BK Murli In Bengali 31 March 2016

bk murli today

Posted by: BK Prerana

BK Prerana is executive editor at bkmurlis.net and covers daily updates from Brahma Kumaris Spiritual University. Prerana updates murlis in English and Hindi everyday.
Twitter: @bkprerana | Facebook: @bkkumarisprerana
Share:






    BK Murli In Bengali 31 March 2016

    ৩১-০৩-১৬ প্রাতঃমুরলী ওম্ শান্তি "বাপদাদা" মধুবন

    মিষ্টি বাচ্চারা -- " শ্রীমতে চলে তোমাদের তত্ত্ব( পাঁচ) সহিত সমগ্র দুনিয়াকে পবিত্র বানানোর সেবা করতে হবে, সকলকে সুখ এবং শান্তির রাস্তা দেখাতে হবে "

    প্রশ্ন : -- 

    তোমরা বাচ্চারা নিজেদের দেহকেও ভুলবার পুরুষার্থ করো, সেই জন্য তোমাদের কোন্ জিনিসটির কোনো প্রয়োজন নেই ?

    উত্তর : -- 

    চিত্রের, যখন এই চিত্রকেই (দেহ) ভুলতে হবে, তাহলে সেই সব চিত্রের কি প্রয়োজন? নিজেকে আত্মা ভেবে বিদেহী বাবাকে স্মরণ করো এবং সুইট হোমকে স্মরণ করো। এই চিত্র তো হল ছোট বাচ্চাদের জন্য, অর্থাৎ নতুনদের জন্য । তোমাদের তো স্মরণে থাকতে হবে এবং সকলকে স্মরণ করাতে হবে। কাজকর্ম করতে করতেও সতোপ্রধান হওয়ার জন্য স্মরণেই থাকবা অভ্যাস করো।

    গীত : -- 

    তকদীর জাগাকর আয়ি হুঁ.... ( ভাগ্যকে আমার এসেছি জাগিয়ে....)

    ওম্ শান্তি । 

    মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা এই কথাগুলি শুনলে এবং সাথে সাথেই খুশীতে রোমাঞ্চিত হয়ে উঠেছো নিশ্চয়ই । বাচ্চারা জানে যে এখানে এসেছি নিজের সৌভাগ্য, স্বর্গের ভাগ্য নিতে। এমন আর কোথাও কেউ বলবে না । তোমরা জানো আমরা বাবার কাছ থেকে স্ব্গের বর্সা নিচ্ছি অর্থাৎ স্বর্গ বানানোর পুরুষারথ করছি। স্বর্গের সাক্ষাৎকার করান যে বাবা, তিনিই আমাদের পড়াচ্ছেন । এটাও বাচ্চাদের নেশা হওয়া উচিত । ভক্তি এখন সমাপ্ত হয়ে যাবে। বলা হয় যে ভগবান ভক্তদের উদ্ধার করার জন্য আসেন, কেননা রাবণের শৃঙ্খলে আমরা ফেঁসে রয়েছি। নানান মানুষের নানান মত রয়েছে। তোমরা তো সেটা জেনে গেছো সৃষ্টি চক্র এই অনাদি খেলা পূর্ব থেকেই তৈরী হয়ে আছে । এও ভারতবাসী মনে করে যে বরাবর আমরাই প্রাচীন নতুন দুনিয়ার বাসিন্দা ছিলাম, এখন পুরানো দুনিয়ার বাসিন্দা হয়ে গেছি। বাবা নতুন দুনিয়া অর্থাৎ স্বর্গ বানিয়েছেন, রাবণ আবার তাকে নর বানিয়ে দিয়েছে । বাপদাদার মতে তোমরা এখন নিজেদের জন্য ননতুন দুনিয়া বানাচ্ছো। নতুন দুনিয়ার জন্য পড়ছো। কে পড়াচ্ছেন ? জ্ঞানের সাগর, পতিত পাবন বলে যাঁর মহিমা রয়েছে । সঃই একের ছাড়া আর কারো মহিমা গাওয়া হয় না । তিনি হলেন পতিত পাবন। আমরা সবাই হলাম পতিত। পবিত্র দুনিয়া কারো স্মরণে নেই। এখন তোমরা জানো যে বরাবর ৫ হাজার বছর পূর্বে পবিত্র দুনিয়া ছিল । সেটা ভারত-ই ছিল। বাকি সব ধর্ম শান্তিতে (শান্তিধামে) ছিল । আমরা ভারতবাসীরা সুখধামে ছিলাম। মানুষ শান্তি চায়, কিন্তু এখানে তো কেউ শান্ত থাকতে পারবে না । এটা তো শাস্তিধাম নয় । সেটা হল নিরাকারী দুনিয়া, যেখান থেকে আমরা আসি। তাছাড়া সত্যযুগে শান্তি থাকে না, কারণ সেটা হল সুখধাম। সেটাকে শান্তিধাম বলা হবে না । সেখানে তোমরা পবিত্রতা - সুখ - শান্তিতে থাকো। কোনো ঝামেলাই থাকে না । বাড়িতে বাচ্চারা ঝগড়া ইত্যাদি করলে তাদেরকে বলা হয় শান্ত হয়ে যাও।তো বাবা বলেছেন আত্মারা সেই শান্তির দেশে ছিলে। এখন ঝগড়ার দেশে এসে বসেছো। এবিষয়টি এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। তোমরা বাবার দ্বারা আবার উচ্চ থেকে উচ্চ পদ পাওয়ার পুরুষার্থ করছো। এই স্কুল কি কম কিছু । গড ফাদারের ইউনিভার্সিটি হল এটা। সমগ্র দুনিয়ায় এটা হল সবচেয়ে বড় ইউনিভার্সিটি । এখানে সবাই বাবার থেকে শান্তি এবং সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। একমাত্র বাবা ছাড়া আর কারো মহীমা নেই। ব্রহ্মার মহিমা থোড়াই আছে। বাবা-ই তো এই সময় এসে বর্সা দেন। তারপরেই তো সুখ-ই সুখ। সুখ শান্তি একমাত্র বাবা-ই দিতে পারেন। তাঁরই মহিমা রয়েছে । সত্যযুগ - ত্রেতায় কারো মহিমা হয় না । সেখানে তো রাজধানী চলতে থাকে। তোমরা উত্তরাধিকার নিচ্ছো, বাকিরা সবাই শান্তিধামে থাকবে। কারোরই মহিমা হয় না । যদিও যীশুখ্রীষ্ট ধর্ম স্থাপন করেন, সেটা তো করতেই হবে ধর্ম স্থাপন করলেও তিনি নীচের দিকেই নামতে থাকেন। তাহলে মহিমা কিসের হল ? মহিমা কেবল একজনেরই হয়, যাঁকে পতিত পাবন, লিবারেটর বলা হয় । এমন তো নয় তাদের যীশু, বুদ্ধ প্রমুখদের কথা মনে আসে। স্মরণ তো সেই একজনকেই করে, তিনি হলেন গড ফাদার। সত্যযুগে তো কারো মহিমা হয় না । এরপরে এই সব ধর্ম শুরু হয় । তো বাবার মহিমা কীর্তিত হয় এবং ভক্তি শুরু হয় । ড্রামা কেমন বানানো হয়েছে । কেমন করে চক্র পরিক্রমণ হয় -- তো যাঁরা বাবা সন্তান হয়েছে, তারাই সে সব জানে। বাবা হলেন রচয়িতা। নতুন সৃষ্টি রচনা করেন- তা হল স্বর্গ । কিন্তু সবাই তো স্বর্গে আসতে পারবে না । ড্রামার রহস্যও বুঝতে পারে না। বাবার কাছ থেকে সুখের বর্সা পাওয়া যায় । এই সময় সকলেই হল দুঃখী। সকলকেই আবার ফিরে যেতে হবে, আবার আসবে সুখে (সুখধামে)। তোমাদের বাচ্চাদের খুব ভালো পার্ট রয়েছে । বাবা তো সেই কারণে এভার হ্যাপী। বাস্তবে বাবার জন্য এটা বলতে পারবে না । তিনি যদি হ্যাপী হন, তাহলে তো আনহ্যাপীও হতে হবে। বাবা তো হলেন এই সব কিছুর থেকেই পৃথক। বাবার যা মহিমা এই সময় সেটাই হল তোমাদেরও মহিমা। এরপর ভবিষ্যতে তোমাদের মহিমা আলাদা হবে। যেমন বাবা হলেন জ্ঞান সাগর, তোমাদের বুদ্ধিতে সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান রয়েছে । তোমরা জানো যে বাবা হলেন সুখের সাগর, তার কাছ থেকেই অগাধ সুখ পাওয়া যায় । এই সময় তোমরা বাবার কাছ থেকে বর্সা নিচ্ছো, বাবা বাচ্চাদেরকে এমন শ্রেষ্ঠ কর্ম শেখাচ্ছেন । যেমন লক্ষ্মী - নারায়ণ -- এঁরা নিশ্চয়ই পূর্ব জন্মে ভালো কর্ম করছিলেন, যার জন্যই এই পদ পেয়েছিলেন । দুনিয়ায় কেউই এটা বোঝে না যে এঁরা রাজ্য কীভাবে পেয়েছিলেন ?
    বাবা বলেন বাচ্চারা এখন তোমরা এই রকম হচ্ছো। তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে যে আমরাই এইরকম ছিলাম, আবার এই রকম হবো। বাবা বসে কর্ম - অকর্ম - বিকর্মের গতি বোঝান যাতে আমরা এরূপ তৈরী হই। শ্রীমত দেন, তো শ্রীমত সম্বন্ধে জানতে হবে তো। শ্রীমতের দ্বারা সমগ্র দুনিয়া তত্ত্ব ইত্যাদি সব কিছুই শ্রেষ্ঠ বানানো হয় । সত্যযুগে সব কিছুই শ্রেষ্ঠ ছিল । সেখানে না ঠান্ডা না গরম। সদাই বাহারি আবহাওয়া( সদাই মধুমাস), সেখানে তোমরা কত সুখীথাকো। ওরা তো সেই জন্য গায়ও খুদা বহিস্ত ( স্বর্গ ) অথবা হেভেন স্থাপন করেন । তো তাতে উঁচু পদ পাওয়ার পুরুষার্থকরতে হবে। সর্বদা বলা হয় ফলো মাদার ফাদার বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে । আর তারপর ফাদারের সাথে আমরা আত্মারা একসাথে যাবো। শ্রীমতের দ্বারা চলে প্রত্যেককে রাস্তা দেখাবো।
    বেহদের বাবা হেন স্বর্গের রচয়িতা । এখন তো হয়েছে হেল ( নরক)। নিশ্চয়ই তিনি হেল-য়েই হেভেনের বর্সা দিয়েছিলেন । এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হচ্ছে, তারপর আবার আমাদের প্রথম জন্ম স্বর্গেই নিতে হয় । তোমাদের এইম অবজেক্ট (মূল লক্ষ্য) সামনে রয়েছে । এইরকম হতে হতে হবে, আমরা আবার লক্ষ্মী- নারায়ণ হই, বাস্তবে তো এইসব চিত্রের কোনো প্রয়োজন নেই । যারা কাঁচা রয়েছে, মাঝে মাঝেই ভুলে যায়, সেই জন্য চিত্র রেখে দেয় । কেউ কৃষ্ণের চিত্র দেখে। কৃষ্ণকে না দেখলে স্মরণ করতে পারে না । সকলের বুদ্ধিতে তো চিত্র রয়েছেই। তোমাদের কোনো চিত্র রাখবার প্রয়োজনই নেই । তোমরা নিজেদেরকে আত্মা মনে করো, তোমাদের নিজেদের চিত্রকেও ভুলতে হবে। দেহ সহিত সকল সম্বন্ধকে ভুলে যেতে হবে । বাবা বলেন তোমরা হলে আশিক, একজন মাশুকেরই। মাশুক বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। এমন অবস্থা হবে যাতে শরীর ত্যাগ যখন হবে, তো মনে করবে যে এই পুরানো দুনিয়াকে ছেড়ে এখন বাবার কাছে যাচ্ছি । ৮৪ জন্ম পুরো হয়েছে, এখন যেতে হবে। বাবা ফরমান দিয়েছেন যে -- আমাকে স্মরণ করো। ব্যস বাবা এবং সুইট হোমকেই স্মরণ করো। বুদ্ধিতে রয়েছে যে আমি আত্মা শরীর ছাড়াই ছিলাম, এরপর এখানে পার্ট প্লে করবার জন্য শরীর ধারণ করেছি। পার্ট প্লে করতে করতে পতিত হয়ে পড়েছি। এই শরীর হল পুরানো জুতো। আত্মা পবিত্ৰ হচ্ছে । পবিত্ৰ শরীর তো এখানে পাওয়া যাবে না । এখন আমরা আত্মারা আমাদের গৃহে ফিরে যাবো। প্রথমে প্রিন্স-প্রিন্সেস হবো তারপর স্বয়ম্ভর হলে লক্ষ্ম-নারায়ণ হবো। মানুষের এটা জানা নেই যে রাধা-কৃষ্ণ কারা ? দু'জনেই পৃথক পৃথক রাজধানীর ছিলেন, তারপর তাঁদের স্বয়ম্ভর হয় । তোমরা বাচ্চারা ধ্যানে স্বয়ম্ভর দেখেছো। প্রথম দিকে অনেক সাক্ষাৎকার হত। কেননা পাকিস্তানে তোমাদের আনন্দে রাখার জন্য এই সব পার্ট চলতো। পরের দিকে তো রয়েছেই মারামারি । ভূমিকম্প ইত্যাদি অনেক হবে। তোমাদের তখন সাক্ষাৎকার হতে থাকবে।প্রত্যেকেই জানতে পেরে যাবে আমি কোন্ পদ পাবো। তখন যারাই কম পড়বে, তাদের খুব অনুশোচনা হবে। বাবা বলবেন তুমি পড়নি, না অন্যদের পড়িয়েছো, না স্মরণে থেকেছো। স্মরণের দ্বারাই সতোপ্রধান হতে পারো। পতিত পাবন তো হলেন বাবা-ই তিনি বলেন--"মামেকম্ স্মরণ করো তো তোমাদের খাদ বের হয়ে যাবে"। পুরুষার্থ করতে হবে স্মরণের যাত্রার। কাজকর্মও করো। কর্মও তো করতে হবে তাই না ! কিন্তু বুদ্ধির যোগ যাতে ওখানে থাএ। তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান এখানেই হতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও আমাকে স্মরণ করো তবেই তোমরা নতুন দুনিয়ার মালিক হবে। বাবা আর কোনো কষ্ট দেন না । তোমাদের খুব সহজ উপায় বলে দেন ।সুখধামের মালিক হতে হলে মামেকম্ স্মরণ করো। এখন তোমরা স্মরণ করো -- বাবাও হলেন স্টার। মানুষ তো মনে করে তিনি হলেন সর্বশক্তিমান, খুব তেজোময়। বাবা বলেন -- আমি হলাম মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। বীজ হওয়ার কারণে সৃষ্টিরআদি- মধ্য - অন্তকে জানি। তোমরা তো বীজ নও, আমি হলাম বীজ। সেইজন্য আমাকে বলা হয় জ্ঞান সাগর। মনুষ্য সৃষ্টির চৈতন্য বীজ যখন তখন তিনি নিশ্চয়ই জানেন যে এই সৃষ্টি চক্র কীভাবে পরিক্রমণ করে। ঋষি-মুনিরা কেউই রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্ত্যকে জানে না । পবিত্র দুনিয়ায় পতিত কি করে যেতে পারে, সেই জন্য বাবা বলেন যে কাম নামক মহাশত্রুর উপরে বিজয় প্রাপ্ত করো। সেটাই তোমাদেরকে দুঃখ দিয়ে থাকে । শুধু বাবা এবং উত্তরাধিকারকেই স্মরণ করতে হবে। বাবাকে স্মরণ অর্থাৎ যোগের দ্বারাই পাপ ভষ্ম হবে। বাচ্চারা স্বর্গে যদি আসেও তবে উঁচু পদ পাওয়ারজন্য পুরুষার্থ করতে হবে। স্বর্গে তো যেতেই হবে।অল্প শুনলেও বুঝে যাবে যে বাবা এসেছেন । এখন তো বলে যে এটা হল সেই মহাভারত লড়াই । নিশ্চয় বাবাও রয়েছেন, যিনি বাচ্চাদেরকে রাজযোগ শেখাচ্ছেন । তোমরা সবাইকে জাগিয়ে থাকো। যারা অনেককে জাগাবে, তারা উঁচু পদ পাবে। পুরুষার্থ করতে হবে। সবাই এক রকমের পুরুষার্থী হতে পারে না। স্কুল তো বেশ বড় ব্যপার । এটা হল ওয়ার্ল্ডের ইউনিভার্সিটি । সমগ্র ওয়ার্ল্ডকে সুখধাম এবং শান্তিধাম বানাতে হবে। এমন টিচার কখনো হয় নাকি ? ইউনিভার্স সমগ্র বিশ্বকে বলা হয় । বাবা-ই সমগ্র দুনিয়ার মনুষ্যদেরকে সতোপ্রধান বানান অর্থাৎ স্বর্গ রচনা করেন।
    ভক্তিমার্গে যে যে উৎসব পালন করে সে সবই হল এই সঙ্গম যুগের। সত্যযুগ- ত্রেতায় কোনো উৎসব হয় না । সেখানে তো প্রালব্ধ ভোগ করে। উৎসব সবই এখানেই পালিত হয় । হোলী এবং ধুরিয়া সে সবই তো হল জ্ঞানের কথা আগে যা কিছু হয়ে গেছে সে সবেরই উৎসব পালন করে। সে সবই হল এই সময়কারই। এই ১০০ বছরের মধ্যে সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায় । সৃষ্টিও নতুন ভাবে তৈরি হয়ে যায় । তোমরা জানো যে আমরা অনেক বার সুখের বর্সা নিয়েছি এবং আবার হারিয়েওছি। আনন্দ হয় যে আবার আমমরা বাবার থেকে বর্সা নিচ্ছি । অন্যদেরও রাস্তা দেখাচ্ছি। ড্রামা অনুসারে স্বর্গের স্থাপনা অবশ্যই হবে। দিনের পরে যেমন রাত হয়, রাতের পরে আবার যেমন দিন আসে, তেমনই কলিযুগের পরে অবশ্যই সত্যযুগ হবে। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আনন্দের নাগাড়া(বাজনা) বাজা উচিত। এখন সময় সম্পূর্ণ হচ্ছে, আমরা যাচ্ছি শান্তিধামে। সেটাই হল অন্তিম জন্ম । কর্মভোগের ভোগও আনন্দের সাথে হাল্কা হয়ে যায় । কিছুটা ভোগের দ্বারা, কিছুটা যোগবলের দ্বারা হিসাব-কিতাব চুক্ত হবে । বাবা বাচ্চাদের বলেন ধৈর্য্য ধরতে --তোমাদের চিরকালের জন্য সুখের দিন আসছে। কাজকর্ম অবশ্যই করতে হবে। শরীর নির্বাহের জন্য টাকা পয়সার প্রয়োজন তো। বাবা বুঝিয়েছেন যে কাজকর্ম যারা করে, তাদের মধ্যেও ধার্মিক মানুষও আছেন। তারা মনে করেন বেশী ধন জমা হলে অনেক দান করবো। এখানেও বাবা বোঝান যে কেউ যদি দুই পয়সাও দেয় তো তার রিটার্ন ২১ জন্মের জন্য অনেক বেশী প্রাপ্ত হয় । আগে তো তোমরা দান পুণ্য করতে, তার রিটার্ন পরের জন্মে পাওয়া যেত। এখন ২১ জন্মের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পেয়ে যাবে। আগে সাধু-সন্তদের দিতে। এখন তো তোমরা জানো যে সবকিছুই খতম হয়ে যাবে। এখন আমি তোমাদের সম্মুখে এসেছি, অতএব ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হবে। তোমরা ইনডাইরেক্ট দিতে, এখন এটা হল ডাইরেক্ট । বাকি তোমাদের সব কিছুই খতম হয়ে যাবে। বাবা বলতে থাকেন -- টাকা পয়সা যদি থাকে, তাহলে সেন্টার খুলতে থাকো। এই কথাগুলি লিখে দাও -- সত্যিকারের গীতা পাঠশালা । ভগবানুবাচ -- মামেকম্ স্মরণ করো এবং উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো।
    আচ্ছা ।

    মিষ্টি মিষ্টি অনেক দিনের হারিয়ে আবার ফিরে পাওয়া বাচ্চাদেরকে মাতা পিতার স্মরণ স্নেহ-সুমন এবং গুড মর্নিং। আত্মাদের (রূহানী) পিতার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে নমস্কার ।

    ধারণার জন্য মুখ্য সার --

    ১) বাবার সমান মহিমা যোগ্য হওয়ার জন্য ফলো ফাদার করতে হবে।

    ২) এটা হল অন্তিম জন্ম, এখন নিজ গৃহে ফিরতে হবে, সেই জন্য সেই খুশীরই নাগাড়া মনের মাঝে যেন বাজতে থাকে । কর্মভোগকে কর্মযোগে অর্থাৎ বাবার স্মরণে খুশী মনে ক্লিয়ার (চুক্তু) করতে হবে।

    বরদান : -- 

    কানেকশান এবং রিলেশানের দ্বারা মন্সা শক্তিকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ রূপে দেখে, এমন সূক্ষ্ণ সেবাধারী ভব (হও)

    যেমন বাণীর শক্তির বা কর্মের শক্তির প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখতে পাওয়া যায়, তেমনই সবচেয়ে পাওয়ারফুল সাইলেন্সের শক্তির প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেখানোর জন্য বাপদাদার সাথে নিরন্তর ক্লিয়ার কানেকশান এবং রিলেশান যাতে থাকে, তাকেই বলাহয় যোগবল। এমন যোগবল আছে এমন আত্মারা স্থূলভাবে দূরে রয়েছে এমন আত্মাদেরকে সামনে দেখবার অনুভব করতে পারে । আত্মাদেরকে আহ্বান করে তাদেরকে পরিবর্তন করতে পারে। এটাই হল সূক্ষ্ণ সেবা। এর জন্য একাগ্রতার শক্তিকে বাড়াও।

    শ্লোগান : -- 

    নিজের সকল খাজানাকে সফল যে করে, সে-ই মহাদানী আত্মা হয় ।


    ***OM SHANTI***