BK Murli 29 February 2016 In Bengali

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli 29 February 2016 In Bengali

     29-02-2016 প্রাতঃ মুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা " মধুবন

    "মিষ্টি বাচ্চারা -- পড়া আর দৈবী চরিত্রের (ক্যারেক্টর্স ) খাতা (রেজিস্টার) রাখো , প্রতিদিন যাচাই (চেক) করো যে আমাদের কোনো ভুল তো হয় নি "

    প্রশ্ন -- 

    তোমরা বাচ্চারা কোন্ পুরুষার্থের আধারে রাজত্বের টীকা (তিলক) প্রাপ্ত করতে পারো ?

    উত্তর --: 

    1. সবসময় আজ্ঞাকারী থাকার পুরুষার্থ করো | সঙ্গমে আজ্ঞাকারী হওয়ার (ফরমানবরদার) টীকা দাও তো রাজত্বের তিলক পেয়ে যাবে | বেবফাদার অর্থাত যারা আজ্ঞা পালন করে না তারা রাজত্বের তিলক প্রাপ্ত করতে পারে না | 2. কোনোও অসুখ (বীমারী) সার্জনের কাছে লুকিও না | লুকালে তো পদ কম হয়ে যাবে | বাবার মতন স্নেহের সাগর তৈরী হও তাহলে রাজত্বের তিলক পেয়ে যাবে |

    ওম্ শান্তি | 

    রূহানী বাবা রূহানী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন | পড়া মানে বুঝেছো | তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো এই পড়া অনেক সহজ আর অনেক উচ্চ আর অনেক উচ্চ পদ দেয় | এইসব শুধু তোমরা বাচ্চারাই জানো যে এই পড়া আমরা বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য করছি | তাহলে তো ছাত্রদের অনেক খুশী হওয়া দরকার | এই পড়াটা কত উচ্চ হয় ! এটা হল সেই গীতা এপিসোডও | সঙ্গমযুগও হয় | তোমরা বাচ্চারা এবার জাগ্ৰত হয়েছো , বাকীরা সকলে নিদ্রায় নিদ্রিত | গায়ণও আছে মায়ার নিদ্রায় নিদ্রিত আছে | তোমায় বাবা এসে জাগিয়েছেন | শুধু একটি কথা বোঝান -- মীঠে বাচ্চারা , স্মরণের যাত্রার বলে তুমি সারা বিশ্বে রাজত্ব করো | যেমন কল্পে পূর্বে করেছিলে | এইসব স্মৃতি বাবাই করান | বাচ্চারাও বোঝে আমাদের স্মৃতি এসেছে -- কল্পে কল্পে আমরা এই যোগবল দ্বারা বিশ্বের মালিক পরিণত হই আর তারপর দৈবী গুণও ধারণ করি | যোগের ওপরই সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে | এই যোগবল দ্বারা তোমাদের বাচ্চাদের অটোমেটিকলি দৈবী গুণ এসে যায় | বরাবর এটা পরীক্ষাই হল মানব থেকে দেবতা হওয়ার | তুমি এখানে এসেছো এই যোগবল দ্বারা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য | আর এইসবও জানো আমাদের যোগবল দ্বারাই সারা বিশ্বকে পবিত্ৰ করতে হবে | পবিত্ৰ ছিল , এবার অপবিত্র হয়েছে | সারা চক্রের রহস্যকে তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো আর হৃদয়েও(দিল) আছে | যদিও অনেক নতুন আছো , তাহলেও এইসব কথা বোঝার জন্য অনেকই সহজ | তোমরা দেবতা পুজ্য ছিলে , আবার পুজারী তমোপ্রধান হয়েছো আর কেউই এরকম বলতেও পারে না | বাবা পরিস্কার বলেন ঐসব হলো ভক্তি মার্গ , এই হলো জ্ঞান মার্গ | ভক্তি অতীত হয়ে গেছে | অতীতের কথা মনে(চিতবো) রেখো না | সে তো নীচে নামার কথা হয় | এবার বাবা ওপরে চড়ার কথা শোনাচ্ছেন | বাচ্চারাও জানে -- আমাদের অবশ্যই দৈবীয় গুণ ধারণ করতে হবে | রোজ চার্ট লেখা দরকার -- আমরা কত সময় স্মরণে থাকি ? আমাদের কি কি ভুল হয়েছে ? ভুলের অনেক চোটও লাগে , ঐ পড়াতেও চরিত্র দেখা যায় | এতেও চরিত্র (ক্যারেক্টর) দেখা যায় | বাবা তো তোমাদের কল্যাণের জন্যই বলেন | সেসবেও খাতা রাখো -- পড়ার আর চরিত্রের | এখানেও বাচ্চাদের দৈবীয় চরিত্র বানাতে হবে | ভুল না হোক্ , এইসবের লক্ষ রাখতে হবে | আমার থেকে কোনো ভুল তো হচ্ছে না ? এইজন্য বিচারও (কাছারী) করে | আর কোনো স্কুল ইত্যাদিতে কোর্ট হয় না | নিজের হৃদয়কে (দিল) জিজ্ঞাসা করতে হবে | বাবা বুঝিয়েছেন মায়ার কারণে কিছু না কিছু অবজ্ঞা হতে থাকে | শুরুতে কোর্ট হত | বাচ্চারা সত্যি বলতো | বাবা বোঝাতে থাকেন -- যদি ঠিক না বলো তাহলে ভুল বৃদ্ধি হতে থাকবে | উল্টো আরও ভুলের মাশুল দিতে হবে | ভুল না বললে আবার অবজ্ঞা (নাফরমানবরদার) হওয়ার টীকা লেগে যায় | তারপর রাজত্বের তিলকও পাওয়া যাবে না | আজ্ঞা মানে না , অবিশ্বাসী (বেবফাদার) পরিণত হয় তো রাজত্ব পায় না | সার্জন বিভিন্ন প্রকারে বোঝান | সার্জনের নিকটে অসুখ লুকিয়ে রাখলে তো পদও কম হয়ে যাবে | সার্জনকে বললে তো কোনো মার তো পড়ে না | বাবা শুধু বলবে সাবধান | তারপর যদি এরকম ভুল করবে তো নুকশান হবে | পদও অনেক কম হয়ে যাবে | সেখানে তো ন্যাচরল দৈবী চলন হবে | এখানে পুরুষার্থ করতে হবে | বার-বার ফেল হওয়ার নেই | বাবা বলেন - বাচ্চারা বেশী ভুল কোরো না | বাবা অনেক স্নেহের সাগর | বাচ্চাদেরও হতে হবে | যেখানে বাবা সেখানে বাচ্চারা | যথা রাজা রাণী তথা প্রজা | বাবা তো রাজা হন না | তুমি জানো বাবা আমাদের নিজ সমান বানান | বাবার যেমন মহিমা করা হয় , সেইরকম তোমাদেরও হওয়া দরকার | বাবা সমান হতে হবে | মায়া বড় প্রবল হয় , তোমায় খাতা (রেজিস্টার) রাখতে দেয় না | মায়ার কবলে তো পুরো আটকে আছো | মায়ার জেল থেকে তুমি বেরোতে পারছো না | সত্যি বলো না | সেইজন্য বাবা বলেন হুবহু (এক্যুরেট) স্মরণের চার্ট রাখো | সকালে উঠে বাবাকে স্মরণ করো | বাবারই মহিমা করো | বাবা আপনি আমাদের বিশ্বের মালিক বানান তো আমরা আপনারই মহিমা করবো | ভক্তিমার্গে কত মহিমা গাওয়া হয় , তাদের তো কিছুই জানা নেই | দেবতাদের মহিমা হয় না | মহিমা হলো তোমাদের ব্রাক্ষণদের | সকলের সদ্গতি দাতাও একজন বাবাই হন | তিনি ক্রিয়েটরও , ডায়রেক্টরও হন | সার্ভিসও করেন আর বাচ্চাদের বোঝানও | প্র্যাক্টিকলে বলেন | তারা তো শুধু ভগবানুওয়াচ শাস্ত্রে শুনতে থাকে | গীতা তো পড়ে তারপর তার থেকে কি পাওয়া যায় | কত স্নেহের সহিত বসে পড়ে , ভক্তি করে , জানে না যে এর দ্বারা কি হবে ! এইসবও জানে না আমরা নিচেই সিড়ি নামতে থাকি | দিন-প্রতিদিন তমোপ্রধান হতেই হবে | ড্রামায় ফিক্সই এমনি আছে | এই সিড়ির রহস্য শুধু বাবা ছাড়া আর কেউই বোঝাতে পারেন না | শিববাবাই ব্ৰহ্মা দ্বারা বোঝাচ্ছেন | এইসবও এনার থেকে বুঝে আবার তোমাকে বোঝানো হয় | মূল বড় শিক্ষক , বড় সার্জন তো বাবাই হন | ওঁনাকেই স্মরণ করতে হবে | এরকম বলা হয় না ব্রাক্ষণীকে স্মরণ করো | স্মরণ তো একজনেরই রাখতে হবে | কখনোও কারোর সাথে মোহ রেখো না | এক বাবার নিকটেই শিক্ষা নিতে হবে | নির্মোহীও হতে হবে | এইসবে অনেক পরিশ্রম দরকার | পুরো দুনিয়ার থেকে বৈরাগ্য , এইসব তো শেষ হয়ে গেছে | এতে ভালোবাসা (লভ) বা আসক্তি কিছুই নয় | কত বড় -বড় বাড়ী ইত্যাদি বানাতে থাকে | তারা তো এইসবও জানে না যে এই পুরোনো দুনিয়ার সময় আর কত আছে | তোমরা বাচ্চারা এবার জেগে গেছো , অন্যদেরও জাগাচ্ছো | বাবা আত্মাদেরই জাগান , মুহূৰ্তে-মুহূৰ্তে বলেন নিজেকে আত্মা চিন্তা করো | শরীর বুঝছো বলে তো ঘুমিয়ে আছো | নিজেকে আত্মা বোঝো আর বাবাকেও স্মরণ করো | আত্মা পতিত হলে তো শরীরও পতিত পাওয়া যায় | আত্মা পাবন তো শরীরও পাবন পাওয়া যায় |

    বাবা বোঝাচ্ছেন তুমিই এই দেবী-দেবতা কুলের (ঘরানা) ছিলে | আবার তুমিই পরিণত হয়ে যাবে | কত সহজ হয় | এরকম বেহদের বাবাকে আমরা স্মরণ কেন করবো না | সকালে উঠেও বাবাকে স্মরণ করো | বাবা আপনার তো চমত্কার (কমাল) , আপনি আমাদের কত উচ্চ দেবী-দেবতা বানিয়ে আবার নির্বাণধামে বসে যাও | এতো উচ্চ তো কেউই বানাতে পারে না | আপনি কত সহজ করে বলেন | বাবা বলেন -- যত সময় পাবে , কাজকর্ম করেও বাবাকে স্মরণ বা মনে করতে পারো | স্মরণই তোমাদের বেড়া পার করবে অর্থাত কলিযুগ থেকে ঐ পারে শিবালয় নিয়ে যাবেন | শিবালয়কেও স্মরণ করতে হবে , শিববাবার স্থাপিত স্বর্গ -- তাহলে দুটোই স্মরণ আসে তো | শিববাবাকে স্মরণ করলে আমরা স্বর্গের মালিক পরিণত হবো | এইসব পড়াশোনা হলোই নতুন দুনিয়ার জন্য | বাবাও নতুন দুনিয়া স্থাপন করতে আসেন | অবশ্যই বাবা এসে কোনো তো কর্তব্য করবেন ,তাই না | তুমি দেখোও ড্রামার প্ল্যান অনুসারে আমি পার্ট প্লে করছি | তোমাদের বাচ্চাদের পাঁচ হাজার বছর পূর্বের স্মরণের যাত্রা আর আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বলছি | তুমি জানো প্রত্যেক পাঁচ হাজার বছরের পর বাবা আমাদের সম্মুখে আসেন | আত্মাই বলে , শরীর বলে না | বাবা বাচ্চাদের শিক্ষা দেন -- আত্মাকেই পবিত্ৰ হতে হবে | আত্মাকে একবারই পবিত্ৰ হতে হয় | বাবা বলেন আমি অনেক বার তোমায় পড়িয়েছি আবারও পড়াবো | এরকম কোনো সন্ন্যাসী বলতে পারে না | বাবাই বলেন -- বাচ্চারা , আমি ড্রামার প্ল্যান অনুসারে পড়াতে এসেছি | আবার পাঁচ হাজার বছর পরে এমনিই এসে পড়াবো, যেমন কল্পে পূর্বে তোমাকে পড়িয়ে রাজধানী স্থাপন করেছিলাম , অনেক বার তোমাকে পড়িয়ে রাজত্ব স্থাপিত করেছি | এইসব কত চমত্কারী কথা বাবা বোঝাচ্ছেন | শ্রীমত হলো কত শ্রেষ্ঠ | শ্রীমতেই আমরা বিশ্বের মালিক পরিণত হই | অনেক অনেক বড় সুযোগ কখনোও কখনোও (মর্তবা) হয় | কারোর বড় লটারী প্রাপ্ত হলেই মাথা খারাপ হয়ে যায় | কেউ আবার চলতে -চলতে আশাহত (হোপলেস) হয়ে যায় | আমরা পড়তে পারছি না | আমরা বিশ্বের বাদশাহী কেমন করে নেবো | তোমাদের বাচ্চাদের তো অনেক খুশী হওয়া দরকার | বাবা বলেন অতিন্দ্রীয় সুখ আর খুশীর কথা আমার বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করো | তুমি যাও সকলকে খুশীর কথা শোনাতে | তুমিই বিশ্বের মালিক ছিলে আবার চুরাশী জন্ম ভোগ করে গুলাম তৈরী হয়েছো | গাওয়াও হয় আমি গুলাম , আমি গুলাম তোমার | তারা বোঝে নিজেকে নীচু বলা , ছোটো হয়ে চলা ভালো হয় | দেখো , বাবা কে ! ওঁনাকে কেউ জানে না | ওঁনাকেও শুধু তুমি জেনেছো | বাবা কেমন করে এসে সকলকে বাচ্চা -বাচ্চা বলে বোঝান | এই হলো আত্মা আর পরমাত্মার মেলা | উনি আমাদের স্বর্গের বাদশাহী দেন | বাকী কোনো গঙ্গা স্নান ইত্যাদি করলে স্বর্গের রাজত্ব পাওয়া যায় না | গঙ্গা স্নান তো অনেক বার করেছো | এমনি তো জল সাগর থেকে আসে কিন্তু এই বর্ষা কিরকম বর্ষিত হয় সেইসবকে তো প্রাকৃতিক (কুদরত) বলবে | এই সময় বাবা তোমায় সবকিছু বোঝাচ্ছেন | ধারণাও আত্মাই করে , শরীর নয় | তুমি অনুভব (ফীল) করো বরাবর বাবা আমাদের কি থেকে কি বানিয়েছেন ! এবার বাবা বলেন -- বাচ্চারা নিজের ওপরে দয়া (রহম) করো | কোনো অবজ্ঞা কোরো না | দেহ -অভিমানী হয়ো না | বিনামূল্যে নিজের পদ কম করে দেবে | শিক্ষক তো বোঝাবেন , না | তুমি জানো বাবা হলেন বেহদের শিক্ষক | দুনিয়ায় কত ঢের ঢের ভাষা আছে | কোনোও জিনিষ ছাপালে তো সব ভাষাতেই ছাপানো দরকার | কেউ লিটরেচর ছাপাও তো সকলকে এক-এক বই (কপি) পাঠিয়ে দাও | এক-এক বই লাইব্রেরীতেও পাঠানো দরকার | খরচার কথা নেই | বাবার ভান্ডার অনেক ভরে যাবে | পয়সা নিজের কাছে রেখে কি করবে | বাড়ী তো নিয়ে যাবে না | যদি কিছু ঘর নিয়ে যাও তো পরমাত্মার যজ্ঞের চুরি হয়ে যাবে | হায়-হায়, এরকম ফালতু বুদ্ধি যেন কারোর না হয় | পরমাত্মার যজ্ঞের চুরি ! ঐরকম মহান পাপাত্মা কেউ হতে পারে না | কত অধম গতি হয়ে যায় | বাবা বলেন এইসব ড্রামায় পার্ট আছে | তুমি রাজত্ব করবে তারা তোমাদের চাকর হবে | চাকর ছাড়া রাজত্ব কেমন করে চলবে ! কল্পে পূর্বেও এরকমই স্থাপনা হয়েছিল |

    এবার বাবা বলেন -- নিজের কল্যাণ করতে চাও তো শ্রীমতে চলো | দৈবী গুণ ধারণ করো | ক্রোধ করা দৈবীয় গুণ নয় | সেটা আসুরী গুণ হয়ে যায় | কেউ ক্রোধ করলে তো চুপ হয়ে যাওয়া দরকার | রেসপন্স করা উচিত নয় | প্রত্যেকের চলনেই বোঝা যায় , অবগুণ তো সকলের আছে | যখন কেউ ক্রোধ করে তখন তার চেহারা তামার মতন হয়ে যায় | মুখ দিয়ে বাণ চালায় , নিজেরই নুকশান করে দেয় | পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে | বোঝা দরকার | বাবা বলেন যারা পাপ কর্ম করো , তারা লিখে দাও | বাবাকে বললে ক্ষমা (মাফ) হয়ে যাবে | মনের বোঝ হাল্কা হয়ে যাবে | জন্ম-জন্মান্তর থেকে তুমি বিকারে যাচ্ছো | এইসময় তুমি কোনো পাপ কর্ম করবে তো শত গুণ হয়ে যাবে | বাবার আগে ভুল করলে তো শতগুণ দন্ড হবে | করছো আর বলছো না তাহলে তো আরও বৃদ্ধি হয়ে যাবে | বাবা তো বোঝাবেন যে নিজের নুকশান কোরো না | বাবা বাচ্চাদের বুদ্ধি ভালো (সালিম) বানাতে এসেছেন | জানেন এ কেমন পদ পাবে | সেটাও আবার একুশ জন্মের কথা | যারা সার্ভিসেবল বাচ্চারা আছে , তাদের স্বভাব অনেক মিষ্টি হওয়া দরকার | কেউ চট্ করে বলে দেয় - বাবা এই ভুল হয়েছে | বাবা খুশী হন | ভগবান খুশী হন তো আর কি চাই | এখানে তো বাবা শিক্ষক গুরু তিনজনই আছেন | নয়তো তিনজনই অসন্তুষ্ট (নারাজ) হবেন | আচ্ছা !

    মিষ্টি মিষ্টি অনেক দিনের হারিয়ে আবার ফিরে পাওয়া (সিকিলধে) বাচ্চাদেরকে মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণ করছেন আর জানাচ্ছেন স্নেহ সুমন আর সুপ্রভাত | আত্মাদের পিতা (রূহানী) আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানায় নমস্কার |

    ধারণার জন্য মুখ্য সার --:

    1. শ্রীমতে চলে নিজের বুদ্ধি ভালো (সালিম) রাখতে হবে | কখনোও অবজ্ঞা করবে না | ক্রোধের বশে মুখ থেকে বাণ বের করবে না , চুপ থাকবে |

    2. হৃদয় দিয়ে এক বাবার মহিমা করতে হবে | এই পুরানো দুনিয়া থেকে আসক্তি বা স্নেহ রাখবে না | বেহদের বৈরাগী আর নির্মোহী হতে হবে |

    বরদান --: 

    নিজ মূরত দ্বারা বাবা আর শিক্ষকের চেহারাকে (সুরত) প্রত্যক্ষ করার জন্য অনুভবী মূরত হও (ভব) !

    নিজের আসল পজিশনে দাড়ানো -- এটাই হল স্মরণের যাত্রা, আমি যেমন হয়েছি, যার হয়েছি -- তাতে স্থিত থাকো , এই আসল স্বরূপের নিশ্চয় আর অনেক বারের বিজয়ের স্মৃতি দ্বারা সবসময় নেশার স্থিতির সাগরে ভাসেত(লহরাতে) থাকবে | তমি হলে সুখদাতার বাচ্চা, দুঃখের ঢেউ তোমার কাছে কেমন করে আসতে পারে , সর্বশক্তিমানের বাচ্চারা শক্তিহীন হয় কি করে ! এই পজিশনের অনুভবে থাকো তো তোমাদের মূরত থেকে বাবা বা শিক্ষকের চেহারা স্বতঃতই প্রত্যক্ষ হবে |

    স্লোগন --: 

    সত্যবাদী সেই হবে, যার চেহারায় আর চলনে দিব্যতা থাকবে |

    ***OM SHANTI***