেও সব সময় আগুনের একেবারে কাছে আসে, তারা এতো চালাক যে তারপর তারা আগুনে পুড়েও মরজীবা হয়ে যায় । সত্যিকারের পতঙ্গ(প্রেমিক) কি তোমরা ? পতঙ্গকে দেখে আগুনও খুশী হয় । আগুনও তখন পতঙ্গকে(প্রেমিককে দেখে) দেখে গর্ব অনুভব করে। তোমরা হলে বাবার স্মৃতি-স্বরূপ বাচ্চা । তোমরা যেমন বাবাকে স্মরণ করো, তেমনি বাবাও তোমাদেরকে স্মরণ করেন। তোমরা তো বাবাকে অপ্রত্যক্ষভাবে(ইনডাইরেক্ট) জড় চিত্রের দ্বারা চৈতন্যকেই মালা পড়ানোর চেষ্টা করেছো এবং বাবা সদা বাচ্চাদের গুণের মালা জপ করতে থাকেন। তাহলে তোমরা কত লাকি বলতো ! বাবাকে আত্মারা স্মরণ করে আর বাবা তোমাদের মহান আত্মাদেরকে স্মরণ করেন। তবে তো তোমরা বাবার থেকেও উঁচুতে উঠে গেলে। সেই জন্যই তো বাচ্চাদের স্থান বাবার রাজমুকুটে। রাজমুকুটেরও মূল্যবান দানা হলে তোমরা। বহুমূল্যবান যে সব মণি হয় অথবা রিয়েল হীরে তার উজ্জ্বলতা কত বেশী হয় । আজকালকার আসল মুক্তও নকলের মত দেখায় । সত্যযুগে তো প্রত্যেকটি মণিমুক্ত লাইটের মত আলোক বিচ্ছুরণ করবে। খুবই উজ্জ্বল হবে। এখানে যেমন যে রঙের আলো চাও সেই রঙের কাগজ দিয়ে বাল্বকে মুড়ে নাও -- সবুজ লাইটের জন্য সবুজ কাগজ, লাল লাইটের জন্য লাল কাগজ, তেমনি এখানেও যত রঙের হীরে হবে সেই মতোই নানান রঙের ন্যাচারাল লাইট হবে। একটু আলো এসে পড়লেই সমস্ত ঘর ঝলমল করে উঠবে। তোমরা সবাই তো হলে বাপ-দাদার মাথার রাজমুকুটের সত্যিকারের হীরে। এক ধরনের হীরে হল চকমকে উজ্জ্বল এবং আরেক প্রকারের হীরা হল সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ, হিরো বা হিরোইনের, যাদের রয়েছে মেইন পার্ট। তাহলে তোমরা ডবল হীরা হয়ে গেলে না ! সদা এই নেশাতেই থাকো যে আমি হলাম ডবল হীরা।
নাইরোবির সুবাস সূক্ষ্ণ বতন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বাচ্চারা খুব সাহসী । এত বড় গ্রুপ -- এ তো সাহসেরই লক্ষণ। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে নাইরোবির বাচ্চারা হল বাপ-সমান সেবাধারী -- তবেই তো তারা সকলের সেবা করে এখানে নিয়ে আসতে পেরেছে । এ হল সেবার প্রত্যক্ষ প্রমাণ । দৃঢ় নিশ্চয় এর ফল পেলে তো ! নিশ্চয বুদ্ধি হতে পেরেছে এবং বাবার সহায়তায় অসম্ভব সম্ভব হয়ে গেছে । কুটিরের বদলে প্রাসাদ পেয়ে গেলে। ( বাপ-দাদা, প্রাসাদটিকে (সেন্টার) দেখলেন ?) বাপ-দাদা তো নিজের কাজ থেকে কখনো বিরত থাকেন না। বাবা সব সময় বাচ্চাদের দেখেন । লৌকিক মা-কেও দেখো বাচ্চাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করবেই, কেননা, সন্তানদের তিনি ভালোবাসেন । তো বাপ-দাদা এবং মাতা-পিতা কি এখানে বাচ্চাদের চারপাশে ঘোরাফেরা না করে পারেন ? বাপ-দাদা দু'জনেই সাকার শরীরে অশরীরী । একজন হলেন অব্যক্ত বা সূক্ষ্ণ শরীরধারী, আর একজন নিরাকার । দু'জনেরই নিদ্রার প্রয়োজন নেই, সেইজন্য যেখানে ইচ্ছা পৌঁছে যেতে পারেন।
এখন আফ্রিকাতে ক'টি সেন্টার রয়েছে? আফ্রিকার এরিয়া তো এশিয়ার মধ্যে কত বড়, সমস্ত জায়গায় যাও এবং গিয়ে সেবার বৃদ্ধি করো। যাতে কেউই তোমাদের কোনো রূপ অনুযোগ করতে না পারে। সব জায়গাতেই সেবাকেন্দ্র খোলো। যাও, সেবা করো, লোকেদের মেসেজ দাও, গীতা পাঠশালা খোলো, সেবাকে এগিয়ে নিয়ে যাও।
● টিচারদের সাথে মিটিং -- টিচার্সের অর্থই হল -- বাপ-সমান, যারা তাঁদের সংকল্প( Thoughts), বাণী এবং কাজের দ্বারা অনেকের পরিবর্তন করেন। শুধু মাত্র কথায় নয়, সংকল্পের মাধ্যমে সেবাধারী, কর্মেও। যিনি তিনটি ক্ষেত্রেই সফলতা মূরত হন তিনি পাস উইথ অনার হয়ে যান। তিনটি বিষয়ই সমান নম্বর প্রাপ্তকারী। তো এই রকম পাস উইথ অনার টিচার তো তোমরা ? সাধারণভাবে পাস অনেকেই করে, কিন্তু খুবই স্পেশাল যারা তারাই পাস উইথ অনার হতে পারেন। তাহলে কি লক্ষ্য রাখলে ? রোজ নিজের দিনচর্যাকে চেক করো যে আজ সারাদিনে এই তিন প্রকার সেবার ব্যালেন্স ছিল ? ব্যালেন্স রাখলে সকল গুণের অনুভব করতে পারবে। চলতে-ফিরতে নিজেকে এবং সকলকে সর্ব গুণের অনুভব করাতে পারবে। সবাই বলবে -- ইনি গুণদান করেন কেননা ওনার মধ্যে দিব্য গুণের শৃঙ্গার স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায় । তখনই তো শেষ সময়ে "দেবী জী", "দেবী জী" বলে নমস্কার করবে এবং অন্তিম সময়ের এই সংস্কার দ্বাপর যুগ থেকে দেবীর পূজা রূপে প্রচলিত হবে। তো তোমরা এইরূপ হয়েছো তো ? একে অপরকে বাবার গুণের বা নিজের মধ্যেও সেই সব গুণ ধারণ করো, অন্যদেরও সেই সব গুণের সহযোগ দিয়ে গুণ মূরত বানাও। এটাই হল সবচেয়ে বড় সেবা। জ্ঞান যেমন দান করা হয়, তেমনি গুণও।
এখন এক একজনকে আট দশটা সেন্টার একসাথে সামলাতে হবে। তখনই বলা যাবে যে সার্ভিস হচ্ছে । এখন এক একজন চার থেকে পাঁচটি সেন্টার সামলায়, এরপর এক একজনকে অনেকগুলি সামলাতে হবে। এখন সার্ভিসকে আরও বাড়িয়ে যাও।
বরদান : --
নম্বর ওয়ান বিজনেস ম্যান হয়ে প্রতি সেকেন্ডে এবং প্রতিটি সংকল্পে উপার্জনকারী পদমপপতি ভব
নম্বর ওয়ান বিজনেস ম্যান হবে সে-ই যে নিজেকে ব্যস্ত রাখার উপায় জানে। বিজনেস ম্যান অর্থাৎ যার একটি সংকল্পও ব্যর্থ যাবে না, প্রতিটি সংকল্পে আয়। যেমন ব্যবসায়ীরা এক একটি পয়সাকে কাজে লাগিয়ে তাকে লক্ষ কোটিগুণ করে ফেলে, তেমনই তোমরাও এক একটি সেকেন্ড বা সংকল্পের মাধ্যমে পদমপপতি হয়ে যাবে । এর ফলে বুদ্ধির এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো বন্ধ হবে এবং ব্যর্থ সংকল্পের অভিযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।
শ্লোগান : --
যে সব সময় কিছু না কিছু চাইতে থাকে তার খুশীর খাজানা কখনোই ভরপুর হতে পারে না ।
ব্রহ্মা বাবার সমান সম্পন্ন স্থিতির অনুভব করো --
31) ব্রহ্মা বাবার সমান নম্বর ওয়ানে আসতে হলে সদা একরস এবং নিরন্তর খুশীর অনুভব করো। কোনো প্রকার ঝামেলার মধ্যে থাকবে না । বাপদাদার দ্বারা যে অবিনাশী অগুন্তি এবং অসীম ( বেহদ) খাজানা পাওয়া যায়, সেই খাজনার প্রাপ্তিতে একরস এবং সম্পন্ন থাকো।