BK Murli 10 July 2016 Bengali
১০-০৭-১৬ প্রাতমুরলী ওম শান্তি “অব্যক্ত-বাপদাদা” রিভাইসঃ১৭-১০-৮১ মধুবন
সকল পরিস্থিতির সমাধান- উড়ন্ত বিহঙ্গ হও
বাপদাদা সকল বাচ্চাদের নয়নের ভাষার দ্বারা এই লোকের ঊর্ধ্বে অব্যক্ত বতনবাসী হওয়ার ইশারা দিচ্ছেন । বাপদাদা যেমন অব্যক্ত বতনবাসী, তেমনই ততত্বম(তুমিও সেই রূপ)- এর বরদানও দেন। ফরিস্তাদের দুনিয়াতে থেকে সাকার দুনিয়াতে কর্ম করবার জন্য আসো। কর্ম করো, কর্মযোগী হয়ে ওঠো, তারপর আবার ফরিস্তা হয়ে যাও। এই অভ্যাস সর্বদা করতে থাকো। সদা এটা যেন স্মৃতিতে থাকে যে, আমি হলাম ফরিস্তাদের দুনিয়াতে থাকা অব্যক্ত ফরিস্তা স্বরূপ। ভূতলবাসী নয়, নভোবাসী। ফরিস্তা অর্থাৎ এই বিকারী দুনিয়া, বিকারী দৃষ্টি বৃত্তির থেকে দূরে যার অবস্থান। এই সকল বিষয়ের ঊর্ধ্বে। সে সদাই বাবার প্রিয় এবং বাবাও তার প্রিয়। উভয়ে একে অপরের স্নেহে মিশে থাকে, এমন ফরিস্তা হয়েছো ? বাবা যেমন বন্ধন্মুক্ত হয়ে ব্রহ্মা বাবার মধ্যে প্রবেশ করে কার্য করতে আসেন, ঠিক তেমনি ফরিস্তা আত্মারও কর্ম বন্ধনের হিসাবে নয় বরং সেবার বন্ধনে শরীরে প্রবিষ্ট হয়ে কর্ম করে, যখন ইচ্ছা তখনই বন্ধনহীন হয়ে যায়। এইরূপ কর্মবন্ধন মুক্ত হও- একেই বলা হয় ফরিস্তা।
বাবার হয়ে যাওয়া অর্থাৎ পুরানো দেহ এবং দেহের দুনিয়ার সম্বন্ধ সমাপ্ত হয়ে গেল। সেইজন্য একে মরজীবা জীবন বলা হয়ে থাকে। তো পুরানো কর্মের খাতা সমাপ্ত হল আর নতুন ব্রাহ্মণ জীবনের খাতা শুরু হল। এটা তো সকলে জানো এবং মানোও যে মরজীবা হয়েছো ! মরজীবা হয়েছো ? নাকি এখনো তৈরী হচ্ছো ? কি বলবে ? হয়েছো নাকি হচ্ছো ? মরছো ? নাকি মরে গেছো ? যখন মরেই গেছো, তবে পিছনের হিসাব সমাপ্ত হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণ জীবন কর্ম বন্ধনের জীবন নয় । কর্ম যোগীর জীবন । মালিক হয়ে যদি কর্ম করো, তবে কর্ম বন্ধন হবে না। কারণ তখন তুমি তোমার কর্মেন্দ্রিয়ের মালিক। মালিক হয়ে যা চাও, যেমন কর্ম চাও, যত সময় ধরে কর্ম করতে চাও তেমনই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা করাতে পারো। তো ব্রাহ্মণ অর্থাৎ ফরিস্তা। কর্মযোগী আত্মা নয়, বরং সেবার শুদ্ধ বন্ধনে যুক্ত। এই দেহ সেবার জন্য প্রাপ্ত হয়েছে। তোমার কর্ম বন্ধনের হিসাব নিকাশের জীবন-এর হিসাব সমাপ্ত হয়েছে। এটা হল নতুন জীবন। এটা সবাই বোঝো তাই না ! পুরানো হিসাব এখনো বাকি নেই তো ? মহারাষ্ট্রের ভাই বোনেরা কি মনে করে ? টিচাররা কি মন করে ? হিসাব-নিকাশ নিষ্পত্তি করতে দক্ষ তো ? নাকি ঢিলা ? নিষ্পত্তি করতে পারা আসে তো ? ফরিস্তা হয়ে যাও, তবেই পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। যারা পদব্রজে যায়, বা যারা দৌড়ে যায় অথবা যারা জাম্প লাগায়, তাদের সকলের থেকে জোরে যেতে পারবে। উড়ে যেতে পারলে তবেই তো পরিশ্রম থেকে মুক্ত হয়ে যাবে। অনাদি রূপ মানেই হল যারা ওড়ে। আত্মা হল উড়ন্ত বিহঙ্গ, পদাতিক বিহঙ্গ নয়। তো অনাদি স্বরূপ, যা কিনা বোঝা থাকার কারণে ভুলে গেছো। ফরিস্তার পরিবর্তে কর্ম বন্ধনে, উড়ন্ত বিহঙ্গের বদলে খাঁচার পাখি হয়ে গেছে। এখন আবার অনাদি সংস্কার- উরন্ত বিহঙ্গকে ইমার্জ করো অর্থাৎ ফরিস্তা রূপে স্থিত হও। ততত্বমের বরদানী হও। একেই বলা হয় সহজ পুরুষার্থী । ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে কি করবো, কি ভাবে করবো- এইরূপ মেহনত করো বলেই পরিস্থিতি বড় আর তুমি ছোটো হয়ে যাও। পরিস্থিতি শক্তিশালী আর তোমরা দুর্বল হয়ে পড়ো। যে কোনো পরিস্থিতিতে, তা প্রকৃতির আধারে কোনো পরিস্থিতি হোক বা নিজের শরীর কেন্দ্রিক কোনো পরিস্থিতি অথবা লৌকিক অলৌকিক সম্বন্ধের আধারে কোনো পরিস্থিতি, কিম্বা নিজের বা অন্যের সংস্কারের আধারে কোনো পরিস্থিতি- সকল পরিস্থিতিতেই কী এবং কেন-র একটিই উত্তর- “উড়ন্ত বিহঙ্গ হয়ে যাও”। পরিস্থিতি নীচে আর তুমি উপরে হয়ে যাবে। উপর থেকে নীচের যে কোনো বস্তুই যত বড়ই হোক না কেন ক্ষুদ্রই অনুভূত হবে। সেই জন্য সব পরিস্থিতিকে সহজে অতিক্রম করবার সহজ রাস্তা হল- “ফরিস্তা হও, উড়ন্ত বিহঙ্গ হও”। বুঝেছো- সহজ পুরুষার্থ কী ? আমার এইরূপ স্বভাব, এইরূপ সংস্কার, এই এই বন্ধন- এই ‘আমার আমার’ ভাবের বন্ধনকে মরজীবা হয়ে যাওয়ার পরেও সমাপ্ত করোনি? ফরিস্তা ভাবের ভাষা কখনোই - আমার আমার হবে না। ফরিস্তা অর্থাৎ যা আমার সবই তোমার হয়ে গেছে। এই আমার-আমারই ভূতলবাসী বানায় এবং তোমার তোমারই- রাজসিংহাসনবাসী বানায়। তো ফরিস্তা হওয়া অর্থাৎ ‘আমার-আমার’-এর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়া। অলৌকিক জীবনেও আমার এক বাবা দ্বিতীয় আর কেউ নয়। এমন ফরিস্তা হয়েছো ? তো মহারাষ্ট্রবাসী কি হবে ফরিস্তা হওয়া আসে তো ? সকল সমস্যার একটিই সমাধান স্মরণে রাখবে- উরন্ত বিহঙ্গ হতে হবে এবং বানাতে হবে। বুঝেছো। আচ্ছা।
এমন বাপ সমান অব্যক্ত রূপধারী ফরিস্তা স্বরূপ, এক বাবা আমার দ্বিতীয় আর কেউ নেই আমার- এইরূপ বন্ধন মুক্ত এবং প্রিয় স্থিতিতে স্থিত, সদা কর্মেন্দ্রিয়জিত, কর্মযোগী এবং কর্মাতীত, এই অভ্যাস থাকা, সদা বন্ধনমুক্ত, সেবার সম্বন্ধে থাকা, এমন বাপসমান ততত্বম-এর বরদানী বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণ ভালোবাসা এবং নমস্কার।
পার্টির সাথে অব্যক্ত সাক্ষাৎ-
সদা নিজেকে এই সৃষ্টি ড্রামার মধ্যে হিরো পার্টধারী মনে করে চলো ? হিরো পার্টধারী যে হয়, তার নিজের প্রতিটি কদমের উপরে অ্যাটেনশান থাকে, তার প্রতিটি পদক্ষেপ এমন উঠবে যে সকলে সর্বদা বাহ বাহ করবে,ওয়ান্সমোর বলবে। হিরো পার্টধারী যিনি, তার একটি কদমও যদি ঊনিশ-বিশ হয়ে যায়, তবে তখন তাকে হিরো বলা যাবে না। আর তোমরা তো হল ডবল হিরো । বিশেষ হিরো পার্টধারীও এবং হীরে তুল্য জীবনও তোমাদের। তো নিজের এমন স্বমান অনুভব করো ? এক হল জানা আর দ্বিতীয় হল সেই জানার ভিত্তিতে এগিয়ে চলা। তো যেটা জানো, সেটার আধারে চলো ? তো সদা নিজের হিরো পার্টকে দেখে আনন্দিত থাকো, বাহ ড্রামা বাহ এবং বাহ আমার পার্ট। কিন্তু যদি সামাণ্যতম সাধারণ কর্ম হয়ে যায়, তবে তো হিরো বলা যাবে না। বাবা যেমন হলেন হিরো পার্টধারী, তাঁর প্রতিটি কর্ম গীত এবং পূজিত হয়, তেমনই বাবার সাথে যে সব সহযোগী আত্মারা রয়েছেন, তাঁদেরও হিরো পার্ট হওয়ার কারণে তাঁদের প্রতিটি কর্মই গীত এবং পূজনযোগ্য হয়ে যায়। তো এতটা নেশা থাকে ? নাকি বিস্মরণ ঘটে। অর্ধ কল্প তো ভুলেই ছিলে, এখনও কি ভুলেই থাকবে ? এখন তো স্মৃতি স্বরূপ হয়ে যাও। স্বরূপ হয়ে ওঠার পরে সেটা আর কখনো বিস্মৃত হয় না।
২) জীবনকে শ্রেষ্ঠ বানানোর সহজ উপাদান(সাধন) কি ? শ্রেষ্ঠ জীবন তখনই হবে, যখন নিজেকে ট্রাস্টি মনে করে চলবে। ট্রাস্টি অর্থাৎ বন্ধনমুক্ত এবং প্রিয়(ন্যারা এবং প্যারা)। বাবা তো সকলকে ট্রাস্টি বানিয়ে দিয়েছেন। ট্রাস্টি তো তোমরা ? ট্রাস্টি হয়ে থাকলে গৃহস্থী ভাব স্বভাবতই সমাপ্ত হয়ে যায়। গৃহস্থী ভাবই শ্রেষ্ঠ জীবনকে নীচে নামিয়ে আনে। ট্রাস্টির কাছে ‘আমার’ বলে কিছু থাকে না। যেখানে ‘আমার-আমার’ ভাব নেই, সেখানে নষ্টমোহা সতঃতই হয়ে যায়। সদা নির্মোহী অর্থাৎ সদা শ্রেষ্ট, সুখী। মোহতে দুঃখ এসে যায়। তো নষ্টমোহা হও।
৩) সদা কর্মযোগী হয়ে সকল কর্ম করো ? কর্ম এবং যোগ দুটোই কম্বাইন্ড থাকে ? শরীর এবং আত্মা যেমন কম্বাইন্ড হয়ে কাজ করছে তেমনি কর্ম এবং যোগ দুটোই কম্বাইন্ড থাকে ? এমন অনেকে আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে বাবাকে স্মরণ করতে ভুলে যান। তো এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে কর্ম এবং যোগ আলাদা হয়ে গেল। অথচ দুটোই কিন্তু কম্বাইন্ড। টাইটেলই হল কর্মযোগী। কর্ম করতে করতে যারা বাবাকেও স্মরণ করেন, তারা সর্বদাই বন্ধনমুক্ত এবং প্রিয় হবেন, হাল্কা হয়ে যাবেন, কোনো প্রকারের কর্মের বোঝা অনুভব করবেন না। কর্মযোগীর অপর নামই হল কমল পুষ্প। তো কমল পুষ্পের সমান থাকো ? কখনো কোনো প্রকারের আবর্জনা অর্থাৎ মায়ার ভাইব্রেশন তো স্পর্শ হয়ে যায় না ? কখনো মায়া আসে ? নাকি বিদায় নিয়ে চলে গেছে ? মায়াকে নিজের পাশে বসিয়ে তো রাখো না ? মায়াকে বসানো অর্থাৎ বাবাকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। সেইজন্য মায়ারও নলেজফুল হয়ে তাকে দূর থেকেই দূরে ভাগিয়ে দাও। নলেজফুলের আধারে তো জানতে পারো যে মায়ার উদ্ভব কখন হয় এবং কীভাবে হয় ? মায়ার জন্ম দুর্বলতার থেকেই হয়। কোনো প্রকারের দুর্বলতা থাকবে তো মায়া চলে আসবে। শরীর দুর্বল থাকলে যেমন অনেক রোগের জীবাণুর উদ্ভব হয়, ঠিক তেমনি আত্মার মধ্যে থাকা দুর্বলতার থেকে মায়া জন্মস্থান পেয়ে যায়। কারণ হল নিজ দুর্বলতা এবং নিবারণ হল - প্রতিদিনকার মুরলী। মুরলীই হল তাজা ভোজন, শক্তিশালী ভোজন। যা কিছু শক্তির প্রয়োজন সেই সবে সম্পন্ন হওয়ার ভোজন মুরলী থেকে প্রাপ্ত হয়ে যায়। প্রতিদিন যে শক্তিশালী ভোজন গ্রহন করে সে কখনোই দুর্বল হতে পারে না। প্রতিদিন এই ভোজন গ্রহন করো তো ? এই ভোজনের ব্রত রাখবার প্রয়োজন হয় না। রোজ এমন শক্তিশালী ভোজন পেলে আত্মা মাষ্টার সর্বশক্তিবান থাকবে। ভোজনের সাথে সাথে ভোজনকে হজম করবার জন্যও শক্তি অর্থাৎ ভোজন গ্রহন করলে মনন শক্তি অর্থাৎ ভোজনকে হজম করলে। এই দুটি শক্তিই যার থাকবে সে কখনোই দুর্বল হবে না।
প্রবৃত্তিতে যারা রয়েছেন তাদের প্রতিঃ-
সকলে প্রবৃত্তিতে থেকে সদা বন্ধনমুক্ত এবং প্রিয় স্থিতিতে থাকো তো ? প্রবৃত্তির কোনো প্রকারের লৌকিক সম্বন্ধ বা লৌকিক বায়ুমন্ডল অথবা ভাইব্রেশনের প্রভাবে চলে আসো না তো ? এই সব লৌকিকতার ঊর্ধে অলৌকিক সম্বন্ধে, বায়ুমণ্ডলে, ভাইব্রেশনে থাকো তো? লৌকিক ভাব নেই তো ? গৃহের বায়ুমন্ডলও এমন অলৌকিক বানিয়েছো যাতে সেই গৃহকে আর লৌকিক গৃহ বলে মনে হবে না, সেবাকেন্দ্রের বায়ুমন্ডল অনুভূত হবে ? বাইরে থেকে প্রবেশ করলেই অনুভব করবে যে এটা অলৌকিক, লৌকিক নয়। কোনো প্রকারের লৌকিকতার অনুভব যাতে না হয়। যারা আসবে তারা যাতে অনুভব করে- এটা কোনো সাধারণ গৃহ নয়, অলৌকিক, যেন মন্দির। এটাই হল প্রবৃত্তিতে থেকেও সেবার প্রত্যক্ষ স্বরূপ। স্থানও সেবা করবে, বায়ুমণ্ডলও সেবা করবে।
সেবাকেন্দ্রে যেমন যদি কেউ সামাণ্য স্বভাব-সংস্কারবশতঃ এমন আচরণ করে যা দেখে সকলে বলে ওঠে- এমন হওয়া উচিত নয়, এই ফিলিংস মনে আসে যে এমন কাজ আমি এখানে করতে পারব না। সেবা-স্থানে যেমন কোনো প্রকারের এদিক-ওদিক দেখো তো সেটাকে ঠিক করে দিয়ে থাকো, তেমনই নিজ লৌকিক স্থানকে এবং স্থিতিকেও ঠিক করে দেবে। গৃহ মনে হবে মন্দির, গৃহস্থী নয়। যেমন মন্দিরের পরিবেশ সকলকে আকৃষ্ট করে, তেমনি তোমাদের গৃহ থেকেও যেন পবিত্রতার সৌরভ আসে। যেভাবে ধূপকাঠির সুগন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে যায়, তেমনই পবিত্রতার সৌরভ বহু দূর পর্যন্ত যাতে ছড়িয়ে যায়। একেই বলা হয় পবিত্র প্রবৃত্তি। আচ্ছা।
বরদানঃ-
নিজের বিজয় বা সফলতাকে নিশ্চিত মনে করে সদা নিশ্চয়বুদ্ধি ভব
যে সব বাচ্চারা সর্বদা বাবার, নিজের ভূমিকায়(পার্ট) এবং ড্রামার প্রতিটি সেকেন্ডের অ্যাক্টে ১০০ শতাংশ নিশ্চয়বুদ্ধি থাকে, তাদের বিজয়ী হওয়ার কারণে তাঁরা সদা নিশ্চিন্ত থাকে। তাদের চেহারায় চিন্তার রেখা মাত্রও দেখা দেবে না। তাদের সদা নিশ্চয় থাকে যে এই কাজ বা এই সংকল্প কার্যে ফলিত হয়েই আছে। তাদের কোনো বিষয়েই কোনো প্রশ্ন মনে উঠবে না।
শ্লোগানঃ-
কিছু শুনে বা শোনানোর সময় ভাব এবং ভাবনাকে পরিবর্তন করে দেওয়াই হল বায়ুমণ্ডলকে খারাপ করা ।